প্রচ্ছদ / প্রশ্নোত্তর / ইহরাম অবস্থায় মিকাত অতিক্রম করলে কি গোনাহ হবে?

ইহরাম অবস্থায় মিকাত অতিক্রম করলে কি গোনাহ হবে?

প্রশ্ন:

From: আবদুল্লাহ আশরাফ
Subject: হজ
Country : বাংলাদেশ
Message Body:
জনাব মুফতী সাহেব,
বাদ সালাম আপনাদের দ্রুত উত্তর প্রদান আমাকে মুগ্ধ করেছে। হকপন্থি বড় বড় ফাতাওয়া বিভাগগুলো থেকে নিরাশ হয়ে আপনাদের এ সাইটটি পেয়ে আশান্বিত হয়েছি। এবার কাজের কথায় আসি।

একটি মাসআলা এ রকম শুনেছি যে “কোন মুফরিদ ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে রওনা হয়ে মক্কায় গেলে সে মীকাতের পূর্বে হজের ইহরাম বাধবে এবং তওয়াফে কুদূম করার পর হজ পর্যন্ত ইহরাম অবস্থায় মক্কায় থাকবে।” ব্যপারটি অস্পষ্ট লাগছে। তাই প্রশ্ন হচ্ছে-

ক. যদি সে তওয়াফে কুদুম করার পর ইহরাম অবস্থায় হজের আগে মদিনা হয়ে আসে, তাহলে কোন সমস্যা আছে কি না?

খ. অথবা যদি বাংলাদেশ থেকে মক্কার উদ্দেশ্যে হজের নিয়তে না গিয়ে নফল উমরার নিয়তে বা অন্য কোন নিয়তে যায় এবং সেখানে উমরা করার ইহরাম ভেঙ্গে ফেলে অত:পর পোগ্রাম অনুযায়ী মদিনায় চলে যায় এবার মদিনা থেকে মক্কায় আসার সময় ইফরাদ হজের নিয়তে ইরাম বাধে, তাহলে কি তার ইফরাদ হজ হবে?

বর্তমানে কোন কোন মুফতী সাহেবগণ দীর্ঘ ইহরামের কষ্ট থেকে বাচার জন্য এ রকম সূরতের কথা বলছেন, যা বদলী হজকারীদের জন্য সুবিধাজনক মনে হয়।
দয়া করে হাওয়ালাসহ প্রশ্নদ্বয়ের উত্তর দিয়ে বাধিত করবেন।

 

জবাব

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

ক এর উত্তর

 

ইহরাম অবস্থায় মিকাত অতিক্রম করে মদিনা বা অন্যত্র যাওয়ার দ্বারা কোন কিছু আবশ্যক হয় না। জায়েজ আছে। তবে ইহরামের বিপরীত কোন কাজ করবে না যদি হজ্বের নিয়তে ইহরাম বেঁধে থাকে। {ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া-১৫/৩৪৯}

 

فى رد المحتار- فإن ذات الخروج من الحرم لا يلزم المحرم به شيء (الفتاوى الشامية، كتاب الحج، باب الجنايات-2/225

অনুবাদ-হারাম থেকে বের হওয়ার দ্বারা মুহরিমের উপর কোন কিছু আবশ্যক করে না। {ফাতওয়ায়ে শামী-২/২২৫}

 

আরো দেখুন-

তাবয়ীনুল হাকায়েক-২/৬২

ফাতহুল কাদীর-৩/৬৪

 

খ এর উ্ত্তর

 

এ পদ্ধতিটি খুবই সুন্দর পদ্ধতি। এটা করলে অনেক কষ্ট থেকে বাঁচা সম্ভব। বাংলাদেশ থেকে ইহরাম বাঁধার সময় নিয়ত করবে উমরার। তারপর মক্কা পৌঁছে উমরা করে হালাল হয়ে যাবে। তারপর মদীনা যাবে। তারপর নবীজী সাঃ রওজা যিয়ারত করে আবার হজ্বের ইহরাম বেঁধে মক্কায় এসে হজ্ব পূর্ণ করবে। এতে কোন সমস্যা নেই।

প্রথমে উমরার ইহরাম বেঁধে উমরা করে তারপর নতুন করে হজ্বের ইহরাম বেঁধে হজ্ব করার নাম হজ্বে তামাত্তু। এ পদ্ধতি সম্পূর্ণ শরীয়ত সম্মত।

 

فى الهندية- والمتمتع من يأتي بأعمال العمرة في أشهر الحج أو يطوف أكثر طوافها في أشهر الحج ثم يحرم بالحج ويحج من عامه ذلك (الفتاوى الهندية، كتاب المناسك،  الباب السابع في القران والتمتع-1/238)

আরো দেখতে পারেন-

ফাতওয়ায়ে শামী-৩/৫৬১-৫৬৪

আল বাহরুর রায়েক-২/৬৩৫-৬৩৭

والله اعلم بالصواب

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

ইমেইল- ahlehaqmedia2014@gmail.com

lutforfarazi@yahoo.com

আরও জানুন

মহিলাদের এনআইডি কার্ড করার জন্য পর পুরুষের সামনে ছবি তুলতে মুখ খোলার হুকুম কী?

প্রশ্ন আসসালামুআলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ৷ আহলে হক্ব মিডিয়া কর্তৃৃৃপক্ষ কে আসন্ন রমজানের শুভাচ্ছে রইল ৷ আমার প্রশ্নটা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *