প্রচ্ছদ / অপরাধ ও গোনাহ / কিয়ামতের আলামতসমূহ (পর্ব-৩]

কিয়ামতের আলামতসমূহ (পর্ব-৩]

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

২য় পর্বটি পড়ে নিন

বিদআত ছড়িয়ে পড়বে

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «مَا أَتَى عَلَى النَّاسِ عَامٌ إِلَّا أَحْدَثُوا فِيهِ بِدْعَةً، وَأَمَاتُوا فِيهِ سُنَّةً، حَتَّى تَحْيَى الْبِدَعُ، وَتَمُوتَ السُّنَنُ»

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, লোকেরা প্রতি বছর একটি নতুন বিদআত আবিস্কার করবে এবং একটি সুন্নাতকে ধ্বংস করবে। এভাবে হতে হতে বিদআতই যিন্দা হয়ে যাবে, আর সুন্নাত মিটে যাবে। [আলমু’জামুল কাবীর লিততাবারানী, হাদীস নং-১০৬১০, আসসুনানুল ওয়ারিদা ফিলফিতান লিদ্দানী, বর্ণনা নং-২৭৭]

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: ” كَيْفَ بِكُمْ إِذَا أَلْبَسَتْكُمْ فِتْنَةٌ يَهْرَمُ فِيهَا الْكَبِيرُ، وَيَرْبُو فِيهَا الصَّغِيرُ، يَتَّخِذُهَا النَّاسُ سُنَّةً، إِذَا تُرِكَ مِنْهَا شَيْءٌ قِيلَ: تُرِكَتِ السُّنَّةُ “، قِيلَ: يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَمَتَى ذَلِكَ؟ قَالَ: «إِذَا كَثُرَتْ جُهَّالُكُمْ، وَقَلَّتْ عُلَمَاؤُكُمْ وَفُقَهَاؤُكُمْ، وَكَثُرَتْ قُرَّاؤُكُمْ وَأُمَرَاؤُكُمْ، وَقَلَّتْ أُمَنَاؤُكُمْ، وَالْتُمِسَتِ الدُّنْيَا بِعَمَلِ الْآخِرَةِ»

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ রাঃ বলেন, তোমাদের অবস্থা তখন কেমন হবে যখন ফিতনা তোমাদের আচ্ছন্ন করে ফেলবে, যার মধ্যেই বড়রা বৃদ্ধ হবে এবং ছোটরা বেড়ে উঠবে। আর সেই ফিতনা তথা বিদআতটাকে লোকেরা সুন্নাত হিসেবে গ্রহণ করবে। যখন তা (বিদআতের ধরণ) পরিবর্তিত হয়ে যাবে, তখন লোকেরা বলবে, সুন্নাতকে পরিবর্তন করে ফেলা হল! তারা জিজ্ঞেস করল, হে আবু আব্দুর রহমান! এটা কখন ঘটবে? তিনি বললেন, যখন তোমাদের মধ্যে ক্বারীদের সংখ্যা বেশি হবে এবং ফকীহদের সংখ্যা কমে যাবে, আমীর বা নেতার সংখ্যা বেড়ে যাবে এবং আমানতদারের সংখ্যা কমে যাবে এবং আখিরাতের আমলের (কাজের) দ্বারা দুনিয়া (এর লাভ) অন্বেষণ করা হবে। [সুনানে দারামী, হাদীস নং-১৯১, মুস্তাদরাক আলাস সহীহাইন, হাদীস নং-৮৫৭০]

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا ظَهَرَتِ الْبِدَعُ وَشُتِمَ أَصْحَابِي فَمَنْ كَانَ عِنْدَهُ عِلْمٌ فَلْيُظْهِرْهُ , فَإِنَّ كَاتِمَ الْعِلْمِ حِينَئِذٍ كَكَاتِمِ مَا أَنْزَلَ اللَّهُ

হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যখন বিদআত প্রকাশ পাবে, আর আমার সাহাবীদের সমালোচনা শুরু হবে, তখন যার কাছে ইলম আছে তার উচিত তা প্রচার করা। কেননা, সেই সময় ইলমকে গোপনকারী আল্লাহ তাআলার নাজিলকৃত বিধানাবলী গোপনকারীর মত হবে। [আসসুনানুল ওয়ারিদা ফিলফিতান, বর্ণনা নং-২৮৭]

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ: كَيْفَ أَنْتُمْ إِذَا ظَهَرَ فِيكُمُ الْبِدَعُ , وَعُمِلَ بِهَا حَتَّى يَرْبُوَ فِيهَا الصَّغِيرُ , وَيَهْرَمَ الْكَبِيرُ , وَيُسْلِمَ فِيهَا الْأَعَاجِمُ , حَتَّى يَعْمَلَ الرَّجُلُ بِالسُّنَّةِ فَيُقَالَ: بِدْعَةٌ , قَالُوا: مَتَى ذَلِكَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ؟ قَالَ: «إِذَا كَثُرَتْ أُمَرَاؤُكُمْ , وَقَلَّتْ أُمَنَاؤُكُمْ , وَكَثُرَتْ قُرَّاؤُكُمْ , وَقَلَّتْ فُقَهَاؤُكُمْ , وَتُفُقِّهَ لِغَيْرِ الدِّينِ , وَابْتُغِيَتِ الدُّنْيَا بِعَمَلِ الْآخِرَةِ

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ রাঃ বলেন, তোমাদের কী অবস্থা হবে যখন তোমাদের মাঝে বিদআত প্রকাশ পাবে?  আর সেসব বিদআতের উপর আমল করা হতে থাকবে। এ বিদআতের বিস্তারের অবস্থায়ই শিশুরা লালিত পালিত হতে থাকবে। বড়রা বৃদ্ধ হতে থাকবে। অনারবীরা ইসলাম গ্রহণ করবে। অবস্থা এমন দাঁড়াবে যে, কেউ সুন্নাতের উপর আমল করলে সেটাকে বিদআত বলা হবে। লোকেরা প্রশ্ন করলেন, এটা কখন হবে? তিনি বলেন, যখন তোমাদের মাঝে ধনী বৃদ্ধি পাবে। আমানতদার কমে যাবে। ক্বারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। দ্বীনের সহীহ সমঝওয়ালা ফক্বীহ কমে যাবে। দ্বীনকে দ্বীনী ব্যতীত অন্য মাকসাতে শিখানো হবে। আর আখেরাতের আমলের দ্বারা দুনিয়া উপার্জন করা হতে থাকবে।  [আসসুনানুল ওয়ারিদা ফিলফিতান, বর্ণনা নং-২৮১]

কুরআন ছেড়ে অন্য কিছুকে পছন্দ করা শুরু হবে

عَنْ مَعْقَلِ بْنِ يَسَارٍ الْمُزَنِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: ” لَا تَذْهَبُ اللَّ‍يَالِي وَالْأَيَّامُ حَتَّى يَخْلَقَ الْقُرْآنُ فِي صُدُورِ أَقْوَامٍ مِنْ هَذِهِ الْأُمَّةِ كَمَا تَخْلَقُ الثِّيَابُ , وَيَكُونُ غَيْرُهُ أَعْجَبَ إِلَيْهِمْ , وَيَكُونُ أَمْرُهُمْ طَمَعًا كُلُّ‍هُ لَا يُخَالِطُهُ خَوْفٌ إِنْ , قَصَّرَ عَنْ حَقِّ اللَّهِ مَنَّتْهُ نَفْسُهُ الْأَمَانِيَّ , وَإِنْ تَجَاوَزَ إِلَى مَا نَهَى اللَّهُ قَالَ أَرْجُو أَنْ يَتَجَاوَزَ اللَّهُ عَنِّي , يَلْبَسُونَ جُلُودَ الضَّأْنِ عَلَى قُلُوبِ الذِّئَابِ , أَفَاضِلُهُمْ فِي أَنْفُسِهِمْ الْمُدَاهِنُ. قِيلَ وَمَنِ الْمُدَاهِنُ؟ قَالَ: الَّذِي لَا يَأْمُرُ وَلَا يَنْهَى

রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, রাত ও দিনের এ ধারাবাহিকতা শেষ হবে না অর্থাৎ কিয়ামত আসবে না, যতক্ষণ না কুরআনে কারীম এ উম্মাতের অন্তরে পুরানো কাপড়ের মত পুরানো না হবে। কুরআনে কারীম ব্যতীত তাদের কাছে অন্য কিছু বেশি প্রিয় হয়ে যাবে। তাদের সবকিছুই কেবল লালসা, লোভ নির্ভর হবে। তাদের অন্তরে আল্লাহর কোন ভয় থাকবে না। যদি আল্লাহর কোন হক নষ্ট করে, তাহলে তার আশা আকাংখা তাকে দুর্বল করে দিবে। [অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা মাফ করে দিবেন এ আশায় নেক কাজ থেকে বিরত থাকবে।]  যদি আল্লাহর নিষেধকৃত কোন হারাম কাজ করে, তাহলে এটা বলবে যে, আমি আশাবাদী যে, আল্লাহ তাআলা আমার থেকে তা মার্জনা করে দিবেন। তারা নেকড়ে হৃদয়ের উপর ভেড়ার খাল পরিধান করবে।  [অর্থাৎ তাদের শরীরের উপরতো নরম চামড়ার পোশাক হবে, কিন্তু তাদের হৃদয় থাকবে নেকড়ের মত শক্ত আগ্রাসী]। তাদের মধ্যকার উত্তম লোক তথা উলামাগণের মাঝে মুদাহানাত তথা তোষামোদী মনোবৃত্তি প্রবেশ করবে। জিজ্ঞাসা করা হল, মুদাহিন কারা? তিনি বললেন, যারা নেক কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করে না। [মুসনাদুল হারেছ, বর্ণনা নং-৭৬৮, হিলয়াতুল আওলিয়া-৬/৫৯]

عَنْ شَدَّادِ بْنِ مَعْقِلٍ قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ مَسْعُودٍ يَقُولُ: إِنَّ أَوَّلَ مَا تَفْقِدُونَ مِنْ دِينِكُمُ الْأَمَانَةَ، وَإِنَّ آخِرَ مَا يَبْقَى مِنْ دِينِكُمُ الصَّلَاةُ، وَلَيُصَلِّيَنَّ الْقَوْمُ الَّذِينَ لَا دِينَ لَهُمْ، وَلَيُنْتَزَعَنَّ الْقُرْآنُ مِنْ بَيْنَ أَظْهُرِكُمْ

হযরত আব্দুল্লাহ মাসঊদ রাঃ বলেন, নিশ্চয় সবচে’ প্রথম বস্তু যা তোমরা তোমাদের দ্বীন থেকে হারিয়ে ফেলবে, তাহলো আমানত। তোমাদের দ্বীনের সবচে’ আখেরী বস্তু যা বাকি থাকবে, সেটি হলো নামায। অবশ্যই এমন কিছু ব্যক্তি নামায পড়বে, যাদের মাঝে কোন দ্বীন বাকি থাকবে না। অবশ্যই তোমাদের থেকে কুরআনকে ছিনিয়ে নেয়া হবে। [আলমু’জামুল কাবীর লিততাবারানী, হাদীস নং-৮৭০০, মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৫৯৮১]

কুরআনে কারীমের অপব্যাখ্যা করা হবে

عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ الْجُهَنِيِّ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: ” هَلَاكُ أُمَّتِي فِي الْكِتَابِ وَاللَّبَنِ “. قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ، مَا الْكِتَابُ وَاللَّبَنُ؟ قَالَ: ” يَتَعَلَّمُونَ الْقُرْآنَ فَيَتَأَوَّلُونَهُ عَلَى غَيْرِ مَا أَنْزَلَ اللهُ،

হযরত উকবা বিন আমের আলজুহানী রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আমার উম্মতের ধ্বংস কুরআন ও দুধের কারণে হবে। সাহাবাগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! কুরআন ও দুধের কারণে কিভাবে? নবীজী বললেন, লোকেরা কুরআন শিখবে, তারপর আল্লাহ তাআলা কুরআন যে অর্থে নাজিল করেছেন, তার উল্টো অন্য অর্থে ব্যাখ্যা করবে। [মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৭৪১৫]

عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «سَيَهْلِكُ مِنْ أُمَّتِي أَهْلُ الْكِتَابِ وَأَهْلُ اللَّبِنِ» قَالَ عُقْبَةُ: مَا أَهْلُ الْكِتَابِ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «قَوْمٌ يَتَعَلَّمُونَ كِتَابَ اللَّهِ يُجَادِلُونَ بِهِ الَّذِينَ آمَنُوا» قَالَ: فَقُلْتُ: مَا أَهْلُ اللَّبِنِ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ ” قَالَ: «قَوْمٌ يَتَّبِعُونَ الشَّهَوَاتِ وَيُضِيعُونَ الصَّلَوَاتِ»

হযরত উকবা বিন আমের আলজুহানী রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, অচিরেই আমার উম্মতের মধ্যকার আহলুল কিতাব ও আহলুল লাবান ধ্বংস হবে। উকবা বলেন, এই আহলে কিতাব কারা হে আল্লাহর রাসূল? তিনি বললেন, ঐ সকল লোক যারা আল্লাহর কিতাবকে এ কারণে শিখবে, যাতে করে এর দ্বারা মুমিনদের সাথে বিতর্ক করতে পারে। তিনি বলেন, আমি বললাম, তাহলে আহলুল লাবান কারা হে আল্লাহর রাসূল? নবীজী বলেন, ঐ সকল লোক যারা নিজের কামবাসনার পিছনে ছুটে এবং নামায কাযা নষ্ট করে। [মুস্তাদরাক আলাস সহীহাইন, হাদীস নং-৩৪১৭, আলমু’জামুল কাবীর লিততাবারানী, হাদীস নং-৮১৭, শুয়াবুল ঈমান লিলবায়হাকী, হাদীস নং-২৭০৩]

কুরআনকে গানের সুরে তিলাওয়াত করা হবে

عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: ” اقْرَءُوا الْقُرْآنَ بِلُحُونِ الْعَرَبِ وَأَصْوَاتِهَا، وَإِيَّاكُمْ وَلُحُونَ أَهْلِ الْفِسْقِ وَأَهْلِ الْكِتَابَيْنِ، فَإِنَّهُ سَيَجِيءُ مِنْ بَعْدِي قَوْمٌ يُرَجِّعُونَ بِالْقُرْآنِ تَرْجِيعَ الْغِنَاءِ وَالرَّهَبَانِيَّةِ وَالنَّوْحِ لَا يُجَاوِزُ حَنَاجِرَهُمْ، مَفْتُونَةٌ قُلُوبُهُمْ وَقُلُوبُ مَنْ يُعْجِبُهُمْ شَأْنُهُمْ

হুযায়ফাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কুরআন পড়ো ‘আরবদের স্বর ও সুরে। আর দূরে থাকো ফাসিক ও আহলে কিতাবদের পদ্ধতি হতে। আমার পর খুব তাড়াতাড়ি এমন কিছু লোকের আগমন ঘটবে, যারা কুরআন পাঠে গান, বৈরাগী সুর ও বিলাপের সুর ধরবে। কুরআন মাজীদ তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করে অন্তরের দিকে যাবে না। তাদের অন্তর হবে দুনিয়ার মোহগ্রস্ত। এভাবে তাদের অন্তরও মোহগ্রস্ত হবে যারা তাদের এ পদ্ধতির তিলাওয়াতকে পছন্দ করবে। [শুয়াবুল ঈমান লিলবায়হাকী, হাদীস নং-২৪০৬,আলমু’জামুল আওসাত লিততাবারানী, হাদীস নং-৭২২৩]

عَنْ عَابِسٍ الْغِفَارِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: يَتَخَوَّفُ عَلَى أُمَّتِهِ سِتَّ خِصَالٍ: «إِمْرَةَ الصِّبْيَانِ، وَكَثْرَةَ الشُّرَطِ، وَالرَّشْوَةَ فِي الْحُكْمِ، وَقَطِيعَةَ الرَّحِمِ، واسْتِخْفَافٌ بِالدَّمِ، ونَشْءٌ يَتَّخِذُونَ الْقُرْآنَ مَزَامِيرَ، يُقَدِّمُونَ الرَّجُلَ لَيْسَ بأَفْقَهَهُمْ، وَلَا أَعْلَمَهُمْ، وَلَا بأَفْضَلَهُمْ، يُغَنِّيهِمْ غَنَاءً

হযরত আবেস আল গিফারী রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উম্মতের উপর ছয়টি বিষয়ে আশংকা প্রকাশ করেছেন। সেগুলো হলো, শিশু তথা বোকা ও অযোগ্য ব্যক্তিদের নেতা হওয়া। জালেম পুলিশের আধিক্য। আদালতে ঘুষ লেনদেন। আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকরণ। রক্ত মূল্যহীন হওয়া অর্থাৎ মানুষের জানের মূল্য না থাকা। এমন এক প্রজন্ম তৈরী হওয়া, যারা কুরআনে কারীমকে গানের বাঁশি বানিয়ে ফেলবে, অর্থাৎ গানের সুরে কুরআন তিলাওয়াত করবে। লোকেরা এমন ব্যক্তিকে কুরআন তিলাওয়াতের জন্য সামনে এগিয়ে দিবে, যে তাদের মাঝে জ্ঞান বুদ্ধিতেও বেশি হবে না, কুরআন ও হাদীসের ইলমেও পরিপক্ক হবে না এবং না সে তাদের মাঝে উত্তম হবে। সে তাদেরকে গানের সুরে কুরআন শুনাবে। [আলমু’জামুল আওসাত লিততাবারানী, হাদীস নং-৬৮৫, আলমু’জামুল কাবীর লিততাবারানী, হাদীস নং-৬২]

৪র্থ পর্ব পড়তে ক্লিক করুন

0Shares

আরও জানুন

ইসলামের দশ শতাংশে (নাজাত) দশ শতাংশ কোন কোন আমল?

প্রশ্ন: আসসালামু আলাইকুম! মুহতারাম আমার একটা বিষয় বহুদিন থেকে জানার ইচ্ছে, একজন বক্তা বয়ানে বলেছিলেন …

One comment

  1. মোঃ শরিফুল ইসলাম

    জাযাকাল্লাহ শেখ আমি কেয়ামতের আলামত ১ম ২য় ৩য় পড়েছি অনেক কিছু যান্তে পারছি আলহামদুলিল্লাহ!
    কুয়েত থেকে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *