প্রচ্ছদ / কুরবানী/জবেহ/আকীকা / যার উপর কুরবানী আবশ্যক নয় তিনি জিলহজ্জের প্রথম দশদিনের রোযা রাখতে পারবেন না?

যার উপর কুরবানী আবশ্যক নয় তিনি জিলহজ্জের প্রথম দশদিনের রোযা রাখতে পারবেন না?

প্রশ্ন

আমার ওপর কোরবানি ফরজ না।।। আমি কি এই মাসে রোজা রাখতে পারব???

অতি দ্রুত জানালে ভালো হয়।।।

যেহেতু আগামীকাল কাল থেকেই মাস শুরু।।

উত্তর

بسم الله الرحمن الرحيم

হ্যাঁ, রোযা রাখতে পারবেন। এ দশদিন বেশি বেশি ইবাদত করা বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি ফযীলতপূর্ণ।

বেশি বেশি রোযা রাখা, রাতে বেশি বেশি নামায পড়া, কুরআন তিলাওয়াত করা, জিকির করা, দান সদকা করা সব ধরণের ইবাদত বেশি বেশি করা উচিত।

এক্ষেত্রে ধনী দারিদ্র কোন ভেদাভেদ নেই। কার উপর কোরবান ওয়াজিব আর কার উপর নয়, এমন কোন পার্থক্য নেই। যে ব্যক্তিই এ দিনসমূহে ইবাদত করবে সেই ব্যক্তিই সওয়াবের অধিকারী হবে।

عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه و سلم : قال ما من أيام أحب إلى الله أن يتعبد له فيها من عشر ذي الحجة يعدل صيام كل يوم منها بصيام سنة وقيام كل ليلة منها بقيام ليلة القدر

 হযরত আবু হুরায়রা রা.থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জিলহজ্বের দশ দিনের  ইবাদত আল্লাহর নিকট অন্য দিনের ইবাদত তুলনায় বেশী প্রিয়,প্রত্যেক দিনের রোযা এক বছরের রোযার ন্যায় আর প্রত্যেক রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদতের ন্যায় ।{তিরমিজী শরীফ,হাদীস নং-৭৫৮, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৭৫৭, কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১২০৮৮}

عن ابن عباس عن النبي صلى الله عليه و سلم أنه قال ما العمل في أيام العشر أفضل من العمل في هذه

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা.থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-এই দশ দিনের আমল অপেক্ষা অন্য দিনের আমল প্রিয় নয়। {বুখারী শরীফ,হাদীস নং-৯২৬}

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা-জামিয়া ফারুকিয়া দক্ষিণ বনশ্রী ঢাকা।

ইমেইল[email protected]

0Shares

আরও জানুন

ইমামের সামনের সুতরা কি মাসবূক মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট?

প্রশ্ন ইমামের সুতরা মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট কি না? এবং ইমামের সুতরা মসবুক ব্যাক্তির জন্য যথেষ্ট …