প্রশ্ন
From: তৌহিদুর রহমান
বিষয়ঃ পুরোপুরি ইসলামের অনুসারী নয় এমন পরিবারে কি বিবাহ করা যাবে?
প্রশ্নঃ
আসসালামু আলাইকুম। আমার সাথে একটি মেয়ের পরিচিতি আছে। মেয়েটিকে দ্বিনদার বলে মনে হয়েছে। পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, যতদুর সম্ভব সুন্নাত পালনের চেষ্টা করে, রামাযানে ইতিকাফ করে এবং ইসলামের বিধি বিধানের প্রতি বেশ আগ্রহী। কিন্তু মেয়ের পরিবার বা বংশ পুরোপুরি ইসলামের অনুসারী নয়, সাথে বিভিন্ন ইসলাম অনুমোদিত নয় এমন কাজ করে বলে মনে হয় যেমন “খতনা অনুষ্ঠান, শিশুকে মুখে ভাত অনুষ্ঠান, মিলাদ, কিয়াম ইত্যাদি” এবং পর্দা বিধান কেউ পালন করা হয় না।
এমতাবস্থা প্রশ্ন হচ্ছে এই মেয়েকে কি বিবাহ করা উত্তম হবে??
ইসলামী বিধান মোতাবেক সহীহ জবাবের অপেক্ষায় রহইলাম। ওয়াসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
যদি মেয়েটা বিদআতি কর্মগুলো না করে, এবং পরবর্তীতে পারিবারিকভাবে ধর্মীয় বিষয়ে বিবাদ না হবার নিশ্চয়তা থাকে, তাহলে তাকে বিয়ে করা জায়েজ।
কিন্তু যদি সমস্যা হবার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে বিয়ে না করাই উচিত। কারণ, সহীহ আকীদা বিশ্বাসী ব্যক্তি বিদআতি ব্যক্তির কুফু তথা সমতা হয় না। আর কুফু ঠিক রেখে বিয়ে করাই উচিত।
عن عائشة قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم تخيروا لنطفكم وانكحوا الاكفاء وانكحوا اليهم
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা ভবিষ্যত বংশধরদের স্বার্থে উত্তম মহিলা গ্রহণ করো এবং সমতা (কুফু) বিবচেনায় বিবাহ করো, আর বিবাহ দিতেও সমতার প্রতি লক্ষ্য রাখো। [ইবনে মাজাহ-১/১৪১, হাদীস নং-১৯৬৮]
عن جابر، ان النبي صلى الله عليه وسلم قال “ ان المراة تنكح على دينها ومالها وجمالها فعليك بذات الدين تربت يداك ”
জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মহিলাদেরকে বিয়ে করা হয় তাদের দীনদারী, ধন-সম্পদ ও সৌন্দর্য দেখে। অবশ্যই তুমি দীনদার পাত্রীকে বেশি অগ্রাধিকার দিবে; কল্যাণে তোমার হাত পরিপূর্ণ হবে। [সুনানে তিরমিজী-১/২০৭, হাদীস নং-১০৮৬]
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক ও প্রধান মুফতী – মা’হাদুত তালীম ওয়াল বুহুসিল ইসলামিয়া ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম আমীনবাজার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া ফারূকিয়া দক্ষিণ বনশ্রী ঢাকা।