প্রচ্ছদ / আহলে হাদীস / মাযহাব কখন গ্রহণীয় আর কখন বর্জনীয়?

মাযহাব কখন গ্রহণীয় আর কখন বর্জনীয়?

প্রশ্ন

‘মাজহাব’ কি সর্ব অবস্থায় গ্রহণীয়? যদি গ্রহণীয় না হয়, তাহলে ঠিক কোন কোন অবস্থায় কেন মাজহাব বর্জন গ্রহণীয়?

তা একটু ব্যাখ্যা করবেন।

উত্তর

بسم الله الرحمن الرحيم

আপনি প্রথমে মাযহাব কী? এটা জানুন। তাহলে কোথায় গ্রহণীয় আর কোথায় বর্জনীয় তা নিজেই বুঝতে পারবেন।

মাযহাব হল পথ। যার গন্তব্য হল কুরআন ও সুন্নাহ। সহজ কথায় কুরআন ও সুন্নাহ বুঝার সহজ পথের নাম হল, মাযহাব।

আর মাযহাব মানার প্রয়োজন হয় ৫ প্রকার মাসআলায়। আমাদের ওয়েব সাইটে বিস্তারিত লেখা আছে “তাকলীদের হাকীকতঃ একটি তাত্ত্বিক পর্যালোচনা” শিরোনামে।

তাকলীদের হাকীকতঃ একটি তাত্ত্বিক পর্যালোচনা (পর্ব-১)

তাকলীদের হাকীকতঃ একটি তাত্ত্বিক পর্যালোচনা (পর্ব-২)

তাকলীদের হাকীকতঃ একটি তাত্ত্বিক পর্যালোচনা (পর্ব-৩)

প্রবন্ধটি পড়লে আশা করি সব উত্তর পেয়ে যাবেন।

এখানে সংক্ষেপে শুধু বলি যে, পাচ প্রকার মাসআলায় মাযহাবের দ্বারস্ত হতে হয়। যথা-

১) মাসায়েলে গায়রে মানসূসাহ। তথা কুরআন ও হাদীসে বাহ্য শব্দে যেসব বিষয়ের বিধান নেই।

২) মাসায়েলে মানসূসায়ে মুতাআরিজা। তথা কুরআন ও হাদীসে আছে কিন্তু বাহ্যত বিপরীতমুখী।

৩) মাসায়েলে মানসূসায়ে মুহতামিলাতুল মাআনী। তথা কুরআন ও হাদীসে আছে কিন্তু অনেক অর্থবোধক।

৪) মাসায়েলে মানসূসায়ে মুজমালা। তথা কুরআন ও হাদীসে আছে কিন্তু সংক্ষিপ্ত।

৫) মাসায়েলে মানসূসায়ে গায়রে মুতাআইয়্যিনাতিল আহকাম। তথা কুরআন ও হাদীসে আছে কিন্তু হুকুম বর্ণিত নেই।

এ ৫ প্রকার মাসআলায় আমরা গায়রে মুজতাহিদরা মাযহাবের অনুসরণ করি। আর বাকি মাসআলায় মাযহাব মানার কোন প্রয়োজন নেই।

আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।

ইমেইল[email protected]

0Shares

আরও জানুন

ইমামের সামনের সুতরা কি মাসবূক মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট?

প্রশ্ন ইমামের সুতরা মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট কি না? এবং ইমামের সুতরা মসবুক ব্যাক্তির জন্য যথেষ্ট …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *