প্রশ্ন
আস-সালামু আলাইকুম,
প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি বিশেষভাবে বিরক্ত করার জন্য।
হায়েজা মহিলা বা যার উপর গোসল ফরজ উক্ত ব্যক্তির জন্য, মুখস্ত কোরআন থেকে কোন আয়াত, সূরা বা দুআ পাঠ বা শোনানো বা কাউকে ফুক দেওয়া কি জায়েয?
Mohammad Rifat Alam,
Uttara, Dhaka, Bangladesh,
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
যার উপর গোসল ফরজ, এমন ব্যক্তির জন্য কুরআনের আয়াত তিলাওয়াত করা জায়েজ নয়। তবে দুআ হিসেবে পড়তে পারে। সুতরাং কোন চিকিৎসার প্রয়োজনে দুআ হিসেবে পাঠ করে ফু দিলে সমস্যা নেই। কিন্তু কুরআনের তিলাওয়াত হিসেবে পড়া বৈধ নয়।
عن ابن عمر : عن النبي صلى الله عليه و سلم قال لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئا من القرآن (سنن الترمذى، ابواب الطهارات، باب ما جاء في الجنب والحائض : أنهما لا يقرأن القرآن، رقم الحديث-131
অনুবাদ-হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-ঋতুবতী মহিলা এবং গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তি কোরআন পড়বে না।
সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৩১।
সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৯৯১।
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১০৯০।
মুসন্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৩৮২৩।
عن إبراهيم قال : الحائض والجنب يذكران الله ويسميان (مصنف عبد الرزاق، كتاب الطهارة، باب الحائض تذكر الله ولا تقرأ القرآن، رقم الحديث-989)
অনুবাদ-হযরত ইবরাহীম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন-হায়েজ এবং গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তি আল্লাহর জিকির করতে পারবে, এবং তার নাম নিতে পারবে। {মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১৩০৫, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৯৮৯}
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
ইমেইল– [email protected]