প্রশ্ন
মুফতী সাহেবের কাছে আমার প্রশ্ন হল, আমরা অনেকেই শিয়া মতবাদ সম্পর্কে জানি না। শিয়া মতবাদ কার মাধ্যমে উৎপত্তি হয়েছে। কিভাবে এ মতবাদ ছড়িয়ে পড়ল। এ বিষয়ে কিছু জানালে উপকৃত হতাম।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
ইয়াহুদ। ইসলাম ও মুসলমানদের চির দুশমন। মদীনায় ছিল তাদের ব্যাপক প্রভাব। অসংখ্য উলামা ছিল মদীনা জুড়ে। ইহুদী মাশায়েখ, বুযুর্গ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ইহুদী ইবাদতখানা ছিল মদীনায়। ছিল সম্মান ও প্রতিপত্তি।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদীনায় আসলেন। তখন ধীরে ধীরে তাদের সেই ইজ্জত ও সম্মান ধুলায় মিশে যেতে থাকে। তাই প্রথম থেকেই তারা মুসলমানদের দুশমনীতে লিপ্ত হয়। শুরু করে নানাভিদ ষড়যন্ত্র।
মুসলমানদের সাথে কৃত ওয়াদা একের পর ভঙ্গ করতে থাকে। মক্কার মুশরিকদের সাথে মিলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হত্যা এবং মুসলমানদের সমূলে ধ্বংস করার একের পর এক ভয়ানক ষড়যন্ত্র করতে থাকে।
ফলে তাদেরকে মদীনা থেকে বিতাড়িত করা হয়। প্রথমে খায়বারে আশ্রয় নেয়। অবশেষে তাদের সেখান থেকেও বহিস্কার করা হয়।
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবদ্দশায়, তারপর হযরত আবূ বকর সিদ্দীক রাঃ এবং হযরত উমর রাঃ এর খিলাফতের স্বর্ণযুগে পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে থাকে ইসলাম। এলাকার পর এলাকা, রাষ্ট্রের পর রাষ্ট্র মুসলমানদের অধীনত হতে থাকে। বাড়তে থাকে মুসলমানদের শক্তি ও সমৃদ্ধি। উড়তে থাকে ইসলামের বিজয় পতাকা।
ইসলাম ও মুসলমানদের এ দুর্দমনীয় বিজয় অভিযানে যারা সবচে’ বেশি হিংসার আগুণে পুড়ছিল তারা ছিল ইহুদী সম্প্রদায়।
ইহুদীরা অনুধাবন করে। মুসলমানদের এ বিজয় অভিযানের মূল স্পিরিট হল, মুসলমানদের একতা। পারস্পরিক মোহাব্বত। ভালবাসা। হৃদ্যতা। সম্পদ ও পদের প্রতি নির্মোহতা। নিষ্কলুষ ভ্রাতৃত্ব। আকীদার বিশুদ্ধতা। উদ্দেশ্য ও মাকসাদের অভিন্নতা। অনুপম এ আদর্র্শিক মিল ছিল এগিয়ে যাবার পথে দূর্জেয় হবার মূল সহায়ক।
যতদিন মুসলমানরা এভাবে একও অভিন্ন থাকবে ততদিন তাদের চুল পরিমাণ ক্ষতি কেউ করতে পারবে না।
তাই তাদের পরাভূত করতে হলে হাটতে হবে ভিন্ন পথে। বন্ধুর বেশে ঢুকতে হবে তাদের মাঝে। ভিতরে প্রবেশ করে ঢালতে হবে ষড়যন্ত্রের বিষ। পারস্পরিক মোহাব্বত ভালবাসায় চিড় ধরাতে হবে। ফাটল সৃষ্টি করতে হবে ভ্রাতৃত্বের মাঝে। আকীদা আমলের মতভেদ দিয়ে দ্বিধা বিভক্ত করতে হবে সীসাঢালা প্রাচির সদৃশ্য এ মুহাম্মদী কাফেলাকে। অস্ত্রের যুদ্ধ নয় মস্তিস্কের ঠান্ডা যুদ্ধে রুখতে হবে মুসলমানদের বিজয়াভিযান।
আব্দুল্লাহ বিন সাবা। কট্টরপন্থী ইহুদী আলেম। ইয়ামানের “ছানআ” নগরীর বাসিন্দা। নিজের স্বচক্ষে নিজের ধর্মাবলম্বীদের পরাজয় আর লজ্জাজনক পলায়ন দেখছিল। প্রতিশোধের আগুণে জ্বলছিল। বাহ্যিক মুসলমান সেজে মুসলমানদের ভিতর থেকে ধ্বংস করার হীন চক্রান্ত বুনে চলছিল মনে মনে। বংশীয় সাম্প্রাদিয়কা এবং মনগড়া আকীদা বিস্তার করে নিজের কার্যসিদ্ধি করার গভীর ষড়যন্ত্রের নিখুঁত ছক আঁকছিল এ নরাধম।
হযরত আবূ বকর রাঃ এবং হযরত উমর রাঃ এর শাসনামলে সে তার কার্যসিদ্ধি করার কোন সুযোগই পাচ্ছিল না।
কিন্তু তৃতীয় খলীফা দয়ার্দ্র দানশীল এবং নরম দিলের অধিকারী হযরত উসমান রাঃ এর আমলকে সে তার উদ্দেশ্য হাসিলের মওকা হিসেবে বেছে নেয়।
ইয়ামান থেকে আব্দুল্লাহ বিন সাবা চলে আসে মদীনায়। বাহ্যিকভাবে ইসলাম কবুল করে নেয়। বসবাস শুরু করে মদীনায়।
কিছুদিন যেতে না যেতেই হযরত উসমান রাঃ এর কাছে রাষ্ট্রীয় চাকুরীর আবেদন করে বশে। কিন্তু হযরত উসমান রাঃ তাকে সে কাজের যোগ্য মনে না করায় তার প্রস্তাবে রাজি হননি।
হযরত উসমান রাঃ ইসলাম আগমণের আগ থেকেই মস্ত ধনী ব্যক্তি ছিলেন। তার ধন অশ্বৈর্য দ্বারা ইসলাম ও মুসলমানদের অগণিত উপকার সাধিত হয়েছে। অনেক গোলাম সাহাবীকে তিনি ক্রয় করে আযাদ করেছেন। মসজিদে নববীর জন্য যায়গা ক্রয় করে ওয়াকফ করেছেন। একাধিক কুপ ও বাগান ক্রয় করে ওয়াকফ করেছেন। আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশি, গরীব-দুঃখী সবাইকে তিনি দু’হাত ভরে দান করতেন। খলীফা হবার পরও তার এ দান করার রীতি বন্ধ হয়নি। স্বীয় সম্পদ থেকে তিনি মুক্ত হস্তে দান করতেন।
আব্দুল্লাহ বিন সাবা হযরত উসমান রাঃ এর এ মহৎ গুণকে খুবই নোংরাভাবে উপস্থাপন করা শুরু করে দিল। অপপ্রচার করতে লাগল যে, হযরতে উসমান রাঃ এসব কিছু বাইতুল মাল থেকে দান করছেন। নিজের আত্মীয় স্বজনকে বাইতুল মাল থেকে দান করে বাইতুল মাল খালি করে ফেলছেন।
সাথে সাথে এও প্রচার করা শুরু করল যে, বনু হাশেমই কেবল হুকুমত করার হকদার। বনু উমাইয়া নয়। অথচ বনু উমাইয়ার লোকজন এখন হুকুমত করছে। এটা অন্যায়।
এসব সাম্প্রাদায়িক মনোবৃত্তি এবং নাজুক অভিযোগগুলোর কারণে কতিপয় সহজ সরল সাহাবা বিভ্রান্ত হতে থাকেন।
হযরত উসমান রাঃ ইবনে সাবার এহেন কর্মকা-ের কথা জানতে পেরে তাকে মদীনা থেকে বহিস্কার করে দেন।
আব্দুল্লাহ বিন সাবা মদীনা থেকে বহিস্কৃত হয়ে বসরায় চলে আসে। বসরায় গিয়েও একইভাবে প্রোপাগা-া করতে থাকে। বসরায় এসে ইবনে সাবা মদীনায় ছড়ানো প্রোপাগা-ার সাথে নতুন বিষয় জুড়ে দেয়। সেটি হল, আহলে বাইতের প্রতি অতি মোহাব্বত। কিছুদিন যেতে না যেতেই বর্তমান খলীফা হযরত উসমান রাঃ এবং তার নিযুক্ত গভর্ণরদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে দোষচর্চা আরম্ভ করে।
বসরার গভর্ণর তাকে গ্রেফতার করেন। জানালেনঃ তোমার কাজকর্মতো মুসলমানদের মত নয়। মনে হচ্ছে তুমি ইহুদী।
তারপর তাকে বসরা থেকে বহিস্কার করে দেন।
ইবনে সাবা বসরা থেকে বহিস্কার হয়ে কুফার পথে রওয়ানা হয়।
দুঃখজনক বিষয় হল, আগে থেকেই কুফায় কিছু লোক হযরত উসমান রাঃ এর বিরোধী ছিল। সেই সমস্ত লোকদের কাছে ইবনে সাবা বড় আলেম ও আবেদ হিসেবে উপস্থিত হয়। নিজের মাকসাদ ও ধর্ম পরিচয় গোপন রেখে তার ষড়যন্ত্রের বিজ কুফায় বপন করতে থাকে। সহজ সরল অনেক মুসলমানকে তার জালে বন্দী করে ফেলে।
অবশেষে কুফার গভর্ণরের হাতে পাকড়াও হয়ে সেখান থেকেও সে বহিস্কার হয়। কিন্তু যাবার আগে কুফায় তার ভক্তদের এক বড় জামাত তৈরী করে যায়।
এবার পাড়ি জমায় দামেশের পথে। কিন্তু দামেশকের গভর্ণর হযরত মুয়াবিয়া রাঃ ছিলেন সমঝদার এবং তীক্ষ্ম দৃষ্টির অধিকারী। খুবই সচেতন শাসক। তাই দামেশকে তার ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করতে সাহস পাচ্ছিল না।
একবার সাহস করে হযরত আবূ দারদা রাঃ এর কাছে ইবনে সাবা তার বক্তব্য উপস্থাপন করলে, তিনি পরিস্কার বলে দেন যে, তোমাকে আমার ইহুদী মনে হয়।
তারপর আরেকবার হযরত উবাদা বিন সামেত রাঃ এর কাছে আসে। তিনি তার কথা শুনে পাকড়াও করে আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ এর দরবারে নিয়ে যান। জানিয়ে দেন, আমার তাকে ইসলামের দুশমন মনে হচ্ছে। তার ব্যাপারে খোঁজ খবর নেয়া দরকার তার মাকসাদ কী?
হযরত মুয়াবিয়া রাঃ তাকে তৎক্ষণাৎ দামেশক ছেড়ে চলে যাবার আদেশ করেন।
দামেশক থেকে ইবনে সাবা চলে যায় মিশর। মিশর ছিল ইবনে সাবার জন্য উর্বর যায়গা। কারণ, মিশরের কিছু লোক মিশরের গভর্ণরের উপর ক্ষীপ্ত ছিল।
ধূর্ত ইবনে সাবা মিশরকেই তার মিশন বাস্তবায়নের কেন্দ্র বানিয়ে নেয়। এখান থেকে বসরা ও কুফায় থাকা তার অনুসারীদের কাছে চিঠি চালাচালি করতে করতে থাকে।
নিজের অনুসারীদের মাধ্যমে এক শহরের গভর্ণরের বিরুদ্ধে কুৎসা লিখে আরেক শহরে পাঠানোর আদেশ করে। ফলে প্রতিটি শহরেই গভর্ণরদের বিরোধী পক্ষ বাড়তে থাকে।
ইবনে সাবা নতুন গুটি চালানো শুরু করে। হযরত উসমান রাঃ এর বিরোধীতা করার সাথে সাথে হযরত আলী রাঃ এর শ্রেষ্ঠত্ব অতিরঞ্জন করে উপস্থাপন করতে থাকে। বলতে থাকেঃ “প্রতিটি নবীরই একজন উজীর এবং নৈকট্যশীল থাকে। যেমন মুসা আলাইহিস সালামের ছিল হযরত ইউশা বিন নূন। তেমনি আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উজীর ও নৈকট্যশীল হলেন সাইয়্যিদুনা আলী রাঃ। হযরত আলী রাঃ নবীর ওছী ছিলেন। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওছিয়ত করেছেন, তার পরে খলীফা ও ইমাম হবেন আলী। তিনি সমস্ত সাহাবীগণ থেকে শ্রেষ্ঠ ও উত্তম। ”
এভাবে হযরত আলী রাঃ এর মর্যাদা মানুষের সামনে অতিরঞ্জন করে পেশ করতে থাকে। সাথে সাথে এ বিষয়ে জাল-বানোয়াট হাদীস বর্ণনা করতে থাকে।
মাঝে মাঝে একথাও প্রচার শুরু করে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তেকালের পর খিলাফাতের হকদার ছিলেন হযরত আলী রাঃ। কিন্তু প্রথম দুই খলীফা তার থেকে খিলাফত ছিনতাই করে নিয়ে গেছেন। [নাউজুবিল্লাহ]
এছাড়া এ বিষমাখা আকীদাও লোকদের মাঝে প্রসিদ্ধ করার চেষ্টা করে যে, যেমনিভাবে তাওহীদ, রেসালাত, কিয়ামতের আকীদা রাখা জরুরী, তেমনি মুসলমানদের আকীদায়ে ইমামতের আকীদা রাখাও মুসলমানদের জন্য আবশ্যক।
কখনো এমন কথাও প্রচার করতো যে, আলী রাঃ থেকে এমন সব কারামত প্রকাশ পেয়েছে যা মানুষের পক্ষে অসম্ভব। তাই তিনি মানুষের সূরতে মূলত খোদা।
খিলাফাত বিষয়ে লোকদের বুঝাতে থাকে যে, সাহাবায়ে কেরাম রাঃ হযরত আলী রাঃ এর উপর জুলুম করেছেন। তাকে তার হক পেতে দেননি। খিলাফত ও ইমামতের যোগ্য ছিলেন কেবলি আলী। কিন্তু প্রথম তিন খলীফা তার সেই হককে ছিনিয়ে নিয়েছেন। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে সাধ্যানুপাতে অভিশাপ দিতে হবে। আলী রাঃ এর হক তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে।
আব্দুল্লাহ বিন সাবার উপরোক্ত প্রোপাগা-া দ্বারা তার মাকসাদ ছিল হযরত উসমান রাঃ কে হঠিয়ে হযরত আলী রাঃ কে খিলাফতের মসনদে বসানো। আর এ বিষয়টিকে নিয়ে মুসলমানরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়–ক। পারস্পরিক একতা নষ্ট হয়ে যাক। মুসলমানরা দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে যাক। ফলে থেমে যাক ইসলামের বিজয়াভিজান। থেমে যাক দ্রুত ধাবমান জয়যাত্রা।
এটাই ছিল ইহুদী আব্দুল্লাহ বিন সাবার মূল মাকসাদ।
উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা আশা করি আপনাদের কাছে পরিস্কার যে, ইহুদী আব্দুল্লাহ বিন সাবাই ছিল “শিয়া’ মতবাদের মূল উদ্যোক্তা। তার নোংরা মস্তিস্ক থেকেই উদ্ভুত হয়েছে এ নয়া ফিরক্বা। নিজের পক্ষ থেকে ভ্রান্ত-গোমরাহী আকীদা নিজের ইচ্ছেমত বানিয়ে শিয়াদের কাছে হস্তান্তর করেছে এ নরাধম।
শিয়া মতবাদের গ্রহণযোগ্য কিতাব ‘রিজাল কাশী’ কিতাবের উদ্ধৃতিটি খেয়াল করুন!
وذكر بعض أن عبد الله بن سبا كان يهوديا فأسلم ووالى عليا عليه السلام، وكان يقول وهو على يهوديته فى يوشع بن نون وصى موسى بالغلو، فقال فى اسلامه بعد وفاة رسول الله صلى الله عليه وسلم فى على عليه السلام مثل ذالك، وكان أول من شهر بالقول بفرض إمامة على واظهر البراءة من اعدائه وكاشف مخالفيه وكفرهم، فمن هاهنا قال من خالف الشيعة: أصل التشيع والرفض مأخوذ من اليهودية (اختيار معرفة الرجال المعروف رجال الكشى، للشيخ ابى جعفر محمد بن الحسن الطوسى-103)
কতিপয় বিজ্ঞজনের জানিয়েছেন যে, নিশ্চয় আব্দুল্লাহ বিন সাবা ছিলেন ইহুদী। তারপর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং হযরত আলী রাঃ কে ওলী সাব্যস্ত করেন।
সে ইহুদী থাকা অবস্থায় মুসা আলাইহিস সালামের ‘ওছী’ ইউশা বিন নূনের ক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘণ করতো। তারপর সে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তেকালের পর ইসলাম গ্রহণ করে আলী রাঃ এর বিষয়েও একই ধরণের কথা বলতে থাকে।
আব্দুল্লাহ বিন সাবাই প্রথম ব্যক্তি যে হযরত আলী রাঃ এর ইমামত ফরজ হবার আকীদা প্রচার করে। এবং তার দুশমনদের প্রতি সম্পর্কহীনতা প্রকাশ করে। সেই সাথে তার বিরোধীদের প্রতি প্রকাশ্যে কাফির ফাতওয়া দিতে থাকে।
এ কারণেই যারা শিয়াদের বিরোধী তারা বলে থাকেন যে, শিয়া মতবাদ ইহুদীদের কাছ থেকেই গ্রহণ করা হয়েছে। [রিজাল কাশী, আবূ যাফর মুহাম্মদ বিন হাসান তূছীকৃত-১০৩ পৃষ্ঠা]
শিয়া ধর্মের গ্রহণযোগ্য কিতাব ‘রিজাল কাশী’ কিতাবের আলোচিত অংশের প্রতিচিত্র
শিয়া লেখক তূছীর লেখা রিজাল কাশীর উদ্ধৃতির মাধ্যমে একথা দীবালোকের ন্যায় পরিস্কার যে, শিয়া মতবাদ ইহুদীদের থেকেই উদ্ভুত। ইহুদীদের চিন্তা চেতনাই শিয়া মতবাদে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
এভাবেই এ মতবাদ ধীরে ধীরে ছড়াতে থাকে পুরো মুসলিম বিশ্ব জোরে।
পরবর্তী লেখাটি পড়ুন- যেভাবে শহীদ হলেন উসমান গনী রাঃ
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা-জামিয়া ফারুকিয়া দক্ষিণ বনশ্রী ঢাকা।
ইমেইল– [email protected]