প্রশ্ন
Assalamualaikum Oyarahmatullahi Obarakatuhu Sir .
আচ্ছা আমার প্রথম প্রশ্ন হল – আমরা যে মুসলিম দেশের ক্রিকেট খেলা দেখি (এই যেমন পাকিস্তান বা আফগানিস্তান দল) , এসব দেশের খেলায় জয়ের জন্য যে আমরা মুসলিমরা দোয়া করি বা এসব মুসলিম দেশ জিতলে আমরা যে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি , এটা শরীআতের আলোকে কতটুকু জায়েজ ? আর যদি নাজায়েজ হয় তাহলে কি ধরনের গুণাহ হবে ?
সগীরা গুণাহ ,কবীরা গুণাহ ,নাকি কুফরীর গুণাহ ?
কেননা আমরা মূলত বিধর্মী দলের বিরুদ্ধে মুসলিম দলের জয়ের জন্য দোয়া করি ,আর আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মুসলমানদের জয় ।
আরেকটি প্রশ্ন হল – কেউ যদি হারাম কাজের জন্য দোয়া করে তবে তাঁর কি ধরনের গুণাহ হবে ? সগীরা গুণাহ ,কবীরা গুণাহ ,নাকি কুফরীর গুণাহ ? প্রশ্নগুলোর যথাযথ উত্তর দিলে ভাল হয় ।
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
যেহেতু বর্তমান ক্রিকেট খেলায় শরীয়ত নিষিদ্ধ অনেক বিষয় রয়েছে। তাই এ টুর্নামেন্টগুলো দৃষ্টিকোণ থেকে জায়েজের পর্যায়ভূক্ত নয়।
তাই এসবের জন্য দুআ করাও জায়েজ নয়। বরং হারাম।
হারাম কাজের জন্য দুআ করা হারাম। যদি বারবার এমনটি করা হয়, তাহলে সেটি কবীরা গোনাহের অন্তর্ভূক্ত হবে। একবার দু’বার করলে তা কবীরা গোনাহ হবে না।
তবে ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি ভালবাসা ও মোহাব্বত রাখা প্রতিটি মুমিনের জন্য আবশ্যক। তবে সেটি খেলার মত তুচ্ছ বিষয়ের সাথে ঘুলিয়ে ফেলা উচিত নয়।
فى الدر المختار: (وَ) كُرِهَ (كُلُّ لَهْوٍ) لِقَوْلِهِ – عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ – «كُلُّ لَهْوِ الْمُسْلِمِ حَرَامٌ
وفى رد المحتار: وَالْإِطْلَاقُ شَامِلٌ لِنَفْسِ الْفِعْلِ، وَاسْتِمَاعُهُ كَالرَّقْصِ وَالسُّخْرِيَةِ وَالتَّصْفِيقِ وَضَرْبِ الْأَوْتَارِ مِنْ الطُّنْبُورِ وَالْبَرْبَطِ وَالرَّبَابِ وَالْقَانُونِ وَالْمِزْمَارِ وَالصَّنْجِ وَالْبُوقِ، فَإِنَّهَا كُلَّهَا مَكْرُوهَةٌ لِأَنَّهَا زِيُّ الْكُفَّارِ، (رد المحتار: كتاب الحظر والإباحة، باب الإستبراءوغيره-9/566)
قال القرافي – (الْقِسْمُ الثَّانِيَ عَشَرَ) مِنْ الدُّعَاءِ الْمُحَرَّمِ الَّذِي لَيْسَ بِكُفْرٍ وَهُوَ مَا اسْتَفَادَ التَّحْرِيمُ مِنْ مُتَعَلِّقِهِ وَهُوَ الْمَدْعُوُّ بِهِ لِكَوْنِهِ طَلَبًا لِوُقُوعِ الْمُحَرَّمَاتِ فِي الْوُجُودِ أَمَّا الدَّاعِي فَكَقَوْلِهِ اللَّهُمَّ أَمِتْهُ كَافِرًا أَوْ اسْقِهِ خَمْرًا أَوْ أَعْنِهِ عَلَى الْمَكْسِ الْفُلَانِيِّ أَوْ وَطْءِ الْأَجْنَبِيَّةِ الْفُلَانِيَّةِ أَوْ يَسِّرْ لَهُ الْوِلَايَةَ الْفُلَانِيَّةَ وَهِيَ مُشْتَمِلَةٌ عَلَى مَعْصِيَةٍ أَوْ يَطْلُبُ ذَلِكَ لِغَيْرِهِ أَمَّا لِعَدُوِّهِ كَقَوْلِهِ اللَّهُمَّ لَا تُمِتْ فُلَانًا عَلَى الْإِسْلَامِ اللَّهُمَّ سَلِّطْ عَلَيْهِ مَنْ يَقْتُلُهُ أَوْ يَأْخُذُ مَالَهُ، وَأَمَّا لِصَدِيقِهِ فَيَقُولُ اللَّهُمَّ يَسِّرْ لَهُ الْوِلَايَةَ الْفُلَانِيَّةَ أَوْ السَّفَرَ الْفُلَانِيَّ أَوْ صُحْبَةَ الْوَزِيرِ فُلَانٍ أَوْ الْمَلِكِ فُلَانٍ، وَيَكُونُ جَمِيعُ ذَلِكَ مُشْتَمِلًا عَلَى مَعْصِيَةٍ مِنْ مَعَاصِي اللَّهِ تَعَالَى فَجَمِيعُ ذَلِكَ مُحَرَّمٌ تَحْرِيمَ الْوَسَائِلِ وَمَنْزِلَتُهُ مِنْ التَّحْرِيمِ مَنْزِلَةُ مُتَعَلِّقِهِ، فَالدُّعَاءُ بِتَحْصِيلِ أَعْظَمُ الْمُحَرَّمَاتِ أَقْبَحُ الدُّعَاءِ وَيُرْوَى مَنْ دَعَا لِفَاسِقٍ بِالْبَقَاءِ فَقَدْ أَحَبَّ أَنْ يُعْصَى اللَّهُ تَعَالَى وَمَحَبَّةُ مَعْصِيَتِهِ تَعَالَى مُحَرَّمَةٌ فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ الدُّعَاءَ بِالْمُحَرَّمِ مُحَرَّمٌ فَهَذِهِ كُلُّهَا أَدْعِيَةٌ مُحَرَّمَةٌ إمَّا كَبِيرَةٌ أَوْ صَغِيرَةٌ، إنْ تَكَرَّرَتْ صَارَتْ كَبِيرَةً وَفِسْقًا (أنوار البروق في أنواء الفروق للقرافى-4/296-297)
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা-জামিয়া ফারুকিয়া দক্ষিণ বনশ্রী ঢাকা।
ইমেইল– ahlehaqmedia2014@gmail.com