প্রশ্ন
মুহতারাম মুফতি সাহেব,
আমার জানার বিষয় হলো।
আব্দুল্লাহ নিসাব পরিমানের মালিক। তিনি গরুর ১ ভাগের টাকা দিয়েছে কোরবানি করার জন্য। কোরবানি আসার আগেই মারা যান।
এখন প্রশ্ন হলো,
১ মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কোরবানি করবে নাকি টাকা ছেলেদের ফিরত দিবে?
২ কোরবানি করলে ওয়ারিসদের অনুমতি নিতে হবে নাকি অনুমতি নিতে হবে না?
৩ যদি কোরবানি দেয় তাহলে গোস্তর কি হুকুম সদকাহ করবে নাকি স্বাভাবিক ভাবে বন্টন করবে?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
মৃত্যুর মাধ্যমে তার কুরবানীকৃত অংশের মালিকানা তার ওয়ারিসদের কাছে চলে যায়। তাই কুরবানী করার জন্য ওয়ারিসদের অনুমতি লাগবে। যদি সকল ওয়ারিস প্রাপ্ত বয়স্ক হয়, তাহলে তাহলে তাদের অনুমোদনক্রমে মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কুরবানী করতে পারবে। এটি নফল কুরবানী হিসেবে সাব্যস্ত হবে। সেই হিসেবে এর গোস্ত সাধারণ কুরবানীর গোস্তের মতোই খাওয়া যাবে। সদকা করা আবশ্যক নয়।
কিন্তু যদি একজন ওয়ারিসও নাবালেগ থাকে, কিংবা কোন ওয়ারিস অনুমতি প্রদান না করে, তাহলে মৃত ব্যক্তির অংশের টাকা ওয়ারিসদের ফেরত দিতে হবে। এর স্থলে অন্য কাউকে শরীক নিতে পারবে।
অনুমতি ছাড়া কুরবানী করলে উক্ত কুরবানীটি বাতিল হিসেবে সাব্যস্ত হবে। তাই অনুমোদন নেয়া আবশ্যক।
وان مات احد السبعة الذين شاركوا فى البدنة وقال ورثته وهم كبار اذبحوها اى البدنة عنكم وعنه اى عن الميت صح ذبحها استحسانا (مجمع الأنهر، كتاب الأضحية، دار الكتب العلمية بيروت-4/173)
وان مات احد السبعة المشتركين فى البدنة، وقال الورثة اذبحوا عنه وعنكم صح عن الكل استحسانا لقصد القربة من الكل، ولو ذبحوها بلا اذن الورثة لم يجزهم لان بعضها لم يقع قربة (الدر المختار مع رد المحتار، زكريا-9/471، كرتاشى-6/326، تبيين الحقائق، زكريا-6/484، خانية على هامش الهندية-3/351)
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
প্রধান মুফতী: জামিয়াতুস সুন্নাহ লালবাগ, ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া ইসলামিয়া দারুল হক লালবাগ ঢাকা।
পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।
ইমেইল– [email protected]