লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
মক্কা মুকার্রমার ইমারত পাহাড়ের উচ্চতা অতিক্রম করবে
فَإِذَا رَأَيْتَ مَكَّةَ قَدْ بَعَجَتْ كَظَائِمَ وَرَأَيْتَ الْبِنَاءَ يَعْلُو رُءُوسَ الْجِبَالِ فَاعْلَمْ أَنَّ الْأَمْرَ قَدْ أَظَلَّكَ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর রাঃ বলেন, যখন তোমরা দেখতে পাবে যে, মুক্কা মুকার্রমার পেট চিড়ে নহরের মত বস্তু বানিয়ে দেয়া হবে এবং মক্কার ইমারতগুলো পাহাড়ের চূড়া বরাবর উঁচু হয়ে যাবে, তখন বুঝে নিও তোমাদের বিষয়গুলো তোমাদের উপর চলে আসছে। [মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৩৭২৩২]
এ হাদীসের ব্যাখ্যায় শাইখুল ইসলাম মুফতী তাক্বী উসমানী দা.বা. বলেন:
এ হাদীস শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে কিতাবে নকল হয়ে আসছে। কিন্তু পাঠকরা এ হাদীসের মর্মার্থ পুরাপুরি বুঝার কথা নয় যে, মক্কার পেট চিড়ে যাওয়ার অর্থ কী? মক্কার পেট চিড়ে নহরের বস্তু বানানোর মানেটাই বা কী?
কিন্তু এখন মক্কা মুকার্রমায় যে কেউ গেলেই উক্ত হাদীসের মর্মার্থ বুঝা একদম সহজ হয়ে গেছে। মক্কার কত পাহাড় ও চূড়ার বুক চিড়ে তার মাঝখান দিয়ে রাস্তা বানানো হয়েছে। বর্তমানে মক্কা মুকার্রমার শহরে এমন পাহাড় কাটা সমতল পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন রাস্তার অভাব নেই। যা স্বচ্ছ স্ফটিক নহরের মত পরিচ্ছন্ন। আর মক্কার একেকটা ইরামত শুধু পাহাড়ের চূড়াকেই স্পর্শ করেনি, বরং অনেক ইমারত পাহাড়ের উচ্চতাকেও ছাড়িয়ে গেছে। [ইসলাহী খুতুবাত-৭/২৩৩-২৩৫]
মসজিদ কেবল বাহ্যিকভাবে আবাদ থাকবে
মসজিদ। যা ইসলাম ও মুসলমানদের কেন্দ্রস্থল। যার প্রাণ হলো হেদায়েত। সেই হিদায়াত মসজিদগুলো থেকে উঠে যাবে। শুধুমাত্র বাহ্যিক রুসমী ইবাদত মসজিদে চালু থাকবে।
عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” يُوشِكُ أَنْ يَأْتِيَ عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ لَا يَبْقَى مِنَ الْإِسْلَامِ إِلَّا اسْمُهُ، وَلَا يَبْقَى مِنَ الْقُرْآنِ إِلَّا رَسْمُهُ، مَسَاجِدُهُمْ عَامِرَةٌ وَهِيَ خَرَابٌ مِنَ الْهُدَى، عُلَمَاؤُهُمْ شَرُّ مَنْ تَحْتَ أَدِيمِ السَّمَاءِ مَنْ عِنْدَهُمْ تَخْرُجُ الْفِتْنَةُ وَفِيهِمْ تَعُودُ
‘আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ শীঘ্রই মানুষের ওপর এমন এক যুগ আসবে, যখন শুধু নাম ব্যতীত ইসলামের কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না, সেদিন কুরআনের অক্ষরই শুধু অবশিষ্ট থাকবে। তাদের মাসজিদগুলো তো বাহ্যিকভাবে আবাদ হতে থাকবে, কিন্তু হিদায়াতশূন্য থাকবে। তাদের ‘আলিমগণ হবে আকাশের নীচে সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট লোক, তাদের নিকট হতেই (দীনের) ফিতনাহ্-ফাসাদ সৃষ্টি হবে। অতঃপর এ ফিতনাহ্ (ফিতনা) তাদের দিকেই ফিরে আসবে। [শুয়াবুল ঈমান লিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৭৬৩]
হযরত আলী রাঃ বলেন,
مَسَاجِدُكُمْ يَوْمَئِذٍ عَامِرَةٌ، وَقُلُوبُكُمْ وَأَبْدَانُكُمْ مُخَرَّبَةٌ مِنَ الْهوى
তোমাদের মসজিদগুলো বাহ্যিকভাবে আবাদ হবে। কিন্তু তোমাদের অন্তর এবং শরীর খাহেশাতের কারণে খারাপ হয়ে যাবে। [শুয়াবুল ঈমান লিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৭৬৫]
মসজিদকে রাস্তায় পরিণত করা হবে!
إِنَّهُ لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تُتَّخَذَ الْمَسَاجِدُ طُرُقًا، وَحَتَّى يُسَلِّمَ الرَّجُلُ عَلَى الرَّجُلِ بِالْمَعْرِفَةِ، وَحَتَّى تَتْجَرَ الْمَرْأَةُ وَزَوْجُهَا، وَحَتَّى تَغْلُو الْخَيْلُ وَالنِّسَاءُ، ثُمَّ تَرْخُصَ فَلَا تَغْلُو إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
সে পর্যন্ত কিয়ামাত কায়েম হবে না যে পর্যন্ত মাসজিদকে রাস্তা বানিয়ে নেয়া না হবে, যে পর্যন্ত ব্যক্তি শুধুমাত্র পরিচিত ব্যক্তিকেই সালাম না দিবে, যে পর্যন্ত নারী ও তার স্বামী উভয়ে ব্যবসা না করবে, যে পর্যন্ত ঘোড়া [যানবাহন] ও নারীর [মোহরের] মূল্য বৃদ্ধি না পাবে। অতঃপর মূল্য কমে যাবে, কিয়ামাত দিবস পর্যন্ত আর বৃদ্ধি পাবে না। [মুস্তাদরাক আলাস সহীহাইন, হাদীস নং-৮৩৭৯, মু’জামুল কাবীর লিততাবারানী, হাদীস নং-১৭, সুনানুর কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-৩৩২৮]
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، – رَفَعَهُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ – قَالَ: «مِنِ اقْتِرَابِ السَّاعَةِ أَنْ يُرَى الْهِلَالُ قُبُلًا، فَيُقَالُ: لِلَيْلَتَيْنِ، وَأَنْ تُتَّخَذَ الْمَسَاجِدُ طُرُقًا، وَأَنْ يَظْهَرَ مَوْتُ الْفُجَاءَةِ
হযরত আনাস বিন মালেক রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে প্রথম দিনের চাঁদকে বড় দেখা যাবে। লোকেরা বলতে থাকবে যে, এটা দ্বিতীয় দিনের চাঁদ। মসজিদকে রাস্তায় পরিণত করা হবে। আকস্বিক মৃত্যু বৃদ্ধি পাবে। [আলমু’জামুল আওসাত লিততাবারানী, হাদীস নং-৯৩৭৬, আলমু’জামুস সগীর লিততাবারানী, হাদীস নং-১১৩২]
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: كَانَ يَقُولُ: «مِنِ اقْتِرَابِ السَّاعَةِ، أَوْ مِنْ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ أَنْ تُتَّخَذَ الْمَسَاجِدُ طُرُقًا
কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে বা কিয়ামতের আলামত হলো মসজিদকে রাস্তায় পরিণত করা হবে। [মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৩৪২০]
মসজিদ সৌন্দর্যমণ্ডিত করা হবে
عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَتَبَاهَى النَّاسُ فِي الْمَسَاجِدِ “
হযরত আনাস বিন মালেক রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত লোকেরা মসজিদের সৌন্দর্য ও সুসজ্জিতকরণ নিয়ে পরস্পর গর্ব না করবে ততক্ষণ কিয়ামত সংঘটিত হবে না। [মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১২৩৭৯, সুনানে দারামী, হাদীস নং-১৪৪৮, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৭৩৯, সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং-৪৪৯]
أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ: «إِذَا حَلَّيْتُمْ مَصَاحِفَكُمْ، وَزَوَّقْتُمْ مَسَاجِدَكُمْ، فَالدَّمَارُ عَلَيْكُمْ
হযরত আবূ দারদা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন তোমরা কুরআনে কারীমকে সুসজ্জিত করবে এবং মসজিদগুলোকে কারুকার্যমণ্ডিত করবে, তখন তোমাদের অবনতি এবং ধ্বংস অনিবার্য হবে। [আজ যুহদু ওয়ার রাক্বায়েক লিইবনুল মুবারক, হাদীস নং-৭৯৭,মুসন্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৮৭৯৯, কাশফুল খাফা, হাদীস নং-২৪২]
أَنَّ عَلِيًّا قَالَ: «إِنَّ الْقَوْمَ إِذَا زَيَّنُوا مَسَاجِدَهُمْ فَسَدَتْ أَعْمَالُهُمْ»
হযরত আলী রাঃ বলেন, যখন কোন জাতি মসজিদকে কারুকার্যমণ্ডিত করতে থাকবে, তখন তাদের আমল নষ্ট হবে। [মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৫১৩৪]
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: «مَا كَثُرَتْ ذُنُوبُ قَوْمٍ إِلَّا زَخْرَفَتْ مَسَاجِدَهَا , وَمَا زَخْرَفَتْ مَسَاجِدَهَا إِلَّا عِنْدَ خُرُوجِ الدَّجَّالِ»
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন কোন জাতির অপরাধ বেড়ে যায়, তখন তাদের মসজিদগুলো অত্যন্ত সুন্দর সুন্দর করে বানানো হয়। আর মসজিদগুলোকে একমাত্র দাজ্জাল আত্মপ্রকাশের সময়ই সৌন্দর্যমণ্ডিত করে বানানো হবে। [আসসুনানুল ওয়ারিদা ফিলফিতান লিদদানী, হাদীস নং-৪১৬]
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَا أُمِرْتُ بِتَشْيِيدِ الْمَسَاجِدِ ” . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ لَتُزَخْرِفُنَّهَا كَمَا زَخْرَفَتِ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى
ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ আমাকে বেশী উঁচু করে মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দেয়া হয়নি। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, তোমরা মসজিদ এমনভাবে কারুকার্য করবে যেমনটি ইহুদী ও নাসারারা নিজ নিজ উপাসনালয় নক্শা ও কারুকার্য মন্ডিত করে থাকে। [সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং-৪৪৮]
হযরত আনাস বিন মালেক রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,
إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” يَأْتِي عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ يَتَبَاهَوْنَ بِالْمَسَاجِدِ لَا يَعْمُرُونَهَا إِلَّا قَلِيلًا
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, লোকদের মাঝে এমন জমানাও আসবে যে, লোকেরা মসজিদ নিয়ে পরস্পর গর্ব করবে, কিন্তু খুব কম সংখ্যক লোকই তা আবাদ করবে। [সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-১৩২১, আলমু’জামুল আওসাত, হাদীস নং-৭৫৫৯, মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৩১৪৬]
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يَأْتِي عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ يَتَبَاهَوْنَ بِكَثْرَةِ الْمَسَاجِدِ، لَا يَعْمُرُونَهَا إِلَّا قَلِيلًا
হযরত আনাস বিন মালেক রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, লোকদের মাঝে এমন যুগ আসবে যে, তারা মসজিদের আধিক্যতা নিয়ে গর্ব করবে। কিন্তু তা আবাদকারীর সংখ্যা হবে খুবই কম। [আলমু’জামুল আওসাত লিততাবারানী, হাদীস নং-৭৫৫৯]
মসজিদ দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিদর্শন করা হবে কিন্তু নামায পড়া হবে না
قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: صَدَقَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَهُوَ يَقُولُ: «إِنَّ مِنْ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ أَنْ يَمُرَّ الرَّجُلُ فِي الْمَسْجِدِ لَا يُصَلِّي فِيهِ رَكْعَتَيْنِ، وَأَنْ لَا يُسَلِّمَ الرَّجُلُ إِلَّا عَلَى مَنْ يَعْرِفُ، وَأَنْ يُبَرِّدَ الصَّبِيُّ الشَّيْخَ
কিয়ামাতের আলামাতের মধ্যে রয়েছে, ব্যক্তি কর্তৃক মাসজিদের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করা সত্ত্বেও মাসজিদে দু’রাক’য়াত সলাত আদায় না করা। ব্যক্তি কর্তৃক শুধুমাত্র পরিচিতজনকে সালাম দেয়া আর শিশু কর্তৃক শাইখকে ঠাণ্ডা করা (অর্থাৎ কম বয়স্ক লোকেরা বয়স্ক লোকদের দূত হিসেবে ব্যবহার করা)। [সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-১৩২৬, মু’জামুল কাবীর লিততাবারানী, হাদীস নং-৯৪৮৯]
دَخَلَ ابْنُ مَسْعُودٍ الْمَسْجِدَ، فَقَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ مِنْ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ أَنْ يَمُرَّ الرَّجُلُ فِي طُولِ الْمَسْجِدِ، وَعِرْضِهِ لَا يُصَلِّي فِيهِ رَكْعَتَيْنِ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ রাঃ মসজিদে প্রবেশ করে বললেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয় কিয়ামতের আলামতের অন্তর্ভূক্ত হলো, লোকেরা মসজিদের দৈর্ঘ ও প্রস্ত দিয়ে অতিক্রম করে যাবে, কিন্তু তাতে দুই রাকাত নামাযও পড়বে না। [আলমু’জামুল কাবীর লিততাবারানী, হাদীস নং-৯৪৮৮, মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, বর্ণনা নং-১৬৭৮]
বর্তমান বাংলাদেশের দিকে তাকালে মসজিদ সংক্রান্ত উপরোক্ত কিয়ামতের আলামত সংক্রান্ত হাদীস ও আছারে সাহাবাগুলো আমাদের সামনে দীবালোকের মত পরিস্কার হয়ে যায়।
এখন মসজিদ বানানোর প্রতিযোগিতা চলছে সারা দেশে। নির্মিত হচ্ছে একের পর এক দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। এসব মসজিদ ইবাদতের স্থানের চেয়ে পার্ক বা দর্শনীয় স্থান হিসেবেই বেশি প্রসিদ্ধি পাচ্ছে। দলে দলে নারী পুরুষেরা এসব মসজিদ পরিদর্শনে যাচ্ছে। দুই রাকাত নামায পড়ার জন্য নয়, কেবলি দর্শনীয় স্থান হিসেবে তা ঘুরেফিরে দেখার জন্য।
মসজিদতো হচ্ছে সুন্দর সুন্দর। দৃষ্টিনন্দন ও হৃদয়কাড়া। কিন্তু মুখলিস মুসল্লির সংখ্যা কি বৃদ্ধি পাচ্ছে আদৌ?