মূল–মুনাজিরে ইসলাম মুহাম্মদ আমীন সফদর উকাড়বী রহঃ
অনুবাদ ও সংযোজন–লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
১- কাফেরদের জবাই করা পশু!
কিতাবী নয় এমন কাফিরদের জবাই করা পশু খাওয়া হালাল। {গায়রে মুকাল্লিদ মীর নূরুল হাসান খানের রচিত “আরফুল জাদী-১০, ২৩৯, নওয়াব সিদ্দীক হাসান খান রচিত “দলীলুত তালেব-৪১৩}
২-জবাই
জবাইয়ের যে তরীকা ফুক্বাহায়ে কেরাম রহঃ বর্ণনা করেছেন যে, চার রগ কাটতে হবে। সেই চার রগের নাম কি কুরআন ও হাদীসে আছে? নেই। আর আপনারাতো কুরআন ও সহীহ হাদীস ছাড়া আর কোন কথা মানেন না। সুতরাং বলির নামই আপনাদের কাছে জবাই হয়ে যাবে। {আরফুল জাদী-২৩৯}
৩-বিসমিল্লাহ
কথিত আহলে হাদীসদের কাছে জবাইয়ের সময় বিসমিল্লাহ না বললে খাবার সময় বিসমিল্লাহ বললেই খানা জায়েজ হয়ে যায়। {আরফুল জাদী-২৩৯}
সুতরাং বৌদ্ধ, হিন্দুদের জবাই করা পশুও কথিত আহলে হাদীসদের কাছে খানার সময় বিসমিল্লাহ বললে জায়েজ হয়ে যাবে।
৪-সামুদ্রিক প্রাণী
সামুদ্রিক সমস্ত প্রাণী, যে আকৃতিরই হোক না কেন, তা খাওয়া জায়েজ। {আরফুল জাদী-২৩৮, ইসলামী ফিকহ-৫৫৭}
বাহ! সামুদ্রিক কুমির, কুকুর ও শুকুর, তিমি, সাপ ও রক্ষা পাবে না তাহলে ভাইদের হাত থেকে।
৫- সামুদ্রিক মৃত প্রাণী
সমুদ্রে মৃত সকল প্রাণী খাওয়া জায়েজ। {আরফুল জাদী-২৩৮, নবাব সিদ্দীক হাসান খানের বুদুরুল আহিল্লাহ-৩৩৩}
এর মানে ব্যাঙ, কাঁকড়া, কেঁচো, সাপ সবই আহার্য তাহাদের কাছে?
৬- স্থলের ঐ সমস্ত প্রাণী হালাল যাতে রক্ত নেই। {বুদুরুল আহিল্লাহ-৩৪৮}
সুতরাং কীরা, মাকড়শা, মাছি, মশা, ভিমরুল সবই হালাল।
৭- ষান্ডা খাওয়া জায়েজ। {[কথিত আহলে হাদীসদের] ইসলামী ফিক্বহ-৫৫৬}
৮- বন্য গাধা খাওয়া জায়েজ। {[কথিত আহলে হাদীসদের] ইসলামী ফিক্বহ-৫৫৬}
৯-জিরাফ খাওয়া হালাল। {[কথিত আহলে হাদীসদের] ইসলামী ফিক্বহ-৫৫৭}
১০-বন্দুকের শিকার
বন্দুকের গুলিতে মারা যাওয়া প্রাণী খাওয়া জায়েজ এবং হালাল। {বুদুরুল আহিল্লাহ-৩৩৫, ফাতাওয়া সানায়িয়্যাহ-১/১৫০}
অথচ বন্দুকের গুলিতে মারা আর গলা টিপে মারা একই কথা। তাহলে বুঝা যায়, কথিত আহলে হাদীসদের কাছে গলা টিপে হত্যাকৃত প্রাণী খাওয়া হালাল!
১১- ঘোড়া খাওয়া হালাল। {আরফুল জাদী-২৩৬}
ঘোড়া কুরবানী করা প্রমাণিত, শুধু তাই নয়, কুরবানী করা জরুরী। {ফাতাওয়া সেতারিয়া-১/১২৭}
১২- পেশাব পায়খানা
হালাল প্রাণীর পেশাব পায়খানা পবিত্র। কাপড়ে লাগলে তা সহ নামায পড়লে নামায আদায় হবে। এসবের পেশাব পায়খানা ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা জায়েজ আছে। {ফাতাওয়া সেতারিয়া-১/৫৬, ১/৪৯}
সুতরাং গরু মহিষের বিষ্টা এবং পেশাব শরবত হিসেবে পান করাও কথিত আহলে হাদীস মাযহাব মতে সম্পূর্ণ হালাল পানীয়?!
১৩- গুইসাপ
গুইসাপ হালাল প্রাণী। {আরফুল জাদী-২৩৬, যুজাযা-৩/৩১১}
১৪- বীর্য
বীর্য পবিত্র। {আরফুল জাদী-১০}
এক বক্তব্য অনুপাতে খাওয়াও জায়েজ। [ফিক্বহে মুহাম্মদিয়া-১/৪৬}
১৫-দুগ্ধপান
বড় ছেলেদেরকেও দুধ পান করানো জায়েজ আছে। {রাউজাতুন নাদিয়্যাহ-২৩৬, নুজুলুল আবরার-২/৭৭, আরফুল জাদী}
বাহ! ভাল সংবাদ। বয়স্ক ব্যক্তি বেগানা নারীর দুধ পান করবে, তাতে পর্দা গেলতো গেল, কিন্তু কথিত আহলে হাদীসদের সহীহ মাযহাবতো টিকলো!
১৬- মদ
আটা মদ দিয়ে গুলে তা দিয়ে রুটি বানালে তা খাওয়া জায়েজ আছে। কারণ এতে মদ জ্বলে যায়। {নুজুলুল আবরার}
মদ জ্বলে যাবে তাই হারাম হবার পরও হালাল হয়ে যাবে, তাহলেতো পেশাব পায়খানায়ও আটা গুলে নিয়ে আগুনে ছেঁকলে এটিকে জায়েজ বলতে থাকবেন। কারণ সেখানেওতো একই অবস্থা হয়? তাহলে এটিও কি জায়েজ নাকি?
১৭
কেঁচো, কাঁকড়া হালাল। {ফাতাওয়া সনায়িয়্যাহ-২/৭০, ২/১০৯, ২/১৩৩}
আরো অনেক দীর্ঘ ভাইদের খাবার তালিকা। কাঁকড়া, কেঁচো, বীর্য, গুইসাপ, হালাল প্রাণীর পেশাব পায়খানা, ঘোড়া, জিরাফ, সজারু, গাধা, ব্যাঙ কোন কিছুই বাদ নেই গায়রে মুকাল্লিদ ভাইদের খাবারের তালিকা থেকে। তাই তাদের বাসায় দাওয়াত খাবার আগে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের ভাইয়েরা সাবধান থাকা উচিত।
আল্লাহ তাআলা আমাদের এ ভয়াবহ জামাতের ফিতনা থেকে উম্মতে মুসলিমাকে হিফাযত করুন। আমীন।
সুন্দর , এরা আর কি চায় ইসলামে তো কোন নিষেধ নাই এদের কাছে ৷
আসলে এরাই ইসলামের ১৩টা বাজাতে চায় কোরআন হাদীসের নাম করে ,
Orato faltu lok
তাদের মুখোশ উন্মোচন করার জন্য জাঝাকাল্লাহ খাইর।
জাঝাকাল্লাহ