প্রশ্ন
وكان يوتر بثلاث لايقعد الا فى آخرهن
এই হাদিসের উত্তর ও বিতিরের 2য় রাকাতে বসার স্পষ্ট কোনো হাদিস থাকলে একটু জানাবেন প্লিজ।
হাদিসটা ইমাম বাইহাকি বর্ননাকরেছে।
আমি এক আহলে হাদিস ভাইকে উত্তর দিবো বলে ওয়াদা করেছিলাম এখন মাঝপথে আটকে পড়েছি,
আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মীরি রঃ এর ছালাছু মাসায়েল ও দেখেছি, কিন্তু এই বিষয়ে এই পর্যন্ত কোনো মত উঠেনি, তাই উনিও স্পষ্টকরে কিছু বলেন নি।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রশ্নোক্ত হাদীসটির উত্তর
১
ইমাম বাইহাকী হাদীসটি হাকেমের সূত্রেই ‘আস-সুনানুল কুবরা’ ও ‘মা‘রিফাতুস সুনান’ গ্রন্থদ্বয়ে বর্ণনা করেছেন।
মৌলিকভাবে ইমাম হাকেম কর্তৃক সংকলিত মুস্তাদরাক আলাস সহীহাইনের গ্রহণযোগ্য কোন নুসখায় لا يقعد শব্দটি পাওয়া যায় না। বরং لا يسلم তথা দ্বিতীয় রাকাতের বৈঠকে ‘সালাম ফিরাতেন না’ পাওয়া যায়।
যেমন দেখুন-
১.
আল মুসতাদরাক আলাস সহীহাইন, ১/৪৪৭ হা.১১৪০ তাহক্বীক: আব্দুল ক্বাদের আতা, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, বাইরুত, লেবানন।
২
আল মুসতাদরাক আলাস সহীহাইন: ১/৪৩৭ হা.১১৪১, প্রকাশক: দারুল হারামাইন, মিশর, প্রথম প্রকাশ :১৯৯৭।
৩
আল মুসতাদরাক আলাস সহীহাইন, ১/৩০৪ তাহক্বীক: ইউসুফ আব্দুর রহমান, বাইরুত, লেবানন।
৪
আল-মুসতাদরাক, হা. ১/৪১৪ দারুল ফিকর, বাইরুত, লেবানন।
৫
আল-মুসতাদরাক, ১/৩০৪ দাইরাতুল মা‘আরিফিল উসমানিয়া, হায়দারাবাদ, ভারত, প্রকাশকাল:১৩৩৪ হি.) এমনকি নাসীরুদ্দীন আলবানী সাহেবও ইরওয়াউল গালিলে (১/১৫১) لا يسلم শব্দেই উল্লেখ করেছেন। لا يقعد শব্দ আনেননি।
এছাড়া মুস্তাদরাকে হাকেমের বরাতে যারা উক্ত বর্ণনাটি এনেছেন। সেসব মুহাদ্দিস ও ফক্বীহগণও উক্ত বর্ণনাটিতে لا يقعد নয় বরং لا يسلم শব্দে উদ্ধৃত করেছেন। যেমন-
১
হাফেজ জামালুদ্দীন যাইলাঈ (মৃত.৭৬১) নছবুর রায়া গ্রন্থে
২
হাফেজ শামসুদ্দীন ইবনে আব্দিল হাদী (মৃ.৭৪৪) তানক্বীহুত তাহক্বীক গ্রন্থে (২/৪২১)
৩
হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী (মৃ.৮৫২) ‘আদদিরায়া’ গ্রন্থে (১/১৯১ হা.২৪২)
৪
হাফেজ বদরুদ্দীন আইনী রহ. (মৃ.৮৫৫) উমদাতুলকারী, শরহু আবিদাউদ ও আল বিনায়া গ্রন্থে
৫
ইবনুল হুমাম (মৃ.৮৬১) ফতহুল কাদীর গ্রন্থে,
৬
হাফেজ ক্বাসেম ইবনে কুতলুবুগা (মৃ.৮৭৯) ‘আততা‘রীফ ওয়াল ইখবার ফি তাখরীজুল ইখতিয়ার’ (১/৩৭৯ হা.২১৭) গ্রন্থে
৭
মোল্লা আলী ক্বারী রহ. (মৃ.১০১৪) শরহু মুসনাদি আবিহানীফা গ্রন্থে
৮
মুরতাজা যাবীদী (মৃ.১২০৫) উকূদুল জাওয়াহিরিল মুনীফা গ্রন্থে।
সুতরাং বুঝা গেল যে, উক্ত হাদীসের শব্দ لا يقعد হবে না, বরং لا يسلم যথার্থ।
২
ইমাম বায়হাকী নিজেই উক্ত হাদীস দ্বারা এক বৈঠকে তিন রাকাত বিতর পড়া বুঝেন নি। তাইতো তিনি উক্ত হাদীস যে অধ্যায়ে এনেছেন তার শিরোনাম দেখলেই আমাদের কাছে তা পরিস্কার হয়ে যাবে।
ইমাম বাইহাকী নিজেই এ হাদীস থেকে ‘এক সালাম ও দুই তাশাহহুদে তিন রাকাত বিতর’ বুঝেছেন। তিনি ‘আসসুনানুল কুবরায়’ (৩/৩১) যে অধ্যায়ে হাদীসটি উল্লেখ করে এর শিরোনাম দিয়েছেন: (باب من أوتر بثلاث موصولات بتشهدين وتسليم :“অধ্যায়ঃ যারা দুই তাশাহহুদ ও এক সালামে একত্রে মিলিয়ে তিন রাকাত বিতর পড়েন”।
আর ‘মা‘রিফাতুসসুনান’ গ্রন্থে (৪/৭১) আরো স্পষ্ট বলেছেন: (الوتر بثلاث ركعات موصولات بتشهدين ويسلم من الثالثة) :“বিতর নামায দুই তাশাহ্হুদে একত্রে তিন রাকাত, এবং তৃতীয় রাকাত পূর্ণ করে সালাম ফেরাবে”।
সুতরাং পরিস্কার বুঝা গেল যে, ইমাম বায়হাকী রহঃ উক্ত হাদীস দ্বারা একথাই প্রমাণ করেছেন যে, বিতর নামায দুই তাশাহহুদে এক সালামে তিন রাকাত পড়তে হবে।
অথচ আমাদের অবুঝ ভাইয়েরা ইমাম বায়হাকী বর্ণিত হাদীস দিয়ে ঠিক উল্টোটাই প্রমাণিত করার অপচেষ্টা করে থাকেন। একেই বলে উল্টা সমঝিলোরে বাম।
আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী রহঃ এর বক্তব্য
وظني الغالب أن لفظ «لا يسلم» لا بد من أن يكون في مستدرك الحاكم، فإن الزيلعي متثبت في النقل مثل ما ليس الحافظ متثبتاً ومن عادته أنه إذا نقل عبارة أحد بواسطة يذكر الواسطة وإلا فينظر المنقول عنه بعينه ويذكر لفظ المنقول عنه بعينه، وهاهنا غير هذا لفظه فلا بد من كون اللفظ «لا يسلم» في مستدركه،
“আমার প্রবল ধারণা (لا يسلم) শব্দটি মুসতাদরাকে হাকেমের পাণ্ডুলিপিতেও থাকবে। কেননা যাইলাঈ কারো উদ্ধৃতি উল্লেখ করার সময় এতটা (মুতাসাব্বিত) নিশ্চিত ও নির্ভুলভাবে উল্লেখ করেন, হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানীও অতটা করেন না। তাঁর একটি আদত হল, তিনি যখন কারো বক্তব্য কোন মাধ্যমে পেয়ে থাকেন তখন তার বরাত উল্লেখ করে দেন। নতুবা নিজ চোখে দেখেই সেখান থেকে হুবহু বক্তব্যটিই উল্লেখ করেন। আর এখানে শব্দ পরিবর্তন করে (অর্থাৎ (لا يقْعُد) না বলে (لا يسلم) বলেছেন। (এবং এর কোন বরাতও উল্লেখ করেননি। তাই বুঝা যায় তিনি মসতাদরাকে (لا يسلم) শব্দটি নিজ চোখে দেখেই তবে উল্লেখ করেছেন।) সুতরাং (لا يسلم) শব্দটি মুসতাদরাকের পাণ্ডুলিপিতে অবশ্যই থাকবে। [আল আরফুশ শাজী -১/৪২৯, দারুত তুরালি আরবী, বাইরূত, লেবানন]
বুঝা গেল যে, কাশ্মিরী রহঃ এর বক্তব্যও হল, মুস্তাদরাকে হাকীমের পাণ্ডুলিপিতে لا يسلم শব্দটি রয়েছে।
তিন রাকাত বিতরে মাঝখানে বসার দলীল
১
সা‘দ ইবনে হিশাম বলেন:
عن عائشة قالت : كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يوتر بثلاث لا يسلم إلا في آخرهن، وهذا وتر أمير المؤمنين عمر بن الخطاب رضي الله عنه وعنه أخذه أهل المدينة
‘আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন রাকাতে বিতর পড়তেন এবং শেষ রাকাতের পূর্বে সালাম ফেরাতেন না’। মুসতাদরাকে হাকেমের বর্ণনায় রয়েছে: ‘আমীরুল মু’মিনীন হযরত উমর রা.ও বিতর এভাবে পড়তেন এবং তাঁর কাছ থেকেই মদীনাবাসী এ আমল গ্রহণ করেছে’।
[আলমুসতাদরাক ১/৩০৪ হা.১১৮১ তহাবী ১/১৯৩ নাসায়ী ১/২২৮ হা.১৬৯৮ ইবনে আবী শাইবা ৪/৪৯৩-৪৯৪ হা.৬৯১৩ কিতাবুল হুজ্জাহ আলা আহলিল মদীনা ১/১৩৭ ৩/২১৪]ইমাম হাকেম, যাহাবী, আইনী, নববী ও আনওয়ার শাহ কাশমীরী প্রমুখ হাদীসটি সহীহ বলেছেন। বিখ্যাত অনেক হাদীসবিশারদই এটিকে সহীহ বলেছেন: আত্তা‘রীফ ৪/৪৪০]
উল্লেখ্য যে, হাদীস শাস্ত্রের বিখ্যাত ইমাম ইবনুল জাওযী, ইমাম যাহাবী ও ইবনে হাযম জাহেরী রহ. প্রমুখ বলেন: এ হাদীস থেকে বুঝা যায় নবীজীর বিতর নামায ছিল তিন রাকাত এক সালামে। তবে তাতে মাগরিবের নামাযের মত মাঝে বৈঠক করতেন। [আত্তানকীহ লিয্ যাহাবী ১/৩২৬ আল-মুহাল্লা ২/৮৯ আত্তাহকীক ফী মাসায়িলিল খিলাফ ও আততানকীহ লি ইবনে আব্দীল হাদী]
رواه الحاكم فى المستدرك (1/304 رقم 1139) وقال صحيح على شرط الشيخين ووافقه الذهبي، والطحاوى فى شرح معانى الآثار (1/193) والنسائى فى السنن (1/228 رقم 1698) وابن أبى شيبة (رقم 6913) ومحمد فى كتاب الحجة فى أهل المدينة (1/137) وقال العينى فى نخب الأفكار(3/214) : صحيح على شرط الشيخين. وقال محمود سعيد فى التعريف (4/440) : الحديث صحيح حجة لا تفردَ فيه ولا شذوذ، وقال النووي في المجموع (4/17) : حديث عائشة أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان لا يسلم في ركعتي الوتر. ورواه النسائي بإسناد حسن، ورواه البيهقي في السنن الكبير بإسناد صحيح، وقال الكشميرى :سند الحديث فى غاية القوة. وراجع كشف الستر ص 89-90. وقال الذهبى فى التنقيح (1/326) : بعد هذالحديث – قلنا: يجوز هذا أن يوتر بثلاث بسلام واحد، لكن يتشهد بينهم كالمغرب. وقد قال قبله الإمامُ ابن الجوزي في التحقيق : وهذا لا حجة لهم فيه (أي للمالكية في التسليم بين الركعتين والثالثة)، فإنه جائز عندنا أنه يوتر بثلاث بسلام واحد، ولكن يجلس عقيب الثانية، وكذا قال ابن حزم الظاهرى فى المحلى 2/89 حيث قال: والثاني عشر: أن يصلي ثلاث ركعات، يجلس في الثانية، ثم يقوم دون تسليم ويأتي بالثالثة، ثم يجلس ويتشهد ويسلم، كصلاة المغرب، وهو اختيار أبي حنيفة لما حدثناه … عن سعد بن هشام بن عامر: أن عائشة أم المؤمنين حدثته : أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان لا يسلم في ركعتي الوتر.
২
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন:
عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : صلاة المغرب وتر النهار فأوتروا صلاة الليل
অর্থ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: দিনের বিতর হল মাগরিবের নামায। তোমরা রাতের নামাযকেও অনুরূপ বিতর করে পড়। [মুসনাদে আহমদ হা.৪৮৪৭ এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য: শুয়াইব আরনাউত। ইবনে আবী শাইবা ৪/৪ হা.৬৭৭৩, ৬৭৭৮ আব্দুর রাযযাক হা.৪৬৭৫ তাবারানী: সগীর ও আওসাত।]
হাফেজ ইরাকী রহ. বলেন: এর সনদ সহীহ, আত্তা‘লীকুল মুমাজ্জাদ পৃ.১৪৭ শরহুয্ যুরকানী আলাল মুয়াত্তা।
ইমাম মুহাম্মদ রহ. বলেন:
وبهذا نأخذ، وينبغي لمن جعل المغربَ وترَ صلاة النهار كما قال ابن عمر أن يكون وترُ صلاةِ الليل مثلَها لا يفصل بينهما بتسليم كما لا يفصل في المغرب بتسليم وهو قول أبي حنيفة – رحمه الله.
আমরা এ বর্ণনাটি গ্রহণ করি। যে ব্যক্তি ইবনে উমরের বক্তব্য অনুসারে বিতরকে মাগরিবের নামাযের অনুরূপ মনে করে, তার উচিত মাগরিবের মতই বিতর পড়া। যাতে দুই রাকাতের পর সালাম ফিরাবে না। এটিই ইমাম আবুহানীফা রহ. এর মত। [মুয়াত্তা মালেক: ইমাম মুহাম্মদের বর্ণনা পৃ.১৪৯]
رواه أحمد فى المسند (رقم 4847،) وقال شعيب : رجاله ثقات رجال الشيخين …، وقال برقم 5549 صحيح دون قوله : صلاة المغرب …، ورواه ابن أبى شيبة فى المصنف (رقم 6773) وعبد الرزاق (رقم 4675) والطبراني في الصغير (رقم 1081) والأوسط (رقم 8414)، وقال الحافظ العراقي : إسناده صحيح كذا في التعليق الممجد (ص 147) وكذا نقله الزُّرْقاني في شرح الموطأ في باب صلاة النبي صلى الله عليه وسلم في الوتر. وقد صححه الألباني في صحيح الجامع الصغير.
وقد رواه بعضهم موقوفا على ابن عمر بإسنادٍ صحيحٍ كما رواه مالك في الموطأ، وهو في حكم المرفوع كما هو ظاهر. (قلت: تشبيهه بصلاة المغرب فقد فسره ابن مسعود والحسن وابن عبد البر والبيهقي والذهبي في التنقيح وغيرهم)
৩
আমীরুল মু‘মিনীন ফিল হাদীস: সুফ্ইয়ান ছাউরী র. তাঁর পূর্বসূরি তাবেয়ীদের বিতর নামাযের বিবরণে বলেন:
كانوا يستحبون أن يقرأ في الركعة الأولى : سبح اسم ربك الأعلى، وفي الثانية : قل يا أيها الكافرون، ثم يتشهَّد، وينهَضُ، ثم يقرأ في الثالثة : قل هو الله أحد.
অর্থ: তাঁরা তিন রাকাত বিতরের প্রথম রাকাতে সূরা আ‘লা, দ্বিতীয় রাকাতে সূরা কাফিরুন পড়তেন। তারপর বসে তাশাহহুদ পড়ে আবার উঠে দাঁড়াতেন এবং তৃতীয় রাকাতে সূরা ইখলাছ পড়তেন। [সালাতুল বিতর: মারওয়াযী পৃ. ২৭৯]
ইবনে হাজার আসকালানী বলেন: এর সনদ সহীহ: নাতাইযুল আফ্কার ২/১১৪, ৫০৩।
৪
হযরত আয়শা রাঃ বলেন,
وكان يقول فى كلِّ ركعتين التحية … تعليق-٥
নামাযের প্রতি দুই রাকাতেই একবার আত্তাহিয়্যাতু পড়বে। [সহীহ মুসলিম হা.১১৩৮]
৫
ছাবেত আল বুনানী বলেন:
صليت مع أنس وبت عنده قال : فرأيته يصلى مثنى مثنى، حتى إذا كان في آخر صلاته أوتر بثلات مثل المغرب
আমি হযরত আনাস রা. এর ঘরে রাত্রি যাপন করেছি এবং তাঁর সাথে নামায পড়েছি। তাঁকে দেখেছি রাতে দুই রাকাত করে নামায পড়েছেন। এবং সব শেষে মাগরিবের নামাযের মত তিন রাকাত বিতর পড়লেন। [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক হা.৪৬৩৬ সালাতুল বিতর লিল মারওয়াযী- পৃ. ১২৩]
এর সনদ সহীহ।
৬
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন:
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : وِتْرُ اللَّيْلِ ثَلاَثٌ كَوِتْرِ النَّهَارِ صَلاَةِ الْمَغْرِبِ
অর্থ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: দিনের বিতর মাগরিব এর মত রাতের বিতরও তিন রাকাত। [দারাকুতনী হা.১৬৭২]
হাদীসটি হাসান পর্যায়ের। তবে অনেকে এটিকে ইবনে মাসউদ রা. এর বক্তব্য হিসেবে সহীহ বলেছেন।
رواه الدارقطنى فى السنن (رقم 1672) رجاله ثقات إلا يحي بن زكريا، فضعَّفه بعضهم ولم يصب، قال الحافط فى اللسان: يحيى بن زكريا بن أبى الحواجب عن الأعمش، قال الدارقطني ضعيف، قلت : يحتمل أن يكون الذي قبله انتهى. قلت: قد ذكره ابن حبان في الثقات، وأجاب الحافظ ابن حجر عن قول الدارقطنى بأن المراد به غيره، فالإسناد حسن
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক ও প্রধান মুফতী-তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
ইমেইল– ahlehaqmedia2014@gmail.com