প্রশ্ন
আসসালামু আলাইকুম
জনাব আপনার ব্লগ পড়লাম। খুব এ চমৎকার ভাবে অনেক জটিল সমস্যার সমাধান লিখেছেন।
জনাব আমি খুব জটিল এক সমস্যায় ভুগতেছি।আমি এক মেয়কে ভালবাসি।আমাদের সম্পর্ক গভীর হতে থাকে। পরিবার কে আমাদের সম্পর্কের বিষয়ে জানালে তারা মেনে নেয় কিন্তু তারা
বিয়ে দিতে রাজি হয় না।পাপ কাজ থেকে মুক্তির জন্য এবং আমাদের সম্পর্ক হালাল করবার জন্য আমরা পরিবারকে না জানিয়ে বিবাহ করে ফেলি।
আমাদের বিয়ে হয় কোর্টে এক কাজির কাছে। আমদের বিয়েতে মেয় বা ছেলে পক্ষের কেও উপস্থিত ছিল না। আমার সাক্ষী হিসেবে আমার এক বন্ধু আর তার এক পরিচিত লোককে সাক্ষী বানানো হয়। আর মেয়ের সাক্ষী হিসেবে আমার ও মেয়ের(যাকে বিয়ে করেছি) সম্পূর্ণ অপরিচিত এক ছেলে কে মেয়ের উকিল বানানো হয়।
কিন্তু এই বিয়ের পর থেকেই আমারা দুইজনই একটুও সুখি হতে পারিনি। কয়েক মাস পর আমি এক জায়গায় পড়ি যে বিয়ে তে মেয় পক্ষের বাবা, দাদা উপস্থিত না থাকলে সে বিয়ে কবুল হয় না। এটা পরার পর থেকে আমি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়ি। আমি বিয়ে করেছিলাম আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করার জন্য। যেন আমাদের মেলামেশায় কোন পাপ না হয়। এর পর থেকে আমাদের মদ্ধে ঝগড়া বিবাদ আর ও বাড়তে থাকে। শেষ পর্যায়ে আমি তাকে রাগের মাথায় মুখে তিনবার তালাক বলি।
পরবর্তীতে আমাদের পরিবার আবার আমাদের বিয়ে দিতে চাইছে কিন্তু তারা আমাদের কাজির কাছে বিয়ে বা তালাক এর কথা জানে না। এমতাবস্থায় আমি কি সেই মেয়কে
পুনরায় পরিবারের সম্মতিতে বিবাহ করতে পারি?? আমি তাকে অনেক অনেক ভালবাসি কিন্তু কোন পাপ কাজ হোক সেটাও চাই না।
এখন আমার কি করা উচিত বলে আপনি মনে করেন?
আমার এই সমস্যার সমাধান যদি একটু কষ্ট করে দিতেন অনেক অনেক কৃতজ্ঞ থাকতাম।
উল্লেখ্য যে, বিয়েতে মেয় তিনবার কবুল বলেছে আর আমাকে একবার কবুল বলানো হয়েছে।
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
বিয়ে ও তালাক সম্পর্কিত কয়েকটি মৌলিক কথা জানা থাকলে উপরোক্ত বিষয়টির সমাধান আপনার জন্য বুঝা সহজতর হয়ে যাবে।
১
ছেলে মেয়ে যদি প্রাপ্ত বয়স্ক হয়, তাহলে তাদের বিয়ে শুদ্ধ হবার জন্য অভিভাবকের অনুমতি বা উপস্থিতি জরুরী নয়।
তবে যদি মেয়ে কুফু তথা মেয়ে থেকে বংশীয় দিক থেকে অনেক নিম্নমানের কাউকে বিয়ে করে, তাহলে মেয়ের বাবা আদালতের মাধ্যমে উক্ত বিয়ে বিচ্ছেদ করাতে পারে।
কিন্তু কুফুতে বিয়ে করলে সেই বিয়ে কোন নৈতিক কারণ ছাড়া বিচ্ছেদ ঘটাতে পারে না।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ؛ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «الْأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا.
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, মেয়ে তার ব্যক্তিগত বিষয়ে অভিভাবকের চেয়ে অধিক হকদার। {মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৮৮৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৪২১, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৮৮৮, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২০৯৮, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২২৩৪, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১১০৮, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৩২৬০, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪০৮৪, সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং-৩৫৭৬}
عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ: ” جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ أَبِي وَنِعْمَ الْأَبُ هُوَ، خَطَبَنِي إِلَيْهِ عَمُّ وَلَدِي فَرَدَّهُ، وَأَنْكَحَنِي رَجُلًا وَأَنَا كَارِهَةٌ. فَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَبِيهَا، فَسَأَلَهُ عَنْ قَوْلِهَا، فَقَالَ: صَدَقَتْ، أَنْكَحْتُهَا وَلَمْ آلُهَا خَيْرًا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا نِكَاحَ لَكِ، اذْهَبِي فَانْكِحِي مَنْ شِئْتِ
হযরত সালামা বিনতে আব্দুর রহমান রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা এক মেয়ে রাসূল সাঃ এর কাছে এল। এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা! কতইনা উত্তম পিতা! আমার চাচাত ভাই আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিল আর তিনি তাকে ফিরিয়ে দিলেন। আর এমন এক ছেলের সাথে বিয়ে দিতে চাইছেন যাকে আমি অপছন্দ করি। এ ব্যাপারে রাসূল সাঃ তার পিতাকে জিজ্ঞাসা করলে পিতা বলে, মেয়েটি সত্যই বলেছে। আমি তাকে এমন পাত্রের সাথে বিয়ে দিচ্ছি যার পরিবার ভাল নয়। তখন রাসূল সাঃ মেয়েটিকে বললেন, “এ বিয়ে হবে না, তুমি যাও, যাকে ইচ্ছে বিয়ে করে নাও”। {সুনানে সাঈদ বিন মানসূর, হাদীস নং-৫৬৮, মুসন্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-১০৩০৪, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১৫৯৫৩, দিরায়া ফী তাখরীজি আহাদিসীল হিদায়া, হাদীস নং-৫৪১}
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। কুমারী মেয়ে রাসূল সাঃ এর কাছে এসে বলল, আমার পিতা আমার অপছন্দ সত্বেও বিয়ে দিয়েছে, তখন রাসূল সাঃ সে মেয়েকে অধিকার দিলেন, [যাকে ইচ্ছে বিয়ে করতে পারে বা এ বিয়ে রাখতেও পারে]। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৪৬৯, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৮৭৫, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২০৯৬, সুনানুল কুবরা নাসায়ী, হাদীস নং-৫৩৬৬, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৩৫৬৬}
২
বিয়ে শুদ্ধ হবার জন্য পুত্র ও বধুর বিয়ের প্রস্তাব ও কবুল বলার বিষয়টি কমপক্ষে দুইজন মুসলিম প্রাপ্ত বয়স্ক সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।
যদি দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম সাক্ষ্যি যে পক্ষেরই হোক না কেন, ছেলে মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব প্রদান ও গ্রহণ করার কথাগুলো স্বকর্ণে মজলিসে বসে স্বকর্ণ করে তাহলেই বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।
فى الدر المختار– ( و ) شرط ( حضور ) شاهدين ( حرين ) أو حر وحرتين ( مكلفين سامعين قولهما معا ) (الدر المختار ، كتاب النكاح،-3/9)
অনুবাদ-বিবাহ সহীহ হওয়ার শর্ত হল শরীয়তের মুকাল্লাফ [যাদের উপর শরীয়তের বিধান আরোপিত হয়] এমন দুইজন আযাদ পুরুষ সাক্ষি বা একজন আযাদ পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষি হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল বলার উভয় বক্তব্য স্বকর্ণে উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। {আদ দুররুল মুখতার-৩/৯, ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৮}
৩
বিয়ে শুদ্ধ হবার জন্য কাজী, ওকীল বাপ ইত্যাদির কোন জরুরত নেই।
৪
এক তালাক, বা দুই তালাক প্রদান করলে উক্ত স্ত্রীকে আবার ঘরে নেয়া যায়।
কিন্তু তিন তালাক প্রদান করলে উক্ত মহিলাকে ঘরে নেবার কোন সুযোগ থাকে না।
বরং তিন তালাক প্রাপ্তা হবার পর উক্ত মেয়ের ইদ্দত [হায়েজ হলে তিন হায়েজ, পেটে বাচ্চা থাকলে বাচ্চা প্রসব হওয়া] শেষ হবার পর নিয়মতান্ত্রিকভাবে অন্য কারো কাছে বিয়ে হলে, আর সেই দ্বিতীয় স্বামীও যদি কোন কারণে তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তালাকপ্রাপ্তা হবার পর ইদ্দত শেষে প্রথম স্বামী আবার বিয়ে করতে পারে। এর আগে পারে না।
তাই, তিন তালাক ভেবে চিন্তে দেয়া উচিত।
فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ [٢:٢٣٠]
তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে,তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়,তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা;যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়। [সূরা বাকারা-২৩০]
وقال الليث عن نافع كان ابن عمر إذا سئل عمن طلق ثلاثا قال لو طلقت مرة أو مرتين فأن النبي صلى الله عليه و سلم أمرني بهذا فإن طلقتها ثلاثا حرمت حتى تنكح زوجا غيرك
হযরত নাফে রহ. বলেন,যখন হযরত ইবনে উমর রাঃ এর কাছে ‘এক সাথে তিন তালাক দিলে তিন তালাক পতিত হওয়া না হওয়া’ (রুজু‘করা যাবে কিনা) বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলো,তখন তিনি বলেন-“যদি তুমি এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকো তাহলে ‘রুজু’ [তথা স্ত্রীকে বিবাহ করা ছাড়াই ফিরিয়ে আনা] করতে পার। কারণ,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এরকম অবস্থায় ‘রুজু’ করার আদেশ দিয়েছিলেন। যদি তিন তালাক দিয়ে দাও তাহলে স্ত্রী হারাম হয়ে যাবে, সে তোমাকে ছাড়া অন্য স্বামী গ্রহণ করা পর্যন্ত। {সহীহ বুখারী-২/৭৯২, ২/৮০৩}
عن مجاهد قال كنت عند ابن عباس فجاء رجل فقال إنه طلق امرأته ثلاثا. قال فسكت حتى ظننت أنه رادها إليه ثم قال ينطلق أحدكم فيركب الحموقة ثم يقول يا ابن عباس يا ابن عباس وإن الله قال (وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا) وإنك لم تتق الله فلم أجد لك مخرجا عصيت ربك وبانت منك امرأتك
অর্থ: হযরত মুজাহিদ রহঃ. বলেন,আমি ইবনে আব্বাস রাঃ-এর পাশে ছিলাম। সে সময় এক ব্যক্তি এসে বলেন-‘সে তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়েছে। হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ চুপ করে রইলেন। আমি মনে মনে ভাবছিলাম-হয়ত তিনি তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার কথা বলবেন (রুজু করার হুকুম দিবেন)। কিছুক্ষণ পর ইবনে আব্বাস রা. বলেন,তোমাদের অনেকে নির্বোধের মত কাজ কর;[তিন তালাক দিয়ে দাও!] তারপর ‘ইবনে আব্বাস! ইবনে আব্বাস! বলে চিৎকার করতে থাক। শুনে রাখ আল্লাহ তা‘য়ালা বাণী-“যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘য়ালাকে ভয় করে আল্লাহ তা‘য়ালা তার জন্য পথকে খুলে দেন। তুমিতো স্বীয় রবের নাফরমানী করেছো [তিন তালাক দিয়ে]। এ কারণে তোমার স্ত্রী তোমার থেকে পৃথক হয়ে গেছে। {সুনানে আবু দাউদ-১/২৯৯, হাদীস নং-২১৯৯, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-১৪৭২০, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৪৩}
৫
তালাক সম্পন্ন হবার জন্য লিখিত আকারে প্রদান, সাক্ষ্যি রাখা, আদালতে যাওয়া, স্ত্রীকে শুনিয়ে বলা ইত্যাদি শর্ত নয়।
বরং স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তালাক দিলেই তালাক হয়ে যায়। চাই স্ত্রী শুনুক বা না শুনুক। সাক্ষ্যি থাকুক বা না থাকুক।
عن أبي هريرة قال : قال رسول الله صلى الله عليه و سلم ثلاث جدهن جد وهزل جد النكاح والطلاق والرجعة (سنن الترذى، كتباب الطلاق، باب ما جاء في الجد والهزل في الطلاق، رقم الحديث-1184
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তিনটি বিষয় ইচ্ছাকৃতকে ইচ্ছেকৃত ধরা হয়, ঠাট্টাকেও ইচ্ছেকৃত ধরা হয়। তাহল, বিয়ে, তালাক ও স্ত্রীকে রাজআত করা। [সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১১৮৪]
সমাধানঃ
তালাক ও বিয়ে সম্পর্কিত উপরোক্ত মাসায়েলগুলো পড়ে বুঝে থাকলে আপনার কাছে আপনার সমস্যাটির সমাধানও বুঝে আসার কথা।
যদি আপনার উপরোক্ত বিবরণ পুরোপুরি সত্য হয়, তাহলে আপনাদের বিয়ে শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে বিশুদ্ধ হয়েছিল। যদিও অভিভাবক জানে না।
আবার তিন তালাক প্রদান করার দ্বারা তিন তালাক পতিত হয়ে গেছে। তাই উক্ত স্ত্রীকে আপনার কাছে ফিরিয়ে আনার কোন পদ্ধতি নেই।
হ্যাঁ, তালাকপ্রাপ্তা হবার পর আপনার সাবেক স্ত্রীর যদি অন্য কোথাও বিয়ে হয়, তারপর সেখানে নিয়মমাফিক সংসার করা অবস্থায় কোন কারণে তালাকপ্রাপ্তা হয়, তাহলে ইদ্দত শেষে আপনি তাকে আবার বিয়ে করতে পারবেন। এছাড়া কোন পথ নেই।
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
মুহাদ্দিস-জামিয়া উবাদা ইবনুল জাররাহ, ভাটারা ঢাকা।
ইমেইল– [email protected]