প্রশ্ন
মুফতী সাহেবের কাছে আমার প্রশ্ন হল, আমার কাপড়ের ব্যবসা রয়েছে। এখানে সব ধরণের কাপড় পাওয়া যায়। নারী ও পুরুষদের কাপড়। শাড়ী, নারীদের বিভিন্ন প্রকার কাপড়। প্যান্ট, শার্ট ইত্যাদি।
আমার প্রশ্ন হল, শরীয়ত অনুমোদন করে না এমন কাপড়ও আমি বিক্রি করে থাকি। এখন আমার এ ব্যবসার টাকার হুকুম কী হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়ত বিরোধী পোশাক যেহেতু সরাসরি হারাম কাজের সাথে যুক্ত নয়। বরং ব্যবহারকারীর উপর নির্ভরশীল। এ কারণে এসব কাপড় বিক্রির জন্য বিক্রেতা গোনাহগার হবে না। বা তার উপার্জিত টাকাও হারাম হবে না।
ان بيع العصير ممن يتخذه خمرا إن قصد به التجارة، فلا يحرم وغن قصد به لأجل التخمير حرم (الأشباه والنظائر-53)
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ: أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ رَأَى حُلَّةً سِيَرَاءَ تُبَاعُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوِ ابْتَعْتَهَا تَلْبَسُهَا لِلْوَفْدِ إِذَا أَتَوْكَ وَالجُمُعَةِ؟ قَالَ: «إِنَّمَا يَلْبَسُ هَذِهِ مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ» وَأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ بَعْدَ ذَلِكَ إِلَى عُمَرَ حُلَّةً سِيَرَاءَ حَرِيرٍ كَسَاهَا إِيَّاهُ، فَقَالَ عُمَرُ: كَسَوْتَنِيهَا، وَقَدْ سَمِعْتُكَ تَقُولُ فِيهَا مَا قُلْتَ؟ فَقَالَ: «إِنَّمَا بَعَثْتُ إِلَيْكَ لِتَبِيعَهَا، أَوْ تَكْسُوَهَا»
‘আবদুল্লাহ হতে বর্ণিত। ‘উমার একটি রেশমী হুল্লা বিক্রি হতে দেখে বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপনি যদি এটি কিনতেন, তাহলে কোন প্রতিনিধি দল আপনার কাছে আসলে এবং জুমু‘আর দিনে পরিধান করতে পারতেন। তিনি বললেনঃ এটা সে ব্যক্তিই পরতে পারে যার আখিরাতে কোন হিস্যা নেই। পরবর্তী সময়ে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘উমার -এর নিকট ডোরাকাটা রেশমী হুল্লা পাঠান। তিনি কেবল তাঁকেই পরতে দেন। ‘উমার বললেনঃ আপনি আমাকে পরিধান করতে দিয়েছেন, অথচ এ ব্যাপারে যা বলার তা আমি আপনাকে বলতে শুনেছি। তিনি বললেনঃ আমি তোমার কাছে এজন্য পাঠিয়েছি যে, তুমি এটি বিক্রি করে দিবে অথবা কাউকে পরতে দিবে। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৮৪১]
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা-জামিয়া ফারুকিয়া দক্ষিণ বনশ্রী ঢাকা।
ইমেইল– ahlehaqmedia2014@gmail.com