প্রচ্ছদ / আহলে হাদীস / হে লা-মাযহাবী যুবক! তুমি কার অন্ধ তাকলীদে উলামাদের সাথে বেআদবী করার দুঃসাহস প্রদর্শন করছো?

হে লা-মাযহাবী যুবক! তুমি কার অন্ধ তাকলীদে উলামাদের সাথে বেআদবী করার দুঃসাহস প্রদর্শন করছো?

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

ইদানিং লা-মাযহাবী ভাইদের ফোন কল বেড়ে গেছে। জানিনা তারা এত ক্ষেপল কেন? বেড়ে গেছে গালাগালও। জানিনা গালাগাল করা আর নাম বিকৃত করা কোন সহীহ হাদীসের উপর আমল।

শায়েখ আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈলের মত একজন মুরুব্বী লা-মাযহাবী শায়েখ যখন তার বয়ানে অধমকে “লুতু ফরাজী, কুত্তা ভুগতে রাহেগা” ইত্যাদি বলে গালি দেন। তখন বিষয়টি পরিস্কার হয়। যাদের শায়েখের মুখের ভাষা এমন। নাম বিকৃত করার বিকৃত মানসিকতা যাদের শায়েখের স্বাভাবিক হালাত, তাদের ভক্তরা গালাগাল করবে, বিকৃত নাম উচ্চারণ করবে এটাতো স্বাভাবিক।
যাইহোক, যে কথা বলছিলাম।
রাত সাড়ে দশটা। অপরিচিত নাম্বার থেকে কল এল। রিসিভ করতেই বললেন- ভাই আপনার সাথে আমার কিছু কথা আছে।
– কী কথা?

– আমার কিছু বিষয় জানার আছে।

– প্রশ্ন করার জন্য সময় নির্দিষ্ট করে দেয়া আছে। বিকাল ২টা থেকে ৫ টার মধ্যে কল দিবেন। এছাড়া অন্য সময় প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয় না।

– আচ্ছা, তাহলে কাল দুইটার দিকে কল দিব।

– ঠিক আছে।
পরদিন দুইটা বাজতেই কল এল উক্ত নাম্বার থেকে।

– আসসালামু আলাইকুম।

– ওয়াআলাইকুম আসসালামু ওয়ারাহমাতুল্লাহ।

– ভাই আমার কিছু প্রশ্ন আছে।

– বলেন।

– রুকুতে যেতে আসতে রফউল ইয়াদাইনের কথা সহীহ হাদীসে আছে না?

– হু। তো?

 

– তাহলে আপনারা মানেন না কেন?

– সেজদাতে যেতে আসতে রফউল ইয়াদাইন করার কথা সহীহ হাদীসে আছে, তাহলে আপনারা মানেন না কেন?

– সেজদাতে যেতে আসতে রফউল ইয়াদাইনের কথা আছে নাকি?

– জি, হ্যাঁ, সুনানে নাসায়ীতে মালিক বিন হুয়াইরিছ রাঃ থেকে সহীহ সনদে হাদীস এসেছে সেজদাতে যেতে আসতে রফউল ইয়াদাইনের। যে হাদীসকে শায়েখ আলবানীও সহীহ বলেছেন। আবার ইমাম বুখারী রহঃ তার “জুযয়ে রফউল ইয়াদাইন” গ্রন্থেও সহীহ বলেছেন। এ সহী হাদীস আপনারা মানেন না কেন?

– আপনারা বলেন রুকুতে যেতে আসতের রফউল ইয়াদাইনের হাদীস নাকি মানসূখ হয়ে গেছে তা’ই আপনারা রফউল ইয়াদাইন করেন না। একথা কোথায় আছে?

– রুকুর রফউল ইয়াদাইনের মানসূখের দলীল আমি তখন দিতে বাধ্য যখন আপনি সেজদার রফউল ইয়াদাইনের মানসূখের প্রমাণ দিতে পারবেন। আমরাতো বলি, আপনারা যে কারণে সেজদার রফউল ইয়াদাইনের সহী হাদীসের উপর আমল করেন না, আমরাও একই কারণে রুকুর রফউল ইয়াদাইনের উপর আমল করি না। আপনারা কেন ছাড়লেন সেজদার রফউল ইয়াদাইন? যে কারণে আপনারা সেজদারটা ছাড়লেন, একই কারণে আমরা রুকুরটা ছেড়েছি।

লা-মাযহাবী মতবাদের লোকদের একটি কমন বৈশিষ্ট্য হল, দ্রুত প্রসঙ্গ পরিবর্তন করা। একটিতে আটকে গেলে সেটির সমাধান না করেই দ্রুত আরেকটি বিষয়ের অবতারণা করে ফেলা। উক্ত ভাইটিও তা’ই করলেন।
বলতে লাগলেন- “আচ্ছা, কুরআনে এসেছে “ইজা কুরিয়াল কুরআনু ফাস্তামিঊলাহু” অর্থাৎ কুরআন তিলাওয়াত করলে চুপ করে শুনতে, তা’ই আপনারা বলেন, নামাযে ইমাম কুরআন পড়লে চুপ করে শুনতে। ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা না পড়তে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল যোহর ও মাগরিবের নামাযেতো ইমামের কিরাত শুনা যায় না, তাহলে সেখানে কেন সূরা ফাতিহা মুক্তাদীকে পড়তে বলেন না। এ দুই নামাযেতো ইমামের কিরাত মুসল্লিরা শুনতে পায় না।”

– ভাল কথা বলেছেন। কিন্তু আপনার প্রশ্নের মূল কারণ হল, আপনি আয়াতটি আধা পড়েছেন। পুরো পড়েননি। আয়াতে কুরআন তিলাওয়াত করলে কী করণীয়? এ বিষয়ে নির্দেশ এসেছে দুইটা। যথা “ফাস্তামিঊ লাহু” তারপর এসেছে “ওয়া আনছিতূ”। তা’ই নয় কি?

– হ্যাঁ।

– দুই নির্দেশ কেন দিলেন জানেন?

– [চুপ]

– কারণ নামাযের হালাত দুই ধরণের। ফজর, মাগরিব, ইশার নামাযে কিরাত জোরে পড়া হয়। আর জোহর আছর নামাযে আস্তে পড়া হয়। তা’ই নির্দেশ দেয়া হয়েছে দু’টি। এক হল “মনযোগ দিয়ে শ্রবণ কর, তারপর বলা হয়েছে চুপ থাকো।
আপনিই বলুন, আমি কথা বলার সময় আপনিও যদি কথা বলেন একই সাথে, তখন আমি আপনাকে বলবো যে, আপনি আমার কথা কেন শুনছেন না? তখন আপনি যদি একথা বলেন যে, ভাই! আমি মুখে কথা বললে কি হবে? আমার কানতো খোলাই আছে। তখন আমি আপনাকে বলবো, আরে ভাই আপনি কথা বললে আমার কথা কিভাবে শুনবেন? তাই নয় কি?

– হ্যাঁ, ঠিক আছে।

– তাহলে বুঝা গেল, কারো কথা মনযোগ দিয়ে শুনতে হলে চুপ থাকতেই হয়। তাহলে বুঝা গেল, কুরআনে আল্লাহ তাআলা যে বলছেন, তোমরা কুরআন তিলাওয়াতকালে মনযোগ দিয়ে তা শ্রবণ কর, একথা বলার দ্বারা চুপ থাকার নির্দেশ চলে এল। তারপর আল্লাহ তাআলা আবার “ওয়া আনছিতু” তথা তোমরা চুপ থাকো” এ নির্দেশ কেন দিলেন? কারণ কিছু নামাযের কিরাত শুনা যায়, আর কিছু নামাযের কিরাত শুনা যায় না। যে নামাযে কিরাত শুনা যায়, সেটির ক্ষেত্রে বিধান হল “মনযোগ দিয়ে শ্রবণ কর” আর যে নামাযের কিরাত শুনা যায় না, সে নামাযে “চুপ থাক”। তাহলে কুরআনেতো দুই ধরণের নামাযের বিধানই বর্ণিত হয়েছে পরিস্কার শব্দে। সেখানে আপনার মনে কেন আছর জোহর নামায নিয়ে প্রশ্ন হল? উভয় নামাযের বিধানইতো কুরআনে বর্ণিত হয়েছে। মাগরিব, ইশা ও ফজরের নামাযে কিরাত শুনা যায়, তাই মনযোগ দিয়ে শোন, আর যোহর আছর নামাযে যেহেতু শোনা যায় না, তা’ই চুপ থাকো।”।
আবারো প্রসঙ্গ পরিবর্তনের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করলেন ভাইটি। হুট করেই বলে বসলেন- “আপনারা হানাফী হলে ইমাম আবূ হানীফার সব কথা মানেন না কেন? ইমাম আবু হানীফাতো বলেছেন যে, সারা পৃথিবীতে এক সময়ে ঈদ করার কথা। তো আপনারা হানাফীরা এর উপর আমল করেন না কেন?”

– এক সাথে ঈদ করার জন্য লা-মাযহাবীরাই আমাদের দেশে বেশি বাড়াবাড়ি করছে তাই না? তো লা-মাযহাবী শায়েখদের ফাতওয়াগুলো একটু নিজের পক্ষে আনুন, তারপর না হয়, আবু হানীফা রহঃ কে টানবেন। এক সাথে ঈদকারীদের লা-মাযহাবী শায়েখ আমানুল্লাহ বেলছেন কাদিয়ানীদের বংশধর, লা-মাযহাবী ড. সাইফুল্লাহ সাহেব বলেছেন, ফিতনাবাজ। লা-মাযহাবী মুযাফফরও আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ বলেছেন ফিতনাবাজ” আর লা-মাযহাবী আকরামুজ্জামান সাহেব বলেছেন যারা এক সাথে ঈদ করে, তারা হাদীসও বুঝে না আবার যুক্তিও বুঝে না” তো আপনাদের লা-মাযহাবী শায়েখরাইতো বলছেন এক সাথে ঈদকারীরা কাদিয়ানী, ফিতনাবাজ, হাদীস সম্পর্কে বেখবর। তো প্রথমে আপনাদের নিজেদের দলের শায়েখদের আপনাদের পক্ষে ফাতওয়া দিতে বলেন। তারপর হানাফী উলামাদের কাছে এ বিষয়ে প্রশ্ন করতে আসুন।

– ইমাম আবু হানীফার কথা আপনারা মানছেন না কেন?

– আমরা ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর অন্ধ মুকাল্লিদ নই। তার যে কথা দলীল নির্ভর, আমরা সে কথাকেই মানি। যে কথা দুর্বল আমরা সে কথা মানি না। যেমন হাদীসের মাঝে সহীহ আছে আবার মুনকার আছে। তেমনি ফিক্বহী বক্তব্যের মাঝে রাজেহ তথা প্রাধান্য ও মারজূহ তথা অপ্রাধান্য বক্তব্য আছে। আরেক শব্দে বলা যায়, “মুফতাবিহী আছে ও “গায়রে মুফতাবিহী” আছে। আমরা যেমন সহীহ ও মুনকার হাদীসের মাঝে সহীহ হাদীস মানি। তেমনি মাযহাবের ইমামের রাজেহ তথা মুফতাবিহী এবং মারজূহ তথা গায়রে মুফতাবিহী বক্তব্যের মাঝে রাজেহ তথা মুফতাবিহী বক্তব্যকে মানি। মারজূহ তথা গায়রে মুফতাবিহী বক্তব্য মানি না। আর উদয়াচলের ভিন্নতা গ্রহণযোগ্য নয় মর্মে ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর বক্তব্যটি যেহেতু মারজূহ তথা গায়রে মুফতাবিহী তা’ই আমরা তার কথা গ্রহণ করিনি। তার দু’ই ছাত্রের কথা গ্রহণ করেছি। আমরা কারো অন্ধ মুকাল্লিদ নই।”

আমার কথা শেষ না হতেই হুট করে প্রশ্ন করে বসলেন ভাইটি- “আচ্ছা, তাইলে আপনারা সহী হাদীস মানেন? সহী হাদীস মানলে আপনারা বুকের উপর হাত বাঁধেন না কেন?”।

মুচকি হেসে দিলাম। বললাম- বুকের উপর হাত বাঁধার কোন সহী হাদীস আছে নাকি?

– হ্যাঁ, অবশ্যই আছে। বুখারীতে।

– বলুন বুখারীর কোথায় বুকের উপর হাত বাঁধার কথা আছে। বুখারীতে বুকের উপর হাত বাঁধার হাদীস আছে যে বলবে সে সুনিশ্চিত দাজ্জাল ছাড়া আর কিছু নয়।

– না, না বুখারী না। আবু দাউদে আছে।

– আবু দাউদের হাদীসটি কি সহীহ?

– হ্যাঁ, অবশ্যই সহীহ।

– ওটা কি রাসূল সাঃ পর্যন্ত মারফূ হাদীস?

– মারফূৃ..।

– ও আচ্ছা, মারফূ অর্থ জানেন না? মানে আমি বলছিলাম, আবু দাউদের বুকের উপর হাত বাঁধার হাদীসটি কি সাহাবী থেকে বর্ণিত? না তাবেয়ী থেকে?
জবাব নেই। চুপ করে রইল লা-মাযহাবী ভাইটি।

আমি বললাম- আরে ভাই! আপনারতো একথারও খবর নেই, যাকে সহীহ বলতে লাগলেন, উক্ত হাদীসটি আসলে পূর্ণ সনদযুক্ত নয়। বরং সেটি মুরসাল হাদীস। মুরসালও তাওসের মুরসাল। আর তাওসের মুরসাল মুহাদ্দিসদের কাছে জঈফ। একটি জঈফ হাদীসকে কে বা কারা আপনাকে সহীহ বলে দিল, আর আপনি সেটি ফেরী করে বেড়াচ্ছেন সহীহ বলে। এই আপনার সহী হাদীসের জ্ঞান?

ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বলতে লাগল- নাভির নিজে হাত বাঁধার হাদীস কি সহীহ?

আমি বললাম- কেন সহীহ নয়? আপনিতো মুরসালকে সহীহ বলে ফেলেন। যেখানে মুরসাল হাদীস লা-মাযহাবীদের কাছেই গ্রহণযোগ্য নয়, সেই মুরসালকে উপস্থাপন করে বলছেন সহীহ। বুঝা গেল উসুলে হাদীস সম্পর্কে আপনার কোন পড়াশোনা নেই। সেখানে আপনি নাভীর নিচের হাদীসকে কিভাবে জঈফ বলতে পারেন? আচ্ছা বলুনতো, আপনি ঊসূলে হাদীসের কয়টি কিতাব পড়েছেন?

– পড়িনি।

– মাশাআল্লাহ। ঊসুলে হাদীসের কয়েকটি কিতাবের নাম বলুনতো।

– আপনি কি আমার সাথে মশকরা করছেন নাকি?

– মশকরা করবো কেন? যেখানে আপনি একজন আলেমকে কল করে সহীহ হাদীস বুঝাচ্ছেন, সেখানে সহীহ জঈফের মূল ঊৎস গ্রন্থ সম্পর্কে আপনার ধারণা আছে কি না? তা জানতে চাওয়া কি মশকরা? বলুন না কয়েকটি ঊসুলে হাদীসের কিতাবের নাম।

– আমি জানি না।

– বাহ! এই আপনার জ্ঞানের দৌড়! আপনি ঊসুলে হাদীসের একটি কিতাবের নামও জানেন না। জীবনে কোন দিন ঊসুলে হাদীসের কিতাব খুলেও দেখেননি। সেখানে আপনি আলেম উলামাদেরকে হাদীসের সহীহ জঈফের জ্ঞান দিতে চলে আসলেন। আপনার অবস্থা থেকে আমার খুব হাসি পাচ্ছে এবং করূণাও হচ্ছে। আপনি জানেন? আপনাদের এসব ছেলেমানুষী দেখে আমাদের কেমন হাসি পায়? যেমন ফুটপাথ থেকে দুই টা বাংলা ডাক্তারীর বই পড়ে কেউ যদি পিএইচডি করা ডাক্তারের সামনে গিয়ে ডাক্তারী ফলাতে চায়, ডাক্তারী বিষয়ে বড় বড় ডায়লগ দেয়, তখন যেমন উক্ত পিএইচডি করা ডাক্তার হাসে, তেমনি আপনাদের অবস্থা ও পন্ডিতী দেখলে আমাদের হাসি পায়।

– দেখুন! আপনারা এখনো সেই মধ্যযুগে পড়ে আছেন। মানুষ এখন অনেক কিছু জানে। আর আপনারা মানুষকে সেই পুরোনো যুগেই রাখতে চান।

– সত্য বলেছেন ভাই। আমাদের কাছে কোন নতুন ইসলাম নেই। আমাদের কাছে সেই মধ্য যুগের ইসলাম। আর ইসলাম কোন নতুন ধর্ম নয়, সাড়ে চৌদ্দশত বছর পুরোনো সেই মধ্য যুগের ইসলামই। আপনারাতো নতুন ইসলাম মানেন। আমাদের সেই মধ্য যুগের ইসলামই পালন করে দেন। নতুন বিদআতি ইসলাম পালন করার ইচ্ছেতো আমাদের নেই।

– আপনারা আদিম যুগের লোক।

– হুঁ, আদিম যুগের লোক। আমাদের ইসলামও আদিম কালের। আপনারা নতুন ইসলাম পালন করুন। আমি সেই মধ্য যুগের পুরোনো ইসলামকে বুকে ধারণ করেই মরতে চাই।

– আপনারা শুধু মানুষকে ধোঁকা দেন, জঈফ হাদীস শুনান।

– আপনি ঊসুলে হাদীস সম্পর্কে কিছুই জানেন না। জীবনে কোন দিন উসুলে হাদীসের কোন কিতাবও পড়েননি। সেখানে আমরা জঈফ হাদীস শুনাই একথা আপনি কিভাবে বলতে পারেন? নিশ্চয় আপনি কোন শায়েখের কাছ থেকে শুনে এসব বলছেন। নিজে যাচাই করে দেখেননি। আপনার শায়েখের অন্ধ তাকলীদে আপনি আমাদের আদিম যুগের লোক বললেন, আমাদের ধোঁকাবাজ বানিয়ে দিলেন। বড়ই আজীব আপনার মানসিকতা। আপনাদের অবস্থা দেখে আমাদের কেবলি হাসি পায়।

আরো কিছুক্ষণ বকবক করতে শখ ছিল ভাইটির। আমি তখন মোবাইলটি কেটে দিলাম। অবাক হলাম এসব ছেলেদের অবস্থা দেখে। লা-মাযহাবী শায়েখদের বুলিগুলো তোতা পাখির মত আউড়ে বেড়ায় এসব অর্বাচিন ছেলেগুলো। একবার ভেবেও দেখে না কি করছে? কেন করছে? কার সাথে করছে? পন্ডিত সাজতে গিয়ে কতটা আহমকী আর বোকামীর বহিপ্রকাশ করছে কে বুঝাবে এসব বোকা যুবকদের?
হে আল্লাহ! তুমি রক্ষা কর আমাদের দেশের সরলপ্রাণ যুবকদের। কতিপয় শায়েখ নামের ধোঁকাবাজদের দুনিয়া কামানোর যাঁতাকলে পিষ্ট হওয়া নীরিহ যুবকদের দ্বীন ও ঈমানকে হিফাযত কর। আমীন।

0Shares

আরও জানুন

হানাফী মাযহাব মতে বুযুর্গদের কবর পাকা করার অনুমতি আছে?

প্রশ্ন আল্লাহ ওয়ালা বুযুর্গদের কবর কি পাকা করা হানাফী মাযহাব মতে জায়েজ? দয়া করে জানালে …

No comments

  1. মোঃ ফায়সাল

    জাঝাকাল্লাহ খাইর। খুবই ভালো লাগল সেই লা মাযহাবি অন্ধ ছেলেটির ভ্যাবাচ্যাকা অবস্থা দেখে। আল্লাহ আমাদের এই লা মাযহাবি বাতিল ফিরকা থেকে হিফাজত করুন আর আপনার এলেম আরও বাড়িয়ে দিন।

  2. হাফেজ জামির হোসেন

    জাজাকাল্লাহ

  3. আল্লাহ আপনার ইহ ও পরকালে মঙ্গল করুন। আমিন!

  4. মো: হাসান

    হায়! এই লা মাযহাবী নামধারী শায়েখদের খপ্পরে পড়ে এই যুবকদের ইহজগত ও পরজগত ২ টাই কিভাবে ধ্বংস হচ্ছে!! তারা একজন আলেম এর সাথে যেভাবে কথা বলছে, তাতে তারা যে কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণাও নেই। হায় আল্লাহ! এদেরকে হেদায়েত দান করো……..

  5. Kub valo lekhesen.

  6. খুব সুন্দর কথা

  7. allahuakbar

  8. আসাদুজ্জামান

    আল্লাহই ভালো যানেন কারা সঠিক??? আল্লাহ আমাদের কুরান হাদিসের উপর আমল করার তোফিক দিন, আমিন।

Leave a Reply to kowsar hosain Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *