প্রশ্ন
https://ahlehaqmedia.com/3137-2/
লিংকের প্রশ্নেোত্তরে উল্লেখ করা হয়েছে যে,,ব্যাংকের অবস্থা এই যে, তার পূর্ণ সম্পদ কয়েকটি বিষয়ের সমষ্টি। যথা-
১-মূলধন। ২-সঞ্চয়কারীদের জমাকৃত টাকা। ৩-জায়েজ ব্যবসার আমদানী। ৪-সুদ এবং হারাম ব্যাবসার আমদানী।
এ চারটি বিষয়ের মাঝে কেবল ৪র্থ সুরতটি হারাম। বাকিগুলো যদি কোন হারাম কাজ না হয় তাহলে মূলত জায়েজ।
যেসব ব্যাংকে প্রথম ৩টি বিষয়ের লেনদেন অধিক। আর ৪র্থ বিষয়টি তথা হারাম লেনদেনের লভ্যাংশ কম সেসব ব্যাংকে সেসব ডিপার্টমেন্টে চাকরী করা যাতে হারাম কাজ করতে না হয় তাহলে তা জায়েজ হবে। এবং বেতন নেওয়াও জায়েজ হবে। তবে উত্তম হল এ চাকরীও ছেড়ে দেয়া।
কিন্তু যদি হারাম আমদানী বেশি হয় হালালের তুলনায়, বা হারাম কাজে জড়িত হতে হয় তাহলে উক্ত ব্যাংকে চাকরী করা জায়েজ নয়। এ থেকে বেতন নেওয়াও জায়েজ নয়। বেতন নিলে তা হারাম হিসেবে গণ্য হবে। {ফাতওয়ায়ে উসমানী-৩/৩৯৪-৩৯৬},
kon bank e halal beshi na haram beshi ta bujhbo kivabe???
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
এটা জানা খুবই সহজ। আমাদের জানা মতে প্রতিটি বাণিজ্যিক ব্যাংকই প্রতিবছর এজিএম তথা জেনারেল এ্যানুয়াল মিটিং করে থাকে। যেখানে গ্রাহকদের লভ্যাংশের হার ঘোষণা করা হয়। সে সময় একটি বই প্রকাশ করা হয়ে থাকে বা হিসাব প্রকাশ করা হয়ে থাকে, যাতে কোন খাত থেকে কত আয় হয়, তা লিখা থাকে।
যা দেখে আপনি নিজেই নির্ণিত করে নিতে পারবেন, উক্ত ব্যাংকের কোন খাতে আয় বেশি, আর কোন খাতে আয় কম।
তাছাড়া সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কোন উর্দ্ধতন কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে নিলেও বিষয়টি সম্পর্কে অবগতি লাভ করা যাবে।
দুনিয়ার লাভ ক্ষতির জন্য যদি আমরা মেহনত ও চিন্তা করতে পারি, তাহলে আখেরাতের লাভ ক্ষতির জন্যও আমাদের খোঁজ খবর নেয়া উচিত।
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
মুহাদ্দিস-জামিয়া উবাদা ইবনুল জাররাহ, ভাটারা ঢাকা।
ইমেইল– [email protected]