প্রশ্ন
আসসালাম আলাইকুম
ফিক্বহের কেতাবে দেখলাম যে , রোগী ব্যক্তি দাঁড়াতে বা বসতে সক্ষম না হলে চিৎ হয়ে শুয়ে কিবলামুখী পা লম্বা করে দেবে অথবা ডান কাৎ হয়ে কেবলামুখি হয়ে শোবে এবং ইশারায় নামাজ আদায় করবে। চিৎ হয়ে শুয়ে পরাই উত্তম । ( মেফতাহুল জান্নাত )
তাই আমি জানতে চাই নামাজে যদি কেবলার দিকে পা লম্বা করা বেয়াদবী না হয় , তাহলে অন্ন সময় কেবলার দিকে পা লম্বা করা কি বেয়াদবী ? যদি বেয়াদবি হয় সেটা কেন ? একটু বিস্তারিত জানাবেন ।
নাম- আজহারুদ্দীন মল্লিক
দেশ- ভারত
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মাজুর ও সুস্থ্য ব্যক্তির অনেক হুকুমে পার্থক্য আছে। যেমন দাঁড়াতে সক্ষম ব্যক্তি বসে নামায পড়লে নামায আদায় হবে না। কিন্তু মাজুর ব্যক্তির জন্য বসে পড়া জায়েজ হবে।
রুকু সিজদা করতে সক্ষম ব্যক্তির জন্য রুকু সেজদা না করে ইশারায় নামায পড়লে হবে না, পক্ষান্তরে মাজুরের জন্য জায়েজ। তেমনি সুস্থ্য ব্যক্তির জন্য কিবলামুখী পা দেয়া মাকরূহ। কারণ এতে কাবার সম্মান হানী করা হয়। কিন্তু মাজুর ব্যক্তির জন্য কিবলামুকী পা দেয়া মাকরূহ নয়।
وفى الفتاوى الهندية- ويكره مد الرجلين إلى الكعبة في النوم وغيره عمدا (الفتاوى الهندية، كتاب الكراهية، الباب الخامس في آداب المسجد والقبلة والمصحف-5/319
কাবার দিকে ইচ্ছেকৃত পা লম্বা করা মাকরূহ। ঘুমন্ত বা জাগ্রত অবস্থায়। {ফাতাওয়া হিন্দিয়া-৫/৩১৯, আল মুহিতুল বুরহানী-৮/১০, ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া-২৯/১৭৪}
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।