প্রচ্ছদ / আকিদা-বিশ্বাস / শবে কদর এক রাত হলে সারা বিশ্বে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে কিভাবে শবে কদর হয়?

শবে কদর এক রাত হলে সারা বিশ্বে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে কিভাবে শবে কদর হয়?

প্রশ্ন

প্রশ্নকারীর নাম: সুহায়েল আহমদ

ঠিকানা: গোয়ালাবাজার,ওসমানীনগর,সিলেট

জেলা/শহর: সিলেট

দেশ: বাংলাদেশ

প্রশ্নের বিষয়: শ‌বে কদর

বিস্তারিত:
—————-
আসসালামু আলাইকুম । হুজুর , আমরা জা‌নি শ‌বে কদর  এক‌টি । তা ও শেষ দশ‌কের যে কো‌নো এক‌টি বে‌জোড় রা‌তে ।‌ কিন্তু ভৌগ‌লিক অবস্থা‌নের কার‌ণে এক দে‌শে রাত আ‌রেক দে‌শে দিন। বাংলা‌দে‌শে যখন ২৬ রমজান তখন সৌ‌দি বা অন‌্যান‌্য দে‌শে ২৭ রমজান ।আবার বাংলা‌দে‌শে যখন ২৭ রমজান অন‌্যান‌্য দে‌শে ২৮ রমজান । এখন প্রশ্ন হল, আল্লাহ তাআলা কি এক‌কে দে‌শের জন‌্য এ‌কেক রাত‌কে  শ‌বে  কদর হিসা‌বে ধরবেন?

 

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

একেক দেশে একেক রাত শবে কদর হতে সমস্যাতো নেই। আল্লাহ তাআলার জন্যই সবই সম্ভব।

শেষ রাতের একটি ফযীলতপূর্ণ হাদীস আছে। যাতে ইরশাদ হচ্ছেঃ

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا مَضَى شَطْرُ اللَّيْلِ أَوْ ثُلُثَاهُ يَنْزِلُ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا فَيَقُولُ هَلْ مِنْ سَائِلٍ يُعْطَى هَلْ مِنْ دَاعٍ يُسْتَجَابُ لَهُ هَلْ مِنْ مُسْتَغْفِرٍ يُغْفَرُ لَهُ حَتَّى يَنْفَجِرَ الصُّبْحُ

আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রাতের অর্ধেক অথবা দু’ তৃতীয়াংশ অতিক্রম হলে মহান ও বারাকাতময় আল্লাহ দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করে বলতে থাকেনঃ কোন প্রার্থনাকারী আছে কি যাকে দেয়া হবে? কোন আহবানকারী আছে কি যার আহবানে সাড়া দেয়া হবে? কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছে কি, যাকে ক্ষমা করা হবে? আল্লাহ তা’আলা ভোর প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত এরূপ বলতে থাকেন। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৫৯, ইফাবা-১৬৪৪]

এ হাদীসের ক্ষেত্রেও একই প্রশ্ন উত্থাপিত হবে। পৃথিবীর সর্বত্র একই সময়ে মধ্য রাত বা শেষ রাত হয় না। তাহলে আল্লাহ তাআলার নুজূলে রহমাত সারা পৃথিবীর শেষ রাতে কিভাবে হয়?

হ্যাঁ, ঘুরে ঘুরেই হয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যে সময় মধ্য বা শেষ রাত, তখন উপরোক্ত হাদীসের ফযীলত ও আল্লাহর আহবান সে স্থানের জন্য প্রযোজ্য হয়।

তেমনি পৃথিবীর যে প্রান্তে যে রাত লাইলাতুল কদর সেখানে সে সময়ই লাইলাতুল কদরের ফযীলত ও রহমাত নাজিল হবে।

এতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই। আল্লাহ তাআলার জন্য সবই সম্ভব।

আশা করি বুঝতে কষ্ট হয়নি।

আল্লাহ তাআলার প্রথম আসমানে নাজিল হবার অর্থ জানতে হলে পড়ুন:

আল্লাহ তাআলার প্রথম আসমানে নাজিল হবার অর্থ কী?

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।

পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।

ইমেইল[email protected]

0Shares

আরও জানুন

ইমামের সামনের সুতরা কি মাসবূক মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট?

প্রশ্ন ইমামের সুতরা মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট কি না? এবং ইমামের সুতরা মসবুক ব্যাক্তির জন্য যথেষ্ট …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *