প্রশ্ন
বাংলাদেশের এক ভাইরাল বক্তা তার বয়ানে বলেন:
“ঐ ব্যক্তিত্ব, ঐ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ। যার শানের বর্ণনা আমি সামান্য দিলাম। সামান্য। দ্বিতীয় আবার ফেরেশতাদের ছুটি ছিল কখন জানেন? যখন আল্লাহর রাসূল আকাশের ভ্রণে যায়। মেরাজে। ঐদিন ফেরেশতাদের ছুটি ছিল। এবারতের দ্বারা এটাই বুঝা যায়। যে ঐদিন শুধু ছুটি ছিল এই জন্য যে আল্লাহর রাসূলকে দর্শণ করার জন্য। দেখার জন্য।”
এই কথাগুলো কতটুকু সত্য?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
মেরাজের রাতে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখার জন্য ফেরেশতাদের ছুটি ছিল দাবী করা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যাচার ও বানোয়াট কথা ছাড়া কিছু নয়।
এমন কোন বর্ণনা দ্বারা একথা প্রমাণিত নয়। এটা পুরোটাই মাওলানার কল্পনাপ্রসূত বানোয়াট কথা।
বরং ফেরেশতারা তাদের দায়িত্বে রত ছিলেন একথা মেরাজ সম্পর্কিত হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। বুখারী শরীফের ৩৮৮৭ নং হাদীসে মেরাজের যে বিবরণ আসছে। তাতে পরিস্কার আসছে প্রতি আসমানে ফেরেশতাগণ দরজা খোলার আগে জিজ্ঞাসা করছেন সাথে কেন? জিবরীল আলাইহিস সালাম উত্তর দিয়েছেন।
এভাবে বিভিন্ন স্থানে ফেরেশতাগণ তাদের কাজে রত ছিলেন।
সুতরাং ফেরেশতাদের ছুটি থাকার কথাটি একটি বানোয়াট ভিত্তিহীন কথা। যা এ মাওলানা নিজে বানিয়েছেন।
আল্লাহ তাআলা এ বানোয়াটী মাওলানার বানোয়াটী বক্তব্য থেকে মুসলমানদের ঈমান আকীদা হেফাজত করুন। আমীন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া ইসলামিয়া দারুল হক লালবাগ ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা: জামিয়াতুস সুন্নাহ কামরাঙ্গিরচর, ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা: কাসিমুল উলুম আলইসলামিয়া, সালেহপুর আমীনবাজার ঢাকা।
পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।
শাইখুল হাদীস: জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া, সনমানিয়া, কাপাসিয়া, গাজীপুর।
ইমেইল– [email protected]