লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
আগের লেখা-
আহমদ রেজা খাঁ বেরেলবীর পরিচয় ও আকিদা বিশ্বাস
মেরাজের রাতে খোদা খোদার সাথে মিলেছে!
তিনিই প্রথম,তিনিই শেষ, তিনিই প্রকাশ্য তিনিই লুকায়িত, তারই দ্যুতি তারই সাথে সাক্ষাতের জন্য তার দিকে গিয়েছে। {হাদায়েকে বখশিশ-১/১১৪, আহমদ রেজা}
তুমি আল্লাহ আবার আল্লাহ থেকে পৃথকও
খোদা বলা হয় না, বনে যান, পৃথক বলা হয় না, হয়ে যান, খোদার উপর তোমাকে ছাড়া হল, তিনিই জানেন তুমি কে? {হাদায়েকে বখশিশ-২/১০৪, আহমদ রেজা}
শায়েখ আব্দুল কাদীর রহঃ এর কাছে আল্লাহ তাআলার ইচ্ছেসমূহ!
আহাদ [আল্লাহ] থেকে আহমদ [মুহাম্মদ সাঃ], আর আহমদ থেকে তুমি [আব্দুল কাদীর জিলানী রহঃ], [কুন] হয়ে যাও, হয়ে যাওয়ার সব বিষয় তোমার অর্জিত হে গাওস! {হাদায়েকে বখশিশ-২/৯, আহমদ রেজা}
আল্লাহ তাআলা ইচ্ছে করলেই কিছু করতে পারেন না
আল্লাহ তাআলা গাযওয়ায়ে আহযাবে রাসূল সাঃ কে সাহায্য করতে চাইলেন। আর উত্তরের বায়ুকে হুকুম দিলেন যে, যাও আমার বন্ধুকে সাহায্য কর। আর কাফেরদের ধ্বংস করে দাও। হাওয়া অস্বিকার করে বললঃ “মহিলারা রাতে বের হয় না”। আল্লাহ তাআলা তাকে বন্ধ্যা করে দিলেন। এ কারণে উত্তরের বায়ু কখনো পানি বর্ষণ করে না। {মালফুযাতে আহমদ রেজা-৪/৭৮, আহমদ রেজা}
আল্লাহ ও রাসূল গলা মিলিয়েছেন!
হিযাব উঠাতে আছে লাখো পর্দা, প্রতিটি পর্দায় লাখো দ্যুতি, আজব ঘটনা ছিল যে, মিলন ও পৃথকীকরণে গলায় গলায় মিলেছিল।
আল্লাহ তাআলাও পীরের অযীফা পড়েন?
পৃথিবী মগ্ন তার তাসবীহ পড়তে, আর তিনি মগ্ন তোমায় জিকিরে হে গাওস! {হাদায়েকে বখশিশ-২/৭,আহমদ রেজা}
আল্লাহকে ডাকা শয়তানী ওয়াসওয়াসা!
একবার জুনায়েদ বাগদাদী দজলার পাড়ে তাশরীফ আনলেন। আল্লাহ আল্লাহ বলতে তিনি জমিনে চলার মত উপর দিয়ে চলতে লাগলেন। কিছুক্ষণ পর এক ব্যক্তি এল, তারও উপাড়ে যাওয়ার দরকার ছিল। সেসময় কোন নৌকা ছিল না। যখন সে হযরতকে যেতে দেখল, তখন বলতে লাগলঃ আমি কিভাবে আসবো? তিনি বললেনঃ হে জুনাইদ! হে জুনাইদ! বলতে চলে আস। সে তাই বলল, আর সেও নদীর উপর দিয়ে জমিনে চলার মত চলতে লাগল। যখন মধ্য নদীতে পৌঁছল, তখন শয়তান মনে ওয়াসওয়াসা দিল যে, হযরত নিজেতো আল্লাহ আল্লাহ বলছেন, আর আমাকে দিয়ে হে জুনাইদ! হে জুনাইদ বলাচ্ছেন! আমিও কেন হে আল্লাহ! হে আল্লাহ! বলবো না? সে হে আল্লাহ! বলল আর সাথে সাথেই হোচট খেল। ডাক দিয়ে বললঃ হে আমিতো গেলাম! তখন তিনি বললেনঃ হে জুনাইদ! হে জুনাইদই বলতে থাকো। যখন এটা বলল নদী পাড় হয়ে গেল। {মালফুযাতে আহমদ রেজা-১/১১৭}
আল্লাহ তাআলার নূরের টুকরা রাসূল সাঃ!
পর্দা উঠিয়ে দাও, দেখিয়ে দাও চেহারা, আল্লাহর নূর পর্দাবৃত। {হাদায়েকে বখশিশ-১/২০, আহমদ রেজা}
মানুষের আকৃতিতে যদি আল্লাহর নূর না হতো, তাহলে এত কিছু তাকে সাহায্য করতো? {হাদায়েকে বখশিশ-১/৯৪, আহমদ রেজা}
আল্লাহ তাআলাকে সর্বত্র হাজির নাজির মানা বদ্বীনী?
আল্লাহ তাআলার জন্য হাজির নাজির শব্দ ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। {ফাতাওয়া রেজাইয়্যাহ-১৪/৬৪০-৬৮৮}
আল্লাহ তাআলার জন্য হাজির নাজিরের বিশ্বাস খুবই খারাপ অর্থবহ। {ফাতাওয়া রেজাইয়্যাহ-৬/১৩২-১৫৭}
আহমদ রেজার একত্ববাদের বিশ্বাস
# প্রশ্নঃ রাসূল সাঃ কে হে আরবের খোদাওয়ান্দ বলে সম্বোধন করা যাবে কি?
উত্তরঃ করা যাবে। আরবের খোদাওন্দ এর অর্থ আরবের মালিক। {মালফুযাতে আহমদ রেজা-১/১২৭, আহমদ রেজা}
# সূরায়ে ইখলাস ও সূরায়ে ফাতিহাতে রাসূল সাঃ এর প্রশংসা বিদ্যমান। {আহকামে শরীয়ত-১৬৩, আহমদ রেজা}
# জবরাঈল আঃ প্রয়োজনার্থীর প্রয়োজন পূরণকারী। {মালফুযাতে আহমদ রেজা-১১১, আহমদ রেজা}
# রাসূল সাঃ কে প্রয়োজন পূরণকারী, বিপদ-আপদ দূরিভূতকারী মানাতে কোন মুসলমানের ভাবার বিষয় নাকি? তিনিতো জিবরাঈল আঃ এরও প্রয়োজনকারী। {মালফুযাতে আহমদ রেজা-১১১, আহমদ রেজা}
আল্লাহ তাআলা রাসূল সাঃ থেকে পরামর্শ নেন!
নিশ্চয় আমার রব আমার উম্মতের ব্যাপারে আমার থেকে পরামর্শ চান যে, আমি তাদের সাথে কী করবো? {আলআমানু ওয়ালআলা-৮৪, আহমদ রেজা}
শায়েখ আব্দুল কাদীর জিলানী হযরত ইউসুফ আঃ থেকে বেশি সুন্দর!
ইউসুফের সৌন্দর্যের চেয়ে শাহের [আব্দুল কাদীর জিলানী রহঃ] সৌন্দর্য অধিক, {হাদায়েকে বখশীশ-৩/৬৪, আহমদ রেজা}
রাসূল অবমাননাকরী কে? {কুফরী কথা বর্ণনা কুফরী নয়}
বারাকাত আহমদের কবর থেকে রাসূল সাঃ এর রওজার খুশবো
বারাকাত আহমদ সাহেবকে দাফন করার সময় তার কবরে নামলে তখন আমার সেই খুশবো অনুভূত হয়, যা প্রথমে রাসূল সাঃ এর রওজার নিকটে গিয়ে পেয়েছিলাম। { মালফুযাতে রেজা খান-২/১৪২, ফরীদ বুক ডিপো, আহমদ রেজা}
পীরের কাছে রাসূল সাঃ এর আগমণ?!
ওলী কি মুরসাল এসেছে, খোদ রাসূল সাঃ আসে, সে তোমার ওয়াজের মাহফিলে আসে হে গাওস! {হাদায়েকে বখশিশ-২/৭, আহমদ রেজা}
নবীজী সাঃ এর নূরের চেয়ে আব্দুল কাদীর জিলানী রহঃ নূর বড়
সকল নূরওয়ালাদের উপর প্রাধান্য তোমার নূর হে গাওস! {হাদায়েকে বখশিশ-১/১১, আহমদ রেজা}
জিলানী রহঃ ছায়া হিসেবে নবুওয়তের মর্যাদায়
একথাটি যদি নবুওয়ত খতম না হতো, তাহলে হুজুর গাওসে পাক নবী হতো। যদি অর্থটিকে সঠিক ও সহীহ অর্থে প্রয়োগ করা হয়, তাহলে নিশ্চয় আব্দুল কাদীর জিলানী রহঃ নবুওয়তের ছায়ার মর্তবায় সমাসিন। {ইরফানে শরীয়ত-৯০, মাকতাবায়ে মদীনাহ, আহমদ রেজা}
রাসূল সাঃ এর আয়াতে ভুল করেছেন [নাউজুবিল্লাহ]
এটা সম্ভব যে, রাসূল সাঃ কিছু আয়াতে ভুল করেছেন। {মালফুযাতে আহমদ রেজা-৩/২৫৫, আহমদ রেজা}
রাসূল সাঃ অপমানের পর সম্মান পেয়েছেন [নাউজুবিল্লাহ]
সংখ্যালঘিষ্টতার পর সংখ্যাধিক্যের উপর অধিক দরূদ, জিল্লতের পর ইজ্জতের উপর লাখো সালাম। {হাদায়েকে বখশিশ-২/২৯, আহমদ রেজা}
গাওসই সব দেয়, নবীজী সাঃ ও গাওসের দরজায় যাচনাকারী [নাউজুবিল্লাহ]
কেউ পথিক কেউবা মঞ্জিলে পৌঁছেছে হে গাওস! যে যাই হোক, সবাই তোমার কাছে যাচনাকারী হে গাওস! {হাদায়েকে বখশিশ-২/৭, আহমদ রেজা}
নবীজী সাঃ গাওসে পাক থেকে ফয়েজ হাসীল করেন {নাউজুবিল্লাহ]
ওলী কি? মুরসাল এসেছে, খোদ রাসূল সাঃ আসে, সে তোমার ওয়াজের মাহফিলে আসে হে গাওস! {হাদায়েকে বখশিশ-২/৭, আহমদ রেজা}
বেরেলবী মাযহাবে শায়েখ আব্দুল কাদীর রহঃ রাসূল সাঃ এর ছেলে! নাউজুবিল্লাহ
কেন তুমি কাসেম নয়, তুমিতো আবুল কাসেমের ছেলে, কেন তুমি কাদের নয়, তুমিতো সব কিছুই তোমার ইচ্ছেধীন হে বাবা! {হাদায়েকে বখশিশ-১/৪, আহমদ রেজা}
খতমে নবুওয়ত অস্বিকারকারী আহমদ রেজা
নবুওয়তের দরজা উন্মুক্তকারীর উপর অসংখ্য সালাম, আর রেসালাতের কাল সমাপ্তকারীর উপর লাখো সালাম। [হাদায়েকে বখশিশ-২/২৮, আহমদ রেজা}
এখানে নবুয়তের দরজা উন্মুক্তকারী বলতে রাসূল সাঃ কে আর রেসালতের কাল সমাপ্তকারী হিসেবে আব্দুল কাদীর জিলানী রহঃ কে বুঝিয়েছে আহমদ রেজা। তাহলে কি দাঁড়াল? রাসূল সাঃ শেষ নবী নয়? শেষ নবী আব্দুল কাদীর জিলানী রহঃ?
শায়েখ আব্দুল কাদীর জিলানী রহঃ এর আকৃতি রাসূল সাঃ এর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ?
শাহে মদীনার আকৃতি পরিস্কার নজরে আসে, যখন গাওসে আজমের চেহারা মনে হয়। {মালফুযাতে আহমদ রেজা-৩/৪৫, আহমদ রেজা}
পীরের হাত নবীর হাতের চেয়ে উত্তম [নাউজুবিল্লাহ]
হযরত ইয়াহইয়া মুনিরী এর এক মুরীদ সমুদ্রে ডুবতেছিল। হযরত খিজির আঃ উপস্থিত হয়ে বললেনঃ তোমার হাত আমাকে দাও, আমি তোমাকে পাড়ে নিয়ে যাব। সেই মুরিদ বলল, আমি আমার হাত ইয়াহইয়া মুনীরকে দিয়ে দিয়েছি। তাই এখন আর কাউকে দিতে পারি না। হযরত খিজির আঃ অদৃশ্য হয়ে গেলেন। আর হযরত ইয়াহইয়া মুনিরী প্রকাশ পেলেন। আর তাকে সেখান থেকে বের করে নিলেন। {মালফুযাতে আহমদ রেজা-২/৫১, আহমদ রেজা}
রাসূল সাঃ এর সাথে মারাত্মক বেয়াদবী
আল্লাহর ইচ্ছে, তিনি তার প্রিয় নবীকে যে শব্দে ইচ্ছে ব্যক্ত করেন। যেমন ধর, জায়েদ তার ছেলে আমরকে তার পদস্খলন ও ভুলের ব্যাপারে সতর্ক করা ও আদব শিখানোর জন্য যেমন নালায়েক, আহমক ইত্যাদি শব্দে ব্যক্ত করে থাকে। [নাউজুবিল্লাহ] {ফাতাওয়া রেজাইয়্যাহ-২/২৩৩, আহমদ রেজা}
নবীগণের পবিত্র কবরে তাদের পবিত্রা স্ত্রীদের উপস্থিত করা হয়। আর তাদের সাথে রাতে থাকেন। {মালফুযাতে আহমদ রেজা-২/২৭, আহমদ রেজা}
শায়েখ আব্দুল কাদীর জিলানী রহঃ এর ব্যাপারে আহমদ রেজা
# যদি কেউ নবী হতো, তাহলে শায়েখ আব্দুল কাদীর জিলানী রহঃ নবী হতো। {ইরফানে শরীয়ত-৮৫, আহমদ রেজা}
রেসালাতের পূর্ণতা শায়েখ আব্দুল কাদীর জিলানী রহঃ এর দ্বারা হয়ে গেছে। {হাদায়েকে বখশিশ-২/১৮৫, আহমদ রেজা}
পীর ও মুরিদের স্ত্রী
সৈয়দ আহমদ সাজলামাসীর দুই স্ত্রী ছিল। আমাদের মুরুব্বী আব্দুল আজীজ দাব্বাগ সাহেব বললেনঃ রাতে তুমি এক স্ত্রীর জাগ্রত অবস্থায় আরেক স্ত্রীর সাথে সহবাস করেছো কেন? এটা উচিত হয়নি। সে বললঃ হুজুর! সেতো তখন ঘুমিয়ে ছিল। তিনি বললেনঃ সে ঘুমাচ্ছিল না। এমনিতেই শুয়ে ছিল। সে বললঃ হুজুর কিভাবে জানলেন? তিনি বললেনঃ ওখানে আরেকটি খাট ছিল? সে বললঃ হ্যাঁ। একটি খাট খালি ছিল। তিনি বললেনঃ সেটার উপর আমি ছিলাম। কোন সময় পীর সাহেব তার মুরিদ থেকে আলাদা হয় না। বরং সারাক্ষণ সাথেই থাকে। {মালফুযাতে আলা হযরত-২/৫৬, আহমদ রেজা}
হযরত আয়শা রাঃ কে অবমাননাকর বক্তব্য
# জীর্ণশীর্ণ পোশাক, তার যৌবন চুপশে যেত, জামার মাথা থেকে কোমর পর্যন্ত। যৌবন মৃত অন্তুরের মত ফেটে যেত। জামা থেকে সিনা বেরিয়ে যেত। [নাউজুবিল্লাহ] {হাদায়েকে বখশিশ-৩/৩৭, আহমদ রেজা}
এর মানে হল, আম্মাজান আয়শা সিদ্দীকা রাঃ এর পোশাক ছিল জীর্ণশীর্ণ। জামার সংকীর্নতার কারণে জামা থেকে যৌবনপূর্ণ শরীর যেত বেরিয়ে। [নাউজুবিল্লাহ]
# উম্মুল মু’মিনীন আয়শা সিদ্দীকা রাঃ যে শব্দ রাসূল সাঃ সম্পর্কে বলেছেন, যদি অন্য কেউ বলত, তাহলে তাকে হত্যা করা হতো। {মালফুযাতে আহমদ রেজা-৩/২৩৪, আহমদ রেজা}
# হযরত উম্মুল মুমিনীন মাহবুবায়ে সাইয়্যিদুল মুরসালীন সাঃ এর পবিত্র রূহ সাইয়্যিদুনা গাউসুল আজমকে দুধ পান করানোকে কতিপয় প্রশংসাকারীরা স্বপ্নের ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করে থাকেন। আর যদি জাগ্রত অবস্থায় ও এটা মানা হয়, তাহলে আমরা নিঃসন্দেহে যৌক্তিকতার নিরিখে সম্ভব এবং শরীয়তের দৃষ্টিতে জায়েজ মনে করি। এতে কোন প্রকার অপমান, লজ্জারও কিছু নেই। {ইরফানে শরীয়ত-৮৫, আহমদ রেজা}
রাসূল সাঃ এর সাহাবী হযরত আব্দুর রহমান কারী রাঃ কে অপমান
আব্দুর রহমান কারী শয়তান ছিল। {মালফুযাতে আহমদ রেজা-১/৫২}
আলা হযরতের হুক্কাপ্রীতি
# সাক্ষাৎকারীরা তাদের প্রয়োজন উপস্থাপন করতো, আর তাদের প্রয়োজন পূর্ণ করে দেয়া হতো। হুক্কা ও পান দিয়ে তাদের আপ্যায়ন করা হতো। {হায়াতে আলা হযরত-১/১২৬}
# আমার পীর ও মুর্শীদ আলা হযরতের হুক্কা খাওয়ার খুব আগ্রহ ছিল। কোথাও গেলে সাথে হুক্কা নিয়ে যেতেন। {তাযাল্লিয়াতে ইমাম আহমদ রেজা-৭৭}
# হুক্কা খাওয়ার সময় আমি বিসমিল্লাহ পড়তাম না। {মালফুযাত-২/২২১, আহমদ রেজা}
আহমদ রেজার অপেক্ষায় রাসূল সাঃ [নাউজুবিল্লাহ]
রাসূল সাঃ কে জিজ্ঞাসা করা হল কার অপেক্ষা করছেন? তিনি বললেনঃ আহমদ রেজার অপেক্ষা করছি। {আলা হযরত আলা সীরাত-১৬১, আকবর বেক}
শয়তানের প্রতি আহমদ রেজার সহানুভূতি
শয়তান নামায পড়ে। {মালফুযাতে আহমদ রেজা-১/১৫, আলা হযরত}
ইবলিস নিজের জন্য মিথ্যাকে অপছন্দ করে। {আহকামে শরীয়ত-১/১৩৫, আহমদ রেজা}
শয়তানের ইলম রাসূল সাঃ থেকে প্রশস্ত। {খালেসুল ইতিক্বাদ-৬, আহমদ রেজা}
শয়তান আল্লাহর কাছে নিজের ক্ষমার প্রত্যাশী। {মালফুযাতে আহমদ রেজা-১/১৫, আহমদ রেজা}
বাইতুল্লাহ অভিবাধন করে
তোমার আগমণে বাইতুল্লাহ ঝুকে অভিবাধন করে, তোমার ভয়ে প্রতিটি মূর্তি থরথরিয়ে কাঁপে। {হাদায়েকে বখশিশ-১/২০}
বেশ্যার সম্পদ খাওয়া জায়েজ!
প্রশ্নঃ
নর্তক দল যাদের আমদানী কেবল হারাম। তাদের এখানে মিলাদ শরীফ পড়া এবং এ হারাম আমদানী দিয়ে বানানো শিরনী দিয়ে ফাতিহা করা জায়েজ আছে কি নেই?
উত্তরঃ
তার মালের শিরনী দিয়ে ফাতিহা করা হারাম। তবে যদি সে মাল পাল্টে মজলিস করে। আর এই লোকেরা যখন কোন কল্যাণকর কাজ করতে চায়, তখন তারা এমনি করে থাকে। আর এজন্য তাদের কোন সাক্ষ্যি পেশ করার দরকার নেই। যদি সে বলে যে, আমি ধার নিয়ে এ মজলিস করেছি। আর সে ঋণ তার হারাম মাল দিয়েই আদায় করেছে, তাহলে তার কথা গ্রহণযোগ্য হবে। {আহকামে শরীয়ত-২/১৬৪, আহমদ রেজা}
হিন্দুদের দেওয়ালীর মিঠাই
প্রশ্নঃ
কাফেররা যে হোলি এবং দেওয়ালীর মধ্যে মিঠাই বন্টন করে, এসব মুসলমানদের নেয়া জায়েজ আছে?
উত্তরঃ
সেদিন নিবে না, পরের দিন নিয়ে নিবে। {মালফুযাতে আলা হযরত-১/১১৫, আহমদ রেজা}
কবরে বাতি
হাদীসে এসেছে যে, রাসূল সাঃ কবরে বাতিল প্রজ্জ্বলনকারীর উপর লানত করেছেন। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩২৩৮, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-৩২০, সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-২১৭০, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৩১৮০, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৯৮৪}
অথচ দেখুন আহমদ রেজা কী বলে?
কবরের সম্মানে তাতে বাতি প্রজ্জ্বলন জায়েজ। {ফাতাওয়া রেজাইয়্যাহ-৪/১৪৪}
কুকুরের পবিত্রতা
প্রশ্নঃ
কুকুরের লোমতো নাপাক?
উত্তরঃ
সঠিক কথা হল কুকুরের শুধু লালা নাপাক। {মালফুযাতে আহমদ রেজা-৩/৬১, আহমদ রেজা}
ব্রাহ্মণ বিয়ে পড়ালেও হয়ে যায়!
বিয়ে হয়েই যায়, একারণে যে, বিবাহ হল পরস্পর ইজাব কবুলের নাম। যদিও তা ব্রাহ্মণ বিয়ে পড়ায়। {আহকামে শরীয়ত-২/২২৫, আহমদ রেজা}
হিন্দুদের সাথে আহমদ রেজার সম্পর্ক
রেজাউল হাসান কাদেরী সাহেব লিখেন যে, আলা হযরত বানারাস তাশরীফ নিয়ে গেলেন। একদিন দুপরের সময় এক স্থানে দাওয়াত ছিল। আমিও সঙ্গী ছিলাম। ফিরার সময় গাড়ি চালককে বললেনঃ ঐদিক দিয়ে মন্দিরের সামনে দিয়ে চল। আমি হয়রান হয়ে গেলাম, আলা হযরত বানারাস কবে এসেছেন? আর এখানকার গলির ব্যাপারেও জানেন। আর এ মন্দিরের নাম কবেই বা শুনেছেন? এরকম হয়রান অবস্থায় ছিলাম। গাড়িটি মন্দিরের সামনে এল। দেখলাম এক সাধু মন্দির থেকে বেরোল। মন্দিরের দিকে ছুটে এল। হযরত গাড়ি থামতে বললেন। লোকটি আলা হযরতকে সম্মানের সাথে সালাম করল। আর কানাকানি করে কিছু কথা বলল, যা আমি শুনতে পাইনি। তারপর সাধু মন্দিরে চলে গেল। এদিকে গাড়িও চলতে শুরু করে। তখন আমি জিজ্ঞেস করলামঃ এ লোক কে? তিনি বললেনঃ এ জমানার আব্দাল! আমি বললাম! মন্দিরে? তিনি বললেনঃ আম খাও! পাতা গুনিওনা। {আলা হযরত আলা সীরাত-১৩৪}