প্রশ্ন
আসসালামুয়ালাইকুম। মেহেরবানী করে একটু তারাতারি উত্তর দিবেন। আমি জানি রমজানে দিনের বেলা রোযা থাকা অবস্থায় হস্ত মৈথুন করলে রোজা ভেংগে যায়। এবং এটাও জানি যে রোজা ভাংলেও আমাকে সারাদিন রোজাদারদের মত অভুক্ত অবস্থায় থাকতে হবে এবং পরে সেটা কাজা করে নিতে হবে। আমি রমজানে দিনের বেলা কয়েকদিন এই পাপ কাজটা করে ফেলি। তারপর আমি যেহেতু রোজা ভেংগে গেছে এই মনে করে গরগরা করে কুলি করি , কিছু পানি গিলে ফেলি এনং নাকের নরম অংশ পর্যন্ত পানি পৌঁছাতে গিয়ে কিছু পানি নাকের ভেতরে চলে যায়। আমার পবিত্রতা অর্জনের এই পদ্ধতিটা কি ঠিক????
যদি ভুল হয় তাহলে সঠিক পদ্ধতিটা জানায়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
গোসলের মূল ফরজ হল, নাকে ও মুখের ভিতর পানি দেয়া এবং পূর্ণ শরীরে ভালভাবে পানি পৌঁছানো। উপরোক্ত তিনটি কাজ হয়ে গেলে ফরজ গোসল আদায় হয়ে যায়।
মুখ ও নাকের গভীর পানি পৌঁছানো ফরজ নয় বরং সুন্নত।
রোযা ছাড়া অন্যান্য সময়ে ফরজ গোসল করার সময় গড়গড়া করা এবং নাকের গভীরে পানি পৌঁছানো সুন্নত।
কিন্তু রোযা রাখা অবস্থায় যেহেতু গলা ও নাকের ভিতরে পানি প্রবেশ করার দ্বারা রোযা ভঙ্গের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই রোযা রাখা অবস্থায় ফরজ গোসল করার সময় গড়গড়া এবং নাকের গভীরে পানি পৌঁছানোর চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
আপনি যেহেতু রোযা ভেঙ্গে ফেলেছেন, তাই আপনার জন্য গড়গড়া এবং নাকের গভীরে পানি পৌঁছিয়ে গোসল করাই উচিত।
وفرض الغسل كل فمه، ويكفى الشرب عبا، لأن المج ليس بشرط فى الأصح (رد المحتار-1/284)
والمبالغة فيهما بالغرغرة لغير الصائم لاحتمال الفساد (رد المحتار-1/237)
ومنها المبالغة فى المضمضة والاستنشاق إلا فى حال الصوم فيرفق، لأن المبالغة فيهما من باب التكميل فى التطهير فكانت مسنونة إلا فى حال الصوم لما فيها من تعريض الصوم للفساد (بدائع الصنائع-1/112، الفتاوى التاتارخانية-1/276، رقم-377
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা-জামিয়া ফারুকিয়া দক্ষিণ বনশ্রী ঢাকা।
ইমেইল– ahlehaqmedia2014@gmail.com