প্রচ্ছদ / আধুনিক মাসায়েল / হালাল ও হারাম পণ্য চিহ্নিত করার মূলনীতি কি?

হালাল ও হারাম পণ্য চিহ্নিত করার মূলনীতি কি?

প্রশ্ন

Dewan Mahmud Sany

Bangladesh

Food products of Halal Haram

মুফতি সাহেব, ঈদানিং প্রায় সব পণ্যের মধ্যে সবুজ রং এর চিহ্ন দেখা যায় আমাকে একজন ওলামায়ে কেরাম বলেছেন যে , ‘এটি হালালের চিহ্ন ‘ । কোন কোন পণ্য জায়েজ নয়  বিষয়ে বিস্তারিত লিস্ট জানালে কৃতজ্ঞ থাকব । আল্লাহ হাফেজ ।

উত্তর

بسم الله الرحمن الرحيم

হালালের চিহ্ন থাকাই উক্ত বস্তু হালাল হবার নিদর্শন হতে পারে না। কারণ হালালের চিহ্ন দিয়ে হারাম পণ্যও বিক্রি করা হতে পারে। তা’ই উক্ত পণ্যটি কিভাবে তৈরী হয়েছে? কি দিয়ে তৈরী হয়েছে? সেটির উপর নির্ভরশীল উক্ত পণ্যটি হালাল ও হারাম হওয়া।

আর পণ্যের কোন নির্দিষ্ট সীমা পরিসীমা নেই। তাই এর লিষ্ট প্রদান করা প্রায় অসম্ভব।

আমরা মূলনীতি বলে দিচ্ছি-

১-গোস্ত জাতীয় পণ্য হলে তা মুসলিমদের কাছে হালাল পণ্য কি না? তা দেখে নিন।

২-গোস্ত জাতীয় পণ্য হলে তা  জবাইয়ের সময় বিসমিল্লাহ বলা হয়েছে কি না? তা যাচাই করে নিন। তবে মুসলিমরা কোন বস্তু জবাই করলে সেক্ষেত্রে সন্দেহ করার কোন প্রয়োজন নেই। তবে যদি সুনিশ্চিতভাবে জানা যায়, বিসমিল্লাহ বলা হয় না, তাহলে উক্ত পণ্য খাওয়া জায়েজ নয়।

৩-অন্য পণ্যতে দেখতে হবে তাতে হারাম কোন বস্তু মিশ্রিত করা হয়েছে কি না? যদি মিশ্রিত করা হয়, তাহলে উক্ত হারাম পণ্যের মৌলিকত্ব বাকি আছে কি না? যদি বাকি থাকে, তাহলে উক্ত পণ্য ব্যবহার জায়েজ নয়।

আর যদি হারামের মৌলিকত্ব বাকি না থাকে, তাহলে উক্ত পণ্য ব্যবহারে কোন সমস্যা নেই।

৪-পণ্যটি কোন বিধর্মীদের ধর্মীয় সংস্কৃতি প্রকাশক কি না? যদি ধর্মীয় সংস্কৃতি বা কোন ফাসিকের অনুসরণীয় পণ্য হয়, যেমন কোন নায়িকার নির্ধারিত ডিজাইনের পোশাক ইত্যাদি তাহলেও উক্ত পণ্য ব্যবহার করা জায়েজ নয়।

উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে কোন পণ্য হালাল আর কোন পণ্য হারাম তা নির্ণিত করে নিতে হবে। সকল পণ্যের নামসহ হুকুম বলা আমাদের পক্ষে সম্ভপর নয়।

وَلَا تَأْكُلُوا مِمَّا لَمْ يُذْكَرِ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَإِنَّهُ لَفِسْقٌ ۗ وَإِنَّ الشَّيَاطِينَ لَيُوحُونَ إِلَىٰ أَوْلِيَائِهِمْ لِيُجَادِلُوكُمْ ۖ وَإِنْ أَطَعْتُمُوهُمْ إِنَّكُمْ لَمُشْرِكُونَ [٦:١٢١

যেসব জন্তুর উপর আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয় নি, সেগুলো থেকে ভক্ষণ করো না; এ ভক্ষণ করা গোনাহ। নিশ্চয় শয়তানরা তাদের বন্ধুদেরকে প্রত্যাদেশ করে-যেন তারা তোমাদের সাথে তর্ক করে। যদি তোমরা তাদের আনুগত্য কর, তোমরাও মুশরেক হয়ে যাবে। {সুরা আনআম-১২১}

أما (الخمر) إذا خلله بعلاج بالملح أو بغيره يحل عندنا (الفتاوى الهندية،كتاب الأشربة وفيه بابان   الباب الأول في تفسير الأشربة والأعيان التي تتخذ منها الأشربة وأسماؤها وماهياتها وأحكامه-5/410

عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ

হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি যার সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে তাদেরই অন্তর্ভূক্ত। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪০৩১}

والله اعلم بالصواب

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

ইমেইল- [email protected]

[email protected]

0Shares

আরও জানুন

ইমামের সামনের সুতরা কি মাসবূক মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট?

প্রশ্ন ইমামের সুতরা মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট কি না? এবং ইমামের সুতরা মসবুক ব্যাক্তির জন্য যথেষ্ট …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *