সালাত ইবাদাত নয়
আল্লাহ মুসা (আ.) কে বলেছেন ,আমিই আল্লাহ,আমি ব্যতীত কোন এলাহ(হুকুমদাতা) নেই,অতএব আমার এবাদাত কর এবং আমার স্মরণার্থে সালাহ কায়েম কর (সূরা ত্বা-হা:১৪) এমনই আরো অনেক আয়াত থেকে সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে এবাদত ও সালাহ আলাদা বিষয় ।প্রকৃতপক্ষে এবাদত হচ্ছে আল্লাহ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব ।(চলমান সংকট নিরসনে আদর্শিক লড়াইয়ের অপরিহার্যতা-৯)
বিজ্ঞ পাঠক,নিম্নের হাদীসটি লক্ষ করুনঃ
◾হজরত আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা বলেন, এক রাতে রাসূলুল্লাহ ﷺ আমার ঘরে এসে আমার সঙ্গে শয়ন করলেন। কিছুক্ষণ পর আমাকে বললেনঃ
يا عائشة ذريني أتعبد لربي، قالت: قلت: والله إني لأحب قربك، وأحب ما يسرك، قالت: فقام فتطهر، ثم قام يصلي، فلم يزل يبكي حتى بل حجره، ثم بكى. فلم يزل يبكي حتى بل الأرض
‘হে আয়েশা! আমি আমার রবের ইবাদত করতে চাই। আমাকে যেতে দাও।’ আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর শপথ করে বলছি, আমি আপনার একান্ত কাছে থাকতে চাই। আবার এও চাই যে, আপনি মহান আল্লাহর ইবাদত করবেন। তিনি বিছানা থেকে উঠে পবিত্র হয়ে সালাতে দাঁড়ালেন। তিনি কাঁদতে আরম্ভ করলেন। কাঁদতে কাঁদতে তার দাঁড়ি ভিজে গেল, মাটি ভিজে গেল। তিনি কাঁদতে থাকলেন।(ইবনে হিব্বান : ৬২০)
এই হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাতকে ইবাদাত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।যার উপর কুরআন মাজীদ অবতীর্ণ হয়েছে, সেই স্বয়ং রাসূলুল্লাহ ﷺ কুরআনকে বেশি বুঝেছেন নাকি হিযবুত তাওহীদ বেশি বুঝেছে?স্বয়ং রাসূলুল্লাহ ﷺ যেখানে সালাতকে ইবাদাত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন সেখানে সালাতকে ইবাদাত থেকে পৃথক করার অধিকার হিযবুত তাওহীদেকে কে দিয়েছে ?
⏩পবিত্র কুরআন মাজীদে আল্লহ ﷻ ইরশাদ করেনঃ
◾اَلَّذِیۡنَ اِنۡ مَّکَّنّٰہُمۡ فِی الۡاَرۡضِ اَقَامُوا الصَّلٰوۃَ وَ اٰتَوُا الزَّکٰوۃَ وَ اَمَرُوۡا بِالۡمَعۡرُوۡفِ وَ نَہَوۡا عَنِ الۡمُنۡکَرِ ؕ
তারা এমন লোক যাদেরকে আমি পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা দান করলে তারা সালাত কায়েম করবে, যাকাত দেবে এবং সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ করবে। (সূরা হজ্জ-৪১)
◾وَ اَقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ وَ اٰتُوا الزَّکٰوۃَ ؕ
তোমরা সালাত কায়েম কর এবং জাকাত প্রদান কর। (সূরা বাকারা – ১১০)
◾اِنَّ الصَّلٰوۃَ کَانَتۡ عَلَی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ کِتٰبًا مَّوۡقُوۡتًا
নিশ্চয় সালাত মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ। (সূরা নিসা -১০৩)
এই আয়াত গুলো থেকে কি প্রমাণ হয় না যে, সালাত মুমিন উপর আল্লাহ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব?
এ আয়াতগুলো থেকে তো তাদের বক্তব্য অনুযায়ীও সালাত ইবাদাত হিসেবে সাব্যস্ত হয়।