প্রশ্ন
আলম,
সিলেট,
বিষয়ঃ- জুমআহর ও ঈদের খুৎবাহ,
নামাজের পরে সম্মিলিত দোয়া, কোরআন খতম।
আচ্ছালামু আলাইকুম, মুফতি সাহেব
আশা করি ভাল আছেন । কয়েকটি প্রশ্ন নিয়ে উপস্তিত হলাম ।
১- নামাযের পরে সম্মিলিত দোয়া করা কতটুকু জরুরি ?
আহলে হাদিসরা বলে এটা নাকি সম্পুর্ন বিদআৎ আর বিদআতিরা এই দোয়াকে নামাযের চাইতে বেশি গুরুত্ব দেয় ।
২- অন্যের পঠিত কোরআন খতমের ছওয়াব মসজিদের ইমাম সাহেব কি বখশিতে পারেন ?
উত্তর প্রধানে বাধিত করবেন ।
জাযাকুমুল্লাহ খাইর ।
উত্তর
وعليكم السلام ورحنة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
১ নং এর জবাব
জায়েজ আছে। তবে এটিকে নামাযের অংশ বা জরুরী মনে করলে বিদআত হবে।
রাসূল সাঃ ফরয নামাযের পর দুআ করতেন-اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ ، وَمِنْك السَّلاَمُ ، تَبَارَكْت يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ
[আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম, ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারাকতা ইয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম] এমনটি হযরত ইবনে ওমর রাঃ এবং আব্দুল্লাহ বিন আমর রাঃ ও এরকম দুআ করতেন। {মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৩১১২}এছাড়া রাসূল সাঃ বিভিন্ন শব্দে নামাযের পর দুআ করতেন-(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৩১১৩, ৩১১৭}
عن أبي أمامة قال : قيل لرسول الله صلى الله عليه و سلم أي الدعاء أسمع ؟ قال جوف الليل الآخر ودبر الصلوات المكتوبات (سنن الترمذى، كتاب الدعوات، رقم الحديث-3499
অনুবাদ-হযরত আবু উমামা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ কে জিজ্ঞেস করা হল-কোন দুআটি অধিক কবুল হয়? তিনি বললেন-যে দুআ শেষ রাতে ও ফরয নামাযের পর করা হয়। {সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-৩৪৯৯, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৯৯৩৬, মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৩৯৪৮}
২ নং এর জবাব
বখশানো বলতে কিছু নেই। এখানে বিষয় হল সওয়াবকে ঈসাল করা। যাকে আমরা এক শব্দে ঈসালে সওয়াব বলি।
কুরআন পড়ে এর সওয়াবটি মৃত বা জীবিত কারো জন্য বরাদ্দ করে দেয়া। তো এর জন্য ইমাম সাহেবের কাছে গিয়ে তা পাঠানোর কোন প্রয়োজন নেই। যে ব্যক্তি কুরআন পড়বে, তিনি নিজে তা করতে পারেন। তবে ইমাম সাহেবকে দুআ করতে বলা যায়।
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।