প্রশ্ন
আস্সালামু আলাইকুম!
আমি প্রবাসে থাকি, খাবারের হোটেলে কাজ করি, তো আমার জানার বিষয় হচ্ছে, আমি রোজা রেখেছি কিন্তু রেস্তোরাঁয় বেরোযাদারদের খাবার পরিবেশন করলে আমার কোনো গুনাহ্ হবে কি? জানালে অনেক উপকৃত হবো!
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
অন্য কোন কাজের সুযোগ থাকা অবস্থায় এ কাজ করা জায়েজ হবে না। কারণ, রোযা শুধু ফরজ বিধানই নয়, বরং এটা ইসলামের একটি প্রতীক। যাকে সম্মান করা প্রতিটি মুসলমানের জন্য আবশ্যক। তাই প্রকাশ্যে সেই ফরজ বিধানকে লঙ্ঘণ করতে সহযোগিতা করা মুসলমানদের জন্য বৈধ নয়।
তবে যদি এ কাজ ছাড়া আর কোন কাজ না থাকে, তাহলে এ কাজের প্রতি মন থেকে অপছন্দ করার সাথে করলে আশা করি গোনাহ হবে না। পারিশ্রমিক গ্রহণও জায়েজ হবে।
وَمَن يُعَظِّمْ شَعَائِرَ اللَّهِ فَإِنَّهَا مِن تَقْوَى الْقُلُوبِ ﴿الحج: ٣٢
أَلَّا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَىٰ ﴿النجم: ٣٨
رجل استأجر رجلا ليصور له صورا، أو تماثيل الرجال فى بيت، أو فسطاط، فإنى أكره ذلك، وأجعل له الأجر، قال هشام: تأويله إذا كان الإصباغ من قبل الأجير (الفتاوى التاتارخانية-15/130، رقم-22431، الفتاوى الهندية-4/450، جديد-4/486)
يجب الأجر بمجرد التسليم، ولا معصية فيه وإنما المعصية بفعل المستأجر وهو مختار، فينقطع نسبته عنه (رد المحتار، زكريا-9/562، كرتاشى-6/391)
إذا استأجر رجلا لينحت له طنبورا، أو بربطا ففعل يطيب له الأجر إ لا أنه يأثم فى الإعانة على المعصية (الفتاوى الهندية-4/450، جديد-4/486)
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
প্রধান মুফতী: জামিয়াতুস সুন্নাহ লালবাগ ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া ইসলামিয়া দারুল হক লালবাগ ঢাকা।
পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।
ইমেইল– ahlehaqmedia2014@gmail.com