প্রশ্নঃ
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
হুজুর, জুমার খুতবা ছুটে গেলে যোহর পড়তে হবে? দয়া করে জানিয়ে বাধিত করবেন।
From: Kamrul Islam
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا ومصليا و مسلما
উত্তরঃ
জুমুআর খোৎবা মনোযোগ সহকারে শুনা ওয়াজিব। ইচ্ছেকৃত ছেড়ে দিলে ওয়াজিব তরকের গুনাহ হবে। যে ব্যক্তি জুমুআর খোৎবা না শুনে ইমামের সাথে নামাজে শরীক হয়, সে ফিরিশতাদের করা জুমুআয় উপস্থিতির লিস্ট থেকে বঞ্চিত হয়।
এজন্য জুমুআর দিন দুনিয়াবী ব্যস্ততা ভিন্নদিকে রেখে তাড়াতাড়ি মসজিদে ইমামের কাছাকাছি বসার ও মনোযোগ সহকারে খোৎবা শুনার চেষ্টা করতে হবে।
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” يَحْضُرُ الْجُمُعَةَ ثَلاَثَةُ نَفَرٍ رَجُلٌ حَضَرَهَا يَلْغُو وَهُوَ حَظُّهُ مِنْهَا وَرَجُلٌ حَضَرَهَا يَدْعُو فَهُوَ رَجُلٌ دَعَا اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ إِنْ شَاءَ أَعْطَاهُ وَإِنْ شَاءَ مَنَعَهُ وَرَجُلٌ حَضَرَهَا بِإِنْصَاتٍ وَسُكُوتٍ وَلَمْ يَتَخَطَّ رَقَبَةَ مُسْلِمٍ وَلَمْ يُؤْذِ أَحَدًا فَهِيَ كَفَّارَةٌ إِلَى الْجُمُعَةِ الَّتِي تَلِيهَا وَزِيَادَةُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ وَذَلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَقُولُ ( مَنْ جَاءَ بِالْحَسَنَةِ فَلَهُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا ) ” .
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর থেকে বর্ণিত। নবী করীম (ﷺ) বলেন: মসজিদে তিন প্রকারের লোক হাযির হয়ে থাকে। একধরণের লোক মসজিদে উপস্থিত হয়ে এদিক-ওদিক ঘুরাফেরা করে এবং অনর্থক কথা বলে। আর একধরণের লোক মসজিদে হাযির হয়ে খুতবার সময় দু’আ ইত্যাদিতে মশগুল থাকে। আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে এদের দু’আ কবুল করতেও পারেন আবার নাও করতে পারেন। আর এক ধরণের লোক মসজিদে হাযির হয়ে খুতবা পাঠের সময় নিশ্চুপ থাকে এবং অন্যের ঘাড়ের উপর দিয়ে চলাফেরা করেনা এবং অন্যকে কষ্ট দেয় না। এই (তৃতীয় ধরণের) ব্যক্তির জন্য বিগত জুমা হতে এ পর্যন্ত এবং সামনের তিনদিনের জন্য এই নীরবতা কাফফারা স্বরূপ হবে। তা এই জন্য যে, আল্লাহ তাআলা বলেছেন: “যে ব্যক্তি একটি ভাল কাজ করবে সে এর বিনিময়ে দশগুণ সাওয়াব পাবে”।
—সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ১১১৩ (আন্তর্জাতিক নং ১১১৩)
তাহকীক: বিশুদ্ধ (পারিভাষিক হাসান)
এভিডেন্সঃ
(وكل ما حرم في الصلاة حرم فيها) أي في الخطبة خلاصة وغيرها فيحرم أكل وشرب وكلام ولو تسبيحا أو رد سلام أو أمرا بمعروف بل يجب عليه أن يستمع ويسكت (بلا فرق بين قريب وبعيد) في الأصح
الھندیۃ: (147/1، ط: دار الفکر)
وإذا خرج الإمام فلا صلاة ولا كلام وقالا: لا بأس إذا خرج الإمام قبل أن يخطب وإذا فرغ قبل أن يشتغل بالصلاة كذا في الكافي سواء كان كلام الناس أو التسبيح أو تشميت العاطس أو رد السلام، كذا في السراج الوهاج۔۔۔والنائي عن الإمام في استماع الخطبة كالقريب۔۔۔۔۔ويحرم في الخطبة ما يحرم في الصلاة حتى لا ينبغي أن يأكل أو يشرب والإمام في الخطبة، هكذا في الخلاصة.
درر الحکام: (140/1، ط: دار احیاء الکتب العربیۃ)
عن المجتبى الاستماع إلى خطبة النكاح والختم وسائر الخطب واجب والأصح الاستماع إلى الخطبة من أولها إلى آخرها، وإن كان فيه ذكر الولاة. اه.
والله أعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
মুহা. শাহাদাত হুসাইন , ছাগলনাইয়া, ফেনী।
সাবেক শিক্ষার্থী: ইফতা বিভাগ
তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
সত্যায়নে
মুফতী লুৎফুর রহমান ফরায়েজী দা.বা.
পরিচালক– তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম আমীনবাজার ঢাকা।
প্রধান মুফতী: জামিয়াতুস সুন্নাহ লালবাগ, ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া ইসলামিয়া দারুল হক লালবাগ ঢাকা।
পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী