প্রচ্ছদ / আহলে হাদীস / ফিক্বহের গুরুত্ব এবং ফক্বীহদের বৈশিষ্ট্যাবলী

ফিক্বহের গুরুত্ব এবং ফক্বীহদের বৈশিষ্ট্যাবলী

আল্লামা আব্দুল মতীন দামাত বারাকাতুহু

কিছু লোকের বাড়াবাড়ির ফলে আমাদের মহান পূর্বসূরিগণের একটি জামাতের গুরুত্ব দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। এ জামাতটি হলো ফকীহ ও মুজতাহিদগণের জামাত। সাহাবায়ে কেরামের যুগ থেকে হিজরী দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত এ জামাতের গুরুত্ব ছিল প্রায় সর্বজন স্বীকৃত।

বলাবাহুল্য, আল্লাহ তায়ালা কুরআন ও সুন্নাহ সংরক্ষণের যে জিম্মাদারি নিজেই গ্রহন করেছেন, তার প্রেক্ষিতেই তিনি উম্মতের এক এক জামাতকে এক একটি দিক সংরক্ষণের কাজে লাগিয়েছেন। কাউকে দিয়ে ব্যকরণ, কাউকে দিয়ে বালাগাত বা অলংকারের দিক সংরক্ষণ করিয়েছেন। কাউকে দিয়ে কুরআনের পঠন রীতি, কিরাআত ও তাজবীদ সংরক্ষণের খেদমত নিয়েছেন। হিফজ করার তাওফীক দিয়ে লক্ষ লক্ষ হাফেজে কুরআন ও হাফেজে হাদীস সৃষ্টি করে কুরআন-সুন্নাহর শব্দ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। একই ধারাবাহিকতায় বিশাল এক জামাতকে এর অর্থ ও মর্ম নির্ণয়ন, উদঘাটন, শরীয়তের বিধিবিধান আহরণ ও আবিস্কারের কাজে লাগিয়ে দিয়ে কুরআন-সুন্নাহ’র মর্ম সংরক্ষণ করেছেন। পরিভাষায় এঁদেরকেই বলা হয় মুজতাহিদ ও ফকীহ। এমন মহান জামাতের গুরুত্বকে অস্বীকার করা প্রকারান্তরে দীন ও ইসলাম সম্পর্কে সঠিক উপলব্ধি ও নির্ভুল অনুধাবন থেকে বঞ্চিত থাকারই নামান্তর।

প্রশ্ন হতে পারে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো আমাদেরকে কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী চলতে বলেছেন। কোন ফকীহ বা মুজতাহিদের দারস্থ হতে বলেন নি। উত্তরে বলব, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো ঐ হাদীসে আরবী ব্যকরণ, বালাগাত, অভিধান, হাদীস শাস্ত্রের মূলনীতি, হাদীসবিদগণের পরিভাষা, রিজাল শাস্ত্র বা হাদীস বর্ণনাকারীদের জীবনীমূলক গ্রন্থসমূহ ইত্যাদি বিষয়ে পড়ালেখার কথাও বলেন নি। এমনকি কোন তাফসিরবিদ ও হাদীসবিদের দ্বারস্থ হতেও বলেন নি। তাহলে কি এসব ছাড়াই কুরআন-সুন্নাহ বোঝা যাবে এবং তদনুযায়ী আমল করা সম্ভব হবে? যদি বলা হয়, এসবের প্রয়োজনীয়তা বলার অপেক্ষা রাখে না, তাহলে বলব, মুজতাহিদ ইমামগণের প্রয়োজনীয়তা ও মুখাপেক্ষিতাও একইভাবে বলার অপেক্ষা রাখে না।

একটি আয়াত বা হাদীসেই সবকিছু খুঁজতে চেষ্টা করা আমাদের একটি বড় দোষ। কুরআন-হাদীসের সবটুকু নিয়ে চিন্তা করলে দেখা যাবে, মুজতাহিদ ইমামগণের দ্বারস্থ হওয়ার আদেশও আমাদেরকে দেওয়া হয়েছে। এখানে দুটি প্রমাণ তুলে ধরা হলো :

এক.

একটি প্রমাণ হাফেজ ইবনুল কায়্যিম রহ. তার ই’লামুল মুয়াক্কিয়ীন গ্রন্থে (১/৮) ‘ইসলামের ফকীহগণের ফযীলত ও মর্যাদা’ শিরোনামে (فضل فقهاء الإسلام ومنزلتهم) উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন,


القسم الثاني فقهاء الإسلام ومن دارت الفتيا على أقوالهم بين الأنام الذين خصوا باستنباط الأحكام وعنوا بضبط قواعد الحلال والحرام فهم في الأرض بمنزلة النجوم في السماء بهم يهتدي الحيران في الظلماء وحاجة الناس إليهم أعظم من حاجتهم إلى الطعام والشراب وطاعتهم أفرض عليهم من طاعة الأمهات والآباء بنص الكتاب قال تعالى يا أيها الذين آمنوا أطيعوا الله وأطيعوا الرسول وأولي الأمر منكم فإن تنازعتم في شيء فردوه إلى الله والرسول إن كنتم تؤمنون بالله واليوم الآخر ذلك خير وأحسن تأويلا قال عبد الله بن عباس في إحدى الروايتين عنه وجابر بن عبد الله والحسن البصري وأبو العالية وعطاء بن أبي رباح والضحاك ومجاهد في إحدى الروايتين عنه أولو الأمر هم العلماء وهو إحدى الروايتين عن الإمام أحمد وقال أبو هريرة وابن عباس في الرواية الأخرى وزيد بن أسلم والسدي ومقاتل هم الأمراء وهو الرواية الثانية عن أحمد. والتحقيق أن الأمراء إنما يطاعون إذ أمروا بمقتضى العلم فطاعتهم تبع لطاعة العلماء

অর্থাৎ দ্বিতীয় ভাগ হলেন ইসলামের ফকীহবৃন্দ। ঘুরে ফিরে যাদের মতানুসারেই ফতোয়া দেওয়া হয়। যাদেরকে বিধিবিধান আহরণ ও নির্গতকরণের কাজে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করা হয়েছে। তারা হালাল-হারামের নীতিমালা প্রণয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। পৃথিবীতে তারা ঠিক আকাশের তারকারাজির মতোই ছিলেন। যা দেখে অন্ধকারে দিশাহীনরা সঠিক পথের দিশা পায়। মানুষ পানাহারের যতটা না মুখাপেক্ষী, তার চেয়ে ঢেড় বেশি তাদের মুখাপেক্ষী ছিলেন ও আছেন। তাদের আনুগত্য মাতা-পিতার আনুগত্যের চেয়েও বড় ফরজ। এর প্রমাণ কুরআনের স্পষ্ট বক্তব্য। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসূল ও তোমাদের মধ্যকার উলুল আমর’এর আনুগত্য করা। যদি কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিবাদ হয়, তবে তা আল্লাহ ও রাসূলের সমীপে পেশ কর। যদি তোমরা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস স্থাপন করে থাক। এটাই সর্বোত্তম ও পরিণামে সর্বাধিক সুন্দর। (নিসা : ৫৯)

এক বর্ণনামতে ইবনে আব্বাস রা., জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রা., হাসান বসরী, আবুল আলিয়া, আতা ইবনে আবূ রাবাহ, দাহহাক ও এক বর্ণনামতে মুজাহিদ বলেছেন, (উক্ত আয়াতে উল্লিখিত) ‘উলুল আমর’ হলেন আলেমগণ। ইমাম আহমাদের একটি মতও অনুরূপ। আবার আবু হুরায়রা রা., অপর বর্ণনায় ইবনে আব্বাস রা., যায়দ ইবনে আসলাম, সুদ্দী ও মুকাতিল বলেছেন, উলুল আমর তারা, যারা নেতৃত্ব-কতৃত্বের অধিকারী। আহমাদের অপর একটি মতও অনুরূপ। সত্য কথা হলো, নেত্বত্ব-কর্তৃত্বের অধিকারী ব্যক্তিদের কথাও কেবল তখনই মানা যাবে, যখন তারা ইলম ও দ্বীনী জ্ঞানের আলোকে আদেশ দেবেন। সুতরাং তাদের আনুগত্যও আলেমগণের আনুগত্যের অধীন। (দ্র. ১/৮)

দুই.

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন,
وَمَا كَانَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ لِيَنۡفِرُوۡا كَآفَّةً ؕ فَلَوۡلَا نَفَرَ مِنۡ كُلِّ فِرۡقَةٍ مِّنۡهُمۡ طَآٮِٕفَةٌ لِّيَـتَفَقَّهُوۡا فِى الدِّيۡنِ وَ لِيُنۡذِرُوۡا قَوۡمَهُمۡ اِذَا رَجَعُوۡۤا اِلَيۡهِمۡ لَعَلَّهُمۡ يَحۡذَرُوۡنَ

অর্থ, তাদের (মুসলিমদের) একটি গোত্র থেকে একদল লোক কেন (রাসূলের সঙ্গে) বের হয় না? যাতে তারা দীনের সঠিক বুঝ লাভ করতে পারে এবং ফিরে এসে নিজ গোত্রের লোকদেরকে সতর্ক করতে পারে। এতে তারাও হয়তো বেঁচে থাকতে পারবে। (তাওবা, ১২২)

এ আয়াতে কিছু লোককে দ্বীনের ফকীহ হতে বলা হয়েছে। নিজ গোত্রের লোকদেরকে সতর্ক করতে ও দ্বীনের সঠিক জ্ঞানের আলোকে পরিচালিত করতেও বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে গোত্রের লোকদেরকেও তাদের নির্দেশনা অনুসারে চলতে বলা হয়েছে। সুতরাং কিছু মানুষ দ্বীনের পূর্ণাঙ্গ সমঝ-বুঝ অর্জন করবে, আর কিছু মানুষ তাদের শিক্ষাদীক্ষা গ্রহণ করে জীবন চালাবে: এটাই কুরআনের স্পষ্ট নির্দেশনা।

একথা বহু হাদীস থেকেও বোঝা যায়, বুখারী শরীফে একটি হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিয়ামতের পূর্বাভাষ সম্পর্কে বলেছেন, আল্লাহ এলেম তুলে নেবেন আলেমকে তুলে নেওয়ার মাধ্যমে। অবশেষে যখন তিনি কোন আলেম অবশিষ্ট রাখবেন না, তখন মানুষ মূর্খ ও অজ্ঞদেরকেই অনুসৃত বানিয়ে নেবে। তারা জিজ্ঞাসিত হলে সঠিক এলেম ছাড়াই ফতোয়া দিয়ে বসবে। ফলে নিজেরাও গোমরাহ হবে, অন্যদেরকেও গোমরাহ করবে। (হা. ১০০)

এ হাদীস প্রমাণ করে যে, কিছু মানুষ ফতোয়া দেন, আর কিছু মানুষ তার অনুসরণ করেন। ফতোয়া দানকারীগণ যদি যথানিয়ম অনুসরণ করে পর্যাপ্ত ও সঠিক উপায়ে লব্ধ জ্ঞানের আলোকে ফতোয়া দিয়ে থাকেন, তবে তারা ও তাদের অনুসারীরা সঠিক পথেই প্রতিষ্ঠিত থাকবেন। কিয়ামতের লক্ষণ জাহির হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এমন অবস্থাই চলতে থাকবে। পক্ষান্তরে ফতোয়া দানকারীরা যদি এর বিপরীত করেন তবে নিজেরাও সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত হবে, সেই সঙ্গে অন্যদের বিচ্যুতিরও কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কিয়ামতের পূর্বে এমন অবস্থাই বিরাজ করবে।

ফকীহগণের বৈশিষ্ট্যাবলী

ক.

তারা কুরআন-সুন্নাহর কোনটি মানসুখ (রহিত), কোনটি নাসিখ (রহিতকারী) সে সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান রাখেন।

খ.

কোন বিধানটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ব্যক্তিসত্তার সঙ্গে খাছ, আর কোনটি উম্মাহর সকল ব্যক্তির জন্য ব্যাপক, তাও তারা ভালভাবে জানতেন।

গ.

কুরআন-সুন্নাহ’য় যেসব বিধান এসেছে, সেসবের অন্তর্নিহিত কারণ চিহ্নিত করে সেসব কারণ আরো যেসব বিষয়ে বিদ্যমান, সেসবকেও একই বিধানের আওতাভুক্ত সাব্যস্ত করে তারা দ্বীন-ইসলামকে চলমান ও জীবন্ত ধর্মের রূপে দৃশ্যমান করেছেন। এতে করে হাজার হাজার নিত্য নতুন সমস্যার সমাধান লাভ করা সহজ হয়েছে। এ মহান কাজটি না হলে দ্বীন-ইসলামকেও অন্যান্য ধর্মের মতো বন্ধ্যাত্ব বরণ করতে হতো।

ঘ.

কুরআন-সুন্নাহ থেকে তারা যেমন শরীয়তের নীতিমালা আহরণ ও উদ্ধার করেছেন, তেমনি এক একটি আয়াত ও হাদীস থেকে বহু সমস্যার সমাধান বের করেছেন। কুরআন-সুন্নাহ’র দালালত ও নির্দেশনা, ইকতিযা ও দাবী এবং ইশারা ও ইঙ্গিত থেকে তারা উদ্ভূত ও অনুদ্ভূত বহু মাসাইলের সমাধান দিয়ে গেছেন।

ঙ.

আয়াত ও হাদীসের মর্ম সম্পর্কে তারাই সর্বাধিক জ্ঞাত ছিলেন। এটা আল্লাহ তায়ালারই নিজাম বা সুষ্ঠু পরিচালনা বৈ কি। কুরআন ও হাদীসের হাফেজগণকে দিয়ে তিনি যেমন শব্দ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন, তেমনি ফকীহগণের মাধ্যমে মর্ম সংরক্ষণেরও ব্যবস্থা করেছেন। একথা মুহাদ্দিসীন বা হাদীসবিদগণও স্বীকার করেছেন। ইমাম তিরমিযী বলেছেন, كذلك قال الفقهاء وهم أعلم بمعاني الحديث অর্থাৎ ফকীহগণ এমনটাই বলেছেন। আর হাদীসের মর্ম সম্পর্কে তারাই সবিশেষ জ্ঞাত। (হা. ৯৯০)

এসব কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদীস অন্বেষণকারী মুহাদ্দিসকে উৎসাহিত করেছেন, কোন হাদীস শুনলে তা এমনভাবে প্রচার কর, যাতে হাদীসটি কোন ফকীহ’র হাতে এসে পৌঁছে। তিনি ইরশাদ করেছেন,

نَضَّرَ اللَّهُ امْرَأً سَمِعَ مِنَّا حَدِيثًا فَحَفِظَهُ حَتَّى يُبَلِّغَهُ فَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ إِلَى مَنْ هُوَ أَفْقَهُ مِنْهُ وَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ لَيْسَ بِفَقِيهٍ

আল্লাহ সেই ব্যক্তিকে ঔজ্জ্বল্য দান করুক, যে আমার কথা শুনল, অতঃপর তা স্মরণ রাখল ও পৌঁছে দিল। অনেক ব্যক্তি সমঝদারির কথা তার চেয়ে ফকীহ ও সমঝদার ব্যক্তির নিকট পৌঁছে দেয়, অনেক সমঝদারি কথার বাহক ফকীহ বা সমঝদার নয় । (আবু দাউদ, হা. ৩০৫৬)

এ হাদীস থেকে যেমন বোঝা গেল, সকল হাদীস বর্ণনাকারী সমঝদারির ক্ষেত্রে সমান নয়, তেমনি বোঝা গেল, সমঝদার ব্যক্তি ঐ হাদীস থেকে যা বুঝবেন অন্যদের উচিৎ হবে তার অনুসরণ করা।

আ’মাশ রহ.এর উক্তি থেকেও একথা প্রমাণিত হয়। আবু সুলায়মান আ’মাশ ইমাম আবু হানীফার উস্তাদ ছিলেন। ছিলেন বিশিষ্ট মুহাদ্দিস বা হাদীসবিদও। বুখারী-মুসলিমসহ সকল মুহাদ্দিস তার বর্ণিত হাদীস প্রমাণস্বরূপ উদ্ধৃত করেছেন। একদিন জনৈক ব্যক্তি এসে তাকে একটি মাসআলা জিজ্ঞেস করল। তিনি জবাব দিতে পারলেন না। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইমাম আবু হানীফা। তিনি অনুমতি নিয়ে জবাব দিলেন। আ’মাশ রহ. বিস্ময়াভিভূত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, এটা কোথায় পেয়েছ? আবু হানীফা রহ. বলেলেন, কেন, আপনিই তো অমুকের সূত্রে অমুক থেকে এ হাদীস আমাকে শুনিয়েছেন! এভাবে তিনি একাধিক সূত্রে আ’মাশের হাদীসগুলো এক মুহূর্তেই তার সামনে তুলে ধরেন। আ’মাশ তখন বললেন, أيها الفقهاء أنتم الأطباء ونحن الصيادلة অর্থাৎ ফকীহগণ! তোমরাই চিকিৎসক, আর আমরা ঔষধ বিক্রেতা। (আবু নুআয়ম, মুসনাদ আবু হানীফা, ১/২২; আল কামিল, ৮/২৩৮)

ঔষধ বিক্রেতারা জানে না, কোন ঔষধ কি কাজে লাগে। এটা ডাক্তার ও চিকিৎসকই বলতে পারেন। হাদীসের ক্ষেত্রেও তেমনি অনেকে হাদীসটির ধারক-বাহক হন বটে, কিন্তু উক্ত হাদীস থেকে মাসআলার সমাধান বের করা ফকীহগণেরই কাজ।

আরো পড়ুনঃ

মুহাদ্দিসগণও ফকীহগণের কদর বুঝতেন

0Shares

আরও জানুন

হাদীসে জাহান্নামে নারীদের সংখ্যা বেশি হবার কথা বলা হলো কেন?

প্রশ্ন আসসালামু আলাইকুম। গত এক-দেড় বছর ধরে আমার মাথায় একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে! আল্লাহ ক্ষমা …