প্রশ্ন
আলম,
সিলেট,
বিষয়ঃ- জুমআহর ও ঈদের খুৎবাহ,
আচ্ছালামু আলাইকুম, মুফতি সাহেব
আশা করি ভাল আছেন । কয়েকটি প্রশ্ন নিয়ে উপস্তিত হলাম ।
১ঃ- জুমআহর প্রথম খুৎবাহ শেষ হওয়ার পরেই মসজিদের পাশেই অবস্থিত ঈদগাহে
অবস্তানরত লোকজনকে উদ্ধেশ্য করে মুয়াজ্জিন সাহেব কি মাইকে মসজিদের আসার জন্য এলান করতে পারেন ?
২ঃ- জুমআহ ও ঈদের ২য় খুৎবাহ চলাকালে কি মসজিদের জন্য টাকা উটানো যাবে ?
উত্তর প্রধানে বাধিত করবেন ।
জাযাকুমুল্লাহ খাইর ।
উত্তর
وعليكم السلام ورحنة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
১ নং এর জবাব
পারে। এতে কোন সমস্যা নেই। তবে এটিকে আদতে পরিণত করা উচিত নয়। বরং ইকামতই নামাযে আসার আহবান। তাই অতিরিক্তভাবে এভাবে নিয়মিত ডাকা উচিত হবে না।
২ নং এর জবাব
নাহ, পারবে না। খুতবা চলাকালীন সময়ে কথা বলা, হাটাচলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
أن أبا هريرة أخبره أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال إذا قلت لصاحبك يوم الجمعة أنصت والإمام يخطب فقد لغوت (صحيح البخارى-كتاب الجمعة، باب الإنصات يوم الجمعة والإمام يخطب، رقم الحديث-892
অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রাঃ বলেন-রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যখন তুমি তোমার পাশের জনকে জুমআর দিন বল-চুপ থাক এমতাবস্থায় যে, ইমাম সাহেব খুতবা দিচ্ছে, তাহলে তুমি অযথা কাজ করলে। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৮৯২, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২০০৫}
عن ابن عمر قال : سمعت النبي صلى الله عليه و سلم يقول إذا دخل أحدكم المسجد والإمام يخطب على المنبر فلا صلاة ولا كلام حتى يفرغ الإمام
অনুবাদ-আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ বলেন-আমি রাসূল সাঃ কে বলতে শুনেছি যে, যখন তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করে আর ইমাম খুতবা দিচ্ছে মিম্বরের উপর, তাহলে ইমাম ফারিগ হওয়ার আগ পর্যন্ত কোন নামায নেই কোন কথাও নেই। {মাযমাউজ জাওয়ায়েদ, ২/১৮৪, হাদীস নং-২০১৪
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।