প্রচ্ছদ / কুরবানী/জবেহ/আকীকা / কারেন্টের শকড দিয়ে অজ্ঞান করে পশু জবাই করলে কুরবানী হবে?

কারেন্টের শকড দিয়ে অজ্ঞান করে পশু জবাই করলে কুরবানী হবে?

প্রশ্ন

জনাব,আসসালামু আলাইকুম।

আমি একজন প্রবাসী। আমাদের এখানে পশু যবেহ করার নির্দিস্ট সেন্টার আছে। এই সেন্টারগুলোতে যবেহ করার আগে পশুকে অজ্ঞান করা হয়। সাধারণত ইলেক্ট্রিক শক বা কিছু দ্বারা আঘাত করে পশুকে অজ্ঞান করে এর পর যবেহ করতে হয়।

প্রশ্ন হল,এভাবে অজ্ঞান করার পর আল্লাহ তালার নাম নিয়ে যবেহ করলে কি কুরবানি বৈধ হবে?

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

এভাবে কারেন্টের শকড দেবার কারণে পশুকে অতিরিক্ত কষ্ট দেয়া হয়। এ কারণে উক্ত কাজটি মাকরূহ। এমনভাবে নির্দয় কাজ করা থেকে বিরত থাকা প্রতিটি মুমিনের উপর কর্তব্য।

যদি শকড দেবার পরও প্রাণীটি জীবিত থাকে, তাহলে আল্লাহর নামে সঠিকভাবে জবাই করলে কুরবানী শুদ্ধ হয়ে যাবে। যদিও শকড দেয়ার কারণে কাজটি মাকরূহ হয়েছে।

কিন্তু যদি শকড সহ্য করতে না পেরে প্রাণীটি মারা যায়, তাহলে উক্ত পশু জবাই করলেও হালাল হবে না। কুরবানীও আদায় হবে না।

والحاصل أن كل ما فيه زيادة الألم إليه فى الذكاة مكروه (الهندية، كتاب الذبائح، الباب الأول-5/288)

وندب إحداد شفرته قبل الإضجاع، وكره بعده كالجر برجلها إلى المذبح (الدر المحتار مع رد المحتار-9/427)

عن ابن عباس أن رجلا أضجع شاة يريد أن يذبحها وهو يحد شفرته، فقال له النبى صلى الله عليه وسلم أتريد أن تميتها موتات، هلا حددت شفرتك قبل أن تضجعها (مستدرك حاكم-7/2696، رقم-7563)

عن شداد بن أوس قال: ثنتان حفظتهما عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: كتب عليكم الإحسان على كل شيئ، فإذا قتلتم فأحسنوا القتلة وإذا ذبحتم فاحسنوا الذبح وليحد أحدكم شفرته فليرح ذبيحته (صحيح مسلم، الصيد والذبائح، باب الأمر بإحسان الذبح-2/152، رقم-1955)

حُرِّمَتْ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةُ وَالدَّمُ وَلَحْمُ الْخِنزِيرِ وَمَا أُهِلَّ لِغَيْرِ اللَّهِ بِهِ وَالْمُنْخَنِقَةُ وَالْمَوْقُوذَةُ وَالْمُتَرَدِّيَةُ وَالنَّطِيحَةُ وَمَا أَكَلَ السَّبُعُ إِلَّا مَا ذَكَّيْتُمْ [٥:٣]

তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে মৃত জীব, রক্ত, শুকরের মাংস, যেসব জন্তু আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গকৃত হয়, যা কন্ঠরোধে মারা যায়, যা আঘাত লেগে মারা যায়, যা উচ্চ স্থান থেকে পতনের ফলে মারা যা, যা শিং এর আঘাতে মারা যায় এবং যাকে হিংস্র জন্তু ভক্ষণ করেছে, কিন্তু যাকে তোমরা যবেহ করেছ। [সূরা মায়িদা-৩]

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা-জামিয়া ফারুকিয়া দক্ষিণ বনশ্রী ঢাকা।

ইমেইল[email protected]

0Shares

আরও জানুন

ইমামের সামনের সুতরা কি মাসবূক মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট?

প্রশ্ন ইমামের সুতরা মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট কি না? এবং ইমামের সুতরা মসবুক ব্যাক্তির জন্য যথেষ্ট …