প্রচ্ছদ / ওয়াকফ/মসজিদ/ঈদগাহ / কাছাকাছি স্থানে দুই মসজিদ নির্মিত হলে প্রথম মসজিদ বিরান করা বা মাদরাসায় রূপান্তর করার হুকুম কী?

কাছাকাছি স্থানে দুই মসজিদ নির্মিত হলে প্রথম মসজিদ বিরান করা বা মাদরাসায় রূপান্তর করার হুকুম কী?

প্রশ্ন

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

বরাবর,

পরিচালক

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার

ঢাকা।

 

বিষয়ঃ দক্ষিন গুলিশাখালী মুনিরিয়া জামে মসজিদ নির্মান সংক্রান্ত মাছায়ালা

 

জনাব,

আসসালামু আলাইকুম। বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিন্ম স্বাক্ষরকারী পিরোজপুর জেলার অন্তর্ভুক্ত উপজেলা মঠবাড়ীয়া, গ্রাম- গুলিসাখালী এর অধিবাসী। গত ২০০৩ ইং সালে বসত-বাড়ীতে নতুন ভাবে একটি পাকা মসজিদ নির্মান করি। নতুন মসজিদ নির্মানের উপর আপনার একটি প্রশ্নোত্তর (https://ahlehaqmedia.com/939) দেখে মসজিদ সংক্রান্ত আমার বিস্তারিত বক্তব্য আপনার সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় মাসালা/ মাছায়ালের জন্য নিন্মরুপ ভাবে উপস্থাপন করা হলোঃ

১। বাবা চাচা দুই ভাই। তারা আজ জীবিত নেই।

২। বাবা দাদার আমল থেকে আমাদের বাড়ির অভ্যন্তরে টিনের ছাউনি মসজিদ (১৮ ফুটx ১২ ফুট) নির্মিত।

৩। ক্রমানুসারে বাড়ির এবং গ্রামের জনবল সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে বাড়ির অভ্যন্তরে ৮০-৯০ বৎসর পুর্বের নির্মিত টিনের ছাউনি মসজিদে নামাজের আসন সংকুলান না হওয়ায় তথা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এবং ১৫০-২০০ জন মুসাল্লিগন যাতে জুম্মার নামাজএকত্রে আদায় করতে পারে, সেদিকে বিবেচনায় রেখে ২০০২ সালের কোন এক জুম্মার নামাজ বাদ সকল মুসাল্লিদের এবং বাড়ির মুরুব্বীদের উপস্থিতিতে মসজিদ এবং মসজিদকে কেন্দ্রকরে বাড়ির বিভিন্ন সুবিধা ও অসুবিধা/ সমস্যা সমূহ আলোচনা সহ মসজিদ উন্নয়নে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সামনে রেখে নিন্ম বর্নিতপ্রস্তাব করা হয়ঃ

সমস্যাবলী ও প্রস্তাব সমূহ

ক।

প্রায় ৮০-৯০ বৎসর পূর্বে (১৮x১২ ফুট) নির্মিত টিনের ছাউনীমসজিদ ঘর কালের বিবর্তনে নামাজের জন্য মুসুল্লিদের আসন সংখ্যা সঙ্কুলান না হওয়ায়।

খ।

মসজিদ ঘর বাড়ির অভ্যন্তরে এবং মহিলাদের পুকুরের সাথে মসজিদ হওয়ায় এবং বাড়ির পার্শ্ব দিয়ে ঢাকা মহাসড়ক থাকায় যাতায়াতরত মুসাল্লিরা ও এলাকাবাসীদের নামাজ পড়তে অনেক খানি বাড়ির ভিতরে আসতে হয়, যা ইসলামিক দৃষ্টিকোনে মহিলাদের পর্দার সার্বিক ব্যাঘাত ঘটে।

গ।

বাড়ির অভ্যন্তরে মসজিদ ঘর মহিলাদের পুকুরের সাথেই নির্মিত হওয়ায় বিশেষ করে জুম্মার ও জোহর এর নামাজের সময় মহিলা ও ছেলে-মেয়েদের কথাবার্তা/শোরগোলের কারনে নামাজের সার্বিক ব্যঘাত ঘটে।

ঘ।

পুরাতন মসজিদে মুসাল্লিদের সমাগম সঙ্কুলান না হওয়ায় এবং মসজিদের সংলগ্ন মসজিদের উত্তর পার্শ্বে একাধিক কবরস্থান থাকায় নতুন মসজিদ ঘর নির্মানের জন্য এবং অন্যত্র স্থানান্তর এর জন্য স্থান নির্বাচন করার প্রস্তাব রাখা হয়।

ঙ।

বাড়ির সার্বিক ও পারিপার্শ্বিক দিক বিবেচনা করে বাড়ির সম্মুখ দিকে অর্থাৎ মেইন রাস্তার পার্শ্বে নতুন মসজিদ নির্মানের জন্য প্রস্তাব করা হয় যেন এলাকাবাসী ও রাস্তা থেকে যাতায়াতকারী মুসাল্লিরা সহজে নামাজে আকৃষ্ট হয়।

চ।

সকলের সম্মতিক্রমে পুরাতন মসজিদ দ্বীন এর খেদমতে মক্তব/মাদ্রাসা হিসেবে চালু করা এবং মক্তব/ মাদ্রাসার জন্য নতুন কোন ভবন নির্মান না করা পর্যন্ত পুরাতন মসজিদ ঘর স্থিতি রেখে মক্তব/মাদ্রাসা হিসেবে রুপান্তরিত করার প্রস্তাবও রাখা হয়।

ছ।

নতুন মসজিদ নির্মান করা হলে স্বল্প আসনের পুরাতন মসজিদ এবং নতুন মসজিদ নির্মান নিয়ে ভবিষ্যতে কোন সংশয়/বাদ বিবাদ না করার প্রস্তাব রাখা হয়।

জ।

নতুন মসজিদের পাশে ঈদগা মাঠের স্থান নির্বাচন ও নির্মানের প্রস্তাব করা হয়।

৪।

উপরোক্ত প্রস্তাব মসজিদে উপস্থিত সকলে একমত পোষন করলে এলাকাবাসী/বাড়ির মুরুব্বীদের সদয় সম্মতিক্রমে ৩০ ফুট x ২৮ ফুট এর একটি মসজিদ ১০ ফুট চওরা বারান্দা সহ নতুন স্থানে নির্মান করা হয়।

৫।

নির্মান শেষে নতুন মসজিদ অত্র এলাকার গন্যমান্য মাওলানা এবং এলাকার মুসাল্লিদের উপস্থিতিতে জুম্মার নামাজ ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ চালু করা হয়।

৬।

নতুন পাকা মসজিদ নির্মানের পর ২/৩ বছর নিয়মিত ভাবে সকলে মিলে নতুন মসজিদে নামাজ আদায় এবং পুরাতন মসজিদে মক্তব এর কার্যক্রম চালু থাকলে বাড়ির দুই অংশীদারের অপর পক্ষের মধ্যে জনৈক এক অংশীদার কোন প্রকার পরামর্শ না করেই মসজিদের উত্তর পার্শ্বে মসজিদ সংলগ্ন কবরে শায়িত তার বাবা (আমার বড় চাচা) থেকে স্বপ্নযোগে বার্তা প্রাপ্ত হন যে, “পুরাতন মসজিদে নামাজ চালু না থাকলে তোমরা ধ্বংস হয়ে যাবে”। অতঃপর জনৈক চাচাতো ভাই তার  দেখা স্বপ্নকে প্রাধান্য পূর্বক নতুন মসজিদের দায়িত্ব প্রাপ্ত ইমাম/ বাড়ির অন্যান্য সকল অংশীদারদের সাথে কোন সিদ্ধান্ত ব্যাতিরেকে পুনরায় মসজিদ চালু করেন।

৭।

বর্তমান ১০০ ফুট দূরত্বে অবস্থিত দুইটি মসজিদে (পুরাতন এবং নতুন মসজিদ) পৃথকপৃথক করে নিন্মরূপ ভাবে নামাজ আদায় করছেনঃ

ক।

নতুন পাকা মসজিদ নির্মানের ২/৩ বৎসর পর পুরাতন মসজিদে নামাজ আদায় শুরু করলেও গ্রাম্য ফেতনার জন্য নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় হচ্ছে না।

খ।

বর্তমানে বিতর্কিত ভাবে কোন ফয়সালা এবং স্বপ্নের তাবির সত্য/মিথ্যা যাচাই বাছাই না করে অনৈতিক ভাবে মাছায়ালা ব্যাতিরেকে অল্প সংখ্যক মুসাল্লি নিয়ে পুরাতন মসজিদে নামাজ আদায় করে আসছে।

গ।

এমনিভাবে অল্প সংখ্যক মুসাল্লি নিয়ে পুরাতন মসজিদে জুমার নামাজও আদায় করে আসছে।

ঘ।

নতুন পাকা মসজিদে পরিমিত সংখ্যক মুসাল্লি নিয়ে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এবং জুম্মার নামাজ আদায় হচ্ছে।

ঙ।

নতুন নির্মিত মসজিদে প্রায়শই তাবলীগে জামায়াত সমাগম হয়।

চ।

প্রস্তাব মোতাবেক নতুন মসজিদ সংলগ্ন ঈদগা মাঠ তৈরি করা হয় এবং বাৎসরিক দুই ঈদে ঈদগা ময়দানে গ্রামবাসী/ অংশীদারিরা একত্রে নামাজ আদায় করে থাকেন এবং আবহাওয়া জনিত কারনে সকলে মিলে নতুন মসজিদেই ঈদের নামাজ আদায় করেন।

সমাধানের জন্য সবিনয় অনুরোধঃ

৮। উপরোক্ত সমস্যার আলোকে আমাদের একান্ত অনুরোধ বর্তমান ফেতনার জামানায় গ্রাম্য সামাজিক প্রেক্ষাপটে এই গ্রামের মসজিদ দ্বয়কে কেন্দ্র করে ভবিষ্যতে যাতে গ্রাম্য আর কোন ফেতনা সৃষ্টি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে নিন্মে বর্নিত সমস্যা গুলো সায়কুল হাদিস/ফিকা শাস্ত্র মোতাবেকসমাধান দেয়া হলে আমরা সকলেই চিরতরের জন্য উপকৃত হব। উল্লেখ্য যে, বর্তমান সমস্যা বিরাজমান থাকলে আল্লাহ্‌ না করুন ভবিষ্যৎ পরিকল্পিত মক্তব/ মাদ্রাসা নির্মানে ব্যাঘাত সৃষ্টি হতে পারে।

ক।

স্বপ্নের মাধ্যমে মৃত ব্যাক্তির থেকে প্রাপ্ত বার্তার বাক্য কতটুকু যুক্তিযুক্ত। এই ধরনের স্বপ্ন একজন সাধারন মুসাল্লিকে মৃতবাসী দেখাতে বা পরকাল থেকে কোন নির্দেশনা দিতে পারে কি?

খ।

যে উদ্দেশ্য/ সমস্যার কারনে (অনুচ্ছেদ ৩ এর ক-জ পর্যন্ত) মসজিদ নির্মান করা হয় তা দুরস্ত হয়েছে কিনা। ঐ ব্যাপারে ইসলামিক এবং সামাজিক মতাভেদ আছে কি?

গ। সামান্য দূরত্বে (১০০ ফুট) ব্যবধানে গ্রাম্য অসহায় মুসাল্লিদের দুই মসজিদে নামাজ পড়তে না হয়। সে দিকে লক্ষ্য রেখে মাছায়ালা প্রদান।

ঘ।

মাছায়ালা দৃষ্টিতে নতুন মুসজিদে নামাজ পড়া সহি ও শুদ্ধ হচ্ছে কি না।

ঙ।

পুরাতন মসজিদে নামাজ না পরলে এবং পরিত্যাক্ত রাখা হলে গুনাহ হবে কি না।

চ।

পুরাতন মসজিদকে মক্তব/ মাদ্রাসা/ ইসলামিক প্রতিষ্ঠানে রুপান্তর করা যাবে কিনা।

ছ।

অংশীদারগণ যদি মনে করে যে পুরাতন মসজিদে তারা পৃথক ভাবে নামাজ পড়বে সে ক্ষেত্রে পুরাতন মসজিদের নামে পূর্বে ওয়াকফাকৃত জমি অর্থাৎ মসজিদের ব্যয় সংকুলানের জন্য বাড়ির বাহিরে ওয়াকফাকৃত জমি দুই মসজিদের নামে ভাগ করে দেয়া যাবে কিনা।

জ।

নতুন পাকা মসজিদের নামে নতুন করে ওয়াকফা জমি দান করা হয়েছে তা ন্যায় সংগত কিনা।

ঝ।

সকল সমস্যা নিরসন সাপেক্ষে উভয় মিলে পুরাতন মসজিদের সম্পত্তি (ওয়াকফা জমি) নতুন মসজিদে অন্তর্ভূক্ত হবে কি না।

ঞ।

ইসলামিক আইনে কোন রূপেযদি পুরাতন মসজিদ এলাকা বেষ্টনী করার স্বিদ্ধান্ত নেয়া হয় তবে পুরাতন মসজিদে ব্যবহত টিন, ইট ও নির্মান সামগ্রী বিক্রি করে বা সমমূল্যে টাকা নতুন মসজিদের কাজে খরচ করা যাবে কি না।

ট।

যদি ইসলামিক আইন সাপেক্ষে পুরাতন মসজিদ ভেংগে মসজিদের নিরাপত্তা সংরক্ষণের জন্য চতুর্দিকে প্রাচীর (ইটের দেয়াল) বা কাঁটাতারের বেড়া দেয়া যাবে কি না।

ঠ।

নতুন মসজিদে/ মসজিদ সংলগ্ন মক্তব/মাদ্রাসা নির্মান না করা পর্যন্ত  পুরাতন মসজিদে মক্তব/মাদ্রাসা চালু করা যাবে কি না।

ড।

পুরাতন মসজিদ ভেঙ্গে পার্শবর্তী স্থানে নতুন মসজিদ নির্মাণ করা যদি নাজায়েজ/গুনাহের কাজ হয়ে থাকে তবে কে কে গুনাহগার হবে এবং এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কি?

৯।

উল্লেখ্য যে শহর এলাকায় খুব কাছাকাছি দুটি মসজিদ থাকলে কোন সমস্যা থাকে না। কিন্তু গ্রাম এলাকায় মুসাল্লিদের সংখ্যা কম হওয়ায় এত কাছাকাছি দুটি মসজিদের বিষয়টি সামাজিক দিক দিয়ে খুব দৃষ্টিকটুর মনে হয়। এর পাশাপাশি চলে গ্রামের পলেটিকস অর্থাৎ অনুচ্ছেদ ৩ এর বিষয়াবলি। এতে করে মুসাল্লিরা মসজিদ মুখি না হয়ে দ্বিপাক্ষিক ফেতনায়মসজিদ বিমুখী হয়ে পড়ছে।

অতএব জনাবের সমীপে আকুল আবেদন সকলের সিদ্ধান্তে নির্মিত মসজিদ নিয়ে উপরোক্ত নানাবিধ সমস্যা নিরসন কল্পে মাছায়ালা প্রদান করতঃ গ্রামবাসী যাতে করে সামাজিক/ইসলামিক নিয়ম কানুনের মধ্যে অর্থাৎ আল্লাহতায়ালার আদেশ এবং নবী করিম (সঃ) এর তরিকায় সুন্দর জীবন যাপনের মাধ্যমে নিয়মিত নামাজ কালাম আদায় করতে পারে সেদিকে আপনাদের ঐকান্তিক ধর্মীয়/সামাজিক সহযোগিতা কামনা করছি।

                                      মোদাচ্ছের উদ্দিন আহমেদ

                              মসজিদ নির্মানে উদ্যোগ দাতা ও অর্থ লগ্নিকারী

পিতাঃ মৃত তছিল উদ্দিন হাওলাদার

গ্রামঃ দক্ষিণ গুলিশাখালি

থানাঃ মঠবাড়িয়া, জেলাঃ পিরোজপুর

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

প্রথমে কয়েকটি শরয়ী মূলনীতি বুঝে নিন-

একবার মসজিদ হিসেবে ওয়াকফকৃত হবার পর মসজিদ নির্মাণ হয়ে যাবার পর তা কিয়ামত পর্যন্ত মসজিদ হিসেবেই বাকি থাকবে। এটিকে পাল্টানো কিছুতেই জায়েজ নয়। [বিশেষ কিছু কারণ ছাড়া যা এখানে বিদ্যমান নেই।]

لا يجوز نقض المسجد ولا بيعه ولا تعطيله وان خربت المحلة (تفسير قرطبى، سورة بقرة، الآية-114-1/7، تفسير المراغى-1/198، تفسير بيضاوى-1/386)

ثم الأقدام أفضل لسبقه حكما، إلا إذا كان الحادث أقرب إلى بيته، فإنه أفضل حينئذ، لسبقه حقيقة وحكما، وذكر قاضى خان وصاحب منية المفتى وغيرهما أن الأقدام افضل، (الحلبى الكبير، فصل أحكام المسجد-613)

اذا وقف كتبا وعين موضعها، فإن وقفها على أهل ذلك الموضع، لم يجز نقلها منه، لا لهم ولا لغيرهم، (رد المحتار، كتاب الوقف، مطلب فى نقل الوقف من محلها-4/366، سعيد)

এক মসজিদের জন্য ওয়াকফকৃত বস্তু আরেক মসজিদের জন্য ব্যবহার করা জায়েজ নয়।

فان وقفها على مستحقى وقفه، لم يجز نقلها، (الدر المختار، كتاب الوقف-4/365، سعيد، وكذا فى النهر الفائق، كتاب الوقف-3/318، وكذا فى الجر المنتقى، كتاب الوقف-2/581)

اذا وقف كتبا وعين موضعها، فإن وقفها على أهل ذلك الموضع، لم يجز نقلها منه، لا لهم ولا لغيرهم، (رد المحتار، كتاب الوقف، مطلب فى نقل الوقف من محلها-4/366، سعيد)

ونقل فى الذخيرة عن شمس الأئمة الحلوانى، أنه سئل عن مسجد أو حوض خرب، ولا يحتاج إليه لتفرق الناس عنه، هل للقاضى أن يصرف أوقافه إلى مسجد أو حوض آخر؟ فقال نعم، (رد المحتار، كتاب الوقف، مطلب فيما لو خرب المسجد او غيره-4/359، سعيد، فتح القدير، كتاب الوقف، احكام المسجد-6/237، فتاوى قاضى خان على همش الهندية، كتاب الوقف، فصل فى المقابر والرباطات-3/315)

কোন মসজিদকে পরিকল্পিতভাবে বিরান করা জায়েজ নয়। প্রয়োজনে আরো মসজিদ নির্মিত হতে পারে, কিন্তু পুরাতন মসজিদকেও আবাদ রাখতে হবে।

وعن عطاء: لما فتح الله تعالى الأمصار على يد عمر رضى الله عنه أمر المسلمين أن يبنوا المساجد وأن لا يتخذوا في مدينة مسجدين يضارّ أحدهما صاحبه. (الكشاف عن حقائق غوامض التنزيل، سورة توبة، الأية-107-2/214، تفسير روح المعانى-11/21، تفسير قرطبى-175/1)

মসজিদের জন্য ওয়াকফকৃত জমিতে মসজিদ ভেঙ্গে মাদরাসা নির্মাণ জায়েজ নয়। তবে প্রয়োজনে মসজিদে কুরআন শিক্ষা চালু করা যাবে।

فان وقفها على مستحقى وقفه، لم يجز نقلها، (الدر المختار، كتاب الوقف-4/365، سعيد، وكذا فى النهر الفائق، كتاب الوقف-3/318، وكذا فى الجر المنتقى، كتاب الوقف-2/581)

اذا وقف كتبا وعين موضعها، فإن وقفها على أهل ذلك الموضع، لم يجز نقلها منه، لا لهم ولا لغيرهم، (رد المحتار، كتاب الوقف، مطلب فى نقل الوقف من محلها-4/366، سعيد)

উপরোক্ত মূলনীতিগুলো বুঝে আসলে আপনাদের এলাকার উক্ত দুই মসজিদের হুকুমও বুঝে আসবে।

পুরাতন মসজিদটি চালু রাখতে হবে। তবে এখানে শুধু ৫ওয়াক্ত নামায চালু রেখে নতুন মসজিদে পাঁচ ওয়াক্তের সাথে জুমআও পড়া হবে।

এভাবে উভয় মসজিদকে আবাদ রাখতে হবে। জুমআ উভয় মসজিদে পড়া উচিত হবে না। শুধু নতুন মসজিদে পড়ুন। যেহেতু তা রাস্তার সাথে এবং অধিক সুবিধাজনক।

আর পুরাতন মসজিদের জন্য ওয়াকফকৃত জমি নতুন মসজিদে দেয়া যাবে না। সেই সাথে মসজিদ ভেঙ্গে মাদরাসাও নির্মাণ করা যাবে না। বরং প্রয়োজনীয় কুরআন শিক্ষা চালু রাখা যায়।

স্থানীয় আলেম উলামা ও মুফতীয়ানে কেরাম এবং মুরুব্বীদের নিয়ে বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধান করে ফেলা উচিত। মসজিদ নিয়ে বিবাদ করা কিছুতেই উচিত নয়। আল্লাহ তাআলা আপনাদের এলাকায় ধর্মীয় পরিবেশকে সুন্দর করে দিন। সামাজিক ফিতনা দূর করে ভাতৃত্ববোধ ও সৌহার্দতা জাগিয়ে দিন। আমীন।

وعن عطاء: لما فتح الله تعالى الأمصار على يد عمر رضى الله عنه أمر المسلمين أن يبنوا المساجد وأن لا يتخذوا في مدينة مسجدين يضارّ أحدهما صاحبه. (الكشاف عن حقائق غوامض التنزيل، سورة توبة، الأية-107-2/214، تفسير روح المعانى-11/21، تفسير قرطبى-175/1)

وافاد ان المساجد تغلق يوم الجمعة إلا الجامع، (الدر المختار) (قوله تغلق) لئلا تجتمع فيها جماعة، (رد المحتار، باب الجمعة-2/157)

عن عائشة رضى الله عنه قالت: أمر رسول الله صلى الله عليه وسلم أن يتخذ المسجد فى الدور وان تطهر وتطيب، (سنن ابن ماجه، ابواب المساجد، باب تطهير المساجد وتطيبها-55)

اما للتذكير او التدريس فلا، لإنه ما بنى له وإن جاز فيه……. ويجوز الدرس فى المسجد وإن كان فيه استعمال اللبواد والبوارى المسبلة لاجل المسجد، (البحر الرائق، كتاب الوقف، فصل فى احكام المساجد-5/419)

فلا يجوز لاحد مطلقا أن يمنع مؤمنا من عباده ياتى بها فى المسجد، لأن المسجد ما بنى إلا لها من صلاة واعتكاف وذكر شرعى وتلعليم علم وتعلمه وقرأة القرآن (البحر الرائق، كتاب الصلاة، باب ما يفسد الصلاة وما يكره فيها-2/60، شرح الأشباه والنظائر للحموى-4/63)

والله اعلم بالصواب

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

ইমেইল- ahlehaqmedia2014@gmail.com

lutforfarazi@yahoo.com

0Shares

আরও জানুন

‘সুন্দর সম্পর্ক কেন নষ্ট করে দিলা’ বলার দ্বারা কি স্ত্রী তালাক হয়ে যায়?

প্রশ্ন আস্সালামুআলাইকুম মুফতি সাহেব, এই প্রশ্ন কয়েকটা আগেও করেছিলাম, উত্তর না পেয়ে আবার করছি| ওয়াসওয়াসা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *