প্রচ্ছদ / প্রবন্ধ নিবন্ধ / আহমদ রেজার ফাতওয়ার জবাব রেজাখানীদের কলমে এবং বেরেলবীদের কাফের কাফের খেলা

আহমদ রেজার ফাতওয়ার জবাব রেজাখানীদের কলমে এবং বেরেলবীদের কাফের কাফের খেলা

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

আহমদ রেজার ভুল কবিতা 

সাঈদী দরসগাহে ঘটনাক্রমে অনেক আলেম ওলামা উপস্থিত ছিলেন। আর আহলে সুন্নাতের ইমামের কবিতার উপর পর্যালোচনা এবং অভিযোগে মাহফিল ছিল সরগরম। একথার উপর আলোচনা হচ্ছিল যে, আলা হযরতের নিম্নের কবিতা ঠিক নয়।
“কে দেয় দেওয়ার মুখ চাই, প্রদানকারী হল সত্যিকারর্থে আমাদের নবী”। {মাআরেফে রেজা-১৬৩}

রাসূল সাঃ এর জুতার নকশার উপর আল্লাহর নাম লেখা

আহমদ রেজার ফাতওয়া হল-

# রাসূল সাঃ এর দুই জুতার নকশার উপর বিসমিল্লাহ লেখাতে কোন সমস্যা নেই। {ফাতাওয়া রেজাইয়্যাহ, মুরাত্তিব-হাফেজ মুহাম্মদ আব্দুস সালাম সাঈদী-২১/৪১৩, সূচি-৪৬০, রেজা ফাউন্ডেশন}

আহমদ রেজার বিপরীত ফাতওয়া রেজাখানীদের পক্ষ থেকে

# রাসূল সাঃ এর জুতার নকশার উপর বিসমিল্লাহ লিখা বা আল্লাহ লিখা, কিংবা কোন আয়াত বা হাদীস লিখা শরীয়তের দৃষ্টিতে নাজায়েজ এবং বেআদবী। না ডানে, না বামে, না উপরে, না নিচে। যে ব্যক্তি জেনে শুনে বুঝে আকল থাকা অবস্থায় এমন বেআদবী করে সে গোমরাহ। এমন ব্যক্তির পিছনে নামায পড়া জায়েজ নয়। {নকশে নাআলে পাক পর আসমায়ে মুবারক লেখনা-৩, মুফতী ইক্তিদার আহমদ নাঈমী}

# এটি সরাসরি বেআদবী এবং গোমরাহী। {নকশে নাআলে পাক পর আসমায়ে মুবারক লেখনা-১৯, মুফতী ইক্তিদার আহমদ নাঈমী}

গোসল ফরজ অবস্থায় দরূদ শরীফ

আহমদ রেজার ফাতওয়া হল-
কুরআনে কারীম গোসল ফরজ অবস্থায় পড়া জায়েজ নয়। যদিও আস্তে আস্তে হয়। তবে দরূদ শরীফ পড়তে পারে কুলি করে। {ইরফানে শরীয়ত-৪২}

বেরেলবী রেজাখানীদের আহমদ রেজার বিপরীত ফাতওয়া

বর্তমানে এমন বেআদব কথিত আলেম সৃষ্টি হয়েছে, যারা ফাতাওয়া দিচ্ছে যে, গোসল ফরজ অবস্থায় দরূদ শরীফ পড়া জায়েজ। যদি ইসলামী হুকুমত জারী থাকতো। ফারুকে আজম রাঃ এর মত আত্মসম্মানী ইসলাম প্রয়োগকারী জিবীত থাকতেন, তাহলে আমি এসব মুফতীদের দেখতাম কিভাবে তারা এমন ফাতওয়া জারী করে। স্বাধীনতার যুগ। যার যা মনে চায় তাই বলে দেয়। নতুবা আল্লাহ তাআলা যিনি তার প্রিয় নবী সাঃ এর জন্য এমন স্থানেও নাম নেওয়াতে সম্মত নয় যে, যাতে গজব, শাস্তি অথবা মন্দ স্থান কিংবা নাপাক স্থান হয়, যেমন জবাই করার সময়, হাঁচি ও হাই তোলার সময়। গোসলখানা ও পায়খানা ইত্যাদি ইত্যাদি স্থানে।

কিন্তু আজকালকের মুফতখোর মুফতীরা ফাতওয়া জারী করছে যে, গোসল ফরজ হওয়া অবস্থায় দরূদ পড়া জায়েজ। এতটুকু লজ্জাও নেই যে, দরূদ শরীফ তৎক্ষণাৎ আল্লাহ ও রাসূলের দরবারে কবুল হয়। কিন্তু কি আর করা? এরকম বদবখত মুফতী কি করে ইশকে রাসূল থেকে বঞ্চিত। {শহদ ছে মিঠা নাম মুহাম্মদ সাঃ কা-১৩৯-১৪০, ফায়েজ আহমদ ওআইসী}

রাসূল সাঃ কে রাখাল বলা

আহমদ রেজার ফাতওয়া
“আল্লাহ তাআলার সত্য রাখাল হল মুহাম্মদ সাঃ, এসে পেয়েছেন শান্তি নিরাপত্তার রাস্তা”। {আল্লাহ ঝুট ছে পাক-১১১, আহমদ রেজা}

বেরেলবীদের এর বিপরীত ফাতওয়া

রাসূল সাঃ কে বকরীর রাখাল বলা কুফরী। {ঈমান কি পেহচান, হাশিয়ায়ে তাহমীদুল ঈমান-১০০, হাশিয়া মৌলবী মুহাম্মদ ইউসুফ আত্তারী}

সদকার পশুর গায়ে আল্লাহর রাস্তার প্রতিদান লেখা

আহমদ রেজার ফাতওয়া হল-

আমীরুল মুমিনীন ফারূকে আজম রাঃ সদকার পশুর রানে “আল্লাহর রাস্তার প্রতিদান” দাগ লাগিয়েছিলেন। {ফাতাওয়া রেজাইয়্যাহ-২১/৬৪০, আহমদ রেজা}

বেরেলবীদের এর বিপরীত ফাতওয়া

# ফারূকে আজম রাঃ এর চোখ কি বন্ধ ছিল? তার উপর কি আল্লাহ তাআলার নামের সম্মান করা আবশ্যক ছিল না? ফারূকে আজম এর উপর এ মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ফারূকে আজমের দুশমন রাফেজীদের ফারূকে আজমের বিরুদ্ধে বদনাম করতে সহযোগিতা করা হয়নি? ÑÑÑÑ ফারূকে আজমের সম্মানের উপর এমন সন্দেহযুক্ত, অস্পষ্ট, অপরিচিত বক্তব্যকে রদ করা যেতো না? এমন বিবেচনাহীন ব্যক্তিদের ফাতওয়াকে ফারূকে আজমের পায়ে কুরবান করা যেতো না? এবার বলুনতো! এমন একটি মুযতারাব বর্ণনার উপর বিরুদ্ধবাদীদের জন্য এত বড় গুস্তাখী ও বেআদবীর ভিত্তি তৈরী করে দেয়াটা কতটুকু সমীচিন হবে? {নকশে নাআলে পাক পর আসমা মুবারক লেখনা, ইক্তিদার আহমদ নাঈমী-৫৩-৫৪}

আল্লাহ তাআলা হাজির নাজির

আহমদ রেজার ফাতওয়া

# আল্লাহ তাআলার জন্য হাজির নাজির শব্দ ব্যবহারে নিষেধ করা হয়েছে। {ফাতাওয়া রেজাইয়্যাহ-১৪/৬৪০, ৬৮৮}

# আল্লাহ তাআলার জন্য এ শব্দ ব্যবহার করাটা অনেক খারাপ অর্থবোধক। {পুরানা ফাতাওয়া-৬/১৩২, ১৫৭}

# আল্লাহ তাআলার জন্য এ শব্দ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিত। {ফাতাওয়া রেজাইয়্যাহ, সূচি-৩৮৪}

# আল্লাহ তাআলার নামের মাঝে শহীদ ও বাশার আছে, তাকে হাজির নাজির না বলা উচিত। {ফাতাওয়া রেজাইয়্যাহ, সূচি-৩৮৭}

বেরেলবীদের এর উল্টো ফাতওয়া

# যদি কেউ আল্লাহ তাআলাকে হাজির নাজির মনে না করে, সে স্রেফ এক মুর্খ। {সুরুরুল কলব, নক্বী আলী খান আব্দুল হাকাম শরফ কাদেরী কি তাঈদ-২১৬}

# কেউ এমন নেই যে, আরশ থেকে নিয়ে জমিনের নিচ পর্যন্ত প্রতিটি স্থানে প্রতিটি কোণে আল্লাহ তাআলার মত হাজির নাজির। {আনওয়ারে সাতেহা-৪৩২, মৌলবী আব্দুস সাতেহ আনসারী, তাকরীজে আহমদ রেজা খান}

# আত্তাহিয়্যাতুতে বলা হয় “আসসালামু আলাইকা” এতে বুঝা যায় যে, নামাযী যেদিকে আল্লাহ তাআলাকে হাজির মানে, সেদিকে রাসূল সাঃ ও। [তাফসীরে নাঈমী-১/৫৮, আহমদ ইয়ারখান}

# প্রতিটি সময়, প্রতিটি মুহুর্ত আল্লাহ তাআলার সত্তাকে হাজির নাজির বুঝা উচিত। {আনওয়ারে শরীয়ত-১/৪৭১, মুহাম্মদ আসলাম কাদেরী}

রাসূল সাঃ কে অবমাননাকারীকে মাওলানা বা মুসলমানদের গর্ব বলা প্রসঙ্গে

আহমদ রেজা ফাতওয়া দিয়েছেন-
রাসূল সাঃ কে অবমাননাকারী ব্যক্তিকে মাওলানা, মুসলমানদের গর্ব, পথপ্রদর্শক, জাতির রাহবার মানা, যদি তার বক্তব্য জানার পর হয় তাহলে এটি কুফরী ও আল্লাহর শাস্তিকে ওয়াজিবকারী হবে। {ফাতাওয়া রেজাইয়্যাহ-১৫/২৬০}

বেরেলবী হযরাতদের এ ফাতওয়ার বিরোধীতা

# মাওলানা মৌলবী রশীদ আহমদ গঙ্গুহী ইত্যাদি। {ফাতাওয়া রেজাইয়্যাহ, সূচি- পৃষ্ঠা-১৬৯}

# মাওলানা মাহমুদ হাসান এর অনুবাদের মাঝে। {আনওয়ারে রেজা, মুলকে শের মুহাম্মদ আওয়ান-৯৪}

# মাওলানা কাওসার নিয়াজী সাহেব তার প্রবন্ধে বর্ণনা করেছেন যে, সহীহ বুখারীর দরস প্রসিদ্ধ দেওবন্দী শাইখুল হাদীস হযরত মাওলানা মৌলবী ইদ্রীস কান্ধলবী থেকে নিয়েছেন। {হযরত সৈয়দ আলা হযরত, মুফতী মুহাম্মদ ফয়েজ আহমদ আওসী-১২}

# এ মাসআলা একবার মাওলানা আহমদ আলী মুহাদ্দেসে সাহরানপুরী মরহুম সাহেবের সামনে উপস্থাপন করা হয়। {আনওয়ারে সাতেহা, আব্দুস সামী আনসারী-২৭৩}

# মাওলানা সাইয়্যিদ হুসাইন আহমদ মাদানী শাইখুল হাদীস দারুল উলুম দেওবন্দীর লেখা। {আনওয়ারে রেজা, খাজা হামীদুদ্দীন শিয়ালয়ী বিন কমরুদ্দীন শিয়ালয়ী-১৬১}

নবীগণ ও রাসূল সাঃ এর দিকে ভুলে যাওয়ার নিসবত

আহমদ রেজার ফাতওয়া হল-
এটা সম্ভব যে, কিছু আয়াত ভুল হয়েছে। {মালফুযাতে আহমদ রেজা-৩/২৮৮, আহমদ রেজা}

বেরেলবীদের এর বিপরীত ফাতওয়া

রাসূল সাঃ এর উপর ভুলে যাওয়ার ধারণা করা পাগলামী ছাড়া কিছু নয়। {ইনসান আওর ভুল-৩৫৮, ফয়েজ আহমদ আওসী}

রাসূল সাঃ এর অমুক বস্তুর ইলম ছিল না

আহমদ রেজার ফাতওয়া হল-
কবিতা আবৃত্ত রাসূল সাঃ জানতেন না। {মালফুযাত-২/২০৯, আহমদ রেজা খান}

বেরেলবীদের এর উল্টো ফাতওয়া

কে এই বদবখত! যে কুরআনের বিপরীত বলবে যে, রাসূল সাঃ এর ওমুক বস্তুর ইলম ছিল না? তিনি ওমুক বস্তু জানতেন না? {ফয়েজ আহমদ আওসী, ইলমে গায়েব কা সুবুত-৫}

রাসূল সাঃ আল্লাহর নূর থেকে সৃষ্টি!

আহমদ রেজার ফাতওয়া-
নূরে অহদাতের টুকরা হল আমাদের নবী। {হাদায়েকে বখশিশ-১/৬২, আহমদ রেজা}

বেরেলবী হযরাতের এর বিপরীত ফাতওয়া

আল্লাহ তাআলা নিজের হাবীব সাঃ কে নূরে পাক তথা তার পবিত্র সত্তাকে নিজের পবিত্র সত্তা থেকে সৃষ্টি করেছেন কথাটির অর্থ এটা নয় যে, মাআজাল্লাহ আল্লাহ তাআলার সত্তা রাসূল সাঃ এর সত্তার উৎসগিরি। অথবা হুজুর সাঃ এর নূর আল্লাহ তাআলার কোন অংশ বা টুকরা। যদি কোন অজ্ঞ ব্যক্তি এ বিশ্বাস রাখে তাহলে তার তওবা করা ফরজ। কেননা, এমন নাপাক আক্বিদা খালেস কুফর ও শিরক। {সাঈদ আহমদ কাজেমী, মাকালাতে কাজেমী-৫৬, মাকতাবা ফরীদিয়া}

রাসূল সাঃ মুক্তাদী আর ইমাম আহমদ রেজা?!

আহমদ রেজার ফাতওয়া হল-
মৌলবী সৈয়দ আমীর সাহেব স্বপ্নে রাসূল সাঃ কে ঘোড়ার উপর সওয়ার হয়ে যেতে দেখল। তখন তিনি রাসূল সাঃ কে জিজ্ঞাসা করলেন যে, হুজুর! কোথায় যাচ্ছেন? তখন তিনি বললেন যে, বারাকাত আহমদ এর জানাযা পড়তে যাচ্ছি। আলহামদুলিল্লাহ এ মুবারক জানাযা আমি [আহমদ রেজা পড়িয়েছি। {মালফুযাতে আহমদ রেজা-২/১৭৩, আহমদ রেজা}

বেরেলবীদের এর উল্টো ফাতওয়া

“একজন প্রেরিত নবীকে একজন গায়রে নবী, শুধু তাই নয় একজন সাধারণ মৌলবী সাহেবের মুক্তাদী বানানোর চেষ্টা করা মনের ভ্রষ্টতা নয়তো কী? {লাতায়েফে দেওবন্দ, মুহাম্মদ হাশেমী মিয়া কাছুছী}
“কাউকে রাসূল সাঃ এর ইমাম মানা মারাত্মক বেআদবী। গান্ধা কলম এবং গান্ধা ভাষ্য ও বেআদবী। {বরক্বে আসমানী, মৌলবী হাসান আলী রেজায়ী-৬৫}

একাধিক খোদা স্বীকার করা প্রসঙ্গে

আহমদ রেজা বেরেলবী তার ফাতওয়ায় শিরোণাম দিয়েছে যে, “ওহাবীদের মিথ্যা খোদা”, “দেওবন্দীদের মিথ্যা খোদা”, “রাফেজীদের মিথ্যা খোদা”, “গায়রে মুকাল্লিদদের মিথ্যা খোদা”, “খৃষ্টানদের মিথ্যা খোদা”। {দেখুন ফাতাওয়া রেজাইয়্যাহ-১}

মোটকথা আহমদ রেজা খান অনেক খোদার কথা তার ফাতওয়ায় উল্লেখ করেছেন। তাহলে তার ধারণা অনুযায়ী খোদা কতজন?

বেরেলবীদের এ মতবাদের বিপরীত ফাতওয়া

# মৌলবী হাসান আলী রেজায়ী বলেনÑ এভাবে বলা হল যেন, দেওবন্দীদের নিকট খোদাও দুই বা ততোধিক হতে পারে। বেরেলবীদের খোদা আলাদা, আর দেওবন্দীদের খোদা আলাদা। দুই খোদা স্বীকার করে শয়তানের শায়েখ লেখক নিজেই মুশরিক হয়েছে। {বুরক্বে আসমানী-১৫৬, মাওলানা হাসান আলী রেজায়ী}

আবু তালেবের শিরকের উপর মৃত্যুবরণ করা

আহমদ রেজা খান বলে
“আবু তালেবের শিরকের উপর মৃত্যুবরণ করা প্রমাণিত”। {রাসায়েলে রেজাইয়্যাহ-৪২৯, আহমদ রেজা}
“সহীহ ও অনেক হাদীস আবু তালেবের কুফরীর উপর প্রমাণবাহী। {রাসায়েলে রেজাইয়্যাহ-৪৩১, আহমদ রেজা}

বেরেলবীদের এর বিপরীত ফাতওয়া

আশরাফ সিয়ালওয়ী সাহেব বলেনঃ স্বীয় আকাবীরদের বিপরীত সর্ববস্থায় আবু তালেবকে মুশরিক এবং কাফের প্রমাণ করার মানসিকতা একটি মারাত্মক অসুস্থ মানসিকতা। যে কোন মূল্যে এটা প্রমাণ করতে চায় চাই তাতে নিজের ঈমান ঝুঁকিপূর্ণও হয়ে যায়। {আশরাফ সিয়ালী, গুলশানে তাওহীদ ওয়া রেসালাত-১/১৫৫-১৫৬}

নবীজী সাঃ এর কাছে অপছন্দনীয় বস্তু পান করা প্রসঙ্গে

# আমার পীর ও মুর্শীদ আলা হযরতের হুক্কা খাওয়ার খুব আগ্রহ ছিল। কোথাও গেলে সাথে হুক্কা নিয়ে যেতেন। {তাযাল্লিয়াতে ইমাম আহমদ রেজা-৭৭}
# হুক্কা খাওয়ার সময় আমি বিসমিল্লাহ পড়তাম না। {মালফুযাত-২/২২১, আহমদ রেজা}

আহমদ রেজার বিরুদ্ধে তার মুরীদরা ফাতওয়া দিয়ে বলে

# রাসূল সাঃ হুক্কাকে অপছন্দ করতেন। {সিগরেট নুশীকা মুজাম্মারাত, মৌলবী জফরুদ্দীন শিয়ালী, তাক্বরীজে মুহাম্মদ আলী রেজায়ী}

# “যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তার রাসূলের অপছন্দনীয় কাজ করে থাকে, সে রাসূলকে কষ্ট দেয়। যে কারণে উক্ত ব্যক্তির উপর অপমানজনক শাস্তি রয়েছে। {সিগরেট নুশীকা মুজাম্মারাত, মৌলবী জফরুদ্দীন শিয়ালী}

# এ হুক্কা বুড় বুড় করে থাকে, এটা হল শয়তানের অন্ডকোষ, এ লম্বা কানা এমন যেমন শয়তান তার লিঙ্গ লুকিয়ে রাখে। {ফাতাওয়ায়ে আনওয়ারে শরীয়ত-১/৩২৯}

আহমদ রেজার মুসলমানদের কাফের বানানোর খেলা

উলামায়ে দেওবন্দ ও ওহাবী

১-
ওহাবীদের জানাযা পড়া কুফরী। {মালফুযাতে আহমদ রেজা-১/৯০, আহমদ রেজা}
২-
আল্লাহর ব্যাপারে সকল কাফেরদের চেয়ে বেশি অজ্ঞ ওহাবীরা, বিশেষ করে দেওবন্দীরা। {ফাতাওয়ায়ে রেজাইয়্যাহ-১/৭৪৮, আহমদ রেজা}
৩-
রশীদ আহমদ এবং যে তার পীর, খলীল আহমদ, আশরাফ আলী প্রমুখদের কুফরীর মাঝে কোন সন্দেহতো নেইই, সেই সাথে সন্দেহের কোন সুযোগও নেই, যে ব্যক্তি তাদের কুফরীতে সন্দেহ করবে, এমনকি কোন অবস্থায় তাদের কাফের বলতে দেরী করে, তাহলে সে ব্যক্তির কুফরীর মাঝেও সন্দেহ নেই। {ফাতাওয়ায়ে আফ্রিকা-১২৪, আহমদ রেজা}
৪-
মূলত সবচে খারাপ হল এ ওহাবীরা। খোদা তাদের উপর অভিশাপ দিন, এবং তাদের ধ্বংস করুন, আর তাদের ঠিকানা ও অবস্থান জাহান্নাম করুন। {ফাতাওয়া আফ্রিকা-১২৫}

যে ব্যক্তি তাদের কাফের না বলে, যে ব্যক্তি তাদের সঙ্গী হয়, যে তাদের ছাত্র বা আত্মীয় বা বন্ধু হওয়ার খেয়াল করে, তারাও তাদের দলেই, তাদের মতই কাফের। {ফাতাওয়া রেজাইয়্যাহ-১৩০, আহমদ রেজা}

দেওবন্দীদের সাথে মুসাফাহা করা নাজায়েজ এবং গোনাহের কাজ। তাদের সালামের জওয়াব দেয়া হারাম। {ফাতাওয়া আফ্রিকা-১৭০, আহমদ রেজা}

যদি ওহাবীদের সাথে বিবাহ কর, তাহলে শুধু এতটুকু নয় যে, বিবাহ হয়নি, বরং ইসলামও গেছে। নতুন করে ইসলাম গ্রহণ করা এবং নতুন করে বিবাহ করা আবশ্যক। {ফাতাওয়া রেজাইয়্যাহ-৫/৭২}

ওহাবী, কাদিয়ানী, দেওবন্দী সবাই মুরতাদ। তাদের পুরুষ বা নারী সমগ্র পৃথিবীর যাদের সাথেই বিবাহ করুক না কেন চাই মুসলিম হোক বা কাফের হোক, তারা সবাই পশু ও পরিস্কার জিনাকারী হবে। {মালফুযাতে আহমদ রেজা-৯৭, আহমদ রেজা}

শায়েখ ইসমাঈল দেহলবী শহীদ রহঃ

# আলা হযরত বলে, আমার মাসলাক হল, ইসমাঈল শহীদ ইয়াজিদের মত। যদি কেউ তাকে কাফের বলে, তাহলে আমি তাকে বাঁধা দিব না, তবে আমি নিজে বলব না। অবশ্য গোলাম আহমদ, সাইয়্যিদ আহমদ, খলীল আহমদ, রশীদ আহমদ, আশরাফ আলী কাফের হওয়ার মাঝে যে সন্দেহ করবে সে নিজেই কাফের। {মালফুযাতে আহমদ রেজা-১/১৩৪-১৩৫, আহমদ রেজা}

# মৌলবী ইসমাঈল দেহলবী ৭টি কারণ বা এর চেয়ে বেশি কারনে কাফের। {সিলুস সুয়ুফুল হিন্দিয়া আলকাউকাবাতিস শিহাবিয়্যাহ, আহমদ রেজা}

# ইসমাঈল এর কিতাব তাক্ববিয়াতুল ঈমান এ নাপাক কিতাব শক্ত পথভ্রষ্টতা এবং বেদ্বীনী এবং কুফরী কথায় পূর্ণ। এটা পড়া জিনা ও মদখোরীর চেয়েও খারাপ। {ফাতাওয়া রেজাইয়্যাহ-৬/১৮৩, আহমদ রেজা}

নদওয়াতুল ওলামা

# আলা হযরত নদওয়া ও নদওয়াবাসীর অগণিত ইশতিহার ছাড়াও শ’খানেক পুস্তিকা রচনা লিখেছে আর নদওয়ার নাম নিশানাও মিটিয়ে দিয়েছে। {জিকরে রেজা-১১}
আহলে হাদীস

# মৌলবী সানাউল্লাহ ওমরতাসরী, সৈয়দ নজীর হুসাইন সবাই কাফের। মুরতাদ উম্মতের ইজমার ভিত্তিতে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে গেছে। {হামীল হারামাইন-১১৩, আহমদ রেজা}
মাওলানা আবুল কালামা আযাদ ও স্যার সৈয়দ আহমদ খান

# একথা স্পষ্ট যে, মুরতাদ আবুল কালাম আযাদ এর আক্বিদা নিম্নমানের। যারা তার অনুগত তারা সবাই মুলহিদ ও মুরতাদ। তাদের জানাযার নামাযে শরীক হওয়া এবং তাদের মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করা হারাম। {আজমালে আনওয়ারে রেজা-১২৫, আহমদ রেজা}

# স্যার সৈয়দ আহমদ খান খবীশ ও মুরতাদ ছিল। {মালফুযাতে আহমদ রেজা-১/১৬৬, আহমদ রেজা}

# স্যার সৈয়দ জাহান্নামের কুকুর। তার কোন আমল কবুল হবে না। {আহকামে শরীয়ত-১/৮০, আহমদ রেজা}
আরবের ওলামা

# এবারতো জানা গেল যে, দেওবন্দী, এবং নজদী উভয়ে একই প্রকারের কুফরী আক্বিদা পোষণ করে থাকে। কুফর ও মুরতাদ হওয়ার মাঝে একে অপরের সহোদর ভাই। {হুসামুল হারামাইন-১১৩, ফাতাওয়া আফ্রিকা-১১৫, ইরফানে শরীয়ত-১/২৪, আহমদ রেজা}

তাহলে কী দাঁড়াল? ওলামায়ে দেওবন্দ এর অনুসারী এ উপমহাদেশের প্রায় সকল মুসলমানই। হয়তো তারা দাওয়াতও তাবলীগের সাথে জড়িত। যার প্রতিষ্ঠাতা দারুল উলুম দেওবন্দ এর ফারিগ মাওলানা ইলিয়াস রহঃ, নতুবা ক্বওমী মাদরাসার সাথে জড়িত।

কিংবা দেওবন্দী সিলসিলার হক্বানী পীর মাশায়েখদের সাথে জড়িত। আর কতিপয় গায়রে মুকাল্লিদ রয়েছে, রয়েছে, নদওয়াতুল ওলামার ফারিগীন ও অনুসারী। রয়েছে স্যার সৈয়দ আহমদের আলীগড়ের ছাত্র শিক্ষক ও অনুসারী, আছে ওলমায়ে আরব। এছাড়া অধিকাংশ সাধারণ মুসলমান যারা কাউকেই কাফের বলে না, কিন্তু উপরোক্ত ব্যক্তিদের কাফের না বললেও আহমদ রেজার ভাষায় কাফের হয়ে যেতে হয়, তাই নিশ্চুপ থাকা ব্যক্তিরাও আহমদ রেজার ভাষায় কাফের। শুধু বেঁচে গেল অল্প কিছু মানুষ, যারা আহমদ রেজার বেদআতের অনুসারী। যারা সিন্নি আর জিলাপী খাওয়ার লোভে ইয়া নবী বলে টান দিয়ে আহমদ রেজার নতুন ধর্মের অনুসারী।

এ অল্প সংখ্যক ব্যক্তি ছাড়া বাকি সকল মুসলমান আহমদ রেজার ভাষায় কাফের। কারণ তাহলে এ উপমহাদেশে মুসলমান কতজন? আর কাফের কতজন? আমরা কষ্ট করে মানুষকে মুসলমান বানাতে চাই, আর দেখুন বেদআতের পুনর্জীবনদানকারী আহমদ রেজা খান কিভাবে মুসলমানদের কাফের বানাচ্ছে!

আরও জানুন

মুসলমানদের জন্য হিন্দুদের মন্দির পাহারা দেয়া কি জায়েজ?

প্রশ্ন মুসলমানদের জন্য হিন্দুদের মন্দির পাহারা দেয়া, পূজামণ্ডপ পাহারা দেয়া, তাদের মূর্তি বানাতে সহযোগিতা করা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *