মাওলানা মুহাম্মদ আনসারুল্লাহ হাসান মানব রচিত আইন ও বিধানে পরিবর্তন তথা পরিবর্ধন-পরিমার্জন ও সংস্কার সাধন হতে পারে এবং হয়েও আসছে। কারণ সীমাবদ্ধ জ্ঞানের অধিকারী মানুষের স্বাভাবিকভাবেই ভুল হয়। তারা বিভিন্ন চিন্তা-চেতনা ও মন-মানসিকতায় আক্রান্ত হয়। নানা পথ ও মতের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। স্বার্থ ও আবেগের কারণে বিভ্রান্ত হয়। পক্ষান্তরে আল্লাহ রাববুল আলামীন সকল মাখলুকের স্রষ্টা ও বিশ্বজগতের পালনকর্তা। তাঁকে কখনো ভুল-ভ্রান্তি স্পর্শ করে না। তাঁর কোনো ভুলভ্রান্তি ও ত্রুটি-বিচ্যুতি হতে পারে না। তিনি সকল দোষ ও দুর্বলতা এবং সকল সীমা ও সীমাবদ্ধতার উর্ধ্বে মহান পূত-পবিত্র সত্ত্বা। সুতরাং তার নাযিলকৃত আইন ও বিধানে কোনো ধরনের পরিবর্তন ও সংস্কার হতে পারে না। আল্লাহর বিধানে কোনো ধরনের পরিবর্তন সাধন বা কোনো ধরনের বিরুদ্ধাচরণ চরম অন্যায় ও জঘন্যতম অপরাধ। যারা আল্লাহর বিধানে হাত দেওয়ার দুঃসাহস করে, আল্লাহর আইনে পরিবর্তন ও সংস্কারের চিন্তা-ভাবনা করে তারা চরম দুষ্কৃতিকারী, বড় জালিম এবং আল্লাহর জমিনে ফাসাদ সৃষ্টিকারী। তারা ইসলাম থেকে বহিষ্কৃত। আল্লাহ তাআলা কুরআন মজীদে বিবাহ ও তালাকের বিধান বর্ণনা করার পর ইরশাদ করেছেন- تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فَلَا تَعْتَدُوهَا وَمَنْ يَتَعَدَّ حُدُودَ اللَّهِ فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ (তরজমা) এ সবই আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা। সুতরাং তোমরা তা লঙ্ঘন করো না। যারা আল্লাহর সীমা লঙ্ঘন করে তারা বড়ই জালিম।-সূরা বাকারা (২) : ২২৯ অনুরূপভাবে উত্তরাধিকার সম্পত্তির বণ্টনে আল্লাহ তাআলা কুরআনে নির্ধারিত অংশগুলোকে ‘আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত হিস্যা’ আখ্যায়িত করে ঘোষণা করেছেন- تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ يُدْخِلْهُ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ * وَمَنْ يَعْصِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيَتَعَدَّ حُدُودَهُ يُدْخِلْهُ نَارًا …
আরও পড়ুনএক সাক্ষীর উপস্থিতিতে বিয়ে পড়ানো কাজীকে আরেক সাক্ষী হিসেব করলে বিবাহ শুদ্ধ হবে কি?
প্রশ্ন একজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে কাজী যদি বিবাহ পড়ায়। তাহলে কাজীকে একজন সাক্ষী হিসেব করে দুইজন সাক্ষী ধরে বিবাহ শুদ্ধ বলা যাবে কি? উত্তর بسم الله الرحمن الرحيم যদি বর ও কনে উক্ত মজলিসে উপস্থিত থাকে। তাহলে বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে। আর যদি উপস্থিত না থাকে, তাহলে বিবাহ শুদ্ধ হবে না। …
আরও পড়ুন