প্রশ্ন
الســـــــلام عليـــــــــــكم ورحمــــــــــة الله
মাননী মুফতী সাহেব
সালাম নিবেন। গত বেশ কিছু দিন পূর্বে আপনার কাছে সম্পত্তি বন্ঠন সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম, যার উত্তর আপনি দিয়েছিলেন। আলহামদুল্লিাহ্ উত্তর পেয়েছি। আপনার শরঈ সমাধান পেয়ে আমরা খুবই উপকৃত হয়েছি। আল্লাহ আপনাকে প্রতিদান দিবেন।
আপনার বর্ণিত বন্ঠন পদ্ধতিতে বন্ঠন করতে যেয়ে নতুন করে সমস্যাই পতিত হয়ে পুনরায় আপনার সরানপন্ন হলাম। আশা করি এবারও আপনি সুন্দর একটি সমাধান দিবেন।
আমাদের যে জমি বন্ঠন করতে হবে তার মাপ হল, লম্বা- ৮৭ হাত, চওড়া – ৩০ হাত। চওড়া পাশ রাস্তার সাথে মিলানো। রাস্তা থেকে ৪০ হাত ভিটা অর্থাত এখনই তাতে নতুন মাটি ভরাট ছাড়া বসবাস বা ঘর বানানো সম্ভব, এ জমির মুল্য বাকীটুকুর তুলনায় তিন গুন। বাকি টুকু নিচু জমিএবং পানি আটকে থাকে এবং প্রচুর মাটি ভরাট ব্যাতিত সেখানে কোন ঘর করা সম্ভব না, এ জমির মুল্য কম।
এই জমিনের ওয়ারিসদের মধ্য হতে কেউ চাচ্ছে তারা উচু এলাকার জমিন নিবে অন্যদের নিচু এলাকার জমি দিবে। কিন্তু অন্যরা নিচু জমিন নিতে সন্তুষ্ট না তারাও উচু জমিন চায়।
এমতাবস্থায় শরঈ সমাধান কি হবে? কে কিভাবে পাবে ? বিস্তারিত বলে দিলে উপকৃত হব। আমাদের মাঝের এই সমস্যা যা মারাত্তক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে; তারও সমাধার হবে। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
ধন্যবাদান্তে
মুহাম্মাদ মুজিবুর রহমান
বি. কে মেইন রোড (লোহার গেট) খুলনা-৯১০০
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সমাধান খুবই সহজ। এটা স্বাভাবিক সুস্থ্য বিবেকই সমাধান করে দিচ্ছে। সেটি হল, পূর্বের সমাধান অনুযায়ী যারা যতটুকু অংশ পাচ্ছে তারা ততটুকু অংশ নিবে। সেক্ষেত্রে যেহেতু জমিনের মূল্যে তারতম্য হয়ে যাচ্ছে, বা এক জমিনের সমান আরেক জমিন হওয়ার জন্য খরচের প্রয়োজন হচ্ছে, তাই যারা দামি জমিন নিতে চাচ্ছে, তারা কমদামী জমিনের মূল্য পরিশোধ করে দিবে অংশ হিসেবে।
যেমন উঁচু জমিটির মূল্য ২৫হাজার টাকা। আর নিচু জমিটির মূল্য ১৫হাজার টাকা। তাহলে দুই জমিনের মাঝে গ্যাপ কত হাজার টাকা? নিশ্চয় ১০হাজার টাকা।
এখন যারা উঁচু জমিটি নিতে চাচ্ছে, তারা নিচু জমিন যারা নিবে তাদেরকে ঐ ১০হাজার টাকা তাদের অংশ অনুপাতে পরিশোধ করে দিবে। অর্থাৎ উঁচু জমিন যদি একজন তিনভাগের দুইভাগ নেয়, আর একজন একভাগ নেয়, তাহলে যিনি দুইভাগ নিবে, তিনি একভাগ যিনি নিবেন, তার চেয়ে ডাবল অর্থ দিবেন। অর্থাৎ একভাগ যিনি নিচ্ছেন, তার ভাগে যদি চার হাজার টাকা আসে, তাহলে যিনি দুইভাগ নিচ্ছেন, তার ভাগে আসবে ৮হাজার টাকা।
এভাবে উঁচু ও নিচু দুই জমিনের মূল্য নির্ধারিত করে বন্টনটিকে পরিপূর্ণ করা যায় খুব সহজেই।
“وإذا كان أرض وبناء؛ فعن أبي يوسف أنه يقسم كل ذلك على اعتبار القيمة” لأنه لا يمكن اعتبار المعادلة إلا بالتقويم. (هداية، كتاب القسمة، فصل فى كيفية القسمة-4/414
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।