প্রশ্ন
আসসালামু আলাইকুম,
মুফতি সাহেব হুজুর আমি বড় দিধা দন্দের মধ্যে আছি। দয়া করে উওরটি দ্রুত দিলে মনে সান্তি পাবো।
আমার প্রশ্ন হলো,
আমি আমার স্ত্রীকে অনেক ভালোবাসি এবং সেও আমাকে অনেক ভালোবাসে। আমার স্ত্রী থাকে মহিলা হোস্টেলে সে ওখানে থেকে পরা লিখা করে আর আমি থাকি ঢাকাতে পরা লিখা করি , আমি আমার স্ত্রীর সাথে মোবাইলে সব সময় কথা বলতাম এস এম এসের মাধ্যেমে কথা বলতাম।
একদিন sms এ কথা বলার এক পর্যায়ে আমি আমার স্ত্রী কে মজা করে বলি যে আমি তোমাকে তো অনেক ভালোবাসি, তাই একটু বেশি বেশি তোমাকে ফোন দিই ও sms দেই, তুমার যদি খারাপ লাগে তাহলে আর তোমায় ডিষ্টার্ভ করবো না,। আগে তোমায় বেশি বেশি ফোন দিয়াছি smsদিয়াছি এগুলো তোমার খারাপ লাগলে আমায় মাফ করে দিও।
পরে আমার স্ত্রী এই কথার জবাবে এই sms লিখে “আজ থেকে আপনি আমার পক্ষ থেকে পূর্ণ স্বাধীন আর আমিও, এখন থেকে ফ্রী সময়ে আমরা কথা বলবো, আপনি জানাবেন কখন আপনি ফ্রী থাকেন”
এই sms দেওয়ার পর আমি খুব পেরেসান হয়ে যাই, এবং স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করি তুমি এই sms কি নিয়তে দিয়েছো,
সে বলে আপনার পড়ার ক্ষতি হয়, আর আমারও সামনে পরিক্ষা তাই বেশী বেশী কথা না বলে আমরা একটা নির্দিষ্ঠ ফ্রী সময়ে কথা বলবো, তাহলে দুজনেরই ভালো হবে, এই জন্যে বলেছি,
পরে আমি তাকে “তালাকে কেনায়া” সম্পর্কে বুঝায় এবং আল্লাহর কসম দিয়া বলি তুমি কি তালাকের নিয়তে বলেছো,? কিন্তু আমার স্ত্রী বলে যে, সে তালাকের নিয়তে বলেনি এবং তার এরকম কোন নিয়তও ছিলোনা , এবং সে একজন জেনারেল শিক্ষিতা, সে এই বিষয়টা জানেও না, অর্থাৎ এরকম শব্দ দ্বারা নিয়ত সহকারে দিলে যে তালাক হয়ে যায় এই বিষয়ে তার জ্ঞান নেই,
আরেকটা বিষয় জানিয়ে রাখি যে, আমি যে বিয়ে পড়ানোর সময় কাবিন নামায় সাইন করেছি তখন আমি কি আমার স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দিবো কি না সে ব্যাপারে কাজী সাহেব আমাকে কিছুই বলে নি, এবং আমি এটাও জানিনা যে, আমি কি আমার স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দেওয়ার জায়গায় সাইন করেছি কি না, এমতাবস্থায় আমাদের বিবাহ বন্ধনের কোন ক্ষতি হয়েছে কি না? আমরা কি এক সাথে থাকতে পারবো?? আমি বড় দুঃশ্চিন্তায় আছি চিন্তা করতে করতে আমি পাগল প্রাই।
কারণ আমি আমার স্ত্রীকে অনেক ভালোবাসি এবং সেও আমাকে অনেক ভালোবাসে,, মেহেরবাণী করে দ্রুত ফতুয়াটা দিলে আমার মনে হয়ত আল্লাহ শান্তির ব্যাবস্থা করতে পারে
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
উপরোক্ত বিবরণ অনুপাতে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের মাঝে কোন প্রকার সমস্যা হয়নি। কোন প্রকার তালাক পতিত হয়নি। তাই পেরেশান হবার কিছু নেই।
وركنه (اى الطلاق) لفظ مخصوص، هو ما جعل دلالة على معنى الطلاق من صريح، أو كناية (رد المحتار، زكريا-4/431، كرتاشى-3/230)
عن ابن المسيب رض قال: الطلاق بالرجال والعدة بالنساء (مصنف عبد الرزاق-7/236، رقم-12951)
عن عبد الله بن مسعود رض قال: الطلاق بالرجال والعدة بالنساء (المعجم الكبير للطبرانى-9/337، رقم-9697)
الطلاق بالرجال والعدة بالنساء… وقوله فإنه حينئذ أنسب من أن يراد به الإيقاع بالرجال، ولأنه معلوم من قوله تعالى فطلقوهن. الآية. (مرقاة المفاتيح، باب الخلع والطلاق، البحث على أن العبرة فى العدة بالمرأة-6/396، تحت رقم الحديث-3289)
جعل الطلاق بيد الزوج لا بيد الزوجة إن الذى يملك الطلاق إنما هو الزوج…. ولا تلملكه الزوجة إلا بتوكيل من الزوج أو تفويض منه (الفقه الأسلامى وأدلته-7/347، 355)
ومحله المنكوحة واهله زوج عاقل بالغ مستيقظ (الدر المختار مع رد المحتار-4/431، مجمع الانهر-2/4، النهر الفائق-2/310)
لأن الطلاق لا يكون من النساء (رد المحتار-4/361)
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া ইসলামিয়া দারুল হক লালবাগ ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা: জামিয়াতুস সুন্নাহ কামরাঙ্গিরচর, ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা: কাসিমুল উলুম আলইসলামিয়া, সালেহপুর আমীনবাজার ঢাকা।
পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।
শাইখুল হাদীস: জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া, সনমানিয়া, কাপাসিয়া, গাজীপুর।
ইমেইল– [email protected]