প্রশ্ন
সম্মানিত মুফতী সাহেব!
আমার কাছে কিছুদিন পূর্বে শায়খ মুরাদ বিন আমজাদ সাহেবের একটি বই দিলো। যার নাম হল “সহীহ আকিদার মানদন্ডে ফাযায়েলে আমল”। উক্ত বইয়ের শুরুতেই তিনি ফাযায়েলে সাদাকাত থেকে তার বইয়ের ২৬ নং পৃষ্ঠায় এনেছেন-
“জনৈক বুজুর্গ বলেন, আমি একজন মুর্দাকে গোছল দিতে ছিলাম। সে আমার বৃদ্ধাঙ্গুলি ধরিয়া ফেলিল। আমি বলিলাম, ছাড়িয়া দাও। আমি জানি যে, তুমি মর নাই। সে ছাড়িয়া দিল। বিখ্যাত বুজুর্গ এবনুল জালা রহঃ বলেন, আমার পিতার যখন এন্তেকাল হয়, তাঁহাকে গোছল দিবার জন্য তখতির উপর রাখিতেই তিনি হাসিয়া উঠেন। ইহা দেখিয়া আর কাহার গোছল দিতে সাহস হইল না। অতঃপর তাঁহার জনৈক বুজুর্গ বন্ধু আসিয়া তাঁহাকে গোছল দিলেন। মৃত্যুর পর আনন্দ করার এইরূপ অনেক ঘটনা ছাহেবুর রওজ বর্ণনা করিয়ায়াছেন। [ফাজায়েলে সাদাকাত বাংলা, ২য় খন্ড-২৭০ পৃঃ]
এরপর তিনি আরো কিছু আলোচনা পর্যালোচনা করার পর ২৮ নং পৃষ্ঠায় লিখেছেন- আর সমান নয় জীবিত ও মৃত। [সূরা আলফাতির-২২]
কিন্তু এখানে জীবিতও কথা বলে এবং মৃতও কথা বলে। জিন্দাও জীবিত এবং মুর্দাও জীবিত অর্থাৎ উভয়েই সমান। পাঠক আপনারা বিবেকের কষ্টি পাথরে বিচার বিশ্লেষণ করে দেখুন, এরূপ আক্বীদাহ কি শিরক নয়? জেনে শুনে শিরকে বিশ্বাসীরা কি মুশরিক নয়? আর যারা উক্ত নেসাবের দাওয়াত দেয় তারা কি শিরকের দিকে আহবানকারী নয়? {সহীহ আকিদার মানদন্ডে তাবলীগী নেসাব-২৬-২৮]
উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা বুঝতে পারছি যে, মৃত্যুর পর কথা বলা এটি শিরক। আর এমন ঘটনা বিশ্বাস করেন, তারা মুশরিক। সেই হিসেবে শায়েখ জাকারিয়া রহঃ উপরোক্ত ঘটনা লিপিবদ্ধ করে শিরক করে মুশরিক হয়েছেন, সেই সাথে তাবলীগের সাথী ভাইয়েরা উক্ত বই পড়েও মুশরিক হয়ে গেছেন।
এ বিষয়টি নিয়ে খুবই চিন্তায় আছি। দয়া করে সঠিক সমাধান জানিয়ে পেরেশানী মুক্ত করার অনুরোধ রইল।
নাম ঠিকানা প্রকাশে অনিচ্ছুক।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
শায়েখ মুরাদ বিন আমজাদ সাহেব উক্ত বিষয়টি না বুঝা কারণে, এবং সমৃদ্ধ পড়াশোনার অভাবে তিনি এমন বাচ্চাসূলভ সমাধানে উপনীত হয়েছেন। যদি তিনি পূর্ববর্তী মুহাদ্দিসদের সংকলিত কিতাবগুলো গভীরভাবে মুতালাআ করতেন এবং উক্ত বিষয়টির হাকীকত বুঝতে পারতেন, তাহলে এমনটি তিনি বলতে পারতেন না।
তিনি মোটা দাগে তিন’টি ভুলে নিপতিত হয়েছেন। যথা-
১-মৃত্যুর পর কথা বলাকে মৃত ব্যক্তির নিজস্ব ক্ষমতা মনে করেছেন।
২-মৃত্যুর পর বান্দাকে দিয়ে দুনিয়াতেই আবার আল্লাহ তাআলা কথা বলাতে সক্ষম হবার বিষয়টি তিনি মন থেকে হয়তো বুঝতে পারেননি।
৩-পূর্ববর্তীতের কিতাবে এর প্রমাণ আছে কি না? তা খতিয়ে না দেখে অগভীর পড়াশোনা দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করতে চেয়েছেন।
আসলে মৃত্যুর পর মৃতের কথা বলার ক্ষমতাটি কেবলি আল্লাহ প্রদত্ব। এটি মৃতের ক্ষমতা ও এখতিয়ারাধীন নয়। বরং আল্লাহর কুদরত ছাড়া কিছুই নয়। আর এমনটি করতে আল্লাহ তাআলা সক্ষম।
আর পূর্ববর্তী মুহাদ্দিসদের কিতাবে মৃত্যুর পর কথা বলার ভূরি ভূরি নজীর রয়েছে। প্রথমে কুরআন থেকেই দেখি-
১
মুসা আঃ সময়কালে একজন ব্যক্তিকে হত্যা করা হলে, তার খুনি কে? তা বের করা যাচ্ছিল না। তখন আল্লাহ তাআলা গাভী জবাই করে তার গোস্ত নিহত ব্যক্তির গায়ে স্পর্শ করাতে বলেছেন, গোস্ত স্পর্শ লাগতেই উক্ত মৃত কথা বলে উঠেছিল। সেই সাথে তার খুনির নামও বলে দিয়েছিল।
দেখুন-
فَقُلْنَا اضْرِبُوهُ بِبَعْضِهَا ۚ كَذَٰلِكَ يُحْيِي اللَّهُ الْمَوْتَىٰ وَيُرِيكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ [٢:٧٣]
অতঃপর আমি বললামঃ গরুর একটি খন্ড দ্বারা মৃতকে আঘাত কর। এভাবে আল্লাহ মৃতকে জীবিত করেন এবং তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শণ সমূহ প্রদর্শন করেন-যাতে তোমরা চিন্তা কর। {সূরা বাকারা-৬৯-৭০}
তাহলে মৃত ব্যক্তির জীবিত মানুষের মত কথা বলাতো কুরআন দ্বারাই প্রমাণিত। একাজ শিরক হলে এ শিরকতো কুরআনেই বিদ্যমান।
২
এছাড়া বনী ইসরাঈলের কতিপয় ব্যক্তিরা হাজার বছর মৃত থাকার পর আবার জীবিত হয়ে কথা বলার ঘটনার বিবরণ কুরআনে এসেছে-
أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ خَرَجُوا مِن دِيَارِهِمْ وَهُمْ أُلُوفٌ حَذَرَ الْمَوْتِ فَقَالَ لَهُمُ اللَّهُ مُوتُوا ثُمَّ أَحْيَاهُمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ لَذُو فَضْلٍ عَلَى النَّاسِ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَشْكُرُونَ [٢:٢٤٣]
তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যারা মৃত্যুর ভয়ে নিজেদের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন? অথচ তারা ছিল হাজার হাজার। তারপর আল্লাহ তাদেরকে বললেন মরে যাও। তারপর তাদেরকে জীবিত করে দিলেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ মানুষের উপর অনুগ্রহকারী। কিন্তু অধিকাংশ লোক শুকরিয়া প্রকাশ করে না। {সূরা বাকারা-২৪৩}
৩
একজন নবী আল্লাহর কাছে মৃত্যুর আবার কিভাবে জীবিত হবে? তা জানতে চাইলে তাকে আল্লাহ তাআলা একশত বছরের জন্য মৃত্যু দান করলেন। তারপর আবার তাকে জীবিত করলেন। দেখুন-
أَوْ كَالَّذِي مَرَّ عَلَىٰ قَرْيَةٍ وَهِيَ خَاوِيَةٌ عَلَىٰ عُرُوشِهَا قَالَ أَنَّىٰ يُحْيِي هَٰذِهِ اللَّهُ بَعْدَ مَوْتِهَا ۖ فَأَمَاتَهُ اللَّهُ مِائَةَ عَامٍ ثُمَّ بَعَثَهُ ۖ قَالَ كَمْ لَبِثْتَ ۖ قَالَ لَبِثْتُ يَوْمًا أَوْ بَعْضَ يَوْمٍ ۖ قَالَ بَل لَّبِثْتَ مِائَةَ عَامٍ فَانظُرْ إِلَىٰ طَعَامِكَ وَشَرَابِكَ لَمْ يَتَسَنَّهْ ۖ وَانظُرْ إِلَىٰ حِمَارِكَ وَلِنَجْعَلَكَ آيَةً لِّلنَّاسِ ۖ وَانظُرْ إِلَى الْعِظَامِ كَيْفَ نُنشِزُهَا ثُمَّ نَكْسُوهَا لَحْمًا ۚ فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُ قَالَ أَعْلَمُ أَنَّ اللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ [٢:٢٥٩]
তুমি কি সে লোককে দেখনি যে এমন এক জনপদ দিয়ে যাচ্ছিল যার বাড়ীঘরগুলো ভেঙ্গে ছাদের উপর পড়ে ছিল? বলল, কেমন করে আল্লাহ মরনের পর একে জীবিত করবেন? অতঃপর আল্লাহ তাকে মৃত অবস্থায় রাখলেন একশ বছর। তারপর তাকে উঠালেন। বললেন, কত কাল এভাবে ছিলে? বলল আমি ছিলাম, একদিন কংবা একদিনের কিছু কম সময়। বললেন, তা নয়; বরং তুমি তো একশ বছর ছিলে। এবার চেয়ে দেখ নিজের খাবার ও পানীয়ের দিকে-সেগুলো পচে যায় নি এবং দেখ নিজের গাধাটির দিকে। আর আমি তোমাকে মানুষের জন্য দৃষ্টান্ত বানাতে চেয়েছি। আর হাড়গুলোর দিকে চেয়ে দেখ যে, আমি এগুলোকে কেমন করে জুড়ে দেই এবং সেগুলোর উপর মাংসের আবরণ পরিয়ে দেই। অতঃপর যখন তার উপর এ অবস্থা প্রকাশিত হল, তখন বলে উঠল-আমি জানি, নিঃসন্দেহে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল। {বাকারা-২৫৯}
মৃত্যুর পর কথা বলার ঘটনা বললে যদি শিরক হয়, আর যারা বলেন, তারা মুশরিক হয়ে যান, তাহলে কুরআনে বর্ণিত উপরোক্ত ঘটনাগুলোর হুকুম কী হবে?
শুধু তাই নয়। মৃত্যুর পর কথা বলার আরো অনেক প্রমাণ বিদ্যমান রয়েছে হাদীস ও ইতিহাস গ্রন্থে। যা সহীহ সনদে মুহাদ্দিসীনে কেরাম সংরক্ষণ করেছেন।
যেমন যায়েদ বিন হারেছা রাঃ এর ঘটনা!
হযরত যায়েদ বিন খারিজা রাঃ এর মৃত্যু হযরত উসমান রাঃ এর শাসনামলে হয়। তার একটি প্রসিদ্ধ ঘটনা হল, তার মৃত্যুর পর যখন তার জানাযা প্রস্তুত করা হয়। আর হযরত উসমান রাঃ এর জন্য সবাই অপেক্ষমাণ। তখন দেখা গেল যে, হঠাৎ করে যায়েদ বিন খারিজা রাঃ কথা বলতে শুরু করে দিলেন। তিনি রাসূল সাঃ এর রিসালাত, হযরত আবু বকর রাঃ, হযরত উমর রাঃ এর ব্যাপারে হক হবার ও আমানতদারীর সাক্ষ্যি দিলেন।
ইমাম বায়হাকী রহঃ উক্ত ঘটনা নকল করার পর লিখেছেন যে, এর সনদ সহীহ। সেই সাথে এর আরো শাওয়াহেদও আছে। [দালায়েলুন নবুয়্যাহ-৬/৫৫-৫৬]
পূর্ণ ঘটনাটির আরবী পাঠ
عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، أَنَّ زَيْدَ بْنَ خَارِجَةَ الْأَنْصَارِيَّ ثَمَّ مِنْ بَنِي الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ تُوُفِّيَ زَمَنَ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، فَسَجَّى فِي ثَوْبِهِ، ثُمَّ أَنَّهُمْ سَمِعُوا جَلْجَلَةً فِي صَدْرِهِ، ثُمَّ تَكَلَّمَ، ثُمَّ قَالَ:
أَحْمَدُ أَحْمَدُ فِي الْكِتَابِ الْأَوَّلِ، صَدَقَ صَدَقَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ الضَّعِيفُ فِي نَفْسِهِ الْقَوِيُّ فِي أَمْرِ اللهِ فِي الْكِتَابِ الْأَوَّلِ، صَدَقَ صَدَقَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ الْقَوِيُّ الْأَمِينُ فِي الْكِتَابِ الْأَوَّلِ، صَدَقَ صَدَقَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ عَلَى مِنْهَاجِهِمْ مَضَتْ أَرْبَعٌ وَبَقِيَتِ اثْنَتَانِ أَتَتِ الْفِتَنُ وَأَكَلَ الشَّدِيدُ الضَّعِيفَ، وَقَامَتِ السَّاعَةُ وَسَيَأْتِيكُمْ مِنْ جَيْشِكُمْ خَبَرُ بِئْرِ أَرِيسَ وَمَا بِئْرُ أَرِيسَ.
قَالَ يَحْيَى: قَالَ سَعِيدٌ: ثُمَّ هَلَكَ رَجُلٌ مِنْ خَطْمَةَ فَسُجِّيَ بِثَوْبِهِ فَسُمِعَ جَلْجَلَةٌ فِي صَدْرِهِ ثُمَّ تَكَلَّمَ، فَقَالَ: إِنَّ أَخَا بَنِي الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ صَدَقَ صَدَقَ.
وأَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللهِ الْحَافِظُ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ الْفَقِيهُ أَنْبَأَنَا قُرَيْشُ بْنُ الْحَسَنِ حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ فَذَكَرَهُ بِإِسْنَادِهِ نَحْوَهُ وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ وَلَهُ شَوَاهِدُ.
মৃত্যুর পর কথা বলার আরেকটি ঘটনা দেখুন। তাছাড়া ইমাম বায়হাকী আরো বলেন,
وَقَدْ رُوِيَ فِي التَّكَلُّمِ بَعْدَ الْمَوْتِ عَنْ جَمَاعَةٍ بِأَسَانِيدَ صَحِيحَةٍ.
এক জামাত ব্যক্তি থেকে সহীহ সূত্রে মৃত্যুর পর কথা বলার কথা প্রমাণিত। [দালায়েলুন নবুয়্যাহ-৬/৫৮]
আল্লামা ইবনে আব্দিল বার রহঃ জায়েজ বিন খারিজা রাঃ সম্পর্কে বলেন,
وهو الذي تكلم بعد الموت، لا يختلفون في ذَلِكَ،
তিনি এমন ব্যক্তি যিনি মৃত্যুর পর কথা বলেছেন, যে ব্যাপারে কোন মতভেদ নেই। [আলইস্তীয়াব ফী মারিফাতিল আসহাব-২/৫৪৭]
ইমাম বুখারী রহঃ ও যায়েদ বিন খারেজা সম্পর্কে লিখেন,
هُوَ الَّذِي تَكَلَّمَ بَعْدَ الْمَوْتِ
তিনি মৃত্যুর পর কথা বলেছেন। [তারীখে কাবীর-৩/৩৮৩, রাবী নং-১২৮১]
এছাড়া
৫-ইমাম ইবনে সাদ [মৃত্যু-২৩৩ হিজরী]
৬-ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী। [মৃত্যু ৮৫৫ হিজরী]
৭-ইমাম ইবনে আবী হাতিম রহঃ। [মৃত্যু ৩২৭ হিজরী]
৮-ইমাম তিরমিজী রহঃ। [মৃত্যু ২৭৯ হিজরী]
৯-ইমাম ইয়াকুব বিন সুফিয়ান রহঃ। [মৃত্যু ২৭৭ হিজরী]
১০-ইমাম বায়হাকী রহঃ। [মৃত্যু ৩১৭ হিজরী]
১১-ইমাম তাবরানী রহঃ। [মৃত্যু ৩৬০ হিজরী]
১২- ইমাম আবূ নুআঈম রহঃ। [মৃত্যু ৪৩০ হিজরী]
১৪- ইমাম আবু আলী ইবনুস সাকান। [মৃত্যু ৩৫৩ হিজরী]
১৫- ইমাম ইবনে হিব্বান রহঃ। [মৃত্যু ৩৫৪ হিজরী]
১৬- ইমাম ইবনুল আছীর রহঃ। [মৃত্যু ৬০৬ হিজরী]
১৭-ইমাম ইবনে আবী খুজাইমা রহঃ। [মৃত্যু ২৭৯ হিজরী]
১৮- ইমাম খতীব আলবাগদাদী রহঃ। [মৃত্যু ৪৬৩ হিজরী]
১৯- ইমাম আবু সুলাইমান মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ রহঃ। [মৃত্যু ৩৭৯ হিজরী]
২০- ইমাম আবু আহমাদ আলআশকারী রহঃ। [মৃত্যু ৩৮২ হিজরী]
২১- ইমাম আবু যাফর তাবারী রহঃ। [মৃত্যু ৩১০ হিজরী]
২২- ইমাম ইবনে কাসীর রহঃ। [মৃত্যু ৭৭৪ হিজরী] প্রমুখ মুহাদ্দিস ও তারীখ বিশারদগণ বলেছেন।
দ্রষ্টব্য-তাহযীবুত তাহযীব-৩/৪০৯-৪১০।
আলইকমাল তাহযীবুল কামাল-৫/১৫১-১৫২।
আলইসাবাহ লিইবনে হাজার-২/১৯০।
আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া-৯/৫৫।
সুতরাং বুঝা গেল এটি মুহাদ্দিসীনে কেরামের নিকট সর্বসম্মত মত। সবাই এক বাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন যে, মৃত্যুর পর হযরত যায়েদ বিন খারেজা রাঃ কথা বলেছেন।
যদি মৃত্যুর পর কথা বলার ঘটনা হযরত শায়েখ জাকারিয়া রহঃ “ফাযায়েলে আমল” গ্রন্থে আনার কারণে শিরক করে থাকেন। তাহলে একই শিরকতো উপরোক্ত সমস্ত মুহাদ্দিসরাও করেছেন। পৃথিবী বিখ্যাত উপরোক্ত মুহাদ্দিসদের ক্ষেত্রে মুরাদ বিন আজমাদসহ লা-মাযহাবী বন্ধুদের কী ফাতওয়া আমরা একটু জানতে চাই।
অপবাদের কবলে ফাযায়েলে আমাল [পর্ব-৫] জুনায়েদ বাগদাদী রহঃ এর স্বপ্নে শয়তানকে বিবস্ত্র দেখা!
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
ইমেইল- ahlehaqmedia2014@gmail.com
আলহামদুলিল্লাহ্, সঠিক সমাধান জানিয়ে পেরেশানী মুক্ত করার জন্য আন্তরিক মোবারকবাদ।