প্রশ্ন
From: মুহাম্মাদ হাফিজুর রাহমান
বিষয়ঃ কুরবানি
আসসালামু আলাইকুম।
কুরবানির নেসাব কি নগত টাকার সাথে সম্পর্কিত? এক ব্যাক্তি অনেক সম্পদের মালিক কিন্তু ১০,১১,১২ যিলহায যদি নেসাব পরিমান নগদ টাকা না থাকে তাহলে কি তার উপর কুরবানি ওয়াজিব হবে না? যদি ওয়াজিব হয় কি ধরনের সম্পদ নেসাব হিসাবে গণ্য হবে?
আল্লাহ্ তা’আলা আপনার নেক হায়াতে বরকত দান করুন।
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রয়োজন অতিরিক্ত সমস্ত সম্পদের উপরই কুরবানী আসে। যদি তা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপা বা সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণের মূল্য পরিমাণ হয়ে যায় এবং ঋণমুক্ত হয়।
প্রয়োজনীয় সম্পদ বলতে বুঝায়, খাবার দাবার, পোশাক পরিচ্ছেদ, বসবাসের গৃহ ইত্যাদি। যা ছাড়া মানুষ জীবন ধারণ করতে অক্ষম। এসব বস্তুকে বলা হয় প্রয়োজনীয় বস্তু।
এছাড়া যত সম্পদ থাকবে, এর উপর কুরবানী ও সদকায়ে ফিতির ওয়াজিব হয়।
যদি নগদ অর্থ দিয়ে কুরবানী ক্রয় করতে না পারে, তাহলে ঋণ করে হলেও কুরবানী দিতে হবে। পরে তা আদায় করে দিবে। বাকিতে পশু ক্রয় করবে, পরবর্তীতে টাকা পরিশোধ করবে।
যদি এটিও সম্ভব না হয়, কুরবানীর দিনসমূহ চলে যায়, তাহলে পরবর্তীতে একটি মধ্যমপন্থী বকরীর মূল্য কুরবানীর নিয়তে সদকা করে দিতে হবে।
وفى الدر المختار: وَشَرَائِطُهَا: الْإِسْلَامُ وَالْإِقَامَةُ وَالْيَسَارُ الَّذِي يَتَعَلَّقُ بِهِ) وُجُوبُ (صَدَقَةِ الْفِطْرِ) كَمَا مَرَّ (لَا الذُّكُورَةُ فَتَجِبُ عَلَى الْأُنْثَى) خَانِيَّةٌ
وقال ابن عابدين الشامى رح: (قَوْلُهُ وَالْيَسَارُ إلَخْ) بِأَنْ مَلَك مِائَتَيْ دِرْهَمٍ أَوْ عَرْضًا يُسَاوِيهَا غَيْرَ مَسْكَنِهِ وَثِيَابِ اللُّبْسِ أَوْ مَتَاعٍ يَحْتَاجُهُ إلَى أَنْ يَذْبَحَ الْأُضْحِيَّةَ وَلَوْ لَهُ عَقَارٌ يَسْتَغِلُّهُ فَقِيلَ تَلْزَمُ لَوْ قِيمَتُهُ نِصَابًا، وَقِيلَ لَوْ يَدْخُلُ مِنْهُ قُوتُ سَنَةٍ تَلْزَمُ، وَقِيلَ قُوتُ شَهْرٍ، فَمَتَى فَضَلَ نِصَابٌ تَلْزَمُهُ. وَلَوْ الْعَقَارُ وَقْفًا، فَإِنْ وَجَبَ لَهُ فِي أَيَّامِهَا نِصَابٌ تَلْزَمُ، وَصَاحِبُ الثِّيَابِ الْأَرْبَعَةِ لَوْ سَاوَى الرَّابِعُ نِصَابًا غِنًى وَثَلَاثَةً فَلَا، لِأَنَّ أَحَدَهَا لِلْبِذْلَةِ وَالْآخَرُ لِلْمِهْنَةِ وَالثَّالِثُ لِلْجَمْعِ وَالْوَفْدِ وَالْأَعْيَادِ، وَالْمَرْأَةُ مُوسِرَةٌ بِالْمُعَجَّلِ لَوْ الزَّوْجُ مَلِيًّا وَبِالْمُؤَجَّلِ لَا، وَبِدَارٍ تَسْكُنُهَا مَعَ الزَّوْجِ إنْ قَدَرَ عَلَى الْإِسْكَانِ.
لَهُ مَالٌ كَثِيرٌ غَائِبٌ فِي يَدِ مُضَارِبِهِ أَوْ شَرِيكِهِ وَمَعَهُ مِنْ الْحَجَرَيْنِ أَوْ مَتَاعِ الْبَيْتِ مَا يُضَحِّي بِهِ تَلْزَمُ، وَتَمَامُ الْفُرُوعِ فِي الْبَزَّازِيَّةِ وَغَيْرِهَا (رد المحتار، كتاب الاضحية-9/452-453)
(وَلَوْ) (تُرِكَتْ التَّضْحِيَةُ وَمَضَتْ أَيَّامُهَا) (تَصَدَّقَ بِهَا حَيَّةً نَاذِرٌ) فَاعِلُ تَصَدَّقَ (لِمُعَيَّنَةٍ) وَلَوْ فَقِيرًا، وَلَوْ ذَبَحَهَا تَصَدَّقَ بِلَحْمِهَا، وَلَوْ نَقَصَهَا تَصَدَّقَ بِقِيمَةِ النُّقْصَانِ أَيْضًا وَلَا يَأْكُلُ النَّاذِرُ مِنْهَا؛ فَإِنْ أَكَلَ تَصَدَّقَ بِقِيمَةِ مَا أَكَلَ (وَفَقِيرٌ) عُطِفَ عَلَيْهِ (شَرَاهَا لَهَا) لِوُجُوبِهَا عَلَيْهِ بِذَلِكَ حَتَّى يَمْتَنِعَ عَلَيْهِ بَيْعُهَا (وَ) تَصَدَّقَ (بِقِيمَتِهَا غَنِيٌّ شَرَاهَا أَوَّلًا) لِتَعَلُّقِهَا بِذِمَّتِهِ بِشِرَائِهَا أَوَّلًا، فَالْمُرَادُ بِالْقِيمَةِ قِيمَةُ شَاةٍ تُجْزِي فِيهَا. (الدر المختار مع رد المحتار، كتاب الاضحية-9/463-465
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
মুহাদ্দিস-জামিয়া উবাদা ইবনুল জাররাহ, ভাটারা ঢাকা।
ইমেইল– ahlehaqmedia2014@gmail.com