লেখক– মুনাজিরে ইসলাম মাওলানা মুহাম্মদ আমীন সফদর ওকাড়বী রহঃ
অনুবাদঃ লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
বিসমিল্লাহ প্রসঙ্গে
৩১
ইমাম সাহেবের বিসমিল্লাহ আস্তে পড়ার কথা সহীহ মুসলিমের ১ম খন্ডের ১৭২ নং ও মুসনাদে আহমাদের ৩য় খন্ডের ১১৪নং পৃষ্ঠায় এসেছে। ইমাম সাহেবের জোরে বিসমিল্লাহ পড়া বেদআত, একথা এসেছে সুনানে তিরমিজীর ১ম খন্ডের ৬২পৃষ্ঠায় এসেছে।
গায়রে মুকাল্লিদগণ এ সুন্নাতের খেলাফ আমল করেন কোন হাদীসের ভিত্তিতে?
৩২
একা একা নামায আদায়কালে বিসমিল্লাহ আস্তে পড়ার কথা কোন হাদীস দ্বারা প্রমাণিত?
৩৩
নামাযে বিসমিল্লাহ পড়ার বিধান কি? ফরজ না সুন্নাত? না পড়লে কি নামায হবে না হবে না? এসব কথা কোন সহীহ সরীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত?
ফাতিহা পড়া প্রসঙ্গে
৩৪
একাকী নামায আদায়কারী ব্যক্তি প্রতিটি নামাযেই সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরা আস্তে আস্তে পড়ে থাকে, এর দলিল কোন সহীহ সরীহ হাদীস?
৩৫
পানির যেমন প্রতিটি ফোটাই পানি, তেমনি কুরআনের প্রতিটি অংশই কুরআন। তাহলে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে যে, فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْآنِ তথা কাজেই কুরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ, ততটুকু আবৃত্তি কর। {সূরা মুজ্জাম্মিল-২০}
এ আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হল যে, কুরআন পড়া ফরজ। কোন নির্দিষ্ট অংশ পড়া আবশ্যক নয়। গায়রে মুকাল্লিদগণ এ আয়াত না মেনে সূরা ফাতিহা পড়া আবশ্যক বলে, তা না পড়লে নামায হবে না বলে কেন?
৩৬
সূরা ফাতিহা পড়া ফরজ একথা কোন সরীহ আয়াত দ্বারা প্রমাণিত?
৩৭
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন যে, যে নামাযে ফাতিহা না পড়া হয়, সে নামায অপূর্ণাঙ্গ। {সহীহ মুসলিম-১/১৬৯}
কিন্তু গায়রে মুকাল্লিদ ভাইয়েরা সূরা ফাতিহা না পড়লে নামায হবে না বলে রাসূল সাঃ এর বিরোধীতা করে কেন?
৩৮
أبو هريرة قال قال لى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- ্র اخرج فناد فى المدينة أنه لا صلاة إلا بقرآن ولو بفاتحة الكتاب فما زاد
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ বলেন, রাসূল সাঃ আমাকে বললেনঃ তুমি বের হয়ে মদীনায় ঘোষণা দাও যে, কুরআন তিলাওয়াত ছাড়া নামায হয় না। অন্তত সূরা ফাতিহা এবং এছাড়া অতিরিক্ত কিছু হোক মিলাতেই হবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৮১৯}
এ হাদীস প্রমাণ করে যে, ফাতিহা পড়া ফরজ নয়। মুতলাকভাবে কুরআন পড়া ফরজ। কিন্তু গায়রে মুকাল্লিদগন এ হাদীস মানে না কেন?
৩৯
রাসূল সাঃ নামাযে সূরা ফাতিহা পড়ার যেমন গুরুত্বারোপ করেছেন, ঠিক তেমনি ফাতিহার সাথে আরো কিছু অংশ মিলানোরও গুরুত্বারোপ করেছেন। যেমন- সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৮২০, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-২১৯১, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৬, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-১৭৯১, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৯৫২৯, মুসনাদে ইসহাক বিন রাহুয়াহ, হাদীস নং-১২৬, মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৩৬৪৩।
এ কারণেই হানাফীগণ নামাযে সূরা ফাতিহা পড়াকে যেমন ওয়াজিব বলে, তেমনি এর সাথে অতিরিক্ত আরো কিরাত পড়াকেও ওয়াজিব বলেন।
কিন্তু গায়রে মুকাল্লিদ ভাইয়েরা সূরা ফাতিহার সাথে অতিরিক্ত আয়াত পড়া ওয়াজিব হওয়াকে অস্বিকার করে সরাসরি হাদীসের সাথে বিদ্রোহ করছে কেন?
৪০
ইমাম আহমাদ রহঃ বলেন, আমি আহলে ইসলামের অন্তুর্ভূক্ত কাউকে একথা বলতে শুনিনি যে, যারা বলেন যে, “ইমাম যখন জোরে কিরাত পড়ে, আর মুক্তাদী তার পিছনে কিরাত না পড়ে, তার নামায ভেঙ্গে যায়”।
তিনি আরো বলেনঃ “রাসূল সাঃ এবং তার সাহাবাগণ, এবং তাবেয়ীগণ, আহলে হেজাজের ইমাম মালিক রহঃ, ইরাকের ইমাম সাওরী রহঃ, শামের অধিবাসী ইমাম আওযায়ী রহঃ, মিসরের অধিবাসী ইমাম লাইস রহঃ, তাদের কেউ একথা বলেন নি যে, যখন কোন ব্যক্তি নামায পড়ে, আর তার ইমাম কিরাত পড়ে, আর মুক্তাদী কিরাত না পড়ে, তাহলে তার নামায বাতিল। {মুগনী লিইবনে কুদামা-১/৬০২}
কিন্তু আফসোসের বিষয় হলঃ পুরো উম্মতের খিলাফ গায়রে মুকাল্লিদরা হানাফীদের নামাযকে বাতিল বলে অপপ্রচার করতে লাগল। এ ব্যাপারে চ্যালেঞ্জবাজী শুরু করে দিয়েছে। শত শত ইস্তেহার প্রকাশ করছে।
এর জবাবে পাকিস্তানের মুহাদ্দিসে আজম শাইখুল হাদীস সরফরাজ খান সফদর রহঃ যখন আহসানুল কালাম লিখলেন, তখন গায়রে মুকাল্লিদরা হাতিয়ার ফেলে আত্মসমর্পণ করলেন।
গায়রে মুকাল্লিদ আলেম হাফেজ মুহাম্মদ কান্ধলবী, মাওলানা ইরশাদুল হক আসরী সাহেব পরিস্কার ভাষায় লিখলেন যে, “ইমাম বুখারী রহঃ থেকে নিয়ে বর্তমান জমানা পর্যন্ত কোন মুহাক্কিক আহলে হাদীস আলেমদের লিখায় এ দাবি করা হয়নি যে, সূরা ফাতিহা না পড়লে নামায বাতিল তথা তার নামায হয়নি”। {তাওযীহুল কালাম-১/৯৯}
“ইমাম বুখারী রহঃ থেকে নিয়ে সমস্ত মুহাক্কিক আহলে হাদীস আলেমদের মাঝে আজ পর্যন্ত একথা কেউ বলেনি যে, ফাতিহা না পড়লে নামায হবে না”। {তাওযীহুল কালাম-১/৫১৭}
তাওযীহুল কালামের ৪৩ নাম্বার পৃষ্ঠায় যারা নামায হয় না বলে মত দেন, তাদের গায়রে যিম্মাদার বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
কিন্তু তাদের কাছে যিম্মাদার এমন অনেক আহলে হাদীস আলেমগণ আল্লাহর চেয়ে জনগণকে বেশি ভয় পেয়ে এখনো একথার প্রচার করছে যে, ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা না পড়লে নামায হবে না।
নামাযে কিরাত পড়া প্রসঙ্গে
৪১
গায়রে মুকাল্লিদদের গায়রে যিম্মাদার সাধারণ ভক্ত ও আলেমদের মতে ইমামের পিছনে কুরআনে কারীমের ১১৪ সূরার মাঝে ১১৩ সূরা পড়া হারাম। শুধুমাত্র এক সূরা তথা সূরা ফাতিহা পড়া ফরজ। যে ব্যক্তি এটি না পড়বে, তার নামায হবে না।
আমাদের চ্যালেঞ্জ হল, পূর্ণ কুরআনে কারীমের একটি আয়াতও নেই, যাতে তাদের এ দাবি বিদ্যমান। কুরআনে কারীম তাদের এ দাবির স্বপক্ষে নয়।
তাদের যিম্মাদার ও গায়রে যিম্মাদারদের দাবিকৃত এ দাবির কারণে তারা কুরআনে কারীমের এক আয়াত নয় বরং ৫টি আয়াতকে আমলহীন সাব্যস্ত করছে। যেমন
فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْآنِ ۚ [٧٣:٢٠]
কাজেই কুরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ, ততটুকু আবৃত্তি কর। {সূরা মুজ্জাম্মিল-২০}
সূরা মুজ্জাম্মিলের এ আয়াত তাহাজ্জুদের ব্যাপারে নাজিল হয়েছে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১৩০৬, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৪৪১৪}
রাসূল সাঃ যখন কাউকে একাকি নামায পড়ার পদ্ধতি শিখাতেন, তখন তিনি বলতেন- اقرأ ما تيسر معك من القران তথা তোমার কাছে যা সহজ তাই তিলাওয়াত কর। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৭২৪, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-১৮৯০, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৯১১}
রাসূল সাঃ এর এসব হাদীস গায়রে মুকাল্লিদ ভাইয়েরা মানেন না কেন?
৪২
তারা কোন আয়াতের শানে নুজুল কোন হাদীস দিয়ে এটা প্রমাণ করতে পারবে না যে, এ আয়াত নাজিল হওয়ার আগে মুক্তাদীরা সূরা ফাতিহা পড়তো না বরং অন্য সূরা পড়তো। এ আয়াত নাজিল হয়ে মুক্তাদীর উপর শুধু সূরা ফাতিহা ফরজ করে দেয়,আর বাকি সূরাকে হারাম করে দেয়।
৪৩
তাদের আরেকটি দলিল হল-
وَلَقَدْ آتَيْنَاكَ سَبْعًا مِّنَ الْمَثَانِي وَالْقُرْآنَ الْعَظِيمَ [١٥:٨٧]
আমি আপনাকে সাতটি বারবার পঠিতব্য আয়াত এবং মহান কুরআন দিয়েছি। {সূরা হিজর- ৮৭}
এ আয়াতের না অনুবাদে তাদের উপরোক্ত ৪১ নং এর মত দাবি আছে। না উল্লেখিত ৪২ নাম্বারের অনুরূপ এ আয়াতের শানে নুজুল কোন হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।
৪৪
وَأَن لَّيْسَ لِلْإِنسَانِ إِلَّا مَا سَعَىٰ [٥٣:٣٩]
এবং মানুষ তাই পায়, যা সে করে। {সূরা আননজম-৩৯}
এ আয়াত দিয়ে কেবল ব্যর্থ চেষ্টাই করা যাবে, কিন্তু না এ আয়াতের অনুবাদের সাথে ন্যুনতম কোন সম্পর্ক আছে ইমাম ও মুক্তাদীর কিরাতের সাথে। আর উল্লেখিত ৪১নং দাবি ও এবং ৪২ নং এর অনুরূপ কোন শানে নুজুল ও নেই এ আয়াতের।
৪৫
কুরআনে কারীমের ১১৩ সূরা আপনারা ইমামের পিছনে পড়েন না। ইমামের সুতরা এবং খতীবের খুতবাও সবার পক্ষ থেকে হয়। সেখানে আপনাদের এ আয়াত মনে হয় না কেন?
৪৬
চতুর্থ দলিল হল-
وَاذْكُر رَّبَّكَ فِي نَفْسِكَ تَضَرُّعًا وَخِيفَةً وَدُونَ الْجَهْرِ مِنَ الْقَوْلِ بِالْغُدُوِّ وَالْآصَالِ وَلَا تَكُن مِّنَ الْغَافِلِينَ [٧:٢٠٥]
আর স্মরণ করতে থাক স্বীয় পালনকর্তাকে আপন মনে ক্রন্দরত ও ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় এবং এমন স্বরে যা চিৎকার করে বলা অপেক্ষা কম; সকালে ও সন্ধ্যায়। আর বে-খবর থেকো না। {সূরা আরাফ-২০৫}
এ আয়াতের অনুবাদ না ৪১ নং দাবির সাথে সামাঞ্জস্যশীল না ৪২ নং এর অনুরূপ শানে নুজুলের মাসআলা বিদ্যমান। তাহলে এটি দলিল হয় কি করে?
৪৭
ইমামের পিছনে শুধু সূরা ফাতিহা পড়ে থাকে, কুরআনে কারীমের বাকি ১১৩ সূরা না পড়ার কী কারণ?
উল্লেখিত ৪টি আয়াত ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়ার দলিল হিসেবে মৌলবী ইরশাদুল হক আসরী এবং তার উস্তাদ হাফেজ মুহাম্মদ কান্ধলবী সাহেব উপস্থাপন করেছেন।
৪৮
পঞ্চম আয়াত তাদের জামাতের আমীর মৌলবী মুহাম্মদ ইসমাঈল সালাফী সাহেব পেশ করেছেন। সেটি হল-
وَمَنْ أَعْرَضَ عَن ذِكْرِي فَإِنَّ لَهُ مَعِيشَةً ضَنكًا وَنَحْشُرُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَعْمَىٰ [٢٠:١٢٤]
এবং যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জীবিকা সংকীর্ণ হবে এবং আমি তাকে কেয়ামতের দিন অন্ধ অবস্থায় উত্থিত করব। {সূরা ত্বহা-১২৪}
এ আয়াতেরও কোন সম্পর্ক নেই আলোচিত মাসআলার সাথে। না আছে ৪১ নং দাবির সাথে কোন সম্পর্ক, না ৪২ নং এর অনুরূপ শানে নুজুল।
সেই সাথে ১১৩ সূরা থেকেও সালাফী সাহেব মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা হিফাযত করুন।
৪৯
ছষ্ঠ আয়াত মৌলবী মুহাম্মদ সাদেক সারকুধী সাহেব উপস্থাপন করেছেন। সেটি হল-
أَلَّا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَىٰ [٥٣:٣٨]
কিতাবে এই আছে যে, কোন ব্যক্তি কারও গোনাহ নিজে বহন করবে না। {সূরা আননজম-৩৮}
এ আয়াতের সাথেও আলোচিত মাসআলার কোন সম্পর্ক নেই। না আছে ৪১ নং দাবির সাথে, না আছে ৪২ নং এর মত শানে নুজুলের সাথে। এ আয়াত একথারও জবাব হয়নি যে, কেন ইমাম ১১৩ সূরা, খুতবা এবং সুতরার বুঝার ভার বহন করে?
সুপ্রিয় পাঠক/পাঠিকা!
লক্ষ্য করুন। কুরআনে কারীম এর আয়াত নিয়ে কেমন তামাশা করা হয়েছে। যে মাসআলা কুরআনে কারীমে নেই, সেটিকে কুরআনে কারীমে আছে বলে উল্লেখ করা কত বড় গোনাহ ও নাফরমানীর কাজ। এ কথিত আহলে হাদীস ফিরক্বার যিম্মাদার ওলামাদেরই এর দায়ভার নিতে হবে।
৫০
হ্যাঁ, কুরআনে কারীমের আয়াত-
وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُوا لَهُ وَأَنصِتُوا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ [٧:٢٠٤]
আর যখন কুরআন পাঠ করা হয়, তখন তাকে কান লাগিয়ে রাখ এবং নিশ্চুপ থাক, যাতে তোমাদের উপর রহমত হয়। {সূরা আলআরাফ-২০৪}
ইমাম আহমাদ রহঃ বলেন যে, লোকদের ঐক্যমত্ব একথার উপর যে, এ আয়াত নামাযের ব্যাপারে নাজিল হয়েছে। {মুগনী লিইবনে কুদামা-১/৬০৫, ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়া-২/৪১২}
কিন্তু এ আয়াতও তাদের দাবিকে প্রমাণিত করে না। ৪১ নং দাবিকেও নয়, ৪২ নং এর মত শানে নুজুল হিসেবেও নয়।
৫১
রাসূল সাঃ যখন নামাযের পদ্ধতি শিখালেন, তখন বললেন- وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَانصِتُوا তথা যখন কুরআন পড়া হয়, তখন চুপ থাক। {সহীহ মুসলিম-১/১৭৪, মুসনাদে আহমাদ-১/৪১৫}
এ বর্ণনা হযরত আবু হুরায়রা রাঃ, হযরত আনাস রাঃ, হযরত ওমর রাঃ, হযরত উসমান রাঃ, হযরত আলী রাঃ, হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ, হযরত জায়েদ বিন আসলাম এবং হযরত জুহরী রহঃ থেকেও বর্ণিত।
সেই সাথে এই শানে নুজুলও হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ, হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ,হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ, হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাগফাল রাঃ সহ অনেক তাবেয়ী থেকে বর্ণিত।
আলহামদুলিল্লাহ! কুরআনে কারীমের ছায়া আমাদের উপর। গায়রে মুকাল্লিদরা কেবল জিদের বশে আমাদের বিরোধীতা করছে। আর কিছু নয়।
৫২
যেমনিভাবে কুরআনে কারীরে আয়াত দিয়ে গায়রে মুকাল্লিদদের এ মাসআলা প্রমাণিত নয়, তেমনি খাইরুল কুরূনে লিখা হাদীসের কিতাব, “মুয়াত্তা মালিক” ইমাম মুহাম্মদ রহঃ এর ”কিতাবুল আসার” ইমাম আবু ইউসুফ রহঃ এর “কিতাবুল আসার” কিতাবুল হুজ্জাত আলা আহলিল মদীনাহ, মুসনাদে ইমাকে আযমসহ কোন হাদীসের কিতাবের একটি হাদীসও তাদের ৪১ নং দাবির স্বপক্ষে পেশ করতে পারবে না।
৫৩
এমনিভাবে খাইরুল কুরুনের পর লিখা হাদীসের কিতাবের মাঝে বুখারী মুসলিমের কোথাও তাদের উপরোক্ত দাবির স্বপক্ষে কোন সহীহ ও সুষ্পষ্ট দলিল নেই।
৫৪
সুনান হাদীস গ্রন্থসমূহের থেকে ওবাদা বিন সামেত রাঃ এর ফজর নামাযের ঘটনা সম্বলিত হাদীস দলিল হিসেবে পেশ করে থাকে। কিন্তু হাদীসটি সহীহ নয়। এতে মুহাম্মদ বিন ইসহাক রয়েছেন। তিনি জয়ীফ ও মুদাল্লিস সেই সাথে মাকহুলের সাথীদের সাথে বিরোধীতার কারণে তিনি শাজ ও মুনকার। মাকহুলের তাদলীস, ইরসাল, এবং নাফে বিন মাহমুদের জাহালাতসহ সব দোষই তাতে বিদ্যমান।
৫৫
হানাফীদের মতে যে ব্যক্তি রুকু পেল সে উক্ত রাকাত পেল মাসআলার বিরোধী কুরআন ও ইজমায়ে উম্মতের বিরোধীতা। সেই সাথে প্রসিদ্ধ হাদীস قراء الامام له قراء এর ও বিপরীত।
মোটকথা যতক্ষণ পর্যন্ত গায়রে মুকাল্লিদ ভাইয়েরা এটাকে সহীহ মুত্তাফাক আলাই এবং واذا قرئ الرآن الخ এর পর প্রমাণিত না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের কিছুই প্রমাণিত হয় না। আর এ দুটি কথা তারা কিয়ামত পর্যন্ত প্রমানিত করতে পারবে না।
৫৬
এ দুর্বল ও মুনকার হাদীসেও জোরে কিরাত পড়া নামাযের কথা উল্লেখ আছে। কিন্তু বাকি এগার রাকাত যাতে ইমাম সাহেব আস্তে আস্তে কিরাত পড়েন, তাতে মুক্তাদীরা ইমামের পিছনে সুরা ফাতিহা না পড়লে তার নামায বাতিল ও বেকার একথা তারা কোন দুর্বল হাদীস দিয়েও স্পষ্ট প্রমাণ করতে পারবে না।
কাফেরদের আয়াত
৫৭
গায়রে মুকাল্লিদদের যখন প্রশ্ন করা হয় যে, আপনারা واذا قرئ القرآن الخ আয়াতটি মানেন না কেন? তখন তারা তৎক্ষণাৎ জবাব দেয় যে, এ আয়াত কাফেরদের জন্য নাজিল হয়েছে। আমাদের জন্য নয়।
যখন বলা হয় যে, এটি কাফেরদের জন্য নাযিল হয়েছে কোন একটি হাদীস দিয়ে প্রমাণ করুন। তখন গালি দেয়া শুরু করে দেয়।
বিরোধপূর্ণ হাদীসের আলোচনা
৫৮
গায়রে মুকাল্লিদদের প্রসিদ্ধ আলেম নাসীরুদ্দীন আলবানী রহঃ ফজর নামাযের ঘটনা সম্বলিত উবাদা রাহঃ এর হাদীসকে তার প্রণীত কিতাব “সিফাতু সালাতিন নাবিয়্যি” এর মাঝে রহিত হয়ে গেছে সাব্যস্ত করেছেন। হাদীসে মুনাযাআতকে এর রহিতকারী সাব্যস্ত করেছেন।
হাদীসে মুনাযাআত হযরত আবু হুরায়রা রাঃ, হযরত আব্দুল্লাহ বিন বুহাইনা রাঃ, হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাঃ, হযরত ইমরান বিন হুসাইন রাঃ, হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ, হযরত আনাস বিন মালিক রাঃ এবং হযরত ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত।
অথচ গায়রে মুকাল্লিদরা কেবল জিদের বশে নিজের নফস পূজা করে এ হাদীসকে অস্বিকার করে। এছাড়া আর কোন কারণ নেই।
৫৯
হাদীসে মুনাযাআত দ্বারা একথাও প্রমাণিত যে, ইমামের পিছনে কিরাত পড়াকারীর উপর রাসূল সাঃ অসন্তুষ্ট হয়েছেন। তাদের ধমক দিয়েছেন। কিন্তু গায়রে মুকাল্লিদদের রাসূল সাঃ এর অসন্তুষ্টির ব্যাপারে কোন পরওয়া নেই।
কেরাত খালফাল ইমাম তথা ইমামের পিছনে কেরাত পড়া প্রসঙ্গে
৬০
হাদীসে মুনাযাআত দ্বারা একথাও প্রমাণিত যে, জোরে কেরাত পড়া নামাযে সমস্ত সাহাবা ও তাবেয়ীগণ ইমামের পিছনে কেরাত ছেড়ে দিয়েছিলেন। গায়রে মুকাল্লিদরা এ ইজমাকেও মানে না।
৬১
যেমনিভাবে একটি আজান সমস্ত মহল্লার জন্য যথেষ্ঠ। এক ইকামত পূর্ণ জামাতের জন্য যথেষ্ঠ। ইমামের সুতরা সকল মুক্তাদীর জন্য যথেষ্ঠ। খতীবের খুতবা জুমআয় উপস্থিত সকলের জন্য যথেষ্ঠ। এমনিভাবে হাদীসে এসেছে যে, ইমামের কেরাত মুক্তাদীর জন্য যথেষ্ঠ।
এ হাদীসটি হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাঃ, হযরত আবু দারদা রাঃ, হযরত আনাস রাঃ, হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ, হযরত আলী রাঃ, হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ, হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ, হযরত নাওয়াস বিন সামআন রাঃ এবং হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। কিন্তু গায়রে মুকাল্লিদরা শুধুমাত্র গোঁড়ামির কারণে উক্ত হাদীসকে মানে না।
৬২
যখন বলা হয় যে, আপনারা এতগুলো হাদীসের বিপরীতে একটি সহীহ হাদীস পেশ করুন, যাতে রাসূল সাঃ বলেছেন যে, ইমামের কিরাত মুক্তাদীর কিরাত কখনোই নয়। এরকম কোন হাদীস জিন্দেগীতে উপস্থাপন করতে পারবে?
৬৩
আজকালের গায়রে মুকাল্লিদগণ কুরআন ও সিহাহ সিত্তার সহীহ হাদীস এবং ইজমায়ে উম্মতের বিপরীত “কিতাবুল কিরাতে” বাইহাকীর ৫৬ নং পৃষ্ঠায় একটি হাদীস উপস্থাপন করে থাকে। সেটা হল- لا صلاة لمن لم يقرأ بفاتحة الكتاب خلف الإمام [তথা ঐ ব্যক্তির নামায হয় না যে ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা না পড়ে]।
কিন্তু এ হাদীসটি কিছুতেই সহীহ নয়। কারণ হাদীসটির সনদের ভিত্তি হল যুহরী। আর তিনি عن শব্দে বর্ণনা করছেন। আর গায়রে মুকাল্লিদরা মুদাল্লিস এর আনআনাহ কে জঈফ বলে থাকে।
তাছাড়া এ যুহরী এ “কিতাবুল কিরাতে” বর্ণনা করেন যে, সাহাবাগণ واذا قرئ القرآن الخ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বে ইমামের পিছনে কিরাত পড়তেন। এ আয়াত নাজিল হওয়ার পর তা বন্ধ হয়ে যায়। স্বয়ং যুহরী নিজেই উক্ত হাদীসকে রহিত হওয়ার বিষয়টি বলে দিয়েছেন।
যুহরী থেকে ১৪জন ছাত্র لا صلاة لمن الخ হাদীসটি বর্ণনাকারী। কিন্তু ইউনুস ছাড়া কেউ বর্ণনায় خلف الامام তথা ইমামের পিছনে শব্দটি বলেননি। আর ইউনুসেরও ছাত্র ৩ জন। তাদের মাঝে দুইজন এ শব্দ বর্ণনা করেননি। শুধুমাত্র উসমান বিন আমর নামের একজন তা বর্ণনা করেছেন।
আর উসমান বিন আমরের ছাত্র ২জন। এক ছাত্র হাসান বিন মুকাররম এ শব্দ বর্ণনা করেন না। দ্বিতীয় ছাত্র মুহাম্মদ বিন ইয়াহইয়া আসসাফফার কেবল তিনি সারা উম্মতের খেলাফ এ خلف الإمام শব্দটি বর্ণনা করেন।
মৌলবী ইরশাদুল হক আসরী নিজের ১৩শতের অধিক পৃষ্ঠার কিতাবে গালি দিয়েতো ভরেছেন, কিন্তু মুহাম্মদ বিন ইয়াহইয়া আসসাফফার এর নির্ভরযোগ্যতার ব্যাপারে রিজালশাস্ত্র এর একটি গ্রহণযোগ্য কিতাব থেকে প্রমাণ করতে পারেন নি। কিয়ামত পর্যন্ত আর পারবেনও না ইনশাআল্লাহ।
আফসোস! এরকম অপ্রমাণিত বর্ণনাকে বাহানা বানিয়ে কুরআনকে অস্বিকার করে যাওয়া হচ্ছে। সহীহ হাদীসকে বাদ দেয়া হচ্ছে। ইজমায়ে উম্মত থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। আর সমস্ত হানাফীদের বেনামাযী বকে যাচ্ছে। আল্লাহ হিফাযত করুন।
৬৪
তারপর এ কিতাবুল কিরাত বায়হাকীর ১৩৬ পৃষ্ঠায় হযরত জাবের রাঃ, ১৭১ পৃষ্ঠায় হযরত আবু হুরায়রা রাঃ, ১৭৩ পৃষ্ঠায় হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে হাদীস বর্ণিত। হাদীসটি হল- ফাতিহা ছাড়া নামায অসম্পূর্ণ। কিন্তু ইমামের পিছনে পড়বে না।
এ হাদীসকে তারা অস্বিকার করে কেন?
৬৫
মৌলবী ইরশাদুল হক আসরী সাহেব এবার একটি নতুন হাদীস তালাশ করলেন। যাতে করে কুরআনের বিরোধীতার হাতিয়ার পাওয়া যায়। তারপর কুরআনে কারীমকে মসজিদের বাহির করে গায়রে মুকাল্লিদরা হাদীস জিন্দাবাদ স্লোগান দিতে পারে।
তারা একথাও জানে না যে, কুরআনে কারীম, মশহুর হাদীস এবং ইজমায়ে উম্মতের মুকাবিলার জন্য কমপক্ষে মুতাওয়াতির হাদীস আনা চাই। কিন্তু খবরে ওয়াহিদ যা আবার সহীহ নয় এমন এক হাদীস উপস্থাপন করে, যাতে তাদের পূর্ণ দাবিও নেই, না তাতে একথা আছে যে, ইমামের পিছনে ১১৩ সূরা পড়া হারাম, আর না একথা আছে যে, ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়া ফরজ। একথাও নেই যে, যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা না পড়ে তার নামায বাতিল এবং বেকার। তাহলে এ হাদীস আনার মানে কি?
৬৬
মোটকথা, না দাবিটির পক্ষে স্পষ্ট বক্তব্য আছে। না হাদীসটি সহীহ। মাকহুলের তাদলীস। সাঈদ বিন আব্দুল আজীজের ইখতিলাত। উতবা থেকে বুখারী, মুসলিম, তিরমিজী, নাসায়ী ও আবু দাউদের বর্ণনা না নেয়া। এছাড়া হুয়াইত বিন আহমদ এর নির্ভরযোগ্যতা আসমায়ে রিজালের মুসতানাদ কিতাব থেকে প্রমাণ করতে আসরী এবং তারা পূর্ণ জামাত অপারগ। আসরী সাহেব গালির আরো দুই হাজার পৃষ্ঠা লিখতে পারেন, কিন্তু এর নির্ভরযোগ্যতা প্রমাণ করতে পারবেন না।
পাঠকবৃন্দ! লক্ষ্য করুন! কুরআন হাদীসের অনুসরণের স্লোগান দিয়ে কিভাবে কুরআন হাদীস ও ইজমায়ে উম্মত এর সাথে বিদ্রোহ করছে।
৬৭
রাসূল সাঃ জীবনের শেষ প্রান্তে এসে যখন সর্বশেষ জামাতের সাথে নামায পড়েছেন। সে নামাযে প্রমাণ করুন রাসূল সাঃ হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাঃ এর পিছনে পড়া প্রথম রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়েছেন। তারপর দ্বিতীয় রাকাতে আবু বকর সিদ্দিক রাঃ ইমাম রাসূল সাঃ এর পিছনে মুক্তাদী হয়ে সূরা ফাতিহা পড়েছেন প্রমাণ করুন। এটা কস্মিনকালেও প্রমাণ করতে পারবে না।
৬৮
রাসূল সাঃ এর মেরাজের পূর্বে সূরা ফাতিহা নাজিল হয়েছিল। নামাযও পড়তেছিলেন। রাসূল সাঃ মেরাজের রাতে নবীগণের ইমামতী করেছেন। এবার একটি হাদীস দিয়ে কি প্রমাণ করতে পারবেন যে, রাসূল সাঃ প্রথমে সূরা ফাতিহা পড়েছেন,তারপর পরের রাকাতে তারাও সূরা ফাতিহা পড়েছেন?
৬৯
যখন গায়রে মুকাল্লিদদের এটা নিশ্চিত হয়ে গেছে যে, তারা واذا قرئ القرآن الخ এর পর একটাও সহীহ সরীহ হাদীস পেশ করতে অপারগ। তখন তারা ওয়াসওয়াসা ঢালতে শুরু করে দিয়েছে যে। واذا قرئ القرآن الخ আয়াতকে রদ করার জন্য বলেঃ সূরা ফাতিহা কুরআনের অন্তর্ভূক্ত নয়।
আমরা তাদের বলি তোমরা সমগ্র পৃথিবীর মাঝে একটি কুরআন দেখাতে পারবে যাতে সূরা ফাতিহা নেই? আমরা বুখারী শরীফ থেকে প্রমাণ করতে পারবো যে, সূরা ফাতিহা কুরআনের অন্তর্ভূক্ত। তারা এমন একটি হাদীসও দেখাতে পারবে না, যাতে রাসূল সাঃ বলেছেন যে, সূরা ফাতিহা কুরআন নয়। তাদের পক্ষে হাদীস থাকুক আর নাই থাকুক জিদতো আছে।
৭০
সহীহ হাদীসগুলোকে রদ করার জন্য বলে থাকে যে, রাসূল সাঃ কেরাত পড়তে নিষেধ করেছেন, ফাতিহা কেরাত নয়।
আশ্চর্য! তাহলে একটি হাদীস দেখান, যাতে বলা হয়েছে যে, সূরা ফাতিহা কেরাত নয়,বরং বাকি সূরা ফাতিহা কেরাত। কিয়ামত পর্যন্ত চেষ্টা করে এমন হাদীস বা আয়াত দেখাতে পারবে? দেখাতে পারুক আর না পারুক। জিদতো দেখাতেই পারবে। তাইনা?
৭১
কুরআন ও হাদীসে মুক্তাদীদের চুপ থাকার হুকুম এসেছে। তাই তাদের দলিল হল যে, ঠোট নাড়িয়ে, জিহবা দিয়ে আস্তে আস্তে পড়লে তা চুপ থাকার আদেশ অমান্য করা হয় না। অথচ বুখারী শরীফে হযরত ইবনে আব্বাস থেকে প্রমানিত যে, জিহবা নাড়ানো, আর ঠোট হেলানোও চুপ থাকার বিরোধীতা হয়। দেখুন-বুখারী, হাদীস নং-৭০৮৬। তারপরও নিজের জিদ ছাড়তে নয় কথিত আহলে হাদীস ভাইয়েরা।
৭২
হাফেজ ইবনে আব্দিল বার রহঃ বলেনঃ রুকুতে যে মুক্তাদী এসে শরীক হয়, সে মুক্তাদী উক্ত রাকাত পেয়েছে একথার উপর পূর্ণ উম্মতের ইজমা তথা ঐক্যমত্ব। মাওলানা ইরশাদুল হক আসরী সাহেবও মানেন যে, মুহাদ্দিসীন ও ফুক্বাহাদের অধিকাংশের বক্তব্য হল যে, রুকুতে পাওয়া রাকাত হয়ে যায়। {তাওযীহুল কালাম-১/১৪২}
কিন্তু গায়রে মুকাল্লিদ ভাইয়েরা পুরো উম্মতের বিপরীত জিদের বশে বলে বেড়ায় যে, রুকুতে পাওয়া রাকাত হয় না। অথচ একটি সহীহ হাদীসও দেখাতে পারে না, যাতে একথা বলা হয়েছে যে, রাসূল সাঃ রুকুতে পাওয়া রাকাত দ্বিতীয়বার পড়তে বলেছেন।
ফাতাওয়া সেতারিয়ায় মৌলবী আব্দুস সাত্তার, জামাআতে গুরাবায়ে আহলে হাদীস এর ইমাম হাদীস ও ইজমায়ে উম্মত দ্বারা একথা প্রমাণ করেছেন যে, রুকুতে পাওয়া রাকাত হয়ে যায়।
তারপরও জিদের বশে গায়রে মুকাল্লিদ ভাইয়েরা এ সকল হাদীস ও ইজমাকে অস্বিকার করে থাকে।