প্রশ্ন
আসসালামু আলাইকুম,
আমার প্রশ্ন হল,
১। কোন হাজত পুরণের জন্য অজিফা পড়া, যেমন বিয়ের জন্য , পরীক্ষা পাশের জন্য, রোগ মুক্তির জন্য ইত্যাদি কি জায়েয আছে?
২। নেয়ামুল কুরআন বইটি কি শরীয়ত সম্মত?
নাম, ঠিকানা প্রকাশে অনিচ্ছুক।
জাযাকাল্লাহু খায়ের।
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
এ বিষয়ে আমাদের একটি মূলনীতি সম্পর্কে অনবগতি মূলত এসব বিষয় নিয়ে আমাদের দ্বিধায় ফেলে দেয়। সেটি হল, দুনিয়া ও দ্বীনের মাঝে পার্থক্য কি?
এ পার্থক্য যদি আমাদের জানা থাকে, তাহলে অনেক বিষয়ের সমাধান আমরা নিজেরাই বের করে নিতে পারবো।
দ্বীন ও দুনিয়ার পরিচয়
যে কাজের লাভ ক্ষতি মৃত্যুর পরের জন্য হয়ে থাকে, সেটি হল দ্বীন। আর যেটির লাভ ক্ষতি মৃত্যুর আগের সময়ের জন্য করা হয়, সেটিই দুনিয়া।
আর দুনিয়াবী বিষয়ের ক্ষেত্রে মূলনীতি হল, যতক্ষণ না তা দ্বীনের সাথে সংঘর্ষ না হবে, ততক্ষণ তা জায়েজ। তথা কুরআন ও সুন্নাহের কোন বিধানের লংঘণ না হবে, ততক্ষণ তা বৈধ হবে।
দুনিয়াবী বিষয়ে রাসূল সাঃ পরিস্কার ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, أَنْتُمْ أَعْلَمُ بِأَمْرِ دُنْيَاكُمْ তথা দুনিয়বী বিষয়ে তোমরাই তথা উম্মতীরাই অধিক অবগত। [এ বিষয়ে রাসূল সাঃ এর কাছে জিজ্ঞাসা করে সমাধান নেয়ার কোন প্রয়োজন নেই] {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৩৬৩}
সুতরাং কোন হাজত পুরণের জন্য অজিফা পড়া, বিয়ের জন্য , পরীক্ষা পাশের জন্য, রোগ মুক্তির জন্য ইত্যাদির কোনটির সম্পর্কই মৃত্যুর পরের সাথে নয়। সব ক’টিই মৃত্যুর আগের সাথে। তাই এসবই দুনিয়া। এর সাথে মূলত দ্বীনের কোন সম্পর্কই নেই।
তাই এসব কাজের জন্য যে কোন পদ্ধতিই জায়েজ হবে। যদি না, তা কুরআন ও হাদীসে নিষিদ্ধ কোন বিষয় পাওয়া যায়।
তাই এসব ক্ষেত্রে যেমন দুনিয়াবী ডাক্তারের আবিস্কৃত অষুধ ব্যবহার বৈধ। তেমনি কুরআনের আয়াত বা দুআ দরূদ পড়াও বৈধ হবে। এতে কোনই সমস্যা নেই। যদি কুফরী কোন বিষয় থাকে, তাহলে ভিন্ন কথা।
আর নিয়ামুল কুরআন কার লেখা গ্রন্থ? সেটি না জানলে আসলে আমরা এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে সক্ষম নই।
তাবীজ কবচ বিষয়ে জানতে হলে পড়ুন- সকল তাবীজই কি শিরক?
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।