প্রচ্ছদ / কুরবানী/জবেহ/আকীকা / কুরবানী ঈদের দিন রোযা রেখে কুরবানীর গোশত দিয়ে ইফতার করার হুকুম কী?

কুরবানী ঈদের দিন রোযা রেখে কুরবানীর গোশত দিয়ে ইফতার করার হুকুম কী?

প্রশ্ন

মুফতী সাহেবের কাছে প্রশ্ন হল,আমাদের এলাকায় প্রসিদ্ধ যে,কুরবানীর ঈদের দিন রোযা রাখা উত্তম। আর সময়সীমা হল,কুরবানী দিয়ে তার গোস্ত পাকানো পর্যন্ত। গোস্ত দিয়ে খানা খাওয়ার আগ পর্যন্ত উপোষ থাকার নাম কুরবানী ঈদের দিনের রোযা বলে প্রচলিত রয়েছে।

এ বিষয়ে সঠিক কথা কী হবে? জানালে কৃতজ্ঞ হবো।

উত্তর

بسم الله الرحمن الرحيم

আসল কথা হল,ঈদের দিন রোযা রাখা হারাম।

তবে কুরবানী ঈদের দিন যেহেতু আল্লাহর মেহমানদারীর দিন। তাই বিধান হল,কুরবানীর পশু জবাই দিয়ে তার গোস্ত দিয়ে পানাহার করা উত্তম কাজ। এর আগ পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকার নাম রোযা বলে কুরআর বা হাদীসের কোথাও উদ্ধৃত হয়নি।

তবে হ্যাঁ, রোযার মত মনে করা যেতে পারে। কিন্তু এটাকে সরাসরি কুরবানী ঈদের দিনের রোযা বলে অভিহিত করা থেকে বিরত থাকা উচিত।

عن بريدة أن النبى صلى الله عليه وسلم كان لا يخرج يوم الفطر حتى يطعم، وكان لا يأكل يوم النحر شيئا حتى يذبع فيأكل من أضحية (سننن الدار قطنى، كتاب العيدين-2/34، رقم-1699، مسند احمد-5/353، رقم-23372)

الأكل من اضحية التطوع والواجب غير المنذور سنة لما ثبت عن النبى صلى الله عليه وسلم فى حديث بريدة أنه صلى الله عليه وسلم كان لايخرج يوم الفطر حتى يطعم وكان لا يأكل يوم النحر شيئا حتى يذبح فيأكل من أضحيته (أعلاء السنن، باب التصدق بلحوم الأضاحى وغيرها-17/263)

وهى أحكام الأضحى لكن هنا يؤخر الأكل…… وأطلقه فشمل من لا يضحى (البحر الرائق-2/284)

ويندب تاخير اكله عنها وإن لم يضح فى الأصح (الدر المختار مع رد المحتار-3/60)

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা-জামিয়া ফারুকিয়া দক্ষিণ বনশ্রী ঢাকা।

ইমেইল[email protected]

0Shares

আরও জানুন

ইমামের সামনের সুতরা কি মাসবূক মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট?

প্রশ্ন ইমামের সুতরা মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট কি না? এবং ইমামের সুতরা মসবুক ব্যাক্তির জন্য যথেষ্ট …