প্রশ্ন
mito baktir nama korbani dilay ai goshto ki mito baktir poribar ba relative ra khetay parbay?janalay valo hoi.
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
মৃত ব্যক্তির নামে কুরবানী দেয়ার তিনটি সূরত রয়েছে। যথা-
১-
যদি মৃত ব্যক্তি তার নামে কুরবানী করার জন্য অসিয়ত করে যায়, আর উক্ত মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া ত্যাজ্য সম্পদ থেকেই কুরবানী দেয়া হয়।
২
মৃত ব্যক্তি অসিয়ত করে গেছে তার নামে কুরবানী দেয়ার জন্য কিন্তু তার সম্পদ থেকে কুরবানী দেয়া হয়নি, বরং আত্মীয়রা নিজের সম্পদ থেকে তার নামে কুরবানী করে দিয়েছে।
৩
মৃত ব্যক্তি অসিয়ত করে যায়নি। আত্মীয়রা এমনিতেই মৃত ব্যক্তির নামে কুরবানী করে।
উক্ত তিন সূরতের প্রথম সূরতে কুরবানীর গোস্ত পরিবারের জন্য খাওয়া জায়েজ নয়। বরং তা দান করে দেয়া আবশ্যক।
বাকি দুই সূরতে কুরবানীর গোস্ত আত্মীয় ও পরিবারের জন্য খেতে কোন সমস্যা নেই।
تبرع بالأضحية عن ميت، جاز له الأكل منها الهدية والصدقة، لأن الاجر للميت والملك للمضحى، وهو المختار، بخلاف ما لو كان بأمر الميت، حيث لا يأكل فى المختار (فتح المعين، كتاب الأضحية-3/382، رد المحتار، كتاب الأضحية-6/335، قاضي خان على هامش الهندية، كتاب الأضحية، فصل فيما يجوز فى الضحايا وما لا يجوز-3/352-3/352)
وفى رد المحتار- (وعن ميت) اى ضحى عن ميت وارثه بامره الزمه بالتصدق بها وعدم الأكل منها (رد المحتار-5/293، كتاب الأضحية)
عَنْ حَنَشٍ، قَالَ: رَأَيْتُ عَلِيًّا يُضَحِّي بِكَبْشَيْنِ فَقُلْتُ لَهُ: مَا هَذَا؟ فَقَالَ: «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْصَانِي أَنْ أُضَحِّيَ عَنْهُ فَأَنَا أُضَحِّي عَنْهُ» (سنن ابى داود، رقم الحديث-2790
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।
ইমেইল– [email protected]
মৃত ব্যক্তির সম্পদ থেকে করলে তার গোস্ত খাওয়া যাবেনা, আর নিজের সম্পদ থেকে করলে খাওয়া যাবে, এই পার্থক্যের দলিল কি?
সালাম।
আপনি পার্থক্য ধরতে পেরেছেন কি না?
যদি মৃত ব্যক্তি অসিয়ত করে যায়, আর সেই অসিয়ত অনুপাতে তার সম্পদের তিন ভাগের একভাগ থেকে কুরবানী করা হয়, তাহলে সেটি এক প্রকার মান্নত হয়ে যায়। যা গরীবদের মাঝে বন্টনের জন্য নির্ধারিত হয়ে যায়। কিন্তু যদি অসিয়ত সত্বেও তার সম্পদ থেকে তা না করা হয় তাহলে সেটি আর মান্নতের পর্যায়ে থাকে না। দেখুন ফাতাওয়া রহীমীয়া-১ম খন্ড। জাযাকাল্লাহ।