প্রচ্ছদ / মুফতি লুতফুর রহমান ফরায়েজীর কলাম / একটি অনুকরণীয় কর্মযজ্ঞঃ শিক্ষার্থীর হাতে মোবাইল নয় শোভা পাক পাঠ্য বই!

একটি অনুকরণীয় কর্মযজ্ঞঃ শিক্ষার্থীর হাতে মোবাইল নয় শোভা পাক পাঠ্য বই!

মুঈনুল ইসলাম তার নামের যথার্থতা রেখেছে। ইসলামের সাহায্যকারী। ইসলাম বাঁচাতে হলে মুসলিম বাঁচাতে হবে। মুসলিম বাঁচাতে হলে তার ঈমান ও আমল বাঁচাতে হবে। ঈমান ও আমল বাঁচাতে হলে দ্বীনের শিক্ষাকে বাঁচাতে হবে। দ্বীনের শিক্ষাকে বাঁচাতে হলে শিক্ষার্থীকে শিক্ষার অন্তরায় সকল বিষয় থেকে বাঁচাতে হবে।
মোবাইল ফোন। শিক্ষার্থীর জন্য মরণব্যাধী ক্যান্সারের চেয়েও ক্ষতিকর। জাতিকে মেধাশূণ্য করার এক ভয়ানক ভাইরাসের নাম এ মোবাইল।

েভাবে বতর্মান সময়ের শিক্ষার্থীরা ফেইসবুক জ্বরে ভুগছে। এভাবে চলতে থাকলে একশ বছর পাড় হতে হবে না, এর আগেই এ জাতি জ্ঞানশূণ্য এক মুর্খ জাতিতে পরিণত হবে। কোন সন্দেহ নেই।
এ ভাইরাস থেকে ছাত্র ছাত্রীদের রক্ষা না করতে পারলে সামনে ভয়াবহ দুর্দিন নেমে আসার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
শুধু মাদরাসা নয়, সকল প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ করা দরকার। পড়াশোনা শেষ করার পর যত ইচ্ছে ব্যবহার কর। সমস্যা নেই। কিন্তু আগে নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ।

সাবাশ। জাতির রাহবার মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী। জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে ইতিহাস রচনাকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের মোবাইল পুড়িয়ে জাতিকে আঙ্গুল দিয়ে ভুলটা ধরিয়ে দেয়ায়।
হাটহাজারীর আদর্শ অনুসরণ সকল ধর্মীয় ও জেনারেল প্রতিষ্ঠানে একইভাবে কঠোরতা অবলম্বন করে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযুগী করতে প্রয়াসী হবার আহবান করছি।

শিক্ষাকে বাঁচান। তবেই দেশ বাঁচবে। মেধাকে লালন করুন। মূল্যায়ন করুন। তবেই জাতির আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হবে।
সাহসী ও যুযোপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়ে জাতিকে রাহনূমায়ী করায় হাটহাজারী মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও দুআ। এভাবেই আমাদের রাহবারী করে যান। দীপ্তপদে। দৃঢ়তায়। আমীন।

0Shares

আরও জানুন

“রোহিঙ্গা” এটা কি উপহাস করার শব্দ? আপনার মনুষত্ব কোথায়??

রাস্তাঘাটে চলতে এখন মানুষের মুখে মুখে উপহাসচ্ছলে শুনতে পাই “ঐ রোহিঙ্গা! তুই কি রোহিঙ্গা নাকি?, …