প্রচ্ছদ / নামায/সালাত/ইমামত / চার রাকাত সম্পন্ন নামাযে দুই রাকাত পড়ে ভুলে সালাম ফিরিয়ে ফেললে করণীয় কী?

চার রাকাত সম্পন্ন নামাযে দুই রাকাত পড়ে ভুলে সালাম ফিরিয়ে ফেললে করণীয় কী?

প্রশ্ন

From: Mahfuzur Rahman
বিষয়ঃ নামাজ

প্রশ্নঃ
আছছালামু আলাইকুম.
আমার একটি প্রশ্ন.
একজন চার রাকাত নামাজের নিয়ত করে নামাজে দাড়িয়েছেন,দুই রাকাতের সময় আত্তাহিয়াতু পড়ে আবার দাড়ানোর কথা কিন্তু উনি ভুলে সব দুরুদ পড়ে সালাম ফিরিয়ে নিলেন. এখন উনি কি করবেন? কেহ বলেন কারো সাথে কথা না বলে আবার দাড়িয়ে বাকি দুই রাকাত পড়লে হয়ে যাবে.
এর সমাধান জানাবেন. প্লিজ

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

কেহ যেটা বলেছেন সেটাই সঠিক। ভুলে সালাম ফিরিয়ে ফেললে, নামায ভঙ্গের কোন কারণ আর না হলে আল্লাহু আকবার বলে দাঁড়িয়ে বাকি নামায পূর্ণ করে সাহু সেজদা দিয়ে নামায শেষ করলে হয়ে যাবে।

কিন্তু যদি কথা বলে ফেলে বা নামায ভঙ্গের অন্য কোন কারণ ঘটায়, তাহলে নামাযটি পুনরায় পড়তে হবে।

ولو سلم مصلى الظهر على رأس الركعتين على ظن أنه اتمها، ثم علم أنه صلى ركعتين، وهو على مكانه يتمها ويسجد للسهو (بدائع الصنائع، كتاب الصلاة، فصل بيان سبب وجوب سجود السهو-1/402)

سلم مصلى الظهر مثلا على رأس الركعتين توهما إتمامها أتمها أربعا وسجد للسهو لأن السلام ساهيا لا يبطل، لأنه دعاء من وجه الخ (الدر المختار، كتاب الصلاة، باب سجود السهو-2/559)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ صَلَّى بِنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الظُّهْرَ أَوِ الْعَصْرَ فَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهُ ذُو الْيَدَيْنِ الصَّلاَةُ يَا رَسُولَ اللَّهَ أَنَقَصَتْ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لأَصْحَابِهِ ‏ “‏ أَحَقٌّ مَا يَقُولُ ‏”‏‏.‏ قَالُوا نَعَمْ‏.‏ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ أُخْرَيَيْنِ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ‏

আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিয়ে যুহর বা আসরের সালাত আদায় করলেন এবং সালাম ফিরালেন। তখন যুল-ইয়াদাইন (রাযি.) তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া আল্লাহর রাসূল! সালাত কি কম হয়ে গেল? নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সহাবীগণকে জিজ্ঞেস করলেন, সে যা বলছে, তা কি ঠিক? তাঁরা বললেন, হাঁ। তখন তিনি আরও দু’ রাক‘আত সালাত আদায় করলেন। পরে দু’টি সাজদাহ্ করলেন। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১২২৭]

عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، قَالَ:: ” كُنَّا نَتَكَلَّمُ فِي الصَّلَاةِ يُكَلِّمُ الرَّجُلُ صَاحِبَهُ وَهُوَ إِلَى جَنْبِهِ فِي الصَّلَاةِ حَتَّى نَزَلَتْ {وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ} [البقرة: 238] فَأُمِرْنَا بِالسُّكُوتِ، وَنُهِينَا عَنِ الْكَلَامِ “

যায়িদ ইবনু আরকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমরা নামায এ কথাবার্তা বলতাম। প্রত্যেকেই তার পাশের ব্যাক্তির সাথে আলাপ করত। অতঃপর যখন (আল্লাহর জন্য দাঁড়াবে বিনীতভাবে) (২ঃ ২৩৮) আয়াতটি নাযিল হলো, তখন চুপ থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয় এবং পরস্পরে আলাপ করতে নিষেধ করা হয়। [সহীহ মুসলিম-১/২০৩-২০৪, হাদীস নং-৫৩৯]

ويسجد للسهو ولو مع سلامه للقطع ما لم يتحول عن القبلة، أو يتكلم لبطلان التحريمة (رد المحتار-2/558)

إذا سلم فى الظهر على رأس الركعتين، مضى على صلاته ويجد للسهو، لأنه أخر ركنا (التاتاترخانية-2/413، رقم-2827)

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।

ইমেইল[email protected]

0Shares

আরও জানুন

ইমামের সামনের সুতরা কি মাসবূক মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট?

প্রশ্ন ইমামের সুতরা মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট কি না? এবং ইমামের সুতরা মসবুক ব্যাক্তির জন্য যথেষ্ট …