প্রশ্ন
আসসালামু আলাইকুম
মুহতারাম,, ক্যান্সারের কেমো দিলে কি রোজা ভঙ্গ হবে?
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ক্যান্সার বা কর্কটরোগের রাসায়নিক চিকিৎসা বা কেমোথেরাপি (ইংরেজি: chemotherapy) হলো এক প্রকার চিকিৎসা ব্যবস্থা যে ব্যবস্থায় ক্যান্সার কোষকে ধ্বংস করতে ক্যান্সাররোধী (অ্যান্টি-ক্যান্সার) এবং কর্কটরোগাক্রান্ত কোষের জন্য বিষাক্ত (সাইটোটক্সিক) ওষুধ ব্যবহার করা হয়। ৫০টিরও বেশি ধরনের রাসায়নিক চিকিৎসামূলক ওষুধ রয়েছে। এগুলোর কোনও কোনওটি ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল হিসেবে খেতে হয়।
কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ওষুধগুলোকে তরল বা স্যালাইনের সাথে বা অন্য কোনভাবে সরাসরি রক্তে দিয়ে দেয়া হয়। রক্তের সাথে মিশে এই ওষুধগুলো শরীরের যেখানে যেখানে ক্যান্সার কোষ রয়েছে সেখানে গিয়ে ক্যান্সার কোষগুলোকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে। [উইকিপিডিয়া]
যদি কেমোথেরাপিতে ওষুধ সেবন করানো হয়, বা কোনভাবে পাকস্থলিতে কোন কিছু প্রবেশ করানো হয়ে থাকে, তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
কিন্তু যদি রগের মাঝে সেলাইনের মাধ্যমে অষুধ প্রবেশ করিয়ে কেমোথেরাপি করা হয়ে থাকে, তাহলে রোযা ভঙ্গ হবে না।
وأما ماوصل إلى الجوف أو إلى الدماغ عن غير المخارق الأصلية بأن دواى الجائفة والآمة، فإن دواها بدواء يابس لا يفسد (بدائع الصنائع، زكريا-2/243، قديم-2/93)
وأكثر المشائخ اعتبروا الوصول إلى الجوف فى الجائفة والآمة إن عرف أن اليابس وصل إلى جوف يفسد صومه بالاتفاق، وإن لم يعرف أن الرطب لا يصل إلى الجوف لا يفسد (الفتاوى التاتارخانية-3/379، رقم-4629)
الموجودة فى حلقة أثر داخل من المسام الذى هو خلل البدن والمفطر إنما هو الداخل من النافذ (رد المحتار، زكريا-3/367، كرتاشى-2/395، كويته-2/134)
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
প্রধান মুফতী: জামিয়াতুস সুন্নাহ লালবাগ ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া ইসলামিয়া দারুল হক লালবাগ ঢাকা।
পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।
ইমেইল– ahlehaqmedia2014@gmail.com