প্রচ্ছদ / নামায/সালাত/ইমামত / ‘তাকবীরে উলা’ এর শেষ স্তর কোন সময় পর্যন্ত?

‘তাকবীরে উলা’ এর শেষ স্তর কোন সময় পর্যন্ত?

প্রশ্ন

Md Sãkîl Hãsäñ

আসসালামু আলাইকুম..!

হযরত, তাকবিরে উলার শেষ স্তর কোন সময় পর্যন্ত?

অনেকেই ৩ টা স্তর এর কথা বলে থাকে। শেষ স্তর নাকি রুকু পেলেই হবে।

আচ্ছা শেষ স্তর পেলে কি হাদীসে বর্ণিত ৪০ দিন পূর্ণ করলে ২টি যে পুরুষ্কারের কথা আছে সেটা কি পাওয়া যাবে?

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

তাকবীরে উলার ফযীলত পেতে হলে ইমাম আবূ হানীফা রহঃ এর মতে ইমামের তাকবীরে তাহরীমার সাথে সাথেই মুক্তাদীর তাকবীরে তাহরীমা বলতে হবে।

তবে ইমাম সাহাবাইন রহঃ এর মতামত হলো যে, ইমামের তাকবীরে তাহরীমার পরও যদি মুক্তাদী শরীক হয় তবুও তাকবীরে উলার ফযীলত পাবে।

পরে শরীক হলে কতক্ষণ পর্যন্ত তাকবীরে উলার সওয়াব পাবার সুযোগ আছে? এ বিষয়ে চারটি মতামত আছে। যথা-

১ ইমাম সাহেব ছানা শেষ করা পর্যন্ত শরীক হলে।

২ ইমাম সাহেব সূরা ফাতিহা অর্ধেক পড়া পর্যন্ত শরীক হলে।

৩ ইমাম সাহেবের পুরো সূরা ফাতিহা পড়া পর্যন্ত শরীক হলে।

৪ ইমাম সাহেব রুকুতে যাবার আগ পর্যন্ত।

এর মাঝে তৃতীয় কওলটি বেশি গ্রহণীয়। তবে চতুর্থ কওলের মাঝে প্রশস্ততা আছে।

সুতরাং তাকবীরে উলার ফযীলত পেতে হলে মুক্তাদীর উচিত সর্বোচ্চ আগে মসজিদে আসার চেষ্টা করা। বাকি রুকুর আগে ইমামকে পেলেও আমরা আল্লাহর কাছে তাকবীরে উলা পাবার আশা করতে পারি।

و”يسن”مقارنة إحرام المقتدي لإحرام إمامه” عند الإمام لقوله صلى الله عليه وسلم إذا كبر فكبروا. لأن ‌إذا ‌للوقت ‌حقيقة عندهما بعد إحرام الإمام جعلا الفاء للتعقيب

وفى حاشية الطحطاوى قوله: “وعندهما بعد إحرام الإمام” من غير فصل فيصل ألف الله من المقتدى براء أكبر من الإمام كذا في القهستاني قال السرخسي وباقي الأفعال على هذا الخلاف وأشار شيخ الإسلام إلى أن المقارنة فيها أفضل بالاتباع قال بعضهم والمختار للفتوى في التحريمة أفضلية التعقيب واختلف في إدراك فضل التحريمة على قولهما فقيل إلى الثناء كما في الحقائق وقيل إلى نصف الفاتحة كما في النظم وقيل في الفاتحة كلها وهو المختار كما في الخلاصة وقيل إلى الركعة الأولى وهو الصحيح كما في المضمرات (حاشية الطحطاوى على المراقى الفلاح-257-258، رد المحتار، كرتاشى-1/526)

أما فضيلة تكبيرة الافتتاح فتكلموا في وقت إدراكها والصحيح أن من أدرك الركعة الأولى فقد أدرك فضيلة تكبيرة الافتتاح (الفتاوى الهندية، كتاب الصلاة، الفصل الأول في فرائض الصلاة، ج:1، ص:69)

مَطْلَبٌ فِي وَقْتِ إدْرَاكِ فَضِيلَةِ الِافْتِتَاحِ وَتَظْهَرُ فَائِدَةُ الْخِلَافِ فِي وَقْتِ إدْرَاكِ ‌فَضِيلَةِ ‌تَكْبِيرَةِ ‌الِافْتِتَاحِ؛ فَعِنْدَهُ بِالْمُقَارَنَةِ، وَعِنْدَهُمَا إذَا كَبَّرَ فِي وَقْتِ الثَّنَاءِ، وَقِيلَ بِالشُّرُوعِ قَبْلَ قِرَاءَةِ ثَلَاثِ آيَاتٍ لَوْ كَانَ الْمُقْتَدِي حَاضِرًا، وَقِيلَ سَبْعٌ لَوْ غَائِبًا، وَقِيلَ بِإِدْرَاكِ الرَّكْعَةِ الْأُولَى، وَهَذَا أَوْسَعُ وَهُوَ الصَّحِيحُ. اهـ. وَقِيلَ بِإِدْرَاكِ الْفَاتِحَةِ وَهُوَ الْمُخْتَارُ خُلَاصَةٌ، وَاقْتَصَرَ عَلَى ذِكْرِ التَّحْرِيمَةِ وَالسَّلَامِ، فَأَفَادَ أَنَّ الْمُقَارَنَةَ فِي الْأَفْعَالِ أَفْضَلُ بِالْإِجْمَاعِ (رد المحتار، زكريا-2/240-241، كرتاشى-1/526)

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

প্রধান মুফতী: জামিয়াতুস সুন্নাহ লালবাগ, ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া ইসলামিয়া দারুল হক লালবাগ ঢাকা।

পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।

ইমেইল– ahlehaqmedia2014@gmail.com 

আরও জানুন

মহিলাদের এনআইডি কার্ড করার জন্য পর পুরুষের সামনে ছবি তুলতে মুখ খোলার হুকুম কী?

প্রশ্ন আসসালামুআলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ৷ আহলে হক্ব মিডিয়া কর্তৃৃৃপক্ষ কে আসন্ন রমজানের শুভাচ্ছে রইল ৷ আমার প্রশ্নটা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *