প্রচ্ছদ / তালাক/ডিভোর্স/হুরমত / তালাকের অধিকার দিয়ে তা ফিরিয়ে নেয়া যায়?

তালাকের অধিকার দিয়ে তা ফিরিয়ে নেয়া যায়?

প্রশ্নঃ

অন্য কোন সময়ের বা সারাজীবন এর জন্য অধিকার দিলে বউ যদি রিকুয়েষ্ট করে ও বর ফেরত নেয় তাতে কি অধিকার ফেরত চলে যায়? প্লিজ বলুন হুজুর আপনার পায়ে পড়ি

প্রশ্নকর্তা:  Nira Sardar, [email protected]

بسم الله الرحمن الرحيم

উত্তর:

শরিয়তের দৃষ্টিতে তালাক দেওয়ার মূল ও স্থায়ী অধিকার স্বামীর কাছেই ন্যস্ত। অর্থাৎ, তালাকের আসল মালিকানা ও ক্ষমতা আল্লাহ তাআলা পুরুষকেই দিয়েছেন। তবে, যদি স্বামী ইচ্ছা করে, সে চাইলে এই অধিকারটি তার স্ত্রীকে বা অন্য কোনো ব্যক্তিকে অর্পণ করতে পারে।

ফিকহের পরিভাষায় এই অর্পণকেই বলা হয় “তাফউইযে তালাক” (تفویضِ طلاق) অর্থাৎ স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করা। কিন্তু, “তাফউইযে তালাক” দেওয়ার পরও স্বামীর নিজের হাতে থাকা মূল তালাকের অধিকার বাতিল হয় না। অর্থাৎ, স্ত্রীকে এই ক্ষমতা দেওয়ার পরও স্বামী চাইলে নিজেই স্ত্রীকে তালাক দিতে পারেন  এবং যদি স্বামী নিজেই তালাক প্রদান করেন, সেই তালাকও সম্পূর্ণরূপে কার্যকর ও বৈধ গণ্য হবে।

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে স্বামীর জন্য তালাকের অধিকার প্রদান ফিরিয়ে নেয়ার সুযোগ নেই।

শরঈ দলীল:

الدر المختار شرح تنوير الأبصار  (3 / 332):

“(ولايملك ) الزوج (الرجوع عنه) أي عن التفويض بأنواعه الثلاثة لما فيه من معنى التعليق”.

المحيط البرهاني: (239/3، ط: دار الكتب العلمية)

“والأصل في هذا: أن الزوج يملك إيقاع الطلاق بنفسه فيملك التفويض إلى غيره فيتوقف عمله على العلم؛ لأن تفويض طلاقها إليها يتضمن معنى التمليك، لأنها فيما فوض إليها من طلاقها عاملة لنفسها دون الزوج، والإنسان فيما يعمل لنفسه يكون مالكا”.

الفتاوى الهندية: (الباب الثالث فی تفویض الطلاق، 388/1، ط: دار الفکر)

“ثم لا بد من النية في قوله اختاري فإن اختارت نفسها في قوله اختاري كانت واحدة بائنة ولا تكون ثلاثا وإن نوى الزوج ذلك كذا في الهداية فإذا اختارت نفسها فأنكر قصد الطلاق فالقول له مع يمينه أما إذا خيرها بعد مذاكرة الطلاق فاختارت نفسها ثم قال لم أنو الطلاق لم يصدق في القضاء وكذا إذا كانا في غضب وإذا لم يصدق في القضاء لا يسع المرأة أن تقيم معه إلا بنكاح مستقبل كذا في فتح القدير ۔۔۔ وكذا قولها أختار أبي أو أمي أو أهلي أو الأزواج يغني عن ذكر النفس كذا في التبيين ۔۔۔”.

والله أعلم بالصواب

উত্তর লিখনে
মুহা. শাহাদাত হুসাইন , ছাগলনাইয়া, ফেনী।

সাবেক শিক্ষার্থী: ইফতা বিভাগ
তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

সত্যায়নে
মুফতী লুৎফুর রহমান ফরায়েজী দা.বা.

পরিচালক তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা

উস্তাজুল ইফতা জামিয়া ইসলামিয়া দারুল হক লালবাগ ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা: জামিয়াতুস সুন্নাহ কামরাঙ্গিরচর, ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা: কাসিমুল উলুম আলইসলামিয়া, সালেহপুর আমীনবাজার ঢাকা।

পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।

শাইখুল হাদীস: জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া, সনমানিয়া, কাপাসিয়া, গাজীপুর।

0Shares

আরও জানুন

স্ত্রীর মাকে তুলে গালি দিলে কি স্ত্রী তালাক হয়ে যায়?

প্রশ্ন আসসালামু আলাইকুম। আমার প্রশ্নটি হলো, যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মিল নেই, প্রায় সময়ই দু-জনের মধ্যে …

আহলে হক্ব বাংলা মিডিয়া সার্ভিস