প্রশ্ন
আই এস তার অনলাইন ম্যাগাজিন দাবিক এ দেওবন্দকে মুনাফিক বলে আখ্যা দিয়েছে।
নিরাপত্তাজনিত কারণে লিংক দিচ্ছি না। বর্তমানে পশ্চিমা মিডিয়া নয়, স্বয়ং
আই এস থেকে এমন কথা সত্যিই ভীতিকর কেননা তারা মুসলিমদেরই পান থেকে চুন খসলে অকল্পনীয় শাস্তি দিয়ে দেয়। এমতাবস্থায় কি করা উচিত? কেমন আক্বিদা রাখা উচিত? এবং তাদের বিরুদ্ধে একশনে থাকা কাফের দেশগুলোকে কি আদৌ সমর্থন দেয়া উচিত?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
আমাদের পর্যবেক্ষণ অনুপাতে আই এস একটি বিপথগামী সংগঠন। যদিও না বুঝার কারণে কতিপয় মুখলিস যুবকও উক্ত সংগঠনে অংশগ্রহণ করেছে। কিন্তু এ সংগঠনের কার্যক্রম মোটেও ইসলাম সমর্থিত নয়।
তাই যারা দ্বীনের কাজ মনে করে উক্ত সংগঠনে অংশীদার হয়েছে। তারা যদি শহীদ হয়, তাহলে তাদের হয়তো আল্লাহ তাআলা মাফ করে দিবেন ইনশাআল্লাহ। কিন্তু যারা এ সংগঠনের মূল উদ্দোক্তা এবং পরিচালক। তাদের অবস্থান যে সঠিক নয় তা পরিস্কার।
পুরো মধ্যপ্রাচ্য জোড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা। মুসলিম রাজ্যগুলোকে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার হীন কর্মকান্ড কিছুতেই ইসলামের উপকারী কোন কাজ হতে পারে না।
তারা যদি সত্যিই ইসলামপ্রেমী হতো, তাহলে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোতে যুদ্ধের দামামা না বাজিয়ে সরাসরি মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া ইজরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতো। কিন্তু তা না করে আরব রাষ্ট্রগুলোতে খুনাখুনির আখড়া বানানো তাদের জঘন্য কার্যক্রমের পরিচয় বহন করে।
মুসলমানদের এক বিশাল যুব শ্রেণীকে বেঘুরে প্রাণ নষ্ট করে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে যুবক শূণ্য ও দুর্বল করার হীন প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে এ জঙ্গি গোষ্ঠি।
বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের মতে আই এস মুসলিমদের সৃষ্টি নয়। বরং ইহুদী ও খৃষ্টানদেরই সৃষ্টি একটি সংগঠন।
ইংরেজীতে এমন আর্টিকেল আপনারা খুজলে অনেক পাবেন। বাংলায়ও রয়েছে অনেক। যেমন দেখতে পারেন-
যুগান্তর পত্রিকার রিপোর্ট– http://www.jugantor.com/first-page/2015/11/18/9398
সুতরাং এ ভ্রান্ত দল থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকল বিপথগামী সংগঠনের ক্ষতি থেকে হিফাযত করুন। আমীন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
একমত। আমিও এমন ধারণা করি। ওদের বুঝতে চাহিলে সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবির জীবনী সিরিজ ঈমান দিপ্ত দাস্তান পড়তে হবে।