প্রশ্ন
আসসালামু আলাইকুম
হুজুর,
আমি গত কয়েক বছর অমানবিক মানসিক কষ্টের ভেতর দিয়ে দিন কাটাচ্ছি। আমার পরিবারের কেউ আমার পাশে নেই। ধর্মীয় কোনো ব্যক্তির শরণাপন্ন হতে চাই, কিন্তু কোনো মুফতি সাহেবকে আমার সমস্যার কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, আপনি দারুল ইফতায় যোগাযোগ করুন। কিন্তু আপনি আমার কথা শুনলে বুঝতে পারবেন যে, কোনো দারুল ইফতা/ ইফতা বোর্ডে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আপনাকে একজন দ্বীনি অভিভাবক ও নবীর উত্তরসূরি ভেবে আমার সমস্যার কথা আপনার কাছে তুলে ধরছি। আশা করি, আপনি আমার সমস্যার ধর্মীয় সমাধান দেখিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে একজন মুসলমান বোনের সাহায্যে এগিয়ে আসবেন।
২০০৯ সালের ৫ নভেম্বর আমার বিয়ে হয়। আমার মারাত্নক শুচিবায়ু আছে- এ কথা আমি বিয়ের আগে পাত্রকে জানাই এবং সে মেনে নেয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে আমাদের মধ্যে মিল বলে তেমন কিছু ছিলনা। এ জন্য আমার শুচিবায়ু হয়ত দায়ী। বালেগা হওয়ার পর বেহেশতি জেওর পড়ে জানতে পারি, পেশাবের ছিটা লেগে অপবিত্র হওয়া থেকে বাঁচতে না পারলে জাহান্নামে ভয়াবহ শাস্তি হয়। এ কথাটিকে মাত্রাতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়ার কারণে এবং খুব বেশি পানি দিয়ে পবিত্র হতে চাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে আমার শুচিবায়ুর সূচনা। তাছাড়া আমার বাবার সামান্য শুচিবায়ু রয়েছে। তবে আমার শুচিবায়ু মারাত্নক। কতটা মারাত্নক ৪ টি উদাহরণের মাধ্যমে আমি তা আপনাকে বোঝাচ্ছি। ১. গোসল করতে আমার ৬ ঘন্টা সময় ব্যয় হয়, এরপরও আমি সম্পূর্ণরূপে পবিত্র হতে পেরেছি বলে নিশ্চিত হতে পারিনা। ২. পায়খানা পেশাবের পর পবিত্রতা অর্জন করতে (পানি দিয়ে ধুতে) আমার ৩-৪ ঘণ্টা ব্যয় হয়, এরপরও আমি সম্পূর্ণরূপে পবিত্র হতে পেরেছি বলে নিশ্চিত হতে পারিনা। ৩. প্রতিদিন পানিতে দীর্ঘক্ষণ থাকার ফলে প্রায়ই আমার পায়ে পচন ধরতে দেখা যায়, তবুও আমি পানি থেকে দূরে থাকতে পারিনা। ৪. আমি কোন কিছু স্পর্শ করতে পারিনা, এমনকি কোন শিশু আমাকে স্পর্শ করলেও ভীষণ রেগে যাই, কারণ আমার ওয়াসওয়াসা হয়, মনে হয় যে, আমি সর্বদা নাপাক এবং স্পর্শের পরম্পরায় এই নাপাক সর্বত্র সবার কাছে ছড়িয়ে পড়বে। তাই আমি রাঁধতে পারিনা, কাপড় ধুতে পারিনা, বই পড়তে পারিনা, লিখতে পারিনা, কোথাও যেতে পারিনা। (কোনো মুফতি সাহেব/ দারুল ইফতার সরাসরি শরণাপন্ন হওয়া আমার পক্ষে কেন অসম্ভব তা নিশ্চয় এবার বুঝেছেন)। যা হোক, এভাবে চলতে থাকে। সে আমাকে সব সময় মানসিক নির্যাতন এবং মাঝে মাঝে শারীরিক নির্যাতন করত এবং বিয়ের পূর্বে আমাকে দেওয়া তার নানা প্রতিশ্রুতি সে রক্ষা করেনি, ভরণপোষণে আমাকে খুব কষ্ট দিত, আমার ১৫ লাখ টাকা মহরও সে পরিশোধ করেনি। ফলে সব সময় আমাদের মাঝে অশান্তি লেগে থাকত। আমাদের মাঝে শারীরিক সম্পর্ক খুব কম হত। ২০১৩ সালের পর শারীরিক সম্পর্ক আর হয়নি, তবে মারাত্নক শুচিবায়ূর কারনে আমি নিজে গোসল করতে গেলে যেহেতু ৬ ঘন্টা সময় ব্যয় হয়, তাই খুব কম সময়ে গোসল শেষ হওয়ার জন্য সে মাঝে মাঝে আমাকে গোসল করিয়ে দিত। এভাবে দিন কাটতে লাগল। অশান্তি দিন দিন তীব্রতর হওয়ার কারনে আমি তার কাছে তালাক চাইতাম। মাঝে মাঝে সে আমাকে তালাক প্রদানের আশ্বাস দিত। তালাকের ব্যপারে তার সাথে যেসব পরিস্থিতি হয়েছিল, তার কিছু কিছু এখন আপনাকে বলব। বিয়ের এক বছরের মধ্যে একদিন আমি তাকে বলি, “আমি রাগ করে ঘর থেকে ২-৩ দিনের জন্য বের হয়ে চলে যাব”? উত্তরে সে বলেছিল, “২-৩ দিনের জন্য ঘর থেকে বের হলে এমনিতেই তালাক হয়ে যাবে”। তখন আমি আর ঘর থেকে বের হইনি। ২০১০ সালের এপ্রিল/মে মাসে একদিন সে নীরবে পেপার পড়ছিল। আমি রেগে গিয়ে তাকে বললাম, “আমাকে তালাক দিয়ে দেন”। সে বলল, “হ্যাঁ, দিলাম”। আমার রাগ কমার পর আমি তাকে ‘সরি’ বলে জিজ্ঞেস করলাম, একটু আগে কথাটা বলার সময় আপনার নিয়ত ছিল কিনা, তালাক হল কিনা? সে বলল, “নিয়ত ছিলনা, তালাক উচ্চারণ না করলে তালাক হয়না”। এ পরিস্থিতিতে তালাক হয়ে থাকতে পারে বলে আমি তাকে জানাই, কিন্তু সে বিশ্বাস করেনি যে, তালাক এভাবেও হতে পারে। এছাড়া আমাদের মাঝে পরোক্ষ শব্দে/ আমার তালাক চাওয়ার পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে তালাক হয়ে থাকতে পারে বলে পরবর্তীতে আমার মনে হয়েছে (যখন ২০১২ সালের অক্টোবর মাসে একজন আলেমের কাছে এই মাসআলা জেনেছি যে, নিয়তসহ পরোক্ষ শব্দ দ্বারাও তালাক সংঘটিত হয় এবং তালাক চাওয়ার পরিস্থিতিতেও কখনো কখনো তালাক হয়ে থাকে)। যেমন, আমি তার কাছে প্রায়শই তালাক চাইতাম, তখন সে কখনো বলত, “তুমি বিয়ের জন্য অন্য পাত্র খোঁজ”। কখনো বলত, “তুমি তোমার বাবার বাড়ি চলে যাও”। (বিশেষত এই কথা দুটো সে কমপক্ষে ৫-১০ দিন বলেছে।) কখনো বলত, “তুমি পাত্র খোঁজ, খুঁজে পেলে তালাক দেওয়া যাবে”। কখনো বলত, “তুমি তোমার বাবার বাড়ি যেয়ে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নাও”। পরে আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, নিয়ত থাকা সাপেক্ষে এ ধরনের কিছু কিছু পরোক্ষ শব্দ দ্বারাও ইসলামে তালাক সংঘটিত হয়ে থাকে, এসব বাক্য বলার সময় তোমার কি তালাকের নিয়ত ছিল? আমার প্রশ্নের উত্তরে কখনো সে চুপ থাকত। কখনো সে বলত, নিয়ত ছিলনা আর তালাক হলে গেলেও আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে নিলে হল, এটা নিয়ে উচ্চবাচ্য করার কিছু নেই। আমি তাকে পুরো বিষয়টা নিয়ে কোনো মুফতি সাহেবের সাথে আলাপ করতে বলি, কিন্তু সে আমার কথাকে গুরুত্ব দিয়েছে বলে মনে হয়না। তবে এমন ঘটনা ঘটার ২ দিন পর তাকে তাফসীর গ্রন্থে তালাক পর্ব অনুসন্ধান করতে দেখেছি। বোধহয় তালাক হওয়ার ব্যাপারে তার মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছিল। উল্লেখ্য, আমার ধারণা, যেহেতু এটা (আমার প্রথম বিয়ে হলেও) তার দ্বিতীয় বিয়ে, তাই সে চায় না, তার প্রথম বিয়ের মত এ বিয়েটাও ভেঙ্গে যাক। কারন, প্রথমত এতে তার সম্মান নষ্ট হবে। তাছাড়া সে ভীষণ কৃপন, তাই সে নিজে তালাক দেওয়ার মধ্য দিয়ে ১৫ লাখ টাকা মহর পরিশোধের সামাজিক বাধ্যবাধকতায় পড়তে চায়না (আমাদের দেশে বিয়ের পর মহর দেওয়া হয়না বরং স্বামী স্ব-উদ্যোগী হয়ে তালাক দিলে কখনো কখনো সমাজের চাপে পড়ে মহর দিতে বাধ্য হয়)। তাই সে নিজে তালাক দিতে চায়না/ চায়নি। এবার ২০১৩ সালের মে বা জুন মাসের কথা, তখন সে জানে, নিয়ত থাকলে পরোক্ষ শব্দ দ্বারাও তালাক হয়ে যায়। তখন থেকে যতবার সে “বাপের বাড়ি যাও” বা “অন্য কাউকে খোঁজ” বলত, তখনই আমি তাকে স্মরণ করিয়ে দিতাম যে, নিয়ত থাকলেই তালাক হয়ে যাবে। একেবারে শুরু থেকে নিয়ে যে কোনো সময় যখনই সে এ ধরণের কথা বলেছে, বলার ভঙ্গি দেখে আমার মনে হয়েছে, সে মন থেকে বলেছে। কিন্তু পরে তাকে জিজ্ঞেস করলে সে অস্বীকার করত এবং বলত যে, সে মন থেকে বলেনি।
ইতোমধ্যে ২০১২ সালের অক্টোবরে আমি ঐ আলেমকে এটাও জিজ্ঞেস করি যে, আমার তালাক প্রয়োজন, কিন্তু সে তালাক দিচ্ছেনা, আমি কীভাবে তালাক পেতে পারি? তিনি আমাকে জানালেন, কাবিননামায় স্বামীর পক্ষ থেকে তালাক অর্পনের অনুমতি পেলে আপনি তা প্রয়োগ করতে পারবেন। আমি খোঁজ নিয়ে দেখি, কাবিননামায় সে আমাকে আমার নিজের ওপর তালাক অর্পনের অনুমতি দেয়নি। এ কথা ঐ আলেমকে জানালে তিনি আমাকে বলেন, আপনি এখন আপনার স্বামীর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে তালাক অর্পন করতে পারেন। আমি তখন সম্ভবত এভাবে অনুমতি নিই যে, “আমি আপনার পক্ষ থেকে নিজের ওপর তালাক দিয়ে দেই”? তখন সে সম্ভবত মাথা নেড়ে/অন্যভাবে সম্মতি জানিয়েছিল। অনুমতি চাইলে কখনও সে বলত, (বাংলাদেশি আইন অনুসারে) মেয়েরা তালাক দিতে পারে, সুতরাং তুমিও দিতে পারবে। তুমি তোমার বাসার লোকদের জানাও এবং দিয়ে দাও। ২০১৪ সালে আমি পুনরায় তার কাছ থেকে তালাক অর্পনের অনুমতি নিই। কিন্তু কী বলে অনুমতি নিয়েছিলাম বা সে অনুমতি রহিত করেছিল কিনা- তা আমার স্মরণ নেই বলে মনে কিছুটা সন্দেহ থেকে যায়। তবে সঠিকভাবে অনুমতি নিয়েছিলাম বলে আমার বিশ্বাস এবং এ ব্যাপারে আমি ৯৯% নিশ্চিত (শতভাগ নিশ্চিত হওয়া আমার পক্ষে সবসময় সম্ভব নয়, কারণ আমি শুচিবায়ু/ ওয়াসওয়াসা-রোগী)। এমন পরিস্থিতিতে ২০১৪ সালের সম্ভবত ১১ মে তার কিছু আচরণে আঘাত পেয়ে আমি তার পক্ষ থেকে নিজের ওপর এভাবে তালাক অর্পন করি যে, “আমি কামরুল হাসানের পক্ষ থেকে নিজের ওপর ৩ তালাক অর্পন করলাম। আমি কামরুল হাসানের পক্ষ থেকে ১,২,৩ তালাক অর্পন করলাম”। উল্লেখ্য, এ সময়ের অনেক আগেই (২০১৩ সালে) আমাদের শারীরিক সম্পর্ক শেষ হয়ে গিয়েছিল ও আমি গোসলের সময় তার সাহায্য নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম এবং আমরা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলতাম। তবে এ ঘটনার পর মাত্র ১ দিন সে আমাকে শারীরিক সম্পর্কের জন্য ডেকেছিল, কিন্তু আমি তার ডাক প্রত্যাখ্যান করি। কারন আমার সম্পূর্ণরূপে মনে হয়েছে যে, তালাক হয়ে গেছে। এ সময়টায় তার মনেও হয়ত তালাক হয়ে যাওয়ার সন্দেহ দেখা দিয়েছিল, তাই সে তখন ডিস্টার্ব না করে পর্দা করতে সাহায্য করছিল। এসব কথা আমি ঐ মাওলানাকে জানালে তিনি আমাকে বলেন, আপনি সঠিকভাবে তালাকের অনুমতি নিয়েছিলেন তো? সঠিকভাবে অনুমতি না নেওয়া হলে কিন্তু তালাক হবেনা। আমি ওয়াসওয়াসা-রোগী, তাই মাওলানার এ কথা শুনে আমি সন্দেহে পড়ে যাই (সন্দেহে পড়ে যাওয়া আমার অভ্যাস)। তাই আমি স্বামীকে বলি, আমি আপনার কাছ থেকে তালাকের অনুমতি হয়তোবা সঠিকভাবে নিইনি, আপনি আমাকে পুনরায় অনুমতি দিন। কিন্তু ততদিনে সে এ মাসআলা জেনে গেছে যে, অনুমতি পেলে স্ত্রী নিজের ওপর তালাক অর্পণ করতে পারে। তাই সে আর আমাকে অনুমতি দেয়না; বরং বলে, “বাবার বাড়িতে গিয়ে কাবিননামায় দেখো, অনুমতি আছে কিনা”। আমি তো আগেই খোঁজ নিয়ে জেনেছি যে, কাবিননামায় সে অনুমতি দেয়নি।
অতঃপর ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আমি আমার বাবার বাড়ি চলে আসি। তালাক অর্পণের অনুমতি সে আমাকে দিয়েছে কিনা তা আমার পরিবার তাকে জিজ্ঞেস করলে সে অনুমতি দেওয়ার কথা অস্বীকার করে। এরই মাঝে একদিন আমি আব্বা, আম্মা, খালু এবং ঐ লোকটার উপস্থিতিতে বলি, আমার তালাক হয়ে গেছে। সে আমাকে তালাকের অনুমতি দিয়েছিল। লোকটা তখন নীরব থাকে। আমি তাদেরকে বলি, আপনারা নিজেরাই তাকে জিজ্ঞেস করুন সে আমাকে অনুমতি দিয়েছিল কিনা। তারা তাকে জিজ্ঞেস করেনি। বরং ওরা বলে, এভাবে তালাক হয়না। আমি তাদের বলি, আপনারা কোনো মুফতি সাহেবকে এনে তাকে সব কথা বলে যাচাই করে দেখুন, আমার দাবি সত্যি কিনা। তবে আম্মা তাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে সে সরাসরি স্পষ্টভাবে জবাব না দিয়ে বলেছিল, “কী বলব, সবসময় এক কথা নিয়ে আপনার সামনে কেউ ঘেনর ঘেনর করলে একসময় আপনি বলতে বাধ্য হবেন”। আমি বললাম, আপনি কসম করে বলুন যে, আপনি আমাকে তালাক অর্পণের অনুমতি দেননি। এ কথা শুনে সে চুপ থাকে। তখন আমিই কসম করে বলি যে, সে আমাকে অনুমতি দিয়েছে। তালাক হয়ে গেছে বলে আমার মন বেশিরভাগ সায় দেয়। আমার আম্মা খালুকে দিয়ে বিষয়টি (সম্ভবত আলিয়া মাদ্রাসার) একজন মুফতিকে জিজ্ঞেস করায়। খালু জানান, এভাবে বললে তালাক হয়না। ওরা এ বিষয়টি আর যাচাই করতে চাচ্ছিলনা। আমি আরেকজন মাওলানাকে ফোন করে লাউডস্পিকারে কথোপকথন শুনিয়ে ওদের বোঝাই যে, এভাবে বললে তালাক হয়ে যায়। তবুও ওরা না বোঝার ভান করে। যাহোক, এবার আমি তার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে তালাক অর্পণের অনুমতি চাইতে থাকি। অবশেষে সে আমাকে একটা কাগজে লিখে স্বাক্ষর করে দেয় যে, “তোমাকে এই শর্তে তালাক প্রদানের ক্ষমতা প্রদান করা হল, যেদিন থেকে তুমি তা গ্রহণ করবে, সেদিন থেকে তা বলার সুযোগ পাবে। তবে শর্ত থাকে যে, গোসল ছাড়া তালাক দিতে পারবেনা এবং তালাক বলতে হলে যেকোন শুক্রবার সকাল ১০ টার মধ্যে বলতে হবে। তবে (রাগ) পাগল অবস্থায় বললে তা কার্যকর হবেনা”। সকাল ১০ টার মধ্যে গোসল করে তালাক দেওয়ার শর্ত সে হয়ত এ জন্য দিয়েছিল যে, সে জানত, শুচিবায়ু থাকার কারনে সকাল ১০ টার মধ্যে গোসল শেষ করা আমার জন্য খুব দুরূহ কাজ। এরপর আমি ফোন করে সকাল ১০ টার মধ্যে গোসল করার শর্ত রহিত করতে অনুরোধ করলে সে শর্ত তুলে নেয়। সে আরো বলে, লেখা যেভাবেই থাকুক না কেনো, তা দ্বারা তালাকের অনুমতি দেওয়া উদ্দেশ্য। এর কিছুদিন পর আমি তাকে বললাম, আমি আপনাকে এখন মেসেজে যা লিখে পাঠাচ্ছি, সে মোতাবেক আপনি একটি কাগজে লিখে তালাকের অনুমতি দিন। মেসেজে লেখা ছিল, “আমি কামরুল হাসান স্ত্রী লিপিকে আমার পক্ষ থেকে তার নিজের উপর শর্তমুক্তভাবে তালাকে বায়েন প্রদানের অনুমতি অনুমতি দিলাম”। অতঃপর তিনি আমাকে এসব কথা একটি কাগজে লিখে সই করে অনুমতি দেন। তিনি আমাকে এটাও বলেছেন, লেখা যা-ই থাকুক না কেন, ওটা দ্বারা তোমাকে তালাকের অনুমতি প্রদানই উদ্দেশ্য। কয়েকদিন আগে আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে, অতীতে আপনার বাসায় থাকাকালীন আপনি যখন আমার প্রতি তালাক নির্দেশক পরোক্ষ শব্দ ব্যবহার করেছিলেন, তখন কি আপনার মনে তালাকের নিয়ত ছিল? উত্তরে সে বলেছে, নিয়ত ছিলনা; বরং ওসব ছিল কেবল মুখের কথা। হুজুর, এতক্ষণ আপনার কাছে আমার প্রয়োজনীয় বিবরণ তুলে ধরেছি। এখন দয়া করে বলুন, আমার তালাক কি আগেই হয়ে গেছে? তালাক হয়ে গেছে- এ কথা আমি কীভাবে নিশ্চিত হব? তালাক না হয়ে থাকলে আমি কীভাবে তালাক অর্জন করতে পারি? তালাক প্রাপ্তির বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারন আমি পুনরায় বিয়ের কথা ভাবছি। তাই আমি কি নিশ্চিন্ত হওয়ার জন্য নিজের ওপর এখন তালাক অর্পন করতে পারি? এতে সুবিধা হল এই যে, যদি পূর্বে তালাক না হয়ে থাকে, তবে এবার তালাক হয়ে যাবে। আর যদি পূর্বেই তালাক হয়ে থাকে, তবে এখন তালাক অর্পনের দ্বারা কোনো ক্ষতি তো নেই, বরং আমি আত্নপ্রশান্তি লাভ করবো। আপনার উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।
সমাধান ও দুয়াপ্রার্থী,
[নাম ও ঠিকানা গোপন রাখা হল]উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আপনার এ দীর্ঘ লেখা থেকে আমরা তালাক সংক্রান্ত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ কোট করেছি। যথা-
1
“আমি রাগ করে ঘর থেকে ২-৩ দিনের জন্য বের হয়ে চলে যাব”? উত্তরে সে বলেছিল, “২-৩ দিনের জন্য ঘর থেকে বের হলে এমনিতেই তালাক হয়ে যাবে”।
2
আমি রেগে গিয়ে তাকে বললাম, “আমাকে তালাক দিয়ে দেন”। সে বলল, “হ্যাঁ, দিলাম”। আমার রাগ কমার পর আমি তাকে ‘সরি’ বলে জিজ্ঞেস করলাম, একটু আগে কথাটা বলার সময় আপনার নিয়ত ছিল কিনা, তালাক হল কিনা? সে বলল, “নিয়ত ছিলনা, তালাক উচ্চারণ না করলে তালাক হয়না”।
3
“তুমি বিয়ের জন্য অন্য পাত্র খোঁজ”।
4
কখনো বলত, “তুমি তোমার বাবার বাড়ি চলে যাও”।
5
“তুমি পাত্র খোঁজ, খুঁজে পেলে তালাক দেওয়া যাবে”।
6
“তুমি তোমার বাবার বাড়ি যেয়ে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নাও”।
7
“আমি আপনার পক্ষ থেকে নিজের ওপর তালাক দিয়ে দেই”? তখন সে সম্ভবত মাথা নেড়ে/অন্যভাবে সম্মতি জানিয়েছিল।
8
অনুমতি চাইলে কখনও সে বলত, (বাংলাদেশি আইন অনুসারে) মেয়েরা তালাক দিতে পারে, সুতরাং তুমিও দিতে পারবে। তুমি তোমার বাসার লোকদের জানাও এবং দিয়ে দাও।
9
২০১৪ সালে আমি পুনরায় তার কাছ থেকে তালাক অর্পনের অনুমতি নিই। কিন্তু কী বলে অনুমতি নিয়েছিলাম বা সে অনুমতি রহিত করেছিল কিনা- তা আমার স্মরণ নেই বলে মনে কিছুটা সন্দেহ থেকে যায়। তবে সঠিকভাবে অনুমতি নিয়েছিলাম বলে আমার বিশ্বাস এবং এ ব্যাপারে আমি ৯৯% নিশ্চিত (শতভাগ নিশ্চিত হওয়া আমার পক্ষে সবসময় সম্ভব নয়, কারণ আমি শুচিবায়ু/ ওয়াসওয়াসা-রোগী)। এমন পরিস্থিতিতে ২০১৪ সালের সম্ভবত ১১ মে তার কিছু আচরণে আঘাত পেয়ে আমি তার পক্ষ থেকে নিজের ওপর এভাবে তালাক অর্পন করি যে, “আমি কামরুল হাসানের পক্ষ থেকে নিজের ওপর ৩ তালাক অর্পন করলাম। আমি কামরুল হাসানের পক্ষ থেকে ১,২,৩ তালাক অর্পন করলাম”।
10
মেসেজে লেখা ছিল, “আমি কামরুল হাসান স্ত্রী লিপিকে আমার পক্ষ থেকে তার নিজের উপর শর্তমুক্তভাবে তালাকে বায়েন প্রদানের অনুমতি অনুমতি দিলাম”। অতঃপর তিনি আমাকে এসব কথা একটি কাগজে লিখে সই করে অনুমতি দেন। তিনি আমাকে এটাও বলেছেন, লেখা যা-ই থাকুক না কেন, ওটা দ্বারা তোমাকে তালাকের অনুমতি প্রদানই উদ্দেশ্য।
=========
এই হল দশটি পয়েন্ট। যা আপনার তালাক সংক্রান্ত। এর মাঝে পয়েন্ট আকারে উত্তর খেয়াল করুনঃ
১ম পয়েন্টঃ
এর মাধ্যমে কোন তালাক হয়নি। যেহেতু আপনি একথা বলার পর দু’একদিনের জন্য কোথাও গমণ করেননি।
২য় পয়েন্টঃ
এক্ষেত্রে এক তালাক পতিত হয়ে গেছে। পরবর্তীতে ইদ্দত শেষ হবার আগেই যদি স্বামী স্ত্রীর সাথে স্ত্রীসূলভ কোন আচরণ করে থাকে, বা মৌখিকভাবে ফিরিয়ে নিয়ে থাকে, তাহলে, পরবর্তীতে আর দুই তালাকের মালিক হিসেবে স্বামী স্ত্রী বাকি থাকবে। আর যদি ইদ্দত শেষ হবার আগে স্বামী স্ত্রীকে মৌখিকভাবে বা স্ত্রীসূলভ আচরণ [চুম্বন, আলিঙ্গন, সঙ্গম ইত্যাদি] দ্বারা ফিরিয়ে না নেয়, তাহলে ইদ্দত শেষ হবার পর স্বামী স্ত্রীর বন্ধন শেষ হয়ে যায়।
পরবর্তীতে পুনরায় বিবাহ করা ছাড়া স্বামীর কাছে স্ত্রী আর ফিরে আসতে পারে না। [ফাতওয়া মাহমুদিয়া-১৮/৫৩-৫৪]
لو اقر بالطلاق كاذبا او هازلا وقع قضاء (رد المحتار، كتاب الطلاق-4/440)
واذا طلق الرجل امرأته تطليقة رجعية او تطليقتين فله ان يراجعها فى عدتها والرجعة ان يقول راجعتك او راجعت امرأتى يستحب ان يشهد على الرجعة شاهدين (هداية، كتاب الطلاق، باب الرجعة-2/394، الفتاوى الهندية-1/470)
اذا كان الطلاق بائنا دون الثلاث فله ان يتزجها فى العدة وبعد انقضائها، (الفتاوى الهندية، كتاب الطلاق، باب الرجعة-1/472، رد المحتار-5/40، النهر الفائق-2/355)
৩য় ও ৪র্থ পয়েন্টঃ
একথা বলার দ্বারা যদি আপনার স্বামী তালাকের নিয়ত করে থাকে, তাহলে এক তালাকে বায়েন পতিত হয়ে গেছে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে থাকে, তাহলে কোন তালাক পতিত হয়নি।
واما مدلولات الطلاق فهو مثل قوله اذهبى وقومى والحقى باهلك وما شاكلها اذا نوى بهذه الألفاظ يقع بائنا وان قال لم ارد به الطلاق او لم تحضره النية لا يكون طلاقا الخ (الفتاوى التاتارخانية، كتاب الطلاق، الفصل الخامس فى الكنايات-3/315، الفتاوى الهندية، كتاب الطلاق، الفصل الخامس فى الكنايات-1/375، البحر الرائق-3/30)
৫ম পয়েন্ট
এর মাধ্যমে কোন তালাক পতিত হয়নি। কারণ, এটি কেবলি একটি ওয়াদা মাত্র। আর ওয়াদার মাধ্যমে কোন তালাক পতিত হয় না।
صيغة المضارع لا يقع بها الطلاق الا اذا غلب فى الحال كما صرح به الكمال بن الهمام (الفتاوى الحامدية، كتاب الطلاق-38، رشيدة)
وفى الدر المختار، بخلاف قوله طلقى نفسك فقالت أنا طالق، أو أنا اطلق نفسى، لم يقع لأنه وعد، (رد المحتار، كتاب الطلاق، باب تفويض الطلاق-3/319
৬, ও ৮ নং পয়েন্টঃ
এর দ্বারা তালাকের অনুমতি প্রদান সাব্যস্ত হবে না। যেহেতু আপনার পিতা মাতা তালাক প্রদানে সম্মত হননি।
৭ম পয়েন্টঃ
এর দ্বারা আপনি নিজের উপর তালাক প্রদানের অনুমতি প্রাপ্ত হয়েছেন। তবে যে মজলিসে অনুমতিপ্রাপ্ত হয়েছেন, তালাক দেবার অধিকারটি সেই মজলিসটিতেই খাস থাকবে। উক্ত মজলিস শেষ হয়ে গেলে পরবর্তীতে উক্ত অধিকার বলে নিজের উপর তালাক পতিত করলে তালাক হবে না।
وفي رد المحتار- وأنواعه ثلاثة : تفويض ، وتوكيل ، ورسالة وألفاظ التفويض ثلاثة : تخيير وأمر بيد ، ومشيئة .
( قال لها اختاري أو أمرك بيدك ينوي ) تفويض ( الطلاق ) لأنها كناية فلا يعملان بلا نية ( أو طلقي نفسك فلها أن تطلق في مجلس علمها به ) مشافهة أو إخبارا ( وإن طال ) يوما أو أكثر ما لم يوقته ويمضي الوقت قبل علمها ( ما لم تقم ) لتبدل مجلسها حقيقة ( أو ) حكما بأن ( تعمل ما يقطعه ) مما يدل على الإعراض لأنه تمليك فيتوقف على قبول في المجلس لا توكيل ، فلم يصح رجوعه ، حتى لو خيرها ثم حلف أن لا يطلقها فطلقت لم يحنث في الأصح ( لا ) تطلق ( بعده ) أي المجلس ( إلا إذا زاد ) في قوله طلقي نفسك وأخواته ( متى شئت أو متى ما شئت أو إذا شئت أو إذا ما شئت ) فلا يتقيد بالمجلس ( ولم يصح رجوعه ) لما مر (رد المحتار-كتاب الطلاق، باب تفويض الطلاق-4/452)
৯ম ও ১০ পয়েন্টঃ
৯ম সূরতে আপনার অনুমতি পাবার ব্যাপারে সন্দেহ হলেও ১০ সূরতে আপনি নিজের উপর তালাক প্রদানের অধিকারপ্রাপ্ত হয়ে গেছেন। তাই এখন আপনি নিজের উপর তালাক পতিত করে। ইদ্দত শেষে অন্য কারো সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেন।
وفي رد المحتار- وأنواعه ثلاثة : تفويض ، وتوكيل ، ورسالة وألفاظ التفويض ثلاثة : تخيير وأمر بيد ، ومشيئة .
( قال لها اختاري أو أمرك بيدك ينوي ) تفويض ( الطلاق ) لأنها كناية فلا يعملان بلا نية ( أو طلقي نفسك فلها أن تطلق في مجلس علمها به ) مشافهة أو إخبارا ( وإن طال ) يوما أو أكثر ما لم يوقته ويمضي الوقت قبل علمها ( ما لم تقم ) لتبدل مجلسها حقيقة ( أو ) حكما بأن ( تعمل ما يقطعه ) مما يدل على الإعراض لأنه تمليك فيتوقف على قبول في المجلس لا توكيل ، فلم يصح رجوعه ، حتى لو خيرها ثم حلف أن لا يطلقها فطلقت لم يحنث في الأصح ( لا ) تطلق ( بعده ) أي المجلس ( إلا إذا زاد ) في قوله طلقي نفسك وأخواته ( متى شئت أو متى ما شئت أو إذا شئت أو إذا ما شئت ) فلا يتقيد بالمجلس ( ولم يصح رجوعه ) لما مر (رد المحتار-كتاب الطلاق، باب تفويض الطلاق-4/452)
এই হল আপনার পুরো বক্তব্যের পয়েন্ট আকারে জবাব। আপনি নিজেই এর মাধ্যমে আপনার বর্তমান অবস্থান বের করে নিতে পারবেন।
তবে যেহেতু আপনার ওয়াসওয়াসার রোগ আছে, তাই বলে দিচ্ছি, যদি আপনার সন্দেহ থেকে থাকে, তাহলে যেহেতু আপনি ১০ নং পয়েন্টের মাধ্যমে নিজের উপর তালাক পতিত করার অধিকারপ্রাপ্ত হয়ে গেছেন, তাই নতুন করে নিজের উপর তালাক পতিত করে নিয়ে, ইদ্দত শেষে অন্য কারো সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেন।
কিছু উপদেশ!
উপরে যা উল্লেখ করলাম তাহলো শরয়ী বিধান। যা আপনার প্রশ্নের উপর নির্ভর করে লেখা। এইতো গেল বিধান। বাকি দ্বীনী ভাই হিসেবে কিছু কথা বলছি।
আপনার পুরো লেখা পড়ে যা বুঝতে পারলাম, তাহলো আপনি প্রচন্ড মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। আপনার জরুরী ভিত্তিতে মানসিক ডাক্তার দেখানো উচিত।
ছয় ঘন্টাব্যাপী গোসল করা, চার পাঁচ ঘন্টাব্যাপী টয়লেটে থাকা কোন সুস্থ্য মানুষের কাজ হতে পারে না বোন। আপনার গায়ে কোন বাচ্চা স্পর্শ করতে পারে না। আপনি রান্না করতে পারেন না। এভাবে আপনি নতুন বিয়ে করে কতটা শান্তি পেতে পারবেন?
আপনাকে অন্য দশজনের মতই স্বাভাবিক জীবনাচারে অভ্যস্ত হতে হবে।
আপনাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে হবে। শরীয়ত আপনাকে এভাবে পবিত্র হতে বলেনি। শরীর থেকে নাপাক দূর হয়ে পূর্ণ শরীরে পানি পৌঁছলেই ব্যক্তি পবিত্র হয়ে যায়। অহেতুক ওয়াসওয়াসায় ভোগার কোন মানে হয় না।
টয়লেটের ক্ষেত্রেও একই বিধান। পানি দিয়ে তিনবার ধৌত করার দ্বারাই আপনি পবিত্র হয়ে যাবেন। এরপরও যদি ওয়াসওয়াসা লাগে, তাহলে সেই ওয়াসওয়াসা শয়তানের ধোঁকা বিশ্বাস করে ছেড়ে দিন। নতুবা আপনার পুরো জীবনের অর্ধেকের বেশিইতো গোসলখানা আর বাথরুমেই কেটে যাবে।
তাই আপনার এ ওয়াসওয়াসার রোগকে পাত্তা দেয়া যাবে না। শরীয়ত যতটুকু পরিস্কার হতে বলেছে, ব্যাস এতটুকু পরিস্কার হলেই হবে। আপনি ওয়াসওয়াসাকে প্রশ্রয় দিলে অনেকগুলো গোনাহে লিপ্ত হয়ে পড়বেন। যেমন-
১-স্বামীর হক নষ্ট করবেন।
২-সন্তানের হক নষ্ট করবেন।
৩-পানি অপচয় করার গোনাহে লিপ্ত হবেন।
৪- ইবাদত পালনে দেরী ও গাফলতী চলে আসবে।
৫-মানসিকভাবে নিজেকে কষ্ট দিবেন।
এছাড়াও আরো অনেক দুনিয়াবী ও দ্বীনী ক্ষতিতে লিপ্ত হবেন। তাই ওয়াসওয়াসার এ রোগ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন। ইনশাআল্লাহ আপনার মনের প্রশান্তি ফিরে আসবে। আমরা আপনার সুন্দর ও স্বাভাবিক এবং ইবাদতময় জীবনের জন্য স্রষ্টার দরবারে কায়মানোবাক্যে দুআ করছি। আল্লাহ তাআলা আপনাকে সুস্থ্য ও স্বাভাবিক বানিয়ে দিন। বেশি বেশি করে ইবাদত করার তৌফিক দিন। পরিবারের সবার যথার্থ হক রক্ষা করার মত ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা দান করুন। আমীন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।