প্রচ্ছদ / দিফায়ে আকাবির / রাসূল সাঃ কি নূরের তৈরী? আশরাফ আলী থানবী রহঃ সম্পর্কে অপপ্রচারের জবাব

রাসূল সাঃ কি নূরের তৈরী? আশরাফ আলী থানবী রহঃ সম্পর্কে অপপ্রচারের জবাব

প্রশ্ন

انا من نور الله، وكل شيئ من نورى
আমি নূরের উক্ত হাদিসটিকে জাল হওয়ার পক্ষে বেশ কিছু মুহাদ্দিসের উদ্ধৃতি পেশ করেছি। কিন্তু তার প্রতি উত্তরে রেজভিরা আমাকে নশরুত্তিবের হাওয়ালা দিয়ে বলল,
১। হাদিসটি জাল হলে থানভি রহঃ সেখানে একে উল্লেখ করে মাসয়ালা বর্ণনা করেছেন কেন?
২। থানভি রহঃ এটিকে জাল বলে থাকলে প্রমাণ কোথায়?
৩। মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাকের ভেতর নাকি ইহা উল্লেখ রয়েছে।
৪। হাদিসটিকে ইমাম বায়হাকি দালায়েলুন্নবুয়াত কিতাবে বর্ণনা করেছেন এবং প্রখ্যাত ইমামগণ নাকি হাদিসটির সনদের ওপর পূর্ণ বিশ্বাস জ্ঞান করেছেন। যেমন আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলবী মাদারিজুন নবুওয়াতে এবং ইবনে হাজার মক্কী আফজালুল কুরাতে এবং ইবনে হাজার আসকালানী মাওয়াহেবে আর আল্লামা জুরকানী শরহে মাওয়াহেবে এটি বর্ণনা করেছেন।
এখন আমার কথা হল,
১। তাদের দাবিগুলো যদি মিথ্যা হয়, তাহলে সে মিথ্যাটি প্রমাণ করতে হবে।
২। সত্য হলে তবে জবাব কী হবে।
৩। থানভি রহঃ এর প্রতি তাদের ঐ প্রশ্নের জবাব কী? আমি উক্ত ফটো দিয়ে তাদের জবাব প্রস্তুুত করার অপেক্ষায় আছি।
রেজভিরা নূরের হাদিসটি মুসান্নাফে থাকার দাবি করে উক্ত স্ক্রিনশর্টটি দিয়ে থাকে।
এ সবের জবাব কী হবে? দলিলের রেফারেন্সটা কি ঠিক?

উত্তর

بسم الله الرحمن الرحيم

রাসূল সাঃ কে নূরের তৈরী দাবিকারী ব্যক্তি উপরোক্ত বক্তব্যে কয়েকটি দাবি করেছে। যথা-
১- হযরত আশরাফ আলী থানবী রহঃ উক্ত হাদীসকে সহীহ সাব্যস্ত করেছেন।
২- মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক গ্রন্থে উক্ত হাদীসটি গ্রহণযোগ্য হিসেবে বর্ণিত।
৩- ইমাম বায়হাকী দালায়েলুন্নবুয়্যাতে, আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলবী মাদারিজুন নবওয়াতে, ইবনে হাজার মক্কী রহঃ আফজাজুল কুরাতে এবং ইবনে হাজার আসকালানী রহঃ উক্ত হাদীসটি গ্রহণযোগ্য হিসেবে তাদের কিতাবে বর্ণনা করেছেন।
৪- প্রখ্যাত ইমামগণ উক্ত হাদীসটির সনদকে গ্রহণযোগ্য বলে স্বীকৃতি প্রদান করেছেন।

এই মোট চারটি দাবি রাসূল সাঃ কে নূরের তৈরী দাবিকারী ব্যক্তিটি করেছেন। আমরা ভাইটির বক্তব্যটির সাথে আশরাফ আলী থানবী রহঃ এর কথা সাথে “সহীহ সাব্যস্ত করেছেন” এবং বাকি মুহাদ্দিসদের কিতাবের বক্তব্যের সাথে সাথে “গ্রহণযোগ্য সাব্যস্ত করেছেন” শব্দটি দু’টি জোড়ে দিয়েছি। যা নূর দাবিকারী ভাইটি উল্লেখ করেননি ধোঁয়াশা রাখার জন্য।
আমরা এ শব্দ দু’টি এ্যাড করার কারণ হল, কারো কিতাবে কোন কিছু লেখা থাকাই উক্ত বক্তব্যটি লেখকের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়ার প্রমাণ নয়। আর যে কথা লেখকের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, তা উক্ত লেখকের বক্তব্য বলে চালানো অনৈতিক ও প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়।
লেখকের বক্তব্য বলে ঐ কথাটিই চালানো যাবে, যেটি লেখকের নিজের বক্তব্য। সেই হিসেবে উল্লেখিত গ্রন্থ সমূহে যদি প্রশ্নের হাদীসটি উদ্ধৃত হয়ে থাকে, তাহলেই কেবল তা দলীলযোগ্য হয়ে যাবে না। যদি না তা উপরোক্ত গ্রন্থের সংকলকগণের কাছে স্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ পাওয়া যায়।
যেহেতু নূরের দাবিদার ভাইটি উপরোক্ত ব্যক্তিত্বদের গ্রন্থের রেফারেন্স দিয়ে তিনি দাবি করছেন হাদীসটি গ্রহণযোগ্য। তাই পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে যে, উক্ত গ্রন্থসমূহে সংকলকবৃন্দ উক্ত হাদীসটিকে গ্রহণযোগ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। অথচ একথাটি স্পষ্ট ভাষায় নূরের দাবিদার ভাইটি লেখেননি। শুধুমাত্র ধোঁকা দেয়ার জন্য।
কিন্তু নিজের দাবি ও রেফারেন্স উল্লেখ করার দ্বারা একথাই প্রমাণ করলেন যে, উক্ত গ্রন্থগুলোর সংকলকগণ নূরের হাদীসটিকে গ্রহণযোগ্য বলেছেন।

ধোঁকাবাজীপূর্ণ দাবী ও প্রমাণহীনতা

প্রতারণা করে চারটি দাবি করা হল, কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, একটি দাবির স্বপক্ষেও কোন প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। তাহলে দাবি শুধু দাবিই রয়ে গেল। প্রমাণিক হল কোথায়?
নূরের দাবিদার ভাইটির দাবি পূর্ণতা পাবে কয়েকটি বিষয় উপস্থাপন করার মাধ্যমে। যথা-

১- আশরাফ আলী থানবী রহঃ উক্ত হাদীসটি স্বীয় কিতাবে কী শব্দে এবং কিসের আলোচনায়, কোন অধ্যায়ের কোন পৃষ্ঠায় কিভাবে এনেছেন তা পরিস্কার ভাষায় উল্লেখ করার মাধ্যমে। সেই সাথে আশরাফ আলী থানবী রহঃ উক্ত হাদীসকে গ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন মর্মে বক্তব্য আছে কি না? তাও উল্লেখ করতে হবে। তাহলেই কেবল লোকটির দাবির সত্যতা প্রমাণিত হবে।
২- মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাকের কোন অধ্যায়ে, কোন পরিচ্ছেদে কোন পৃষ্ঠায় কত নং হাদীসে উক্ত হাদীসটি আনা হয়েছে? হাদীসটিকে কি আব্দুর রাজ্জাক প্রণেতা সহীহ বা গ্রহণযোগ্য বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন? এ উভয় বক্তব্য এ্যাড করা ছাড়া দাবিদারটির দাবিটিই সাড় হচ্ছে, কিন্তু এটি কোন প্রমাণিক বলে প্রমানিত হচ্ছে না।
৩- ইমাম বায়হাকী রহঃ, আব্দুল হক দেহলবী রহঃ, ইবনে হাজার মক্কী রহঃ, ইবনে হাজার আসকালানী রহঃ স্বীয় গ্রন্থসমূহের কোন অধ্যায়ে কোন পরিচ্ছেদে, কত নং পৃষ্ঠায় উক্ত হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন? হাদীসটিকে তারা কি গ্রহণযোগ্য বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন? এ দু’টি প্রশ্নের উত্তর ছাড়া উল্লেখিত ব্যক্তির দিকে হাদীসটির গ্রহণযোগ্যতার নিসবত করা ধোঁকাবাজী ও প্রতারণা ও মিথ্যাচার হবে কিন্তু নূরের দাবিটি সত্য বলে কিছুতেই প্রমাণিত হবে না।
৪- কোন প্রখ্যাত ইমামগণ উক্ত হাদীসকে গ্রহণযোগ্য বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন? তাদের নাম কি? কোন কিতাবে এসব স্বীকৃতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে?
এ বিষয়টি পরিস্কার করা ছাড়া আমভাবে মুহাদ্দিসগণ হাদীসটিকে স্বীকৃতি দিয়েছেন বলাটা ধুর্তামী এবং ধোঁকাবাজী হতে পারে কিন্তু দলীল কিছুতেই হতে পারে না।

একথা সামান্য বিবেক সম্পন্ন ব্যক্তিই জানেন যে, কোন বইয়ে কোন বক্তব্য থাকার দাবি করলে উক্ত বইয়ের নাম, পৃষ্ঠা ও হুবহু বক্তব্যটি উদ্ধৃত করতে হয়। তারপর উক্ত বক্তব্যটি বিষয়ে বইটির সংকলকের বক্তব্য উল্লেখ করতে হয়।
কিন্তু নূরের দাবিদার ভাইটি এর কোনটিই করেননি। শুধু মনগড়া কয়েকটি নাম লিখে দিলেন। কিতাবটির কোন পৃষ্ঠায়, কোন আলোচনায়, কী শব্দে তা উদ্ধৃত তা উল্লেখ করেননি। তাই এটি ধোঁকাবাজী ছাড়া আর কিছু নয়।
সেই সাথে একথাও সবাই জানেন যে, কোন বক্তব্যটি কোন গ্রন্থে আনা মানেই উক্ত বক্তব্যটি সঠিক ও গ্রহণযোগ্য বলে স্বীকৃতি প্রদান করা নয়। বরং অনেক সময় উক্ত বক্তব্যটির ভুল প্রমাণ করার জন্য, বা সংকলক ভুলেও তা স্বীয় গ্রন্থে আনতে পারেন। তাই প্রথমে দেখতে হবে লেখক কি উক্ত বক্তব্যটিকে সঠিক ও গ্রহণযোগ্য বলে স্বীকৃতি প্রদান করেছেন কি না? কিন্তু এক্ষেত্রেও নূরের দাবিদার ভাইটি সংকলকগণের পক্ষ থেকে কোন বক্তব্যই দেখাতে পারেননি, যাতে সংকলকগণ উক্ত হাদীস স্বীয় গ্রন্থে আনার পর সেটিকে গ্রহণযোগ্য বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
অথচ এর বিপরীত উক্ত হাদীসটি যে জাল ও বানোয়াট এ ব্যাপারে অসংখ্য মুহাদ্দিসদের পরিস্কার বক্তব্য রয়েছে। কয়েকজন জারাহ তাদীলের ইমামগণের বক্তব্য নিচে উদ্ধৃত করা হল।

হাদীসটি জাল বলে যেসব ইমামগণ মত দিয়েছেন

আল মুগীর আলাল আহাদীসিল মাওযুআতে ফির জামিয়িস সাগীর-৪,

আত তালীকাতুল হাফেলা আলাল আজবিবাতিল ফাযেলা-১২৯,

আল বুসীরী মাদেহুর রাসূলিল আযম-৭৫,

মাযমুয়াতে ফাতওয়া ইবনে তাইমিয়া-১৮/৩৬৬-৩৬৭

আল আসারুল মারফুআ-৪৩

তাহকীকাতুন ওয়া আনযারুন ফিল কুরআনি ওয়াস সুন্নাহ-১৫১-১৫৬
আল আসারুল মারফুআ-৪৩

নূরের তৈরী দাবিদারদের কাছে দু’টি প্রশ্ন

প্রশ্ন নং-১

যদি নূরের দাবিদার ভাইকে সঠিক ধরে নেই, তাহলে প্রশ্ন হল, রাসূল সাঃ কি আল্লাহ তাআলা জাতি নূরের তৈরী না সিফাতী নূর তথা ওহী, হেদায়াত ইত্যাদি গুণে বৈশিষ্টমন্ডিত?
যদি বলা হয়, আল্লাহ তাআলার জাতি নূরে তৈরী, তাহলে আল্লাহ রাসূল সাঃ এর মাঝের পার্থক্য কোথায়? আল্লাহ তাআলা যা রাসূল সাঃ ও তাই হয়ে যাচ্ছেন। তাহলে খৃষ্টানদের ঈসা আঃ আল্লাহ তাআলা সন্তান হওয়ার আক্বিদা আর আল্লাহর জাতি নূর দিয়ে রাসূল সাঃ সৃষ্টি হওয়ার আকিদার মাঝে পার্থক্য কী রইল?
ঈসা আঃ কে আল্লাহর অংশ বলায় খৃষ্টানরা কাফের বলে রাসূল সাঃ কে আল্লাহর জাতি নূর দিয়ে তৈরী তথা আল্লাহর অংশ বলায় এসব লোকেরা খৃষ্টানদের মত কাফের নয় কেন?

আর যদি নূর দ্বারা হেদায়াত, ওহী ইত্যাদি উদ্দেশ্য নেয়া হয়, তাহলে কোন প্রশ্ন থাকে না। একথা আমরা সবাই মানি যে, রাসূল সাঃ নূর। তথা হেদায়াতের নূর। ওহীর নূরে আলোকিত। সত্যের নূর। কিন্তু নূর হলেই নূরের তৈরী হতে হবে এটি একটি আহমকী ছাড়া আর কী হতে পারে? কুরআন নূর কিন্তু নূরের তৈরী নয়, যেমন হেদায়াত নূর কিন্তু নূরের তৈরী নয়। তেমনি রাসূল সাঃ নূর কিন্তু নূরের তৈরী নয়।

২ নং প্রশ্ন

উক্ত হাদীসটিকে সহীহ মেনে নিলে কী দাঁড়াচ্ছে? আল্লাহর নূর দিয়ে রাসূল সাঃ সৃষ্টি। আর রাসূল সাঃ এর নূর দিয়ে সব সৃষ্টি তাই না? তাহলে সকল কীট পতঙ্গ, প্রাণী, তরুলতা, জীন ইনসান, ফেরেস্তা, জমিন আসমান, জান্নাত জাহান্নাম, গ্রহ-নক্ষত্র সবই রাসূল সাঃ এর নূর দিয়ে তৈরী? তাহলে আল্লাহর নূর দিয়ে রাসূল সাঃ হলে রাসূল সাঃ নূরের তৈরী সাব্যস্ত হলে, সমস্ত কীট পতঙ্গ, তরুলতা, গাছপালা, মানুষ, জীন, ফেরেস্তা, জন্তু জানোয়ার সব কিছু রাসূল সাঃ এর নূর দিয়ে তৈরী হলে সব কিছুই কি নূরের তৈরী হয়ে যাচ্ছে না?
তাহলে কেবল রাসূল সাঃ কে কেন নূরের তৈরী বলা হচ্ছে? নূরের দাবিদারদের দাবি অনুপাতেতো সব কিছুই নূরের তৈরী তাই নয় কি?
কাফের মুশরিক, জান্নাতী, জাহান্নামী, গরু, ছাগল, মহিষসহ সমস্ত জন্তু জানোয়ার ও কীট পতঙ্গকে রাসূল সাঃ এর নূর বলার নাম আশেকে রাসূল না গুস্তাখে রাসূল?
রাসূল সাঃ কে সম্মান করার নামে নবীর নূর দিয়ে গরু ছাগল, কীট পতঙ্গ, কাফের, মুশরিক, সকল আবর্জনা, ভাল-মন্দ তৈরীর আকিদা পোষণকারী কি করে রাসূল সাঃ এর আশেক হতে পারে? এরকম জঘন্য আকিদা কোন নবীদ্রোহী পোষণ করে কি না তা আমাদের জানা নেই। কিন্তু কথিত এসব আশেকে রাসূলরা রাসূল সাঃ কে নূরের তৈরী বানাতে গিয়ে এরকম মারাত্মক ও ঘৃণিত আকিদা পোষণ করে থাকে।
আল্লাহ তাআলা এসব বেআদব ও কথিত আশেকদের মিথ্যাচার ও ধোঁকাবাজী থেকে মুসলিম উম্মাহকে হিফাযত করুন। আমীন।

এ বিষয়ে বিস্তারিত উত্তর জানতে হলে পড়ুন-

নূরের আলোয় সুঁই পাওয়া হাদীসের তাহকীক এবং নূর দাবিদারদের অসাড় বক্তব্য

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি নূরের তৈরী?

রাসূল সাঃ কি আল্লাহর নূরের তৈরী?

রাসূল সাঃ এর নূর ও প্রথম সৃষ্টি বিষয়ক হাদীসের তাহকীক

সূরা মায়িদার ১৫ নং আয়াত দ্বারা কি নবীজী নূরের তৈরী প্রমাণ হয়?

নূর  বিষয়ে আশরাফ আলী থানবী রহঃ এর উপর মিথ্যা অপবাদের জবাব

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক ও প্রধান মুফতী – মা’হাদুত তালীম ওয়াল  বুহুসিল ইসলামী ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম আমীনবাজার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া ফারূকিয়া দক্ষিণ বনশ্রী ঢাকা।

আরও জানুন

কল্পনায় স্ত্রীকে তালাক দিলে কি তালাক হয়?

প্রশ্ন নাম: তাহমিদ ইসলাম  ঠিকানা : দিনাজপুর। আসসালামু আলাইকুম হুজুর আমি কয়েক মাস ধরে কি …

One comment

  1. Syed Abdul Kafi

    করেনা ভাইরাসও তাহলে নূরের তৈরী। নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আহলে হক্ব বাংলা মিডিয়া সার্ভিস