প্রচ্ছদ / খিলাফত/ইসলামী রাষ্ট্রনীতি / অমুসলিম রাষ্ট্রের সাথে মুসলিম রাষ্ট্রের যুদ্ধ হলে অমুসলিম রাষ্ট্রের অধিবাসী মুসলিমরা কার পক্ষ নিবে?

অমুসলিম রাষ্ট্রের সাথে মুসলিম রাষ্ট্রের যুদ্ধ হলে অমুসলিম রাষ্ট্রের অধিবাসী মুসলিমরা কার পক্ষ নিবে?

প্রশ্ন

কোন মুসলিম দেশের সাথে যদি কোন অমুসলিম (সংখ্যাগরিষ্ট) দেশের যুদ্ধ শুরু হয়ে তবে ইসলামী শরীয়াহ মতে অমুসলিম দেশের মুসলমানগণ কার পক্ষে যুদ্ধ করবে বা কাকে সমর্থন করবে?

উত্তর

بسم الله الرحمن الرحيم

অবশ্যই মুসলমানদের পক্ষে যুদ্ধ করবে এবং মুসলমানদের সমর্থন করবে। নিজেদের মারাত্মক ক্ষতি হবার শংকা হলে সেখান থেকে হিযরত করবে। অমুসলিমদের পক্ষে মুসলমানদের বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধ করা তাদের জন্য বৈধ হবে না।

عَنْ عَمرو قال: إن رجلًا دعى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ إِلَى وَلِيمَةٍ، فَلَمَّا جَاءَ سَمِعَ لَهْوًا، فَلَمْ يدخل. فقال: مَالَكَ؟ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- يَقُولُ: “مَنْ كَثَّر سَوَاد قَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ، وَمَنْ رضِيَ عَمَلَ قَوْمٍ كَانَ شريكًا لمن عمله

হযরত আমর থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ রাঃ কে এক ওলীমাতে দাওয়াত দিলেন। যখন তিনি সেখানে গেলেন তখন সেখানে শরীয়ত গর্হিত কাজ বিনোদন দেখতে পেলেন, তখন তিনি আর সেখানে প্রবেশ করলেন না। তাকে জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার কী হল? তখন তিনি বললেন, আমি নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি কোন কওমের সংখ্যা বৃদ্ধি করে, সে তাদেরই অন্তর্ভূক্ত। আর যে ব্যক্তি কোন কওমের আমলে সন্তুষ্ট থাকে সেও তাদের কর্মে শরীক সাব্যস্ত হবে। [মাতালেবুল আলীয়া, হাদীস নং-১৬৬০]

وَإِنْ قَالُوا لَهُمْ قَاتِلُوا مَعَنَا الْمُسْلِمِينَ وَإِلَّا قَتَلْنَاكُمْ لَمْ يَسَعْهُمْ الْقِتَالُ مَعَ الْمُسْلِمِينَ.

لِأَنَّ ذَلِكَ حَرَامٌ عَلَى الْمُسْلِمِينَ بِعَيْنِهِ. فَلَا يَجُوزُ الْإِقْدَامُ عَلَيْهِ بِسَبَبِ التَّهْدِيدِ بِالْقَتْلِ، كَمَا لَوْ قَالَ لَهُ: اُقْتُلْ هَذَا الْمُسْلِمَ وَإِلَّا قَتَلْتُك. (شرح السير الكبير للسرخسى-3/241-242، رقم– 2974)

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।

ইমেইল[email protected]

0Shares

আরও জানুন

ইমামের সামনের সুতরা কি মাসবূক মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট?

প্রশ্ন ইমামের সুতরা মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট কি না? এবং ইমামের সুতরা মসবুক ব্যাক্তির জন্য যথেষ্ট …