প্রচ্ছদ / তাবলীগ জামাত / “দ্বীনের প্রতিটি কথা বলা এবং শোনার দ্বারা এক বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব হাসিল হয়” কথাটির ভিত্তি আছে কি?

“দ্বীনের প্রতিটি কথা বলা এবং শোনার দ্বারা এক বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব হাসিল হয়” কথাটির ভিত্তি আছে কি?

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম।

হযরত! আমি তাকবীর হাসান। ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার। থাকি আরমানিটোলা, পুরান ঢাকা।

আমি পার্সোনালি আপনার লেখা খুবই লাইক করি। আপনার সময় খুবই মূল্যবান। তাই সময় নষ্ট করবো না।

আমাদের কিছু দ্বীনী সাথী ভাই তাদের বয়ানে একটি কথা খুব বলতে শোনা যায়, তাহল, দ্বীনের প্রতিটি কথা বলা এবং শোনার দ্বারা এক বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব হাসিল হয়।

উক্ত কথাটির কোন ভিত্তি আছে কি না?

বিঃদ্রঃ

সঙ্গত কারণে প্রশ্ন থেকে কিছু কথাকে বাদ দেয়া হয়েছে। এ কারণে প্রশ্নকারীর কাছে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

কর্তৃপক্ষ

তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

আমরা আমাদের সাধ্যানুপাতে খোঁজেও উক্ত কথার কোন বিশুদ্ধ সূত্র খুঁজে পাইনি। তাই উক্ত কথা বলার অনুমতি আমরা প্রদান করতে পারছি না।

যারা উক্ত কথাটি বলেন, তাদের দায়িত্ব উক্ত কথাটির বিশুদ্ধ সূত্র উল্লেখ করা। বিশুদ্ধ সূত্র উল্লেখ করা ব্যতিত নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস হিসেবে উপরোক্ত কথাটি বলা কিছুতেই সঙ্গত হবে না।

، عَنِ المُغِيرَةِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ كَذِبًا عَلَيَّ لَيْسَ كَكَذِبٍ عَلَى أَحَدٍ، مَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا، فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ

হযরত মুগীরা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয় আমার উপর মিথ্যারোপ করা অন্য ব্যক্তির উপর মিথ্যারোপ করার মত নয়। যে ব্যক্তি ইচ্ছেকৃতভাবে আমার নামে মিথ্যা কথা বলে, তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। [বুখারী, হাদীস নং-১২৯১]

নসিহত

দু’ একজন ব্যক্তির ভুল কথার কারণে দাওয়াত ও তাবলীগের মকবুল মেহনতের কোন ক্ষতি হয় না। ব্যক্তির ভুলের কারণে দাওয়াত ও তাবলীগের মত বিশ্বনন্দিত ও মকবুল মেহনত সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষণ করা যাবে না। মাসায়েল ও হাদীসের তাহকীকের ক্ষেত্রে গবেষক উলামা ও মুহাদ্দিস আলেমদের শরাপন্ন হই। ইনশাআল্লাহ ভুল আমল ও ভুল কথা থেকে আমাদের ঈমান ও আমল হিফাযত হবে।

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।

মুহাদ্দিস-জামিয়া উবাদা ইবনুল জাররাহ, ভাটারা ঢাকা।

ইমেইল[email protected]

0Shares

আরও জানুন

ইমামের সামনের সুতরা কি মাসবূক মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট?

প্রশ্ন ইমামের সুতরা মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট কি না? এবং ইমামের সুতরা মসবুক ব্যাক্তির জন্য যথেষ্ট …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *